হামলাকারী ছিল আল-কায়েদা, জর্ডান ও সিআইএর গুপ্তচর -আফগানিস্তানে সিআইএর ৭ কর্মী হত্যা
আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার (সিআইএ) সদস্যদের ওপর আত্মঘাতী হামলাকারী একই সঙ্গে আল-কায়েদা, সিআইএ ও জর্ডানের গোয়েন্দা সংস্থার পক্ষে কাজ করতেন বলে জানা গেছে। জর্ডানের নাগরিক ওই আত্মঘাতীর নাম হুমাম খলিল আবু-মুলাল আল-বালাবি বলে জানিয়েছে মার্কিন গণমাধ্যম ও বিবিসি।
আফগানিস্তানের খোস্ত প্রদেশে গত বুধবার সিআইএর ঘাঁটিতে আত্মঘাতী বোমা হামলায় সিআইএর চার কর্মকর্তা ও তিন নিরাপত্তারক্ষী এবং জর্ডানের গোয়েন্দা সংস্থার এক কর্মকর্তা নিহত হন।
সাবেক ঊর্ধ্বতন গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এনবিসি নিউজ জানিয়েছে, ৩৬ বছর বয়সী হুমাম আল-বালাবির বাড়ি জর্ডানের জারকা এলাকায়। তিনি পেশায় একজন চিকিত্সক ছিলেন। ইরাকে নিহত আল-কায়েদার নেতা আবু মুসাব আল-জারকাবির বাড়িও ছিল জারকা এলাকায়।
এনবিসি নিউজ আরও জানিয়েছে, আল-কায়েদার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে হুমাম আল-বালাবি এক বছর আগে জর্ডানের গোয়েন্দা সংস্থার হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। এরপর গোয়েন্দারা মনে করেছিলেন, তাঁকে পথে আনা গেছে। এই ভেবে জর্ডানের গোয়েন্দা সংস্থা ও সিআইএ তাঁকে নিয়োগ করেছিল আল-কায়েদার তথ্য সংগ্রহের জন্য।
বিবিসির খবরে বলা হয়, আল-কায়েদার দ্বিতীয় শীর্ষনেতা আইমান আল জাওয়াহিরিকে খুঁজে বের করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল হুমাম আল-বালাবিকে। তিনি পূর্ব আফগানিস্তানের খোস্ত প্রদেশে একটি ঘাঁটিতে কাজ করতেন। গত বুধবারের হামলার কয়েক সপ্তাহ আগ থেকে তিনি সেখানে কাজ করছিলেন।
মার্কিন দৈনিক ওয়াশিংটন পোস্ট সাবেক দুই মার্কিন সরকারি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে জানিয়েছে, গত সপ্তাহে হুমাম আল-বিলাবি তাঁর এক সহযোগীকে সিআইএর কর্মকর্তাদের সঙ্গে একটি বৈঠকের আয়োজন করতে বলেন। সেখানে জাওয়াহিরি সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেওয়া হবে বলে তিনি জানান। আল-কায়েদার শীর্ষনেতাদের সম্পর্কে নতুন তথ্য দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়েই তিনি সিআইএর কর্মকর্তাদের সঙ্গে তাঁদের ফরওয়ার্ড অপারের্টি বেজ চ্যাপম্যানে বৈঠকের ব্যবস্থা করেছিলেন।
প্রশ্ন উঠেছে, নিরাপত্তা তল্লাশি ছাড়াই হুমাম আল-বিলাবির পক্ষে শরীরে বিস্ফোরক বেঁধে কীভাবে সিআইএর ঘাঁটিতে ঢোকা সম্ভব হয়েছিল। তবে কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছে, ওই দিন তাঁকে ঘাঁটির বাইরে থেকে সিআইএর নিজেদের একটি গাড়িতে তুলেই ঘাঁটির ভেতের নিয়ে আসা হয়েছিল। এ জন্যই প্রয়োজনীয় তল্লাশি করা হয়নি। এরপর ঘাঁটির মধ্যে ঢুকে সিআইএর কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যে তিনি বিস্ফোরণ ঘটান। এতে সিআইএর চার কর্মকর্তা ও তিন নিরাপত্তারক্ষী এবং জর্ডানের গোয়েন্দা সংস্থার এক কর্মকর্তা নিহত হন এবং আরও ছয়জন আহত হন। তবে সিআইএ বা জর্ডান কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
