আকাশ ছুঁয়েছে ‘বুর্জ খলিফা’
মধ্যপ্রাচ্যে শান-শওকতের নগর নামে সবার কাছে পরিচিত দুবাইয়ের আর্থিক মন্দা নিয়ে নানা কথা শোনা যাচ্ছিল। সারা বিশ্বে চলমান মন্দা থেকে দুবাইও রেহাই পায়নি। তবে গত সোমবার ১৫০ কোটি ডলার ব্যয়ে নির্মিত এই ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সব গণমাধ্যমে দুবাইকে অন্য এক নামে চিনিয়ে দিল। বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু ভবনটি এখন দুবাই নগরে। এ ভবনটিতেই এখন বিশ্বের সবচেয়ে উঁচুতে অবস্থিত মসজিদ, সুইমিংপুল, বাসস্থান—আরও কত কী যে রেকর্ড করার মতো বিষয় রয়েছে, তার ইয়ত্তা নেই। বিশ্বের সবচেয়ে বিলাসবহুল পাঁচতারা হোটেল বুর্জ আল দুবাইয়ের পর ‘বুর্জ খলিফা’ আরেক শ্রেষ্ঠ স্থাপত্য নিদর্শন হিসেবে আবির্ভূত হলো। এই একুশ শতকে সবচেয়ে উঁচু ভবনটি দেখতে এখন দুবাইতেই যেতে হবে।
রকেটের মতো দেখতে এ ভবনটি দুই হাজার ৭১৭ ফুট উঁচু। ৬০ মাইল দূর থেকেও ভবনটি দেখা যায়। দুবাইয়ের শাসক শেখ মোহাম্মেদ বিন রশিদ আল মাকতুম জমকালো অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে উদ্বোধন করেছেন বুর্জ খলিফা।
সেরা ও সবচেয়ে উঁচু ভবনের উদ্বোধন হলেও দুবাইয়ের আবাসন ব্যবসায় মন্দা চলছে এখনো। গৃহনির্মাণ প্রতিষ্ঠানগুলো এখনো ফ্ল্যাট বা বাড়ির ক্রেতা খুঁজে পাচ্ছে না। তারা দামও ৫০ শতাংশ কমিয়েছে। তার পরও ক্রেতা নেই। ব্যবসার এই নাজুক অবস্থাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে জোরেশোরে এখন নিজের অস্তিত্ব জানান দিচ্ছে বুর্জ খলিফা। ভবনের ৭৬ তলায় রয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে উঁচুতে অবস্থিত সুইমিংপুল ও ১৫৮ তলায় সবচেয়ে উঁচুতে অবস্থিত মসজিদ। নির্মাণের সময় নাম ছিল বুর্জ দুবাই। তবে আবুধাবির শাসক শেখ খলিফা বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের সম্মানে ভবনের নাম বুর্জ দুবাইয়ের পরিবর্তে বুর্জ খলিফা রাখা হয়েছে। ভবন উদ্বোধনের সময় সাধারণ জনগণের মধ্যে বিপুল উত্সাহ-উদ্দীপনা দেখা দেয়। আতশবাজি ও লেজার রশ্মি দিয়ে ভবনের উদ্বোধনের দিন সাজ সাজ রব পড়ে যায়।
১৬৯ তলাবিশিষ্ট ‘বুর্জ খলিফা’র আগে তাইওয়ানের তাইপে ১০১ ছিল বিশ্বের সর্বোচ্চ ভবন। ছয় লাখ বর্গফুটবিশিষ্ট এই ভবনে একসঙ্গে ১২ হাজারেরও বেশি লোকের সমাবেশ হতে পারে। বুর্জ ভবনে ৫৪টি এলিভেটর বা লিফট আছে। এগুলোর গতি ঘণ্টায় ৪০ মাইল। ভবনটির নির্মাতাপ্রতিষ্ঠান ইমার প্রপার্টিস জানায়, এরই মধ্যে ভবনের ৯০ শতাংশ ফ্ল্যাট ও অ্যাপার্টমেন্ট বিক্রি হয়ে গেছে। দুবাইয়ে এখন শত শত ফ্ল্যাট ও অ্যাপার্টমেন্ট বিক্রির অপেক্ষায় থাকলেও ক্রেতারা এই ভবনের দিকে সহজেই আকৃষ্ট হচ্ছে।
তবে শুধু আনন্দ আর বিস্ময় নয়, বুর্জ ভবনকে ঘিরে নানা প্রশ্নও তৈরি হয়েছে দুবাইবাসীর মনে। অনেকে এত উঁচু ভবনের প্রযোজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। ভবনটির নির্মাণকাজ চলার সময় তিনজনেরও বেশি বিদেশি শ্রমিক প্রাণ হারিয়েছেন। সারা বিশ্বে যখন বেশির ভাগ ভবন ও স্থাপনা সন্ত্রাসীদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে, তখন বুর্জ ভবনও যেকোনো সময় হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে অনেকে। তবে সরকারের জোরালো সমর্থন ও ঐতিহ্যের কারণে দুবাইয়ের এই ভবনটি খ্যাতির শীর্ষে পৌঁছাতে পারবে বলে মনে করছে অনেকে।
