মাঠের মুখ
চারদিকে এত চিত্কার-চেঁচামেচি; তিনি ব্যস্ত নিজের কাজে। অখণ্ড মনোযোগ। মাহমুদউল্লাহ একটি চার মারলেন, গর্জে উঠল পুরো গ্যালারি। একবার শুধু মাঠে তাকিয়ে দেখলেন, যেন কিছুই হয়নি ভাব দেখিয়ে আবার মন দিলেন নিজের কাজে। গ্যালারিতে বসে কী করছেন?
নখ কাটছেন! গ্যালারির সিঁড়ির মতো ধাপগুলো পেরিয়ে উপরের দিকে সমানমতো যে জায়গাটা আছে, সেখানে বসেছেন। নেইল কাটার দিয়ে নখ কাটায় এমন মনোযোগ, যেন জগতের সব আনন্দ লুকিয়ে আছে ওই নখ কাটার মধ্যেই। নখ কাটতে শুধু শুধু কষ্ট করে মাঠে আসার কী দরকার, এটা জিজ্ঞেস করতে এগিয়ে যেতেই শোনা গেল পাশের তরুণকে বলছেন, ‘ইশান্তের চেয়ে কিন্তু শ্রীশান্তের রানআপ ভালো, অনেকটা ম্যালকম মার্শালের মতো।’ তার মানে ক্রিকেটটা শুধু ভালো বোঝেনই না, মাঠেও মনোযোগ আছে তাঁর। এটাই আরও উত্সাহী করল তাঁর সম্পর্কে।
যা পরিচয় পাওয়া গেল, তাতে ক্রিকেটটা তাঁর ভালো বোঝারই কথা। তানুজী নাগ যে একজন ক্রিকেট আম্পায়ার! যে সে আম্পায়ার নন, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের লেভেল ‘এ’ আপগ্রেড আম্পায়ারিং কোর্স করা আম্পায়ার। বাগেরহাট আম্পায়ার ও স্কোরারস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক তিনি, গায়ে বাগেরহাট জেলা ক্রীড়া সংস্থার ব্লেজার। বাগেরহাট শহরেই বাড়ি, মেরিন একাডেমিতে ছেলের ভর্তি পরীক্ষার সুবাদে তিন দিন ধরে আছেন চট্টগ্রামে। প্রতিদিনই মাঠে এসেছেন খেলা দেখতে। ওই তরুণ তাঁর ছেলে।
মাঠের লোক তিনি, তবে বাইরে বসে খেলা দেখাটাও উপভোগ করেন খুব। সেই ১৯৬৯ সালে ঢাকা স্টেডিয়ামে পাকিস্তান-নিউজিল্যান্ড টেস্ট দিয়ে শুরু, এরপর অসংখ্য ম্যাচ দেখেছেন গ্যালারিতে বসে। ছেলের পরীক্ষা শেষ হলে ঢাকায় কিছু কাজ শেষেই ফিরবেন বাগেরহাট। জেলায় অনেক ক্রিকেট টুর্নামেন্ট শুরু হচ্ছে। প্রতিদিনই ফোন পাচ্ছেন, আম্পায়ারিং করতে হবে না!
নখ কাটছেন! গ্যালারির সিঁড়ির মতো ধাপগুলো পেরিয়ে উপরের দিকে সমানমতো যে জায়গাটা আছে, সেখানে বসেছেন। নেইল কাটার দিয়ে নখ কাটায় এমন মনোযোগ, যেন জগতের সব আনন্দ লুকিয়ে আছে ওই নখ কাটার মধ্যেই। নখ কাটতে শুধু শুধু কষ্ট করে মাঠে আসার কী দরকার, এটা জিজ্ঞেস করতে এগিয়ে যেতেই শোনা গেল পাশের তরুণকে বলছেন, ‘ইশান্তের চেয়ে কিন্তু শ্রীশান্তের রানআপ ভালো, অনেকটা ম্যালকম মার্শালের মতো।’ তার মানে ক্রিকেটটা শুধু ভালো বোঝেনই না, মাঠেও মনোযোগ আছে তাঁর। এটাই আরও উত্সাহী করল তাঁর সম্পর্কে।
যা পরিচয় পাওয়া গেল, তাতে ক্রিকেটটা তাঁর ভালো বোঝারই কথা। তানুজী নাগ যে একজন ক্রিকেট আম্পায়ার! যে সে আম্পায়ার নন, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের লেভেল ‘এ’ আপগ্রেড আম্পায়ারিং কোর্স করা আম্পায়ার। বাগেরহাট আম্পায়ার ও স্কোরারস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক তিনি, গায়ে বাগেরহাট জেলা ক্রীড়া সংস্থার ব্লেজার। বাগেরহাট শহরেই বাড়ি, মেরিন একাডেমিতে ছেলের ভর্তি পরীক্ষার সুবাদে তিন দিন ধরে আছেন চট্টগ্রামে। প্রতিদিনই মাঠে এসেছেন খেলা দেখতে। ওই তরুণ তাঁর ছেলে।
মাঠের লোক তিনি, তবে বাইরে বসে খেলা দেখাটাও উপভোগ করেন খুব। সেই ১৯৬৯ সালে ঢাকা স্টেডিয়ামে পাকিস্তান-নিউজিল্যান্ড টেস্ট দিয়ে শুরু, এরপর অসংখ্য ম্যাচ দেখেছেন গ্যালারিতে বসে। ছেলের পরীক্ষা শেষ হলে ঢাকায় কিছু কাজ শেষেই ফিরবেন বাগেরহাট। জেলায় অনেক ক্রিকেট টুর্নামেন্ট শুরু হচ্ছে। প্রতিদিনই ফোন পাচ্ছেন, আম্পায়ারিং করতে হবে না!
No comments