আফগানিস্তানের খোস্ত প্রদেশে গত বুধবার সিআইএর ঘাঁটিতে আত্মঘাতী বোমা হামলায় সিআইএর চার কর্মকর্তা ও তিন নিরাপত্তারক্ষী এবং জর্ডানের গোয়েন্দা সংস্থার এক কর্মকর্তা নিহত হন।
সাবেক ঊর্ধ্বতন গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এনবিসি নিউজ জানিয়েছে, ৩৬ বছর বয়সী হুমাম আল-বালাবির বাড়ি জর্ডানের জারকা এলাকায়। তিনি পেশায় একজন চিকিত্সক ছিলেন। ইরাকে নিহত আল-কায়েদার নেতা আবু মুসাব আল-জারকাবির বাড়িও ছিল জারকা এলাকায়।
এনবিসি নিউজ আরও জানিয়েছে, আল-কায়েদার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে হুমাম আল-বালাবি এক বছর আগে জর্ডানের গোয়েন্দা সংস্থার হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। এরপর গোয়েন্দারা মনে করেছিলেন, তাঁকে পথে আনা গেছে। এই ভেবে জর্ডানের গোয়েন্দা সংস্থা ও সিআইএ তাঁকে নিয়োগ করেছিল আল-কায়েদার তথ্য সংগ্রহের জন্য।
বিবিসির খবরে বলা হয়, আল-কায়েদার দ্বিতীয় শীর্ষনেতা আইমান আল জাওয়াহিরিকে খুঁজে বের করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল হুমাম আল-বালাবিকে। তিনি পূর্ব আফগানিস্তানের খোস্ত প্রদেশে একটি ঘাঁটিতে কাজ করতেন। গত বুধবারের হামলার কয়েক সপ্তাহ আগ থেকে তিনি সেখানে কাজ করছিলেন।
মার্কিন দৈনিক ওয়াশিংটন পোস্ট সাবেক দুই মার্কিন সরকারি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে জানিয়েছে, গত সপ্তাহে হুমাম আল-বিলাবি তাঁর এক সহযোগীকে সিআইএর কর্মকর্তাদের সঙ্গে একটি বৈঠকের আয়োজন করতে বলেন। সেখানে জাওয়াহিরি সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেওয়া হবে বলে তিনি জানান। আল-কায়েদার শীর্ষনেতাদের সম্পর্কে নতুন তথ্য দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়েই তিনি সিআইএর কর্মকর্তাদের সঙ্গে তাঁদের ফরওয়ার্ড অপারের্টি বেজ চ্যাপম্যানে বৈঠকের ব্যবস্থা করেছিলেন।
প্রশ্ন উঠেছে, নিরাপত্তা তল্লাশি ছাড়াই হুমাম আল-বিলাবির পক্ষে শরীরে বিস্ফোরক বেঁধে কীভাবে সিআইএর ঘাঁটিতে ঢোকা সম্ভব হয়েছিল। তবে কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছে, ওই দিন তাঁকে ঘাঁটির বাইরে থেকে সিআইএর নিজেদের একটি গাড়িতে তুলেই ঘাঁটির ভেতের নিয়ে আসা হয়েছিল। এ জন্যই প্রয়োজনীয় তল্লাশি করা হয়নি। এরপর ঘাঁটির মধ্যে ঢুকে সিআইএর কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যে তিনি বিস্ফোরণ ঘটান। এতে সিআইএর চার কর্মকর্তা ও তিন নিরাপত্তারক্ষী এবং জর্ডানের গোয়েন্দা সংস্থার এক কর্মকর্তা নিহত হন এবং আরও ছয়জন আহত হন। তবে সিআইএ বা জর্ডান কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
No comments