আদালতে পাঁচ মার্কিন জঙ্গি -আফগানিস্তানে মুসলমানদের সাহায্য করতে চেয়েছিলেন
পাকিস্তানে গ্রেপ্তার হওয়া পাঁচ সন্দেহভাজন মার্কিন জঙ্গি আদালতে বলেছেন, তাঁরা যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানে মুসলমানদের সাহায্য করতে চেয়েছিলেন। গতকাল সোমবার পাকিস্তানের একটি আদালতে তাঁরা এ কথা বলেন।
আল-কায়েদাসংশ্লিষ্ট একটি গোষ্ঠীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টার সন্দেহে গত বছর ডিসেম্বরে ওই পাঁচ মার্কিন নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের বিরুদ্ধে পাকিস্তানে সন্ত্রাসী হামলার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনা হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাঁদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে।
গতকাল সোমবার ওই পাঁচ মার্কিনিকে পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় শহর সারাগোদার একটি আদালতে তোলা হয়। বিচারক আনোয়ার নাজিরের প্রশ্নের জবাবে আল-কায়েদার সঙ্গে কোনো ধরনের যোগাযোগ থাকার কথা অস্বীকার করেন দুই সন্দেহভাজন। তবে তাঁরা বলেন, তাঁরা আফগানিস্তানে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন।
সরকারি কৌঁসুলি নাদিম আকরাম চিমা বলেন, একজন সন্দেহভাজন বলেছেন, মুসলমানদের সহায়তা করার জন্য তাঁরা আফগানিস্তানে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। তিনি আরও বলেন, আদালত যখন জিজ্ঞেস করেন, ‘তাহলে কি আপনি স্বীকার করে নিচ্ছেন যে আপনি আফগানিস্তানে যাচ্ছিলেন?’ তখন অপর এক সন্দেহভাজন বলেন, ‘হ্যাঁ, মুসলমানদের সহায়তা করার জন্য আমরা আফগানিস্তানে যাওয়ার চেষ্টা করছিলাম।’ তবে কোন সন্দেহভাজন এ কথা বলেছেন, সেটা উল্লেখ করেননি নাদিম আকরাম চিমা।
আসামিপক্ষের আইনজীবী আমির আবদুল্লাহ রোকরি বলেন, আল-কায়েদাসংশ্লিষ্ট সাইফুল্লাহ নামের এক ব্যক্তিকে ই-মেইল পাঠানোর কথা অস্বীকার করেছেন তাঁর মক্কেলরা। তিনি আরও বলেন, তাঁরা বিচারককে বলেছেন, তাঁরা পাকিস্তানে কোনো অপরাধ করেননি, কিংবা কোনো ধরনের অপরাধ করার অভিপ্রায়ও তাঁদের ছিল না। আহত ও গৃহহীন মানুষকে সহায়তার জন্য তাঁরা আফগানিস্তানে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন।
চিমা বলেন, সন্দেহভাজন পাঁচ মার্কিনিকে রিমান্ডে নেওয়ার এবং খালিদ ফারুকির বিরুদ্ধে কোনো প্রমাণ না পাওয়ায় তাঁকে মুক্তি দেওয়ার জন্য আদালতের প্রতি আবেদন জানায় পুলিশ। আদালত দুটি আবেদনই গ্রহণ করেন।
রোকরি বলেন, আদালত খালিদ ফারুকিকে মুক্তি ও বাকি অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিচারসংক্রান্ত রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দেন। তিনি জানান, ১৮ জানুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, ওই পাঁচ ব্যক্তির কর্মকাণ্ডের ওপর তদন্ত শেষ হয়েছে। জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা তাহির গুজ্জর বলেন, এখন এটা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে যে ওই পাঁচ ব্যক্তি জঙ্গিদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন এবং তাঁরা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালানোর জন্য পাকিস্তানে এসেছিলেন।
আল-কায়েদাসংশ্লিষ্ট একটি গোষ্ঠীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টার সন্দেহে গত বছর ডিসেম্বরে ওই পাঁচ মার্কিন নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের বিরুদ্ধে পাকিস্তানে সন্ত্রাসী হামলার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনা হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাঁদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে।
গতকাল সোমবার ওই পাঁচ মার্কিনিকে পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় শহর সারাগোদার একটি আদালতে তোলা হয়। বিচারক আনোয়ার নাজিরের প্রশ্নের জবাবে আল-কায়েদার সঙ্গে কোনো ধরনের যোগাযোগ থাকার কথা অস্বীকার করেন দুই সন্দেহভাজন। তবে তাঁরা বলেন, তাঁরা আফগানিস্তানে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন।
সরকারি কৌঁসুলি নাদিম আকরাম চিমা বলেন, একজন সন্দেহভাজন বলেছেন, মুসলমানদের সহায়তা করার জন্য তাঁরা আফগানিস্তানে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। তিনি আরও বলেন, আদালত যখন জিজ্ঞেস করেন, ‘তাহলে কি আপনি স্বীকার করে নিচ্ছেন যে আপনি আফগানিস্তানে যাচ্ছিলেন?’ তখন অপর এক সন্দেহভাজন বলেন, ‘হ্যাঁ, মুসলমানদের সহায়তা করার জন্য আমরা আফগানিস্তানে যাওয়ার চেষ্টা করছিলাম।’ তবে কোন সন্দেহভাজন এ কথা বলেছেন, সেটা উল্লেখ করেননি নাদিম আকরাম চিমা।
আসামিপক্ষের আইনজীবী আমির আবদুল্লাহ রোকরি বলেন, আল-কায়েদাসংশ্লিষ্ট সাইফুল্লাহ নামের এক ব্যক্তিকে ই-মেইল পাঠানোর কথা অস্বীকার করেছেন তাঁর মক্কেলরা। তিনি আরও বলেন, তাঁরা বিচারককে বলেছেন, তাঁরা পাকিস্তানে কোনো অপরাধ করেননি, কিংবা কোনো ধরনের অপরাধ করার অভিপ্রায়ও তাঁদের ছিল না। আহত ও গৃহহীন মানুষকে সহায়তার জন্য তাঁরা আফগানিস্তানে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন।
চিমা বলেন, সন্দেহভাজন পাঁচ মার্কিনিকে রিমান্ডে নেওয়ার এবং খালিদ ফারুকির বিরুদ্ধে কোনো প্রমাণ না পাওয়ায় তাঁকে মুক্তি দেওয়ার জন্য আদালতের প্রতি আবেদন জানায় পুলিশ। আদালত দুটি আবেদনই গ্রহণ করেন।
রোকরি বলেন, আদালত খালিদ ফারুকিকে মুক্তি ও বাকি অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিচারসংক্রান্ত রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দেন। তিনি জানান, ১৮ জানুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, ওই পাঁচ ব্যক্তির কর্মকাণ্ডের ওপর তদন্ত শেষ হয়েছে। জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা তাহির গুজ্জর বলেন, এখন এটা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে যে ওই পাঁচ ব্যক্তি জঙ্গিদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন এবং তাঁরা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালানোর জন্য পাকিস্তানে এসেছিলেন।
No comments