গ্রেপ্তার আরেক ক্রিকেটার
শুরুতে পাত্তা না দিলেও ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের (বিসিসিআই) বেশ টনক নড়েছে অবশেষে। তিন ক্রিকেটারের স্পট ফিক্সিং কাণ্ডে কাল জরুরি বৈঠকে বসেছিল ভারতীয় বোর্ডের কার্যনির্বাহী কমিটি। সিদ্ধান্ত হয়েছে, এখন থেকে ক্রিকেটারদের সব এজেন্টকে হতে হবে বোর্ড-স্বীকৃত ও অনুমোদিত। ক্রিকেটারদের কাছে অন্যদের প্রবেশাধিকারকে আরও নজরদারিতে রাখা হবে। প্রতিটি আইপিএল দলের সঙ্গে একজন করে দুর্নীতি দমন ও নিরাপত্তা কর্মকর্তা রাখা হবে। বোর্ডের দুর্নীতি দমন ও নিরাপত্তাপ্রধান রবি সাওয়ানিকে কমিশনার করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী বহিষ্কৃত তিন ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে আরও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিসিসিআই প্রধান এন শ্রীনিবাসন জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় চুক্তিতে নেই বলে তিন ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে পুলিশি ব্যবস্থা নিতে পারবে না বোর্ড। তবে পার পাচ্ছেন না শ্রীশান্তরা। যাঁদের সঙ্গে চুক্তি আছে, সেই রাজস্থান রয়্যালস ঠিকই পুলিশি ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে প্রতারণা ও ফ্র্যাঞ্চাইজির সুনাম নষ্টের অভিযোগে। তিন ক্রিকেটারের জিজ্ঞাসাবাদ কাল তৃতীয় দিনের মতো চলেছে। পুলিশের একটি সূত্র এনডিটিভিকে বলেছে, তিনজনই স্পট ফিক্সিংয়ে টেনে আনার জন্য দায় চাপাচ্ছেন পরস্পরের ওপর। তিনজনের কণ্ঠ নমুনাও সংগ্রহ করেছে পুলিশ, বাজিকরদের সঙ্গে তাঁদের ফোনালাপের টেপরেকর্ড আদালতে প্রমাণ হিসেবে শোনানোর জন্য। পুলিশের দাবি, এর মধ্যেই যথেষ্ট প্রমাণ পেয়েছে তারা।
ফিক্সিংয়ের শিকড় কতটা গভীরে, সেটির আরেকটা প্রমাণ মিলেছে কাল। দিল্লি পুলিশ কাল আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে, যাঁদের একজন সাবেক রঞ্জি ক্রিকেটার মনীষ বুদেওয়া। বিদর্ভের সাবেক এই ক্রিকেটার ২০০০ সাল থেকে খেলছেন অজিত চান্ডিলার সঙ্গে। রাজস্থান রয়্যালসের সঙ্গে মাঝেমধ্যে অনুশীলনও করতেন। মনীষই নাকি চান্ডিলাকে বাজিকরদের সংস্পর্শে নিয়ে আসেন। পুলিশ বলছে, জড়িত আছে আরও ক্রিকেটার। মুম্বাই পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে ছয় বাজিকরকে, যাঁদের একজন রমেশ ভাইয়াস। অপরাধজগতের সম্রাট দাউদ ইব্রাহিমের ভাই আনিস ইব্রাহিম ও বিশ্বস্ত সহকারী সুনীল দুবাইয়ের ঘনিষ্ঠ এই রমেশ।
ঘোড়দৌড় ছাড়া আর সব খেলায় বাজি ধরা ভারতে অবৈধ। ভারতে ক্রিকেট বাজির বার্ষিক বাজার ৩ লাখ কোটি টাকা। পুরোনো একটি প্রশ্ন তাই নতুন করে উঠেছে, ক্রিকেটে বেটিংকে বৈধতা দেওয়া যায় কিনা! বিসিসিআই প্রধান শ্রীনিবাসন এটিকে ঠিক নিশ্চিত সমাধান ভাবছেন না, ‘অন্য অনেক দেশেই বাজিকে বৈধ করে দেওয়া হয়েছে, এতে বেশ কাজও হয়েছে এটা নিয়ন্ত্রণে। তবে ভারতে কতটা সম্ভব, আমি ঠিক নিশ্চিত নই।’
