কোন দিকে যাচ্ছে সংগীতশিল্প? by ফয়সাল রাব্বিকীন
দেশে
গত কয়েক বছর ধরেই ডিজিটালি গান প্রকাশ চলছে। তবে এ ধারায় গান প্রকাশের পর
থেকে স্থিতিশীল দেখা যায়নি সংগীতের অবস্থা। ডিজিটালি গান প্রকাশের পর
অনেকেই আশা করেছিলেন সুদিন ফিরবে সংগীতশিল্পের। কিন্তু সেই আশা কেবল হতাশায়
রূপ নিয়েছে দিন দিন। চলতি সময়ে এসে উল্লেখযোগ্য হারে গানের সংখ্যা কমেছে।
সিনিয়র শিল্পীদের উপস্থিতি কমেছে আরো বেশি। অডিও কোম্পানিগুলো অ্যালবাম তো
দূরে থাক, সিঙ্গেল প্রকাশেরই সাহস পাচ্ছে না। তাদের হিসেবে মোবাইল কনটেন্ট
থেকে আয়ের পরিমাণ নেমে এসেছে শূন্যের কোঠায়।
অন্যদিকে ইউটিউব থেকে আয় দিয়ে নতুন গানের বিনিয়োগ সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছে বেশির ভাগ প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান। এ সময়ে জনপ্রিয় ও শীর্ষ সংগীত তারকাদের গান প্রকাশের সংখ্যাও কমে এসেছে। একটি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান একটি উৎসবে কোনো শিল্পীর গান প্রকাশ করলে পরবর্তী দুই কিংবা তিন উৎসবে সেই শিল্পীর গান প্রকাশ থেকে বিরত থাকছে। এদিকে ইউটিউবে কোনো সেন্সর না থাকায় অনেকেই কুরুচিকর কথার গান ও অশ্লীল ভিডিও প্রকাশ করছেন দেদারছে। সব মিলিয়ে কোন দিকে যাচ্ছে সংগীতশিল্প? এমন প্রশ্ন শিল্পী ও সংগীত সংশ্লিষ্টদের মনে উঁকি দিলেও এর কোনো উত্তর নেই। কারণ কোনো নিয়মের মধ্যে নেই ইন্ডাস্ট্রি। যে যার মতো করে চলছে। যেভাবে খুশী সেভাবে গান প্রকাশ করছে। এর ওপর নতুন কিছু ইউটিউব চ্যানেলও মিউজিক কোম্পানি নাম দিয়ে প্রকাশ করছে গান। সেসব গানের মান আরো ভয়াবহ। এসব নিয়ে অনেক কথা, সভা ও আলোচনা হলেও কোনা সুরাহা হয়নি এখন পর্যন্ত। কিন্তু অনিয়মের মধ্যে এভাবে চলতে থাকলে একটা সময় ভয়ঙ্কর অবস্থা ধারণ করবে ইন্ডাস্ট্রি। এ বিষয়ে গুণী সংগীতশিল্পী সামিনা চৌধুরী বলেন, সমস্যা আসলে অনেক। বিভিন্ন দিকে সমস্যা। এখন সবাই যেন শিল্পী হওয়ার চেষ্টা করছেন। কিন্তু এটা কি এত সহজ ব্যাপার। আবার কোম্পানিগুলোও সব সময়ের মতো বলছে ব্যবসা নেই। তাছাড়া ই্উটিউবে যেভাবে গান ও ভিডিও প্রকাশ হচ্ছে কোনো ধরনের নিয়ম নীতির বালাই নেই। ইউটিউবে গান প্রকাশেও একটা নিয়ম কিংবা সেন্সর তৈরি করা উচিত। না হলে এমনটা হতেই থাকবে। আর যেসব সমস্যা আছে সেগুলো তো কেউ একা সমাধান করতে পারবে না। সবাই মিলে আলোচনায় বসলে তবেই তো সমাধানের পথ খুঁজে পাওয়া যাবে। সেই উদ্যোগইতো নেই। এসব সমস্যা সমাধানে একতার কোনো বিকল্প নেই। এদিকে এ বিষয়ে এমআইবি সভাপতি ও লেজারভিশনের চেয়ারম্যান একেএম আরিফুর রহমান বলেন, সত্যি বলতে ইন্ডাস্ট্রির অবস্থা এখন ভালো নেই। ডিজিটালি গান প্রকাশের পর থেকে অবস্থা স্থিতিশীল হচ্ছে না। এই ভালো, এই খারাপ। এখন অবস্থা এমনই। এখন আমাদের অফিস চালানোই কষ্টকর হয়ে গেছে। তাই নতুন গানে বিনিয়োগও সেভাবে করা হচ্ছে না, যেভাবে করা উচিত। এটা প্রায় সব কোম্পানির ক্ষেত্রে কম বেশি হচ্ছে। কারণ মোবাইল কন্টেন্ট থেকে যে আয় আসতো সে আয় গত বছরের শেষ দিক থেকে একেবারে কমে গেছে। তাছাড়া অ্যাপস থেকে আয়ও তেমন বেশি নয়। ইউটিউবের ওপর নির্ভর করে আসলে কোম্পানি চালানো কষ্টকর। এ কারণেই গানের সংখ্যা কমছে। তাছাড়া এই সুযোগে কিছু চ্যানেলে প্রকাশ করা হচ্ছে মানহীন গান। এর ফলে শ্রোতারা আরো বেশি দ্বিধায় পড়ছেন। তারপরও এমআইবি’র পক্ষ থেকে আমরা দফায় দফায় বৈঠক করে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি এ অবস্থা থেকে উত্তরণের। বছরের দশম মাস চলছে। আমরা আশা করবো নতুন বছরে অবস্থার পরিবর্তন হবে।
