এমপিওভুক্ত হলো ২৭৩০ প্রতিষ্ঠান
দীর্ঘ
অপেক্ষার সমাপ্তি। ৯ বছর পর ২ হাজার ৭শ’ ৩০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত
হলো। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল গণভবনে এই তালিকা প্রকাশ করেন।
এরমধ্যে রয়েছে ৪৩৯টি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ৯৯৫টি মাধ্যামিক বিদ্যালয়,
৯৩টি কলেজ, ৫৬টি ডিগ্রি কলেজ, ৫৫৭টি মাদ্রাসা এবং ৫২২টি কারিগরি শিক্ষা
ইনস্টিটিউশন।
নিম্ন মাধ্যমিকে (৬ষ্ঠ-৮ম) আবেদন জমা পড়ে ১ হাজার ৯৬৭টি, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ২ হাজার ৭৩৯টি, উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় (একাদশ- দ্বাদশ) ৩৩৬, কলেজ ৫৪৪টি, ডিগ্রি কলেজ ৫৫৫টি আবেদন জমা পড়ে। অর্থ্যাৎ মোট আবেদন জমা পড়ে ৬ হাজার ১৪১টি। এর মধ্যে মাদ্রাসায় দাখিল স্তরে ৩৫৮টি, আলিম ১২৮টি, ফাযিল ৪২টি, কামিল ২৯টি, মোট ৫৫৭টি প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হয়। একই সঙ্গে কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৫২২টির মধ্যে কৃষি ৬২টি, ভোকেশনাল স্বতন্ত্র ৪৮টি, ভোকেশনাল সংযুক্ত ১২৯টি, বিএম স্বতন্ত্র ১৭৫টি, বিএম সংযুক্ত ১০৮টি প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হয়।
এই এমপিও গতকাল ঘোষণা করা হলেও এই কার্যকর হবে চলতি বছরের গত জুলাই থেকে। গতকাল এমপিও ঘোষণার সময় প্রধানমন্ত্রী হুশিয়ারি দিয়ে বলেন, আপনারা নীতিমালা অনুযায়ী সকল নির্দেশনা পূর্ণ করতে পেরেছেন বলে এমপিও ভুক্ত হয়েছে। কাজেই এটা ধরে রাখতে হবে। কেউ যদি এটা ধরে রাখতে ব্যর্থ হয়, সঙ্গে সঙ্গে তার এমপিও ভুক্তি বাতিল হবে। কারণ এমপিও ভুক্তি হয়ে গেছে- বেতনতো পাবই, ক্লাশ করানোর দরকার কি, পড়ানোর দরকার কি, এ চিন্তা করলে কিন্তু চলবে না। প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, আমাদের কথা হচ্ছে, আমাদের নীতিমালার যে নির্দেশনাগুলো রয়েছে, যারা সেই নির্দেশনাগুলো পুরণ করতে পারবেন এবং সেই স্কুলগুলো আসলে প্রয়োজন আছে সেটা বিবেচনা করেই এমপিওভুক্ত করবো। কাজেই, এমপিও ভুক্তি চান তাদের এই নির্দেশনা মানতে হবে। এমপিও ভুক্তির বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয়ের প্রতি ধন্যবাদ এবং এমপিও ভুক্ত নতুন প্রতিষ্ঠানগুলোকে অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, এটা দীর্ঘদিনের একটা চাহিদা ছিল। আমরা এই নিয়ে অনেক দিন থেকেই কাজ করছি।
সবাই মিলে কাজ করে একটা তালিকাভুক্ত করে আজ এমপিওভুক্তির ঘোষণা দিতে পারলাম। প্রচণ্ড একটা দাবি ছিলো এমপিওভুক্তকরণের। আর এজন্য শিক্ষকরা আন্দোলনও করেছেন। তখন আমরা বলেছি আমরা সবই করবো। কিন্তু একটা নীতিমালার ভিত্তিতে করবো। শিক্ষাকে আমরা যথেষ্ট গুরুত্ব দেই বলেই একে একটি নীতিমালার ভিত্তিতে করতে চেয়েছে সরকার। যাতে মান সম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়। তবে, এই নীতিমালা ঠিক করে একে যাচাই বাছাই করে তালিকাটা করতে একটু সময় লেগে যায়। সরকার হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয় করছে, দেশের বাজেট বৃদ্ধি করে শিক্ষা খাতে সর্বাধিক ব্যয় বরাদ্দ রেখেছে, যাতে করে শিক্ষাকে আধুনিক এবং বিজ্ঞান সম্মত করে যুগের চাহিদা মোতাবেক প্রযুক্তি নির্ভর করে তোলা যায়। শিক্ষামন্ত্রণালয়ের এই আয়োজনে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, শিক্ষা মন্ত্রী ডা. দীপু মনি, শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ও শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যবৃন্দ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন, মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. সোহরাব হোসাইন। এদিকে, এমপিওভুক্তির দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষকরা মঙ্গলবার রাতে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিতীয় দফায় বৈঠকের পর তাদের চলমান কর্মসূচি স্থগিত করে বাড়ি ফিরে গেছেন।