প্রশ্ন উঠছে ফিক্সিং নিয়ন্ত্রণ বা উদ্ঘাটনে দুর্নীতি দমন ও নিরাপত্তা ইউনিটের (আকসু) পৌনঃপুনিক ব্যর্থতা নিয়েও। ফিক্সিংয়ের সব কেলেঙ্কারিই ফাঁস করেছে সংবাদমাধ্যম অথবা পুলিশ। তবে শ্রীনিবাসনের যুক্তিটাও যথেষ্ট গ্রহণযোগ্য, ‘আকসু তো পুলিশের মতো করে তথ্য সংগ্রহ করতে পারে না। ফোনে আড়ি পাততে পারে না, আরও অনেক সীমাবদ্ধতা আছে। পুলিশি সংস্থা নয় বলে অনেক কিছুতেই আমাদের হাত-পা বাঁধা।’
বিসিসিআই প্রধান এন শ্রীনিবাসন জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় চুক্তিতে নেই বলে তিন ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে পুলিশি ব্যবস্থা নিতে পারবে না বোর্ড। তবে পার পাচ্ছেন না শ্রীশান্তরা। যাঁদের সঙ্গে চুক্তি আছে, সেই রাজস্থান রয়্যালস ঠিকই পুলিশি ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে প্রতারণা ও ফ্র্যাঞ্চাইজির সুনাম নষ্টের অভিযোগে। তিন ক্রিকেটারের জিজ্ঞাসাবাদ কাল তৃতীয় দিনের মতো চলেছে। পুলিশের একটি সূত্র এনডিটিভিকে বলেছে, তিনজনই স্পট ফিক্সিংয়ে টেনে আনার জন্য দায় চাপাচ্ছেন পরস্পরের ওপর। তিনজনের কণ্ঠ নমুনাও সংগ্রহ করেছে পুলিশ, বাজিকরদের সঙ্গে তাঁদের ফোনালাপের টেপরেকর্ড আদালতে প্রমাণ হিসেবে শোনানোর জন্য। পুলিশের দাবি, এর মধ্যেই যথেষ্ট প্রমাণ পেয়েছে তারা।
ফিক্সিংয়ের শিকড় কতটা গভীরে, সেটির আরেকটা প্রমাণ মিলেছে কাল। দিল্লি পুলিশ কাল আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে, যাঁদের একজন সাবেক রঞ্জি ক্রিকেটার মনীষ বুদেওয়া। বিদর্ভের সাবেক এই ক্রিকেটার ২০০০ সাল থেকে খেলছেন অজিত চান্ডিলার সঙ্গে। রাজস্থান রয়্যালসের সঙ্গে মাঝেমধ্যে অনুশীলনও করতেন। মনীষই নাকি চান্ডিলাকে বাজিকরদের সংস্পর্শে নিয়ে আসেন। পুলিশ বলছে, জড়িত আছে আরও ক্রিকেটার। মুম্বাই পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে ছয় বাজিকরকে, যাঁদের একজন রমেশ ভাইয়াস। অপরাধজগতের সম্রাট দাউদ ইব্রাহিমের ভাই আনিস ইব্রাহিম ও বিশ্বস্ত সহকারী সুনীল দুবাইয়ের ঘনিষ্ঠ এই রমেশ।
ঘোড়দৌড় ছাড়া আর সব খেলায় বাজি ধরা ভারতে অবৈধ। ভারতে ক্রিকেট বাজির বার্ষিক বাজার ৩ লাখ কোটি টাকা। পুরোনো একটি প্রশ্ন তাই নতুন করে উঠেছে, ক্রিকেটে বেটিংকে বৈধতা দেওয়া যায় কিনা! বিসিসিআই প্রধান শ্রীনিবাসন এটিকে ঠিক নিশ্চিত সমাধান ভাবছেন না, ‘অন্য অনেক দেশেই বাজিকে বৈধ করে দেওয়া হয়েছে, এতে বেশ কাজও হয়েছে এটা নিয়ন্ত্রণে। তবে ভারতে কতটা সম্ভব, আমি ঠিক নিশ্চিত নই।’
প্রশ্ন উঠছে ফিক্সিং নিয়ন্ত্রণ বা উদ্ঘাটনে দুর্নীতি দমন ও নিরাপত্তা ইউনিটের (আকসু) পৌনঃপুনিক ব্যর্থতা নিয়েও। ফিক্সিংয়ের সব কেলেঙ্কারিই ফাঁস করেছে সংবাদমাধ্যম অথবা পুলিশ। তবে শ্রীনিবাসনের যুক্তিটাও যথেষ্ট গ্রহণযোগ্য, ‘আকসু তো পুলিশের মতো করে তথ্য সংগ্রহ করতে পারে না। ফোনে আড়ি পাততে পারে না, আরও অনেক সীমাবদ্ধতা আছে। পুলিশি সংস্থা নয় বলে অনেক কিছুতেই আমাদের হাত-পা বাঁধা।’
No comments