প্রযুক্তিনির্ভর আদালত-ব্যবস্থাপনা সময়ের দাবি -প্রধান বিচারপতিকে অভিনন্দন
নবনিযুক্ত প্রধান বিচারপতি মো. তাফাজ্জাল ইসলাম গত রোববার তাঁকে দেওয়া সংবর্ধনার জবাবে সুপ্রিম কোর্টের মামলা-ব্যবস্থাপনা ও অনিয়ম রোধে কিছু সংস্কারধর্মী কাজ করার জন্য সংকল্প ব্যক্ত করেছেন। আমরা জানতে পেরেছি, এ লক্ষ্যে তিনি এরই মধ্যে একটি বড় ধরনের সম্মেলন অনুষ্ঠানেরও উদ্যোগ নিয়েছেন। আইনমন্ত্রীর সঙ্গে এ নিয়ে তাঁর কথাও হয়েছে। আমরা তাঁর এ কর্মপ্রচেষ্টাকে স্বাগত জানাই।
বার ও বেঞ্চ হলো এক ইগলের দুই ডানা। উভয়ের কর্মদক্ষতা ও নিষ্ঠার ধারাবাহিক অনুশীলন সুষ্ঠু বিচার ও বিচার-ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে পারে। অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমও একই অনুষ্ঠানে যৌক্তিক বক্তব্য দিয়েছেন। আইনানুগ পন্থায় কর্মসম্পাদনই যে আইনজীবীদের মুখ্য কাজ, যেকোনো পন্থায় মক্কেল জেতানো তাঁর কাজ নয়, এই উচ্চারণ বহুকাল পরে একটি উপযুক্ত ফোরামে ধ্বনিত হলো। বেঞ্চ কর্মকর্তাদের দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ার জন্যও তিনি যথার্থই বিচারকদের অদক্ষতা বা উদাসীনতাকে দায়ী করেন। এ ধরনের বিষয় নিয়ে খোলামেলা আলোচনা এবং প্রধান বিচারপতির তরফে সে বিষয়ে প্রতিকারে সচেষ্ট হওয়ার যে দৃঢ়সংকল্প, তা একটি উল্লেখযোগ্য প্রাথমিক অগ্রগতি। অতীতে অনেক প্রধান বিচারপতি বেঞ্চ কর্মকর্তাদের দুর্নীতির বিষয়টি স্বীকার করতেই অনাগ্রহী ছিলেন। প্রধান বিচারপতি বলেছেন, ‘আদালতের বাইরে জনগণ আমাদের পর্যবেক্ষণ করেন। জনগণের প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হলে বিচারপতিরা সমালোচনার বাইরে থাকবেন না।’
প্রধান বিচারপতি তাঁর ৪৭ দিনের মেয়াদে যেসব বিষয় অগ্রাধিকার দেবেন, তার মধ্যে প্রযুক্তিনির্ভর একটি কেন্দ্রীয় মামলা দায়ের-ব্যবস্থার সূচনা ঘটানো অন্যতম। সব ধরনের মামলা একটি স্থানে দায়ের হবে এবং এরপর সব বিভাগ তা সমানভাবে জানতে পারবেন। মামলার সংখ্যা বহুগুণ বেড়ে যাওয়ায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা কখনো কখনো মামলার হদিস পেতেই গলদঘর্ম হচ্ছেন। একই আইনের প্রশ্নে দায়ের করা শত শত মামলা বছরের পর বছর পড়ে থাকছে। অথচ সেই আইনের মীমাংসা আপিল বিভাগ হয়তো আগেই করে রেখেছেন। এ ধরনের জটিলতা নিরসনে প্রধান বিচারপতি আধুনিক বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আদালত-ব্যবস্থাপনায় প্রযুক্তিনির্ভরতার ওপর জোর দিয়েছেন।
প্রধান বিচারপতির কাছে অনুরোধ, তিনি যেন সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের সম্মেলন ডেকে নিম্ন আদালতের ব্যবস্থাপনা বিষয়ে একটি খোলামেলা সংলাপের আয়োজন করেন। বিচার বিভাগের আংশিক পৃথক্করণের পর বিচারকদের নিয়ন্ত্রণ ও শৃঙ্খলাসহ এমনকি তাঁদের বিচারের গুণগত মান নিশ্চিত করার দায় সুপ্রিম কোর্টের ওপর আরও উত্তমরূপে বর্তেছে। তা ছাড়া বিচার বিভাগের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের আলাপ-আলোচনা করাটাই স্বাভাবিক।
বিশ্বব্যাংকের প্রকল্পের আওতায় এর আগে পাঁচটি জেলায় কেন্দ্রীয় ফাইলিং ব্যবস্থা চালু করে সুফল মিলেছে। কিন্তু বর্তমানে তা বন্ধ। সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার কুমিল্লায় ১০০ মামলার ওপর ওই ব্যবস্থার ইতিবাচক প্রভাব প্রত্যক্ষ করেন। সমন জারির জন্য ৭৬ দিনের পরিবর্তে গড়ে ৪৬ দিন এবং জবাব দাখিলের জন্য ৬৫ দিনের পরিবর্তে প্রায় ৩৬ দিন লাগে। আমরা বিশ্বাস করি, সুপ্রিম কোর্টসহ সারা দেশে কেন্দ্রীয় ফাইলিং ব্যবস্থা চালু করা গেলে তা হবে একটি বিরাট সংস্কার। মামলা তালিকার (কজ লিস্ট) ডিজিটাল ডিসপ্লে বোর্ডের মতো কিছু বিষয়ের আশু প্রবর্তন শুধু প্রধান বিচারপতির সদিচ্ছার ওপর নির্ভরশীল। আমরা প্রধান বিচারপতিকে অভিনন্দন জানাই এবং তাঁর সামনের কার্যদিবসগুলোর সাফল্য কামনা করি।
