গ্রামবাসী নিজেরাই অর্থ দিয়ে রেলস্টেশন নির্মাণ করল
রেললাইনটি গেছে তাদের গ্রামের একেবারে মাঝখান দিয়ে। কয়েক দশক ধরে তারা দেখছে ট্রেনের আসা-যাওয়া। কিন্তু তাদের অসহায়ভাবে চেয়ে থাকা ছাড়া কোনো উপায় ছিল না। কারণ তাদের গ্রামে কোনো রেলস্টেশন ছিল না। কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি করেও কোনো লাভ হয়নি। অবশেষে নিজেদের সমস্যা সমাধানে এগিয়ে এল নিজেরাই। নিজেদের অর্থে নির্মাণ করল রেলস্টেশন। তাদের গ্রামে ট্রেন থামাতে বাধ্য করল কর্তৃপক্ষকে। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের তাজনগর গ্রামে। খবর এএফপির।
ভারতীয় রেল কর্মকর্তারা গতকাল মঙ্গলবার জানান, তাজনগর গ্রামের বাসিন্দারা নিজেদের অর্থে রেলস্টেশন নির্মাণ করে ওই স্টেশনে ট্রেন থামাতে কর্তৃপক্ষকে রাজি করাতে সমর্থ হয়েছে। এতে গ্রামবাসী কাজের জন্য নিকটবর্তী শহরে এবং গ্রামের শিক্ষার্থীরা কলেজে যেতে পারবে।
রেলস্টেশন নির্মাণের জন্য ১৯৮২ সাল থেকে আন্দোলন শুরু করে তাজনগর গ্রামের বাসিন্দারা। কিন্তু তাদের ওই আন্দোলন সফলতার মুখ দেখেনি। কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, তাদের কাছে তহবিল নেই। তাই দুই বছর আগে সমস্যাটি সমাধানের জন্য গ্রামবাসী নিজেরাই এগিয়ে আসে। রেলস্টেশন নির্মাণের জন্য সংগ্রহ করে ৪৫ হাজার ডলারের সমপরিমাণ অর্থ। এরপর নিজেদের চেষ্টায় রেলস্টেশনের নির্মাণকাজ শেষ করে। দুই প্লাটফর্মের ওই রেলস্টেশনে রয়েছে টিকিটঘর। ব্যবস্থা করা হয়েছে বিদ্যুতেরও।
রেল মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা অনন্ত স্বরূপ বলেন, ওই স্টেশনে দিনে সাতটি যাত্রীবাহী ট্রেন থামবে। স্টেশনটি বাণিজ্যিকভাবেও সফল হবে বলে মনে করছে রেল মন্ত্রণালয়। । গতকাল সেখানে প্রথম ট্রেন থামে। স্থানীয় পার্লামেন্ট সদস্যসহ শত শত উত্ফুল্ল জনতা হর্ষধ্বনি দিয়ে ট্রেনটিকে স্বাগত জানায়।
তাজনগর গ্রামের বাসিন্দা রণজিত্ সিং বলেন, গ্রামের অধিকাংশ মানুষই কৃষক। সবাই নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী স্টেশন নির্মাণের জন্য আর্থিক সহায়তা দিয়েছে।
ভারতীয় রেল কর্মকর্তারা গতকাল মঙ্গলবার জানান, তাজনগর গ্রামের বাসিন্দারা নিজেদের অর্থে রেলস্টেশন নির্মাণ করে ওই স্টেশনে ট্রেন থামাতে কর্তৃপক্ষকে রাজি করাতে সমর্থ হয়েছে। এতে গ্রামবাসী কাজের জন্য নিকটবর্তী শহরে এবং গ্রামের শিক্ষার্থীরা কলেজে যেতে পারবে।
রেলস্টেশন নির্মাণের জন্য ১৯৮২ সাল থেকে আন্দোলন শুরু করে তাজনগর গ্রামের বাসিন্দারা। কিন্তু তাদের ওই আন্দোলন সফলতার মুখ দেখেনি। কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, তাদের কাছে তহবিল নেই। তাই দুই বছর আগে সমস্যাটি সমাধানের জন্য গ্রামবাসী নিজেরাই এগিয়ে আসে। রেলস্টেশন নির্মাণের জন্য সংগ্রহ করে ৪৫ হাজার ডলারের সমপরিমাণ অর্থ। এরপর নিজেদের চেষ্টায় রেলস্টেশনের নির্মাণকাজ শেষ করে। দুই প্লাটফর্মের ওই রেলস্টেশনে রয়েছে টিকিটঘর। ব্যবস্থা করা হয়েছে বিদ্যুতেরও।
রেল মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা অনন্ত স্বরূপ বলেন, ওই স্টেশনে দিনে সাতটি যাত্রীবাহী ট্রেন থামবে। স্টেশনটি বাণিজ্যিকভাবেও সফল হবে বলে মনে করছে রেল মন্ত্রণালয়। । গতকাল সেখানে প্রথম ট্রেন থামে। স্থানীয় পার্লামেন্ট সদস্যসহ শত শত উত্ফুল্ল জনতা হর্ষধ্বনি দিয়ে ট্রেনটিকে স্বাগত জানায়।
তাজনগর গ্রামের বাসিন্দা রণজিত্ সিং বলেন, গ্রামের অধিকাংশ মানুষই কৃষক। সবাই নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী স্টেশন নির্মাণের জন্য আর্থিক সহায়তা দিয়েছে।
No comments