আমাদের জয়যাত্রার মিছিল শুরু হয়ে গেছে -পাঠকের মন্তব্য: অনলাইন থেকে
অনলাইনে প্রথম আলো (prothom-alo.com) নিয়মিত পড়া হয় ১৯০টি দেশ থেকে। পড়ার পাশাপাশি পাঠকেরা প্রতিদিন রাজনীতি, অর্থনীতি, সমাজ, খেলাসহ বিভিন্ন বিষয়ে তাঁদের মতামত দেন। তাঁদের এ মতামত চিন্তার খোরাক জোগায় অন্যদের। গত কয়েক দিনে বিভিন্ন বিষয়ে পাঠকদের কিছু মন্তব্য ঈষৎ সংক্ষেপিত আকারে ছাপা হলো।
সরকারের চাপ ও সাংগঠনিক দুর্বলতায় দিশেহারা বিএনপি
বিএনপির সামগ্রিক অবস্থা নিয়ে প্রথম আলোর এই সংবাদ বিশ্লেষণ প্রকাশিত হয় গত শনিবার। এ সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে মোহাম্মদ কাশেম লিখেছেন: বিএনপি সাংগঠনিকভাবে শক্ত নয়। জামায়াতের ওপর যুদ্ধাপরাধের কলঙ্ক, অন্যথায় সাংগঠনিকভাবে অনেক শক্ত এই দলটি। চাঁদে সাঈদীর ছবি দেখা, হেফাজতে ইসলামকে মাঠে দাঁড় করানো এবং আরও অনেক মিথ্যাকে সত্য বলে প্রমাণ করার চেষ্টায় জামায়াত অনেকটা সফল। এককভাবে হরতালে জামায়াতের শক্তির পরিচয় মেলে। কিন্তু যেভাবে চলছে, তাতে দলটি আর কত দিন টিকবে, তা ভবিষ্যৎই বলবে। নিবন্ধন বাতিল করে জামায়াতকে যদি নিঃশেষ করা যায়, তাহলে বুড়ো ঘুণে ধরা বিএনপির ভার সওয়া হাতের লাঠিটাও আর থাকবে না। তাতে করে সরকারের সামনে শক্ত প্রতিপক্ষ বলে আর কেউ থাকবে না।
মো. নাসিম ওয়াহিদ: রাজনৈতিক দলকে পারিবারিক সম্পত্তি বানালে তো এ রকমই হওয়ার কথা।
এস মোরশেদ: এমন একটা খবরের অপেক্ষায় ছিলাম। প্রথম আলোকে আবার ধন্যবাদ। এবার যদি বিএনপির ঘুম ভাঙে।
ইকরামুল হুদা ইরাম: গত নির্বাচনের পর বিএনপি চার বছর সময় পেয়েছিল দল গোছানোর জন্য, কিন্তু কিছুই করতে পারেনি। সামনের নির্বাচনে জয়লাভ করে আগামী দিনে ক্ষমতায় গেলেও সরকারি দল হিসেবে বিএনপি চরম বিশৃঙ্খলার পরিচয় দেবে বলে আমি আশঙ্কা করি। আর এই সুযোগে সাংগঠনিকভাবে দক্ষ আওয়ামী লীগ ওই সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে পারবে। তাতে আগামী বছরগুলোতে আরও সংঘর্ষ ও হানাহানি হবে।
উল্টো পথে আওয়ামী লীগ
প্রধান বিরোধী দলের সঙ্গে সংলাপ নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতাদের নানা ধরনের কথার বিশ্লেষণ করেছেন সোহরাব হাসান। তাঁর এ অভিমত সম্পর্কে হেলাল লিখেছেন: আমরা পাঠকেরা প্রায়ই এই তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা নিয়ে অনেক কথা বলি, কিন্তু কিছু কি লাভ বা উপকার হচ্ছে? যাঁরা সরকারে আছেন, তাঁরা যদি সত্যিকারভাবে এগিয়ে না আসেন, তাহলে কীভাবে সমস্যার সমাধান হবে? এখন আমরা স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি, সরকার সহজে নিরপেক্ষ নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থায় যাবে না, যত দিন না তৃতীয় শক্তি তাদের চাপ দিচ্ছে। যা হোক, আমরা এটুকুই বুঝতে পারছি, সামনে আরও কঠিন সময় আমাদের পার করতে হবে সরকারের স্বেচ্ছাচারিতার জন্য। আর এ রকম করে ক্ষমতায় গেলে বেশি দিন ক্ষমতায় থাকা যায় না—এর বহু উদাহরণ এই বাংলাদেশেই আছে। অতএব, সময় থাকতে এখনই সাবধান হওয়া ভালো।
মো. লিটন: আওয়ামী লীগ যদি এককভাবে নির্বাচন করে, তবে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনটা কখন হবে? একবার শুনেছিলাম ১৫তম সংশোধনীর মাধ্যমে সংসদ বহাল রেখে সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার ৯০ দিন বা তিন মাস আগে নির্বাচন হবে। সে অনুযায়ী নির্বাচন হওয়ার কথা এ বছর অক্টোবরের মধ্যে। ভাই, কেউ কি বলবেন, আসলে নির্বাচনটা কখন, কী করে হবে?
