মন্দার মধ্যেও প্রবাসী-আয়প্রবাহ এক হাজার কোটি ডলার ছাড়িয়ে গেছে
বিশ্বমন্দার মধ্যেও ২০০৯ সালে বাংলাদেশের প্রবাসী-আয়প্রবাহ বেশ ভালো ছিল। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সূত্রে প্রাপ্ত পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায় যে গত পঞ্জিকা-বছরে প্রবাসে কর্মরত বাংলাদেশিরা এক হাজার ৭১ কোটি ডলারের সমপরিমাণ অর্থ ব্যাংক-ব্যবস্থার মাধ্যমে দেশে পাঠিয়েছেন।
এর আগের বছর মানে ২০০৮ সালে দেশে প্রবাসী-আয়ের মোট পরিমাণ ছিল প্রায় ৯০০ কোটি ডলার। অর্থাত্ এক বছরের ব্যবধানে প্রবাসী-আয়প্রবাহ বেড়েছে ১৯ শতাংশ।
২০০৯ সালের নভেম্বর মাসে সর্বোচ্চ ১০৫ কোটি ৩৫ লাখ ডলারের সমপরিমাণ অর্থ দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। কোনো একক মাসে এটাই সর্বোচ্চ প্রবাসী-আয়প্রবাহ।
আর একই বছরে সবচেয়ে কম প্রবাসী-আয় এসেছে ফেব্রুয়ারি মাসে, যার পরিমাণ ৭৮ কোটি ৪৪ লাখ ডলার।
প্রবাসী-আয়ের উচ্চপ্রবাহ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভকেও নিরাপদ পর্যায়ে ধরে রাখতে সহায়তা দিয়েছে। ২০০৯ সালের নভেম্বর মাসে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এক হাজার কোটি ডলার ছাড়িয়ে যায়।
উচ্চহারে প্রবাসী-আয়ের কারণেই পণ্য ও সেবা বাণিজ্যে ঘাটতি থাকার পরও দেশের চলতি হিসাবের ভারসাম্যে বড় ধরনের উদ্বৃত্তাবস্থা তৈরি হয়েছে।
তবে উচ্চহারে প্রবাসী-আয়ের প্রবাহ দেশের অর্থনীতিতে কিছু ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থাও তৈরি করেছে, যা খোদ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর স্বীকার করেছেন।
গত বছরের অক্টোবর মাসে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে বিশ্বব্যাংক ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) বার্ষিক সম্মেলনে তিনি বিষয়টি তুলে ধরেন। তিনি সে সময় বলেন, প্রবাসী-আয় বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রাণসঞ্চারিণী হলেও উত্পাদনশীল খাতে এর সীমিত ব্যবহার ঝুঁকি বাড়িয়ে দিচ্ছে।
গভর্নর আরও বলেন যে এর ফলে আর্থিক বাজারে বাড়তি তারল্য তৈরি হয়েছে এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার ওপর চাপ সৃষ্টি হয়েছে। বাড়তি তারল্য থেকে রিয়েল এস্টেটসহ বিভিন্ন খাতে ঝুঁকিপূর্ণ ফাটকা বিনিয়োগের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
আতিউর রহমান বলেন, উচ্চহারে প্রবাসী-আয় দেশের বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় হারের ওপর চাপ তৈরি করেছে এবং স্থানীয় মুদ্রার মানকে ক্রমশ শক্তিশালী করছে, যা আবার আয় গ্রহীতা ও রপ্তানিকারকদের জন্য সহায়ক হচ্ছে না।
বিশ্বমন্দার প্রভাবে বিদেশে কাজ হারিয়ে বিপুলসংখ্যক শ্রমজীবী দেশে ফিরে আসবেন বলে আশঙ্কা করা হয়েছিল। কিন্তু এই আশঙ্কা সেভাবে বাস্তবায়িত হয়নি। কাজ হারিয়ে অনেকে দেশে ফিরে এসেছেন ঠিকই, তবে তা পুরোপুরি মন্দার সঙ্গে সম্পর্কিত নয়।
অতীতের ধারাবাহিকতায় মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ থেকে আইনি জটিলতায় পড়ে অনেকে কাজ হারিয়ে দেশে ফিরেছেন। মালয়েশিয়া থেকে মূলত অভিবাসনসংক্রান্ত জটিলতায় পড়ে কাজ হারাতে হয়েছে অনেক বাংলাদেশিকে।
এ ছাড়া কিছু কিছু ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের কর্মচ্যুতির কারণেও অনেক বাংলাদেশি শ্রমজীবী বিভিন্ন দেশে কাজ হারিয়েছেন।
পাশাপাশি এটাও দেখা গেছে যে নতুন করে কাজের জন্য অনেকেই দেশ ত্যাগ করেছেন। যদিও ২০০৮ সালের তুলনায় ২০০৯ সালে এর পরিমাণ কিছুটা কম ছিল।
জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায় যে ২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই বিদেশে গমনকারীদের সংখ্যা কমতে শুরু করে। জানুয়ারি মাসে ৫০ হাজার ৬৩২ জন বাংলাদেশি বিদেশে গিয়েছে। কিন্তু মে মাসে তা নেমে আসে ৩৫ হাজার ৮৫০ জনে। আর সেপ্টেম্বরে এই সংখ্যা আরও কমে দাঁড়ায় ৩০ হাজার ৮১২।
তবে অক্টোবর মাসে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। এই মাসে ৪৩ হাজার ৩৩৪ জন বাংলাদেশি কাজের জন্য বিদেশে গিয়েছেন।
অবশ্য ২০০৮ সালের অক্টোবর মাসে দেশে ৭৪ হাজার ২৯ জন শ্রমজীবী বাংলাদেশ থেকে বিদেশে গিয়েছিলেন।
এর আগের বছর মানে ২০০৮ সালে দেশে প্রবাসী-আয়ের মোট পরিমাণ ছিল প্রায় ৯০০ কোটি ডলার। অর্থাত্ এক বছরের ব্যবধানে প্রবাসী-আয়প্রবাহ বেড়েছে ১৯ শতাংশ।
২০০৯ সালের নভেম্বর মাসে সর্বোচ্চ ১০৫ কোটি ৩৫ লাখ ডলারের সমপরিমাণ অর্থ দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। কোনো একক মাসে এটাই সর্বোচ্চ প্রবাসী-আয়প্রবাহ।
আর একই বছরে সবচেয়ে কম প্রবাসী-আয় এসেছে ফেব্রুয়ারি মাসে, যার পরিমাণ ৭৮ কোটি ৪৪ লাখ ডলার।
প্রবাসী-আয়ের উচ্চপ্রবাহ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভকেও নিরাপদ পর্যায়ে ধরে রাখতে সহায়তা দিয়েছে। ২০০৯ সালের নভেম্বর মাসে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এক হাজার কোটি ডলার ছাড়িয়ে যায়।
উচ্চহারে প্রবাসী-আয়ের কারণেই পণ্য ও সেবা বাণিজ্যে ঘাটতি থাকার পরও দেশের চলতি হিসাবের ভারসাম্যে বড় ধরনের উদ্বৃত্তাবস্থা তৈরি হয়েছে।
তবে উচ্চহারে প্রবাসী-আয়ের প্রবাহ দেশের অর্থনীতিতে কিছু ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থাও তৈরি করেছে, যা খোদ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর স্বীকার করেছেন।
গত বছরের অক্টোবর মাসে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে বিশ্বব্যাংক ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) বার্ষিক সম্মেলনে তিনি বিষয়টি তুলে ধরেন। তিনি সে সময় বলেন, প্রবাসী-আয় বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রাণসঞ্চারিণী হলেও উত্পাদনশীল খাতে এর সীমিত ব্যবহার ঝুঁকি বাড়িয়ে দিচ্ছে।
গভর্নর আরও বলেন যে এর ফলে আর্থিক বাজারে বাড়তি তারল্য তৈরি হয়েছে এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার ওপর চাপ সৃষ্টি হয়েছে। বাড়তি তারল্য থেকে রিয়েল এস্টেটসহ বিভিন্ন খাতে ঝুঁকিপূর্ণ ফাটকা বিনিয়োগের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
আতিউর রহমান বলেন, উচ্চহারে প্রবাসী-আয় দেশের বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় হারের ওপর চাপ তৈরি করেছে এবং স্থানীয় মুদ্রার মানকে ক্রমশ শক্তিশালী করছে, যা আবার আয় গ্রহীতা ও রপ্তানিকারকদের জন্য সহায়ক হচ্ছে না।
বিশ্বমন্দার প্রভাবে বিদেশে কাজ হারিয়ে বিপুলসংখ্যক শ্রমজীবী দেশে ফিরে আসবেন বলে আশঙ্কা করা হয়েছিল। কিন্তু এই আশঙ্কা সেভাবে বাস্তবায়িত হয়নি। কাজ হারিয়ে অনেকে দেশে ফিরে এসেছেন ঠিকই, তবে তা পুরোপুরি মন্দার সঙ্গে সম্পর্কিত নয়।
অতীতের ধারাবাহিকতায় মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ থেকে আইনি জটিলতায় পড়ে অনেকে কাজ হারিয়ে দেশে ফিরেছেন। মালয়েশিয়া থেকে মূলত অভিবাসনসংক্রান্ত জটিলতায় পড়ে কাজ হারাতে হয়েছে অনেক বাংলাদেশিকে।
এ ছাড়া কিছু কিছু ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের কর্মচ্যুতির কারণেও অনেক বাংলাদেশি শ্রমজীবী বিভিন্ন দেশে কাজ হারিয়েছেন।
পাশাপাশি এটাও দেখা গেছে যে নতুন করে কাজের জন্য অনেকেই দেশ ত্যাগ করেছেন। যদিও ২০০৮ সালের তুলনায় ২০০৯ সালে এর পরিমাণ কিছুটা কম ছিল।
জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায় যে ২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই বিদেশে গমনকারীদের সংখ্যা কমতে শুরু করে। জানুয়ারি মাসে ৫০ হাজার ৬৩২ জন বাংলাদেশি বিদেশে গিয়েছে। কিন্তু মে মাসে তা নেমে আসে ৩৫ হাজার ৮৫০ জনে। আর সেপ্টেম্বরে এই সংখ্যা আরও কমে দাঁড়ায় ৩০ হাজার ৮১২।
তবে অক্টোবর মাসে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। এই মাসে ৪৩ হাজার ৩৩৪ জন বাংলাদেশি কাজের জন্য বিদেশে গিয়েছেন।
অবশ্য ২০০৮ সালের অক্টোবর মাসে দেশে ৭৪ হাজার ২৯ জন শ্রমজীবী বাংলাদেশ থেকে বিদেশে গিয়েছিলেন।
No comments