সংগীতশিল্পে অশনি সংকেত by ফয়সাল রাব্বিকীন
সিডি
মাধ্যমের বিলুপ্তি, ওয়েলকাম টিউন ও ইউটিউব থেকে আয় কমে যাওয়া, সিনিয়র
শিল্পীদের অনুপস্থিতি, মানহীন গানের আধিপত্যসহ বিভিন্ন কারণে বর্তমানে
দেশের সংগীতশিল্পের অবস্থা ভালো যাচ্ছে না। বিশেষ করে মোবাইল কনটেন্ট থেকে
আয় অনেকাংশে কমে এসেছে বলে জানিয়েছে দেশের শীর্ষ প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানগুলো।
আর শুধুমাত্র ইউটিউবের ওপর নির্ভর করে কোম্পানি পরিচালনাও সম্ভব হচ্ছে না,
এমনটাই জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্তাব্যাক্তিরা। এদিকে সাম্প্রতিক সময়ে
মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দেখা দিয়েছে নতুন করে দেশীয় বাজারে হিন্দি গানের
স্থান করে নেয়ার বিষয়টি। এটাকে বাংলা গানের জন্য অশনি সংকেত হিসেবেই
চিহ্নিত করছেন সংগীতসংশ্লিষ্টরা। চলতি বছরের মাঝামাঝিতে বর্ণাঢ্য আয়োজনের
মাধ্যমে মুঠোফোন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান রবি তাদের গ্রাহকদের জন্য যুক্ত করেছে
ভারতীয় জনপ্রিয় স্ট্রিমিং অ্যাপ ‘জিফাইভ’। যার মাধ্যমে গ্রাহকরা ছাড়াও
ওয়াইফাই দিয়ে নেট চালানো শ্রোাতারা এই অ্যাপটির মাধ্যমে অবাধে উপভোগ করতে
পারবেন হিন্দি গানসহ বিদেশের বিভিন্ন নাটক, সিনেমা ও ওয়েব সিরিজ। অথচ
হিন্দি গানের আধিপত্য ঠেকিয়ে সংগীত এবং নিজেদের প্রতিষ্ঠান বাঁচানোর তাগিদে
অডিও প্রযোজকদের সংগঠন এমআইবি’র নেতারা ২০১৫ সালে দ্বারস্থ হয়েছিলেন উচ্চ
আদালতের।
যার ফলাফল হিসেবে সে বছরের ৯ই জুলাই উচ্চ আদালত থেকে একটি ঐতিহাসিক স্থগিতাদেশ দেয়া হয়। ঐদিন বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বাংলাদেশে মোবাইল ফোনের রিংটোন ও ওয়েলকাম টিউনে হিন্দি গানের ব্যবহার নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন। এই পরিস্থিতিতে এমআইবি’র পক্ষ থেকে গত ১৭ই সেপ্টেম্বর মুঠোফোন প্রতিষ্ঠান রবি আজিয়াটা লিমিটেড বরাবর একটি উকিল নোটিশ পাঠানো হয়। জানতে চাওয়া হয়, কেন উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশ অমান্য করে প্রতিষ্ঠানটি ফের হিন্দি গান বিপণন করছেন। এ ঘটনার বেশ ক’দিন অতিবাহিত হয়েছে। কিন্তু কোনো ধরনের উত্তর পাননি এমআইবি নেতারা। উত্তর না পাওয়া ও পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে এমআইবি’র সভাপতি ও লেজারভিশনের চেয়ারম্যান একেএম আরিফুর রহমান মানবজমিনকে বলেন, আমরা নোটিশ পাঠানোর অনেক দিন অতিবাহিত হয়েছে। কিন্তু কোনো ধরনের উত্তর পাইনি। আমরা অপেক্ষা করছি। উত্তর না মিললে পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে আপনাদের? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আসলে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা ছাড়া তো আর কিছু করার নেই আমাদের। কারণ আমাদের চেষ্টায় হিন্দি গানের আগ্রাসন থেকে বাংলা গানকে বাঁচাতে ২০১৫ সালে ঐতিহাসিক রায় এসেছিল। যার ফলে বাংলা গানের জন্য একটি সুন্দর পথ তৈরি হয়। এতদিন আমরা ভালোভাবেই ইন্ডাস্ট্রিকে এগিয়ে নিচ্ছিলাম। কিন্তু হঠাৎ করে জিফাইভের আগমনে আমরা হতবাক হয়েছি। কারণ আদালদের রায়কে অমান্য করে তারা হিন্দি গান বিপণন করছে এদেশে। খুব শিগগিরই আমরা আইনি পদক্ষেপ নেবো। এদিকে বিষয়টি নিয়ে এমআইবির সাধারণ সম্পাদক ও সিএমভির কর্ণধার শেখ সাহেদ আলী পাপ্পু বলেন, আমাদের অবস্থা কিন্তু এমনিতেই খারাপ। কারণ বিভিন্ন দিক থেকে আয় আগেই কমেছে। এখন হিন্দি গানের আগ্রাসনটা যদি আবার শুরু হয় তাহলেতো আমরা মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবো না। কারণ দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। এখন যদি কয়েকদিনের মধ্যে উকিল নোটিশের উত্তর আমরা না পাই তবে সংবাদ সম্মেলন করবো। এরপর আমরা আইনি লড়াইয়ে যাবো। এ নিয়ে চলতি প্রজন্মের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ইমরান বলেন, কোনোভাবেই বাংলা গানের বাজারকে নষ্ট করা যাবে না। এ নিয়ে এমআইবি যে উদ্যোগ গ্রহণ করছে আমরা তার সঙ্গে আছি।
যার ফলাফল হিসেবে সে বছরের ৯ই জুলাই উচ্চ আদালত থেকে একটি ঐতিহাসিক স্থগিতাদেশ দেয়া হয়। ঐদিন বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বাংলাদেশে মোবাইল ফোনের রিংটোন ও ওয়েলকাম টিউনে হিন্দি গানের ব্যবহার নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন। এই পরিস্থিতিতে এমআইবি’র পক্ষ থেকে গত ১৭ই সেপ্টেম্বর মুঠোফোন প্রতিষ্ঠান রবি আজিয়াটা লিমিটেড বরাবর একটি উকিল নোটিশ পাঠানো হয়। জানতে চাওয়া হয়, কেন উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশ অমান্য করে প্রতিষ্ঠানটি ফের হিন্দি গান বিপণন করছেন। এ ঘটনার বেশ ক’দিন অতিবাহিত হয়েছে। কিন্তু কোনো ধরনের উত্তর পাননি এমআইবি নেতারা। উত্তর না পাওয়া ও পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে এমআইবি’র সভাপতি ও লেজারভিশনের চেয়ারম্যান একেএম আরিফুর রহমান মানবজমিনকে বলেন, আমরা নোটিশ পাঠানোর অনেক দিন অতিবাহিত হয়েছে। কিন্তু কোনো ধরনের উত্তর পাইনি। আমরা অপেক্ষা করছি। উত্তর না মিললে পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে আপনাদের? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আসলে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা ছাড়া তো আর কিছু করার নেই আমাদের। কারণ আমাদের চেষ্টায় হিন্দি গানের আগ্রাসন থেকে বাংলা গানকে বাঁচাতে ২০১৫ সালে ঐতিহাসিক রায় এসেছিল। যার ফলে বাংলা গানের জন্য একটি সুন্দর পথ তৈরি হয়। এতদিন আমরা ভালোভাবেই ইন্ডাস্ট্রিকে এগিয়ে নিচ্ছিলাম। কিন্তু হঠাৎ করে জিফাইভের আগমনে আমরা হতবাক হয়েছি। কারণ আদালদের রায়কে অমান্য করে তারা হিন্দি গান বিপণন করছে এদেশে। খুব শিগগিরই আমরা আইনি পদক্ষেপ নেবো। এদিকে বিষয়টি নিয়ে এমআইবির সাধারণ সম্পাদক ও সিএমভির কর্ণধার শেখ সাহেদ আলী পাপ্