গোলাম মোস্তফা: এ মুহূর্তে সরকারের কর্তব্য বিরোধী দলের সঙ্গে আলোচনায় বসে আগামী নির্বাচনের ব্যাপারে একটি সমঝোতায় আসা। সেই প্রায় সম্ভব কাজটি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী করতে পারলে ইতিহাস তাঁকে মনে রাখবে। না পারলে ভবিষ্যতে হয়তো এই পদ্ধতি বাতিলের দাবিতে তাঁকেই রাজপথে নামতে হবে।
ব্রাজিলে অবৈধ ৮০ বাংলাদেশি উদ্ধার
দালালের খপ্পরে পড়ে সুদূর ব্রাজিলে গিয়ে ধরা পড়েছেন ৮০ জন বাংলাদেশি। গত শুক্রবার বিশ্বের বিভিন্ন গণমাধ্যমে এটা ছিল আলোচনার বিষয়। সংবাদটি অনলাইনে প্রকাশের পর পাঠক হিসেবে মত প্রকাশ করে তৌহিদুল ইসলাম লিখেছেন: আর কত দুঃসংবাদ? বাংলাদেশে ব্যবসা করার জন্য ইউরোপ-আমেরিকা এখন পাগল হয়ে গেছে। আর বাংলাদেশিরা এখনো বেশি লাভের আশায় প্রবাসী হয়ে দেশের দুর্নাম ছড়াচ্ছে। বিদেশে যে পরিশ্রম করেন বাংলাদেশিরা, সেই পরিশ্রম যদি তাঁরা দেশে করেন, তাহলে দেশ ও নিজেরা অনেক বেশি লাভবান হওয়া সম্ভব। সরকারকে আরও সচেতন হতে হবে বিদেশে লোক পাঠানোর ক্ষেত্রে। আর ভালো ছাত্রছাত্রীরা বিদেশে পড়ালেখা করে দেশে ফিরে আসতে চায় না কেন, সেদিকেও দৃষ্টি দিতে হবে।
ফারহান তানভীর: বিদেশে পাঠানোর নামে দালালদের প্রতারণার কারণেই সারা বিশ্বে বাংলাদেশিরা কাজের সুযোগ হারাচ্ছেন, বিদেশে অমর্যাদাকর পরিস্থিতির শিকার হচ্ছেন। ওই দালালদের শায়েস্তা করা কি র্যাব বা পুলিশের জন্য খুব কঠিন?