নিম্ন মাধ্যমিকে (৬ষ্ঠ-৮ম) আবেদন জমা পড়ে ১ হাজার ৯৬৭টি, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ২ হাজার ৭৩৯টি, উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় (একাদশ- দ্বাদশ) ৩৩৬, কলেজ ৫৪৪টি, ডিগ্রি কলেজ ৫৫৫টি আবেদন জমা পড়ে। অর্থ্যাৎ মোট আবেদন জমা পড়ে ৬ হাজার ১৪১টি। এর মধ্যে মাদ্রাসায় দাখিল স্তরে ৩৫৮টি, আলিম ১২৮টি, ফাযিল ৪২টি, কামিল ২৯টি, মোট ৫৫৭টি প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হয়। একই সঙ্গে কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৫২২টির মধ্যে কৃষি ৬২টি, ভোকেশনাল স্বতন্ত্র ৪৮টি, ভোকেশনাল সংযুক্ত ১২৯টি, বিএম স্বতন্ত্র ১৭৫টি, বিএম সংযুক্ত ১০৮টি প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হয়।
এই এমপিও গতকাল ঘোষণা করা হলেও এই কার্যকর হবে চলতি বছরের গত জুলাই থেকে। গতকাল এমপিও ঘোষণার সময় প্রধানমন্ত্রী হুশিয়ারি দিয়ে বলেন, আপনারা নীতিমালা অনুযায়ী সকল নির্দেশনা পূর্ণ করতে পেরেছেন বলে এমপিও ভুক্ত হয়েছে। কাজেই এটা ধরে রাখতে হবে। কেউ যদি এটা ধরে রাখতে ব্যর্থ হয়, সঙ্গে সঙ্গে তার এমপিও ভুক্তি বাতিল হবে। কারণ এমপিও ভুক্তি হয়ে গেছে- বেতনতো পাবই, ক্লাশ করানোর দরকার কি, পড়ানোর দরকার কি, এ চিন্তা করলে কিন্তু চলবে না। প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, আমাদের কথা হচ্ছে, আমাদের নীতিমালার যে নির্দেশনাগুলো রয়েছে, যারা সেই নির্দেশনাগুলো পুরণ করতে পারবেন এবং সেই স্কুলগুলো আসলে প্রয়োজন আছে সেটা বিবেচনা করেই এমপিওভুক্ত করবো। কাজেই, এমপিও ভুক্তি চান তাদের এই নির্দেশনা মানতে হবে। এমপিও ভুক্তির বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয়ের প্রতি ধন্যবাদ এবং এমপিও ভুক্ত নতুন প্রতিষ্ঠানগুলোকে অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, এটা দীর্ঘদিনের একটা চাহিদা ছিল। আমরা এই নিয়ে অনেক দিন থেকেই কাজ করছি।
সবাই মিলে কাজ করে একটা তালিকাভুক্ত করে আজ এমপিওভুক্তির ঘোষণা দিতে পারলাম। প্রচণ্ড একটা দাবি ছিলো এমপিওভুক্তকরণের। আর এজন্য শিক্ষকরা আন্দোলনও করেছেন। তখন আমরা বলেছি আমরা সবই করবো। কিন্তু একটা নীতিমালার ভিত্তিতে করবো। শিক্ষাকে আমরা যথেষ্ট গুরুত্ব দেই বলেই একে একটি নীতিমালার ভিত্তিতে করতে চেয়েছে সরকার। যাতে মান সম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়। তবে, এই নীতিমালা ঠিক করে একে যাচাই বাছাই করে তালিকাটা করতে একটু সময় লেগে যায়। সরকার হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয় করছে, দেশের বাজেট বৃদ্ধি করে শিক্ষা খাতে সর্বাধিক ব্যয় বরাদ্দ রেখেছে, যাতে করে শিক্ষাকে আধুনিক এবং বিজ্ঞান সম্মত করে যুগের চাহিদা মোতাবেক প্রযুক্তি নির্ভর করে তোলা যায়। শিক্ষামন্ত্রণালয়ের এই আয়োজনে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, শিক্ষা মন্ত্রী ডা. দীপু মনি, শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ও শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যবৃন্দ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন, মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. সোহরাব হোসাইন। এদিকে, এমপিওভুক্তির দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষকরা মঙ্গলবার রাতে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিতীয় দফায় বৈঠকের পর তাদের চলমান কর্মসূচি স্থগিত করে বাড়ি ফিরে গেছেন।
No comments