বার ও বেঞ্চ হলো এক ইগলের দুই ডানা। উভয়ের কর্মদক্ষতা ও নিষ্ঠার ধারাবাহিক অনুশীলন সুষ্ঠু বিচার ও বিচার-ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে পারে। অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমও একই অনুষ্ঠানে যৌক্তিক বক্তব্য দিয়েছেন। আইনানুগ পন্থায় কর্মসম্পাদনই যে আইনজীবীদের মুখ্য কাজ, যেকোনো পন্থায় মক্কেল জেতানো তাঁর কাজ নয়, এই উচ্চারণ বহুকাল পরে একটি উপযুক্ত ফোরামে ধ্বনিত হলো। বেঞ্চ কর্মকর্তাদের দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ার জন্যও তিনি যথার্থই বিচারকদের অদক্ষতা বা উদাসীনতাকে দায়ী করেন। এ ধরনের বিষয় নিয়ে খোলামেলা আলোচনা এবং প্রধান বিচারপতির তরফে সে বিষয়ে প্রতিকারে সচেষ্ট হওয়ার যে দৃঢ়সংকল্প, তা একটি উল্লেখযোগ্য প্রাথমিক অগ্রগতি। অতীতে অনেক প্রধান বিচারপতি বেঞ্চ কর্মকর্তাদের দুর্নীতির বিষয়টি স্বীকার করতেই অনাগ্রহী ছিলেন। প্রধান বিচারপতি বলেছেন, ‘আদালতের বাইরে জনগণ আমাদের পর্যবেক্ষণ করেন। জনগণের প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হলে বিচারপতিরা সমালোচনার বাইরে থাকবেন না।’
প্রধান বিচারপতি তাঁর ৪৭ দিনের মেয়াদে যেসব বিষয় অগ্রাধিকার দেবেন, তার মধ্যে প্রযুক্তিনির্ভর একটি কেন্দ্রীয় মামলা দায়ের-ব্যবস্থার সূচনা ঘটানো অন্যতম। সব ধরনের মামলা একটি স্থানে দায়ের হবে এবং এরপর সব বিভাগ তা সমানভাবে জানতে পারবেন। মামলার সংখ্যা বহুগুণ বেড়ে যাওয়ায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা কখনো কখনো মামলার হদিস পেতেই গলদঘর্ম হচ্ছেন। একই আইনের প্রশ্নে দায়ের করা শত শত মামলা বছরের পর বছর পড়ে থাকছে। অথচ সেই আইনের মীমাংসা আপিল বিভাগ হয়তো আগেই করে রেখেছেন। এ ধরনের জটিলতা নিরসনে প্রধান বিচারপতি আধুনিক বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আদালত-ব্যবস্থাপনায় প্রযুক্তিনির্ভরতার ওপর জোর দিয়েছেন।
প্রধান বিচারপতির কাছে অনুরোধ, তিনি যেন সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের সম্মেলন ডেকে নিম্ন আদালতের ব্যবস্থাপনা বিষয়ে একটি খোলামেলা সংলাপের আয়োজন করেন। বিচার বিভাগের আংশিক পৃথক্করণের পর বিচারকদের নিয়ন্ত্রণ ও শৃঙ্খলাসহ এমনকি তাঁদের বিচারের গুণগত মান নিশ্চিত করার দায় সুপ্রিম কোর্টের ওপর আরও উত্তমরূপে বর্তেছে। তা ছাড়া বিচার বিভাগের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের আলাপ-আলোচনা করাটাই স্বাভাবিক।
বিশ্বব্যাংকের প্রকল্পের আওতায় এর আগে পাঁচটি জেলায় কেন্দ্রীয় ফাইলিং ব্যবস্থা চালু করে সুফল মিলেছে। কিন্তু বর্তমানে তা বন্ধ। সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার কুমিল্লায় ১০০ মামলার ওপর ওই ব্যবস্থার ইতিবাচক প্রভাব প্রত্যক্ষ করেন। সমন জারির জন্য ৭৬ দিনের পরিবর্তে গড়ে ৪৬ দিন এবং জবাব দাখিলের জন্য ৬৫ দিনের পরিবর্তে প্রায় ৩৬ দিন লাগে। আমরা বিশ্বাস করি, সুপ্রিম কোর্টসহ সারা দেশে কেন্দ্রীয় ফাইলিং ব্যবস্থা চালু করা গেলে তা হবে একটি বিরাট সংস্কার। মামলা তালিকার (কজ লিস্ট) ডিজিটাল ডিসপ্লে বোর্ডের মতো কিছু বিষয়ের আশু প্রবর্তন শুধু প্রধান বিচারপতির সদিচ্ছার ওপর নির্ভরশীল। আমরা প্রধান বিচারপতিকে অভিনন্দন জানাই এবং তাঁর সামনের কার্যদিবসগুলোর সাফল্য কামনা করি।
No comments