ভবনটিকে ঘিরে বিভিন্ন চিন্তাভাবনা ও প্রশ্ন থাকলেও একে অনন্য ও সাফল্যের প্রতীক বলেই মনে করছেন ভবনের নকশা প্রণয়নকারীরা।
নিউইয়র্ক টাইমস অবলম্বনে
শুভা জিনিয়া চৌধুরী
রকেটের মতো দেখতে এ ভবনটি দুই হাজার ৭১৭ ফুট উঁচু। ৬০ মাইল দূর থেকেও ভবনটি দেখা যায়। দুবাইয়ের শাসক শেখ মোহাম্মেদ বিন রশিদ আল মাকতুম জমকালো অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে উদ্বোধন করেছেন বুর্জ খলিফা।
সেরা ও সবচেয়ে উঁচু ভবনের উদ্বোধন হলেও দুবাইয়ের আবাসন ব্যবসায় মন্দা চলছে এখনো। গৃহনির্মাণ প্রতিষ্ঠানগুলো এখনো ফ্ল্যাট বা বাড়ির ক্রেতা খুঁজে পাচ্ছে না। তারা দামও ৫০ শতাংশ কমিয়েছে। তার পরও ক্রেতা নেই। ব্যবসার এই নাজুক অবস্থাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে জোরেশোরে এখন নিজের অস্তিত্ব জানান দিচ্ছে বুর্জ খলিফা। ভবনের ৭৬ তলায় রয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে উঁচুতে অবস্থিত সুইমিংপুল ও ১৫৮ তলায় সবচেয়ে উঁচুতে অবস্থিত মসজিদ। নির্মাণের সময় নাম ছিল বুর্জ দুবাই। তবে আবুধাবির শাসক শেখ খলিফা বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের সম্মানে ভবনের নাম বুর্জ দুবাইয়ের পরিবর্তে বুর্জ খলিফা রাখা হয়েছে। ভবন উদ্বোধনের সময় সাধারণ জনগণের মধ্যে বিপুল উত্সাহ-উদ্দীপনা দেখা দেয়। আতশবাজি ও লেজার রশ্মি দিয়ে ভবনের উদ্বোধনের দিন সাজ সাজ রব পড়ে যায়।
১৬৯ তলাবিশিষ্ট ‘বুর্জ খলিফা’র আগে তাইওয়ানের তাইপে ১০১ ছিল বিশ্বের সর্বোচ্চ ভবন। ছয় লাখ বর্গফুটবিশিষ্ট এই ভবনে একসঙ্গে ১২ হাজারেরও বেশি লোকের সমাবেশ হতে পারে। বুর্জ ভবনে ৫৪টি এলিভেটর বা লিফট আছে। এগুলোর গতি ঘণ্টায় ৪০ মাইল। ভবনটির নির্মাতাপ্রতিষ্ঠান ইমার প্রপার্টিস জানায়, এরই মধ্যে ভবনের ৯০ শতাংশ ফ্ল্যাট ও অ্যাপার্টমেন্ট বিক্রি হয়ে গেছে। দুবাইয়ে এখন শত শত ফ্ল্যাট ও অ্যাপার্টমেন্ট বিক্রির অপেক্ষায় থাকলেও ক্রেতারা এই ভবনের দিকে সহজেই আকৃষ্ট হচ্ছে।
তবে শুধু আনন্দ আর বিস্ময় নয়, বুর্জ ভবনকে ঘিরে নানা প্রশ্নও তৈরি হয়েছে দুবাইবাসীর মনে। অনেকে এত উঁচু ভবনের প্রযোজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। ভবনটির নির্মাণকাজ চলার সময় তিনজনেরও বেশি বিদেশি শ্রমিক প্রাণ হারিয়েছেন। সারা বিশ্বে যখন বেশির ভাগ ভবন ও স্থাপনা সন্ত্রাসীদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে, তখন বুর্জ ভবনও যেকোনো সময় হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে অনেকে। তবে সরকারের জোরালো সমর্থন ও ঐতিহ্যের কারণে দুবাইয়ের এই ভবনটি খ্যাতির শীর্ষে পৌঁছাতে পারবে বলে মনে করছে অনেকে।
ভবনটিকে ঘিরে বিভিন্ন চিন্তাভাবনা ও প্রশ্ন থাকলেও একে অনন্য ও সাফল্যের প্রতীক বলেই মনে করছেন ভবনের নকশা প্রণয়নকারীরা।
নিউইয়র্ক টাইমস অবলম্বনে
শুভা জিনিয়া চৌধুরী
No comments