ইতালির ছবিতে বাংলাদেশের নায়ক
প্রথম আলোর ‘আমিই বাংলাদেশ’ কলামে এবার উঠে এসেছেন ইতালির টিভি ও মঞ্চের পরিচিত মুখ পায়েল ঠাকুর। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এই সন্তানের অভিনয়ের খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছে। এ সম্পর্কে উজ্জ্বল শামিম আহসান মন্তব্য করেছেন: যে দেশে এ ধরনের সোনার মানুষের জন্ম, যে দেশের মানুষ সর্বদাই বহির্বিশ্বে দেশের মুখ উজ্জ্বল করে, সে দেশে যখন ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব দেখি, তখন বড় ব্যথিত হই।
শওকত আলী: অভিনন্দন সংগ্রামী পায়েলকে। বিশ্বাসে মেলায় বস্তু তর্কে বহুদূর। নিজের ওপর বিশ্বাস নিয়ে এগিয়ে যাওয়াই জীবনের সবচেয়ে সত্য এবং বড় চ্যালেঞ্জ। তোমার অর্জন বাংলাদেশের আজ নতুন পরিচয়। এই দেশের মানুষ শুধু শ্রমিক পরিচয়ে প্রবাসে থাকে, এটা আর কেউ বলতে পারবে না। নতুন প্রজন্মের বাঙালি সন্তানেরা বিশ্ব জয় করবে। আমাদের জয়যাত্রার মিছিল শুরু হয়ে গেছে।
সময় চলে যাচ্ছে, দ্রুত সংলাপ চায় জাতিসংঘ
দেশের চলমান রাজনৈতিক সংকট নিয়ে গত মঙ্গলবার প্রথম আলোয় প্রতিবেদন প্রকাশের পর পাঠক ইশতিয়াক লিখেছেন: খালেদা জিয়ার বলা উচিত, অমুক দিন আমার বাসায় সংলাপের দাওয়াত, যদি আপনার (শেখ হাসিনা) সময় হয়। অথবা শেখ হাসিনার বলা উচিত, অমুক অমুক দিন আমার সময় আছে, আমি আপনার সঙ্গে সংলাপে বসতে চাই। তবে কেউ যেন কোনো লেজ নিয়ে না যান। জনগণের পক্ষ থেকে একটাই অনুরোধ, সংলাপে দিকনির্দেশনা আসতে হবে। দেশের শান্তির জন্য জাতিসংঘ থেকে প্রতিনিধি এসে অনুরোধের পরও যদি আশ্বাস না পান, তাহলে এর পরিণতি পরবর্তীকালে ভয়াবহ হতে পারে। আমাদের সবার জন্য ইজ্জতের প্রশ্ন।
জামশেদ পাটোয়ারি: বাংলাদেশের মানুষ বলতে যদি সাধারণ মানুষকে বুঝিয়ে থাকেন, তাহলে বলব, সাধারণ মানুষের ভোট দেওয়া ছাড়া আর কোনো কাজ নেই। আর সাধারণ মানুষ বলতে যদি সুশীল শ্রেণীকে বুঝিয়ে থাকেন, তাহলে বলব, তারা দুই ভাগে বিভক্ত এবং তারা নিজেদের চিন্তাকেই শ্রেষ্ঠ হিসেবে মনে করে। বিরোধী পক্ষের মতামতের কোনো দাম নেই তাদের কাছে।
(পাঠকের মন্তব্য বিস্তারিত পড়তে ও আপনার মতামত জানাতে ভিজিট করুন prothom-alo.com)
সরকারের চাপ ও সাংগঠনিক দুর্বলতায় দিশেহারা বিএনপি
বিএনপির সামগ্রিক অবস্থা নিয়ে প্রথম আলোর এই সংবাদ বিশ্লেষণ প্রকাশিত হয় গত শনিবার। এ সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে মোহাম্মদ কাশেম লিখেছেন: বিএনপি সাংগঠনিকভাবে শক্ত নয়। জামায়াতের ওপর যুদ্ধাপরাধের কলঙ্ক, অন্যথায় সাংগঠনিকভাবে অনেক শক্ত এই দলটি। চাঁদে সাঈদীর ছবি দেখা, হেফাজতে ইসলামকে মাঠে দাঁড় করানো এবং আরও অনেক মিথ্যাকে সত্য বলে প্রমাণ করার চেষ্টায় জামায়াত অনেকটা সফল। এককভাবে হরতালে জামায়াতের শক্তির পরিচয় মেলে। কিন্তু যেভাবে চলছে, তাতে দলটি আর কত দিন টিকবে, তা ভবিষ্যৎই বলবে। নিবন্ধন বাতিল করে জামায়াতকে যদি নিঃশেষ করা যায়, তাহলে বুড়ো ঘুণে ধরা বিএনপির ভার সওয়া হাতের লাঠিটাও আর থাকবে না। তাতে করে সরকারের সামনে শক্ত প্রতিপক্ষ বলে আর কেউ থাকবে না।
মো. নাসিম ওয়াহিদ: রাজনৈতিক দলকে পারিবারিক সম্পত্তি বানালে তো এ রকমই হওয়ার কথা।
এস মোরশেদ: এমন একটা খবরের অপেক্ষায় ছিলাম। প্রথম আলোকে আবার ধন্যবাদ। এবার যদি বিএনপির ঘুম ভাঙে।