অন্যদিকে ইউটিউব থেকে আয় দিয়ে নতুন গানের বিনিয়োগ সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছে বেশির ভাগ প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান। এ সময়ে জনপ্রিয় ও শীর্ষ সংগীত তারকাদের গান প্রকাশের সংখ্যাও কমে এসেছে। একটি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান একটি উৎসবে কোনো শিল্পীর গান প্রকাশ করলে পরবর্তী দুই কিংবা তিন উৎসবে সেই শিল্পীর গান প্রকাশ থেকে বিরত থাকছে। এদিকে ইউটিউবে কোনো সেন্সর না থাকায় অনেকেই কুরুচিকর কথার গান ও অশ্লীল ভিডিও প্রকাশ করছেন দেদারছে। সব মিলিয়ে কোন দিকে যাচ্ছে সংগীতশিল্প? এমন প্রশ্ন শিল্পী ও সংগীত সংশ্লিষ্টদের মনে উঁকি দিলেও এর কোনো উত্তর নেই। কারণ কোনো নিয়মের মধ্যে নেই ইন্ডাস্ট্রি। যে যার মতো করে চলছে। যেভাবে খুশী সেভাবে গান প্রকাশ করছে। এর ওপর নতুন কিছু ইউটিউব চ্যানেলও মিউজিক কোম্পানি নাম দিয়ে প্রকাশ করছে গান। সেসব গানের মান আরো ভয়াবহ। এসব নিয়ে অনেক কথা, সভা ও আলোচনা হলেও কোনা সুরাহা হয়নি এখন পর্যন্ত। কিন্তু অনিয়মের মধ্যে এভাবে চলতে থাকলে একটা সময় ভয়ঙ্কর অবস্থা ধারণ করবে ইন্ডাস্ট্রি। এ বিষয়ে গুণী সংগীতশিল্পী সামিনা চৌধুরী বলেন, সমস্যা আসলে অনেক। বিভিন্ন দিকে সমস্যা। এখন সবাই যেন শিল্পী হওয়ার চেষ্টা করছেন। কিন্তু এটা কি এত সহজ ব্যাপার। আবার কোম্পানিগুলোও সব সময়ের মতো বলছে ব্যবসা নেই। তাছাড়া ই্উটিউবে যেভাবে গান ও ভিডিও প্রকাশ হচ্ছে কোনো ধরনের নিয়ম নীতির বালাই নেই। ইউটিউবে গান প্রকাশেও একটা নিয়ম কিংবা সেন্সর তৈরি করা উচিত। না হলে এমনটা হতেই থাকবে। আর যেসব সমস্যা আছে সেগুলো তো কেউ একা সমাধান করতে পারবে না। সবাই মিলে আলোচনায় বসলে তবেই তো সমাধানের পথ খুঁজে পাওয়া যাবে। সেই উদ্যোগইতো নেই। এসব সমস্যা সমাধানে একতার কোনো বিকল্প নেই। এদিকে এ বিষয়ে এমআইবি সভাপতি ও লেজারভিশনের চেয়ারম্যান একেএম আরিফুর রহমান বলেন, সত্যি বলতে ইন্ডাস্ট্রির অবস্থা এখন ভালো নেই। ডিজিটালি গান প্রকাশের পর থেকে অবস্থা স্থিতিশীল হচ্ছে না। এই ভালো, এই খারাপ। এখন অবস্থা এমনই। এখন আমাদের অফিস চালানোই কষ্টকর হয়ে গেছে। তাই নতুন গানে বিনিয়োগও সেভাবে করা হচ্ছে না, যেভাবে করা উচিত। এটা প্রায় সব কোম্পানির ক্ষেত্রে কম বেশি হচ্ছে। কারণ মোবাইল কন্টেন্ট থেকে যে আয় আসতো সে আয় গত বছরের শেষ দিক থেকে একেবারে কমে গেছে। তাছাড়া অ্যাপস থেকে আয়ও তেমন বেশি নয়। ইউটিউবের ওপর নির্ভর করে আসলে কোম্পানি চালানো কষ্টকর। এ কারণেই গানের সংখ্যা কমছে। তাছাড়া এই সুযোগে কিছু চ্যানেলে প্রকাশ করা হচ্ছে মানহীন গান। এর ফলে শ্রোতারা আরো বেশি দ্বিধায় পড়ছেন। তারপরও এমআইবি’র পক্ষ থেকে আমরা দফায় দফায় বৈঠক করে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি এ অবস্থা থেকে উত্তরণের। বছরের দশম মাস চলছে। আমরা আশা করবো নতুন বছরে অবস্থার পরিবর্তন হবে।
No comments