সেচসুবিধা -আরইবির ব্যর্থতার দায় কৃষকের ওপর চাপানো যাবে না
কৃষি উপকরণের দাম বেড়ে যাওয়ায় কৃষকের উত্পাদন-খরচ এমনিতেই বেশি। তদুপরি, যদি তাদের গাঁটের পয়সা দিয়ে ট্রান্সফরমার ও তার কিনতে হয়, তাহলে উত্পাদন-খরচ যে আরও বেড়ে যাবে, তাতে সন্দেহ নেই। একটি ট্রান্সফরমারের দাম ৩০ থেকে ৬০ হাজার টাকা। সব কৃষকের পক্ষে এত টাকা দিয়ে ট্রান্সফরমার কেনা সম্ভব নয়।
সোমবার প্রথম আলোর প্রতিবেদনে বলা হয়, পল্লী বিদ্যুত্ সমিতিগুলোর ভান্ডারে প্রয়োজনীয় ট্রান্সফরমার না থাকায় আরইবির (পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড) নতুন নীতিমালায় কৃষকদের নিজস্ব অর্থায়নে ট্রান্সফরমার ও ১০০ মিটারের বেশি দূরত্বের তারও কিনতে হবে বলে জানানো Wহয়েছে।
আরইবি ট্রান্সফরমারের জন্য অর্থ দাবি করলেও পশ্চিমাঞ্চল বিদ্যুত্ বিতরণ কোম্পানি (ওজোপাডিকো) ট্রান্সফরমারের জন্য গ্রাহকদের কাছ থেকে কোনো অর্থ নিচ্ছে না। কৃষকদের জন্য কৃষি উপকরণ বিতরণে এ বৈষম্যমূলক নীতি কাম্য নয়। আরইবি প্রতিষ্ঠার অন্যতম লক্ষ্য গ্রামীণ অবকাঠামোর উন্নয়ন। কৃষকদের উন্নতি ছাড়া যে গ্রামীণ অবকাঠামোর উন্নয়ন অসম্ভব, সে কথাটি আরইবির কর্তাব্যক্তিদের বুঝতে হবে।
প্রশ্ন হলো, আরইবি হঠাত্ ট্রান্সফরমারের সংকটে পড়ল কেন? অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে কয়েক বছর ধরে আরইবির উন্নয়ন প্রকল্প বন্ধ ছিল। এ জন্য নিশ্চয়ই কৃষকেরা দায়ী নন। জোট সরকারের আমলে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে নাকি উন্নয়নকাজ বন্ধ রাখা হয়েছিল। যাঁরা এসব দুর্নীতি করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে কৃষকদের ওপর দায় চাপানোর চেষ্টা চালাচ্ছে আরইবি। বর্তমান সরকার কৃষি উত্পাদন বাড়াতে সার ও সেচে ব্যাপক ভর্তুকি দিচ্ছে। যথাসময়ে অন্যান্য কৃষি উপকরণও পৌঁছানো হচ্ছে, যার সুফল ইতিমধ্যে কৃষকেরা পেতে শুরু করেছেন। কিন্তু ট্রান্সফরমারের অভাবে কৃষক যদি সেচসুবিধা থেকেই বঞ্চিত হন, তাহলে উত্পাদনের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে না। আরইবির ট্রান্সফরমার সংকটের অন্যতম কারণ, চুরি। পেশাদার চোরদের সঙ্গে আরইবির অসাধু কর্মচারীদের যোগসাজশের অভিযোগও অসত্য নয়।
এই চুরি বন্ধ করতে পারলে ট্রান্সফরমারের সমস্যা অনেকটাই কেটে যেত। আরইবির চুরি, দুর্নীতি ও অনিয়মের বোঝা কৃষকের ঘাড়ে চাপানো যাবে না। বোরো মৌসুমের শুরুতেই কৃষক যাতে সেচসুবিধা পান, সে জন্য প্রয়োজনীয় ট্রান্সফরমার ও তার সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে আরইবিকে।
সোমবার প্রথম আলোর প্রতিবেদনে বলা হয়, পল্লী বিদ্যুত্ সমিতিগুলোর ভান্ডারে প্রয়োজনীয় ট্রান্সফরমার না থাকায় আরইবির (পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড) নতুন নীতিমালায় কৃষকদের নিজস্ব অর্থায়নে ট্রান্সফরমার ও ১০০ মিটারের বেশি দূরত্বের তারও কিনতে হবে বলে জানানো Wহয়েছে।
আরইবি ট্রান্সফরমারের জন্য অর্থ দাবি করলেও পশ্চিমাঞ্চল বিদ্যুত্ বিতরণ কোম্পানি (ওজোপাডিকো) ট্রান্সফরমারের জন্য গ্রাহকদের কাছ থেকে কোনো অর্থ নিচ্ছে না। কৃষকদের জন্য কৃষি উপকরণ বিতরণে এ বৈষম্যমূলক নীতি কাম্য নয়। আরইবি প্রতিষ্ঠার অন্যতম লক্ষ্য গ্রামীণ অবকাঠামোর উন্নয়ন। কৃষকদের উন্নতি ছাড়া যে গ্রামীণ অবকাঠামোর উন্নয়ন অসম্ভব, সে কথাটি আরইবির কর্তাব্যক্তিদের বুঝতে হবে।
প্রশ্ন হলো, আরইবি হঠাত্ ট্রান্সফরমারের সংকটে পড়ল কেন? অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে কয়েক বছর ধরে আরইবির উন্নয়ন প্রকল্প বন্ধ ছিল। এ জন্য নিশ্চয়ই কৃষকেরা দায়ী নন। জোট সরকারের আমলে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে নাকি উন্নয়নকাজ বন্ধ রাখা হয়েছিল। যাঁরা এসব দুর্নীতি করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে কৃষকদের ওপর দায় চাপানোর চেষ্টা চালাচ্ছে আরইবি। বর্তমান সরকার কৃষি উত্পাদন বাড়াতে সার ও সেচে ব্যাপক ভর্তুকি দিচ্ছে। যথাসময়ে অন্যান্য কৃষি উপকরণও পৌঁছানো হচ্ছে, যার সুফল ইতিমধ্যে কৃষকেরা পেতে শুরু করেছেন। কিন্তু ট্রান্সফরমারের অভাবে কৃষক যদি সেচসুবিধা থেকেই বঞ্চিত হন, তাহলে উত্পাদনের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে না। আরইবির ট্রান্সফরমার সংকটের অন্যতম কারণ, চুরি। পেশাদার চোরদের সঙ্গে আরইবির অসাধু কর্মচারীদের যোগসাজশের অভিযোগও অসত্য নয়।
এই চুরি বন্ধ করতে পারলে ট্রান্সফরমারের সমস্যা অনেকটাই কেটে যেত। আরইবির চুরি, দুর্নীতি ও অনিয়মের বোঝা কৃষকের ঘাড়ে চাপানো যাবে না। বোরো মৌসুমের শুরুতেই কৃষক যাতে সেচসুবিধা পান, সে জন্য প্রয়োজনীয় ট্রান্সফরমার ও তার সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে আরইবিকে।
No comments