ইকরামুল হুদা ইরাম: গত নির্বাচনের পর বিএনপি চার বছর সময় পেয়েছিল দল গোছানোর জন্য, কিন্তু কিছুই করতে পারেনি। সামনের নির্বাচনে জয়লাভ করে আগামী দিনে ক্ষমতায় গেলেও সরকারি দল হিসেবে বিএনপি চরম বিশৃঙ্খলার পরিচয় দেবে বলে আমি আশঙ্কা করি। আর এই সুযোগে সাংগঠনিকভাবে দক্ষ আওয়ামী লীগ ওই সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে পারবে। তাতে আগামী বছরগুলোতে আরও সংঘর্ষ ও হানাহানি হবে।
উল্টো পথে আওয়ামী লীগ
প্রধান বিরোধী দলের সঙ্গে সংলাপ নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতাদের নানা ধরনের কথার বিশ্লেষণ করেছেন সোহরাব হাসান। তাঁর এ অভিমত সম্পর্কে হেলাল লিখেছেন: আমরা পাঠকেরা প্রায়ই এই তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা নিয়ে অনেক কথা বলি, কিন্তু কিছু কি লাভ বা উপকার হচ্ছে? যাঁরা সরকারে আছেন, তাঁরা যদি সত্যিকারভাবে এগিয়ে না আসেন, তাহলে কীভাবে সমস্যার সমাধান হবে? এখন আমরা স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি, সরকার সহজে নিরপেক্ষ নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থায় যাবে না, যত দিন না তৃতীয় শক্তি তাদের চাপ দিচ্ছে। যা হোক, আমরা এটুকুই বুঝতে পারছি, সামনে আরও কঠিন সময় আমাদের পার করতে হবে সরকারের স্বেচ্ছাচারিতার জন্য। আর এ রকম করে ক্ষমতায় গেলে বেশি দিন ক্ষমতায় থাকা যায় না—এর বহু উদাহরণ এই বাংলাদেশেই আছে। অতএব, সময় থাকতে এখনই সাবধান হওয়া ভালো।
মো. লিটন: আওয়ামী লীগ যদি এককভাবে নির্বাচন করে, তবে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনটা কখন হবে? একবার শুনেছিলাম ১৫তম সংশোধনীর মাধ্যমে সংসদ বহাল রেখে সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার ৯০ দিন বা তিন মাস আগে নির্বাচন হবে। সে অনুযায়ী নির্বাচন হওয়ার কথা এ বছর অক্টোবরের মধ্যে। ভাই, কেউ কি বলবেন, আসলে নির্বাচনটা কখন, কী করে হবে?
গোলাম মোস্তফা: এ মুহূর্তে সরকারের কর্তব্য বিরোধী দলের সঙ্গে আলোচনায় বসে আগামী নির্বাচনের ব্যাপারে একটি সমঝোতায় আসা। সেই প্রায় সম্ভব কাজটি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী করতে পারলে ইতিহাস তাঁকে মনে রাখবে। না পারলে ভবিষ্যতে হয়তো এই পদ্ধতি বাতিলের দাবিতে তাঁকেই রাজপথে নামতে হবে।
ব্রাজিলে অবৈধ ৮০ বাংলাদেশি উদ্ধার
দালালের খপ্পরে পড়ে সুদূর ব্রাজিলে গিয়ে ধরা পড়েছেন ৮০ জন বাংলাদেশি। গত শুক্রবার বিশ্বের বিভিন্ন গণমাধ্যমে এটা ছিল আলোচনার বিষয়। সংবাদটি অনলাইনে প্রকাশের পর পাঠক হিসেবে মত প্রকাশ করে তৌহিদুল ইসলাম লিখেছেন: আর কত দুঃসংবাদ? বাংলাদেশে ব্যবসা করার জন্য ইউরোপ-আমেরিকা এখন পাগল হয়ে গেছে। আর বাংলাদেশিরা এখনো বেশি লাভের আশায় প্রবাসী হয়ে দেশের দুর্নাম ছড়াচ্ছে। বিদেশে যে পরিশ্রম করেন বাংলাদেশিরা, সেই পরিশ্রম যদি তাঁরা দেশে করেন, তাহলে দেশ ও নিজেরা অনেক বেশি লাভবান হওয়া সম্ভব। সরকারকে আরও সচেতন হতে হবে বিদেশে লোক পাঠানোর ক্ষেত্রে। আর ভালো ছাত্রছাত্রীরা বিদেশে পড়ালেখা করে দেশে ফিরে আসতে চায় না কেন, সেদিকেও দৃষ্টি দিতে হবে।
ফারহান তানভীর: বিদেশে পাঠানোর নামে দালালদের প্রতারণার কারণেই সারা বিশ্বে বাংলাদেশিরা কাজের সুযোগ হারাচ্ছেন, বিদেশে অমর্যাদাকর পরিস্থিতির শিকার হচ্ছেন। ওই দালালদের শায়েস্তা করা কি র্যাব বা পুলিশের জন্য খুব কঠিন?
ইতালির ছবিতে বাংলাদেশের নায়ক
প্রথম আলোর ‘আমিই বাংলাদেশ’ কলামে এবার উঠে এসেছেন ইতালির টিভি ও মঞ্চের পরিচিত মুখ পায়েল ঠাকুর। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এই সন্তানের অভিনয়ের খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছে। এ সম্পর্কে উজ্জ্বল শামিম আহসান মন্তব্য করেছেন: যে দেশে এ ধরনের সোনার মানুষের জন্ম, যে দেশের মানুষ সর্বদাই বহির্বিশ্বে দেশের মুখ উজ্জ্বল করে, সে দেশে যখন ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব দেখি, তখন বড় ব্যথিত হই।
শওকত আলী: অভিনন্দন সংগ্রামী পায়েলকে। বিশ্বাসে মেলায় বস্তু তর্কে বহুদূর। নিজের ওপর বিশ্বাস নিয়ে এগিয়ে যাওয়াই জীবনের সবচেয়ে সত্য এবং বড় চ্যালেঞ্জ। তোমার অর্জন বাংলাদেশের আজ নতুন পরিচয়। এই দেশের মানুষ শুধু শ্রমিক পরিচয়ে প্রবাসে থাকে, এটা আর কেউ বলতে পারবে না। নতুন প্রজন্মের বাঙালি সন্তানেরা বিশ্ব জয় করবে। আমাদের জয়যাত্রার মিছিল শুরু হয়ে গেছে।
সময় চলে যাচ্ছে, দ্রুত সংলাপ চায় জাতিসংঘ
দেশের চলমান রাজনৈতিক সংকট নিয়ে গত মঙ্গলবার প্রথম আলোয় প্রতিবেদন প্রকাশের পর পাঠক ইশতিয়াক লিখেছেন: খালেদা জিয়ার বলা উচিত, অমুক দিন আমার বাসায় সংলাপের দাওয়াত, যদি আপনার (শেখ হাসিনা) সময় হয়। অথবা শেখ হাসিনার বলা উচিত, অমুক অমুক দিন আমার সময় আছে, আমি আপনার সঙ্গে সংলাপে বসতে চাই। তবে কেউ যেন কোনো লেজ নিয়ে না যান। জনগণের পক্ষ থেকে একটাই অনুরোধ, সংলাপে দিকনির্দেশনা আসতে হবে। দেশের শান্তির জন্য জাতিসংঘ থেকে প্রতিনিধি এসে অনুরোধের পরও যদি আশ্বাস না পান, তাহলে এর পরিণতি পরবর্তীকালে ভয়াবহ হতে পারে। আমাদের সবার জন্য ইজ্জতের প্রশ্ন।
জামশেদ পাটোয়ারি: বাংলাদেশের মানুষ বলতে যদি সাধারণ মানুষকে বুঝিয়ে থাকেন, তাহলে বলব, সাধারণ মানুষের ভোট দেওয়া ছাড়া আর কোনো কাজ নেই। আর সাধারণ মানুষ বলতে যদি সুশীল শ্রেণীকে বুঝিয়ে থাকেন, তাহলে বলব, তারা দুই ভাগে বিভক্ত এবং তারা নিজেদের চিন্তাকেই শ্রেষ্ঠ হিসেবে মনে করে। বিরোধী পক্ষের মতামতের কোনো দাম নেই তাদের কাছে।
(পাঠকের মন্তব্য বিস্তারিত পড়তে ও আপনার মতামত জানাতে ভিজিট করুন prothom-alo.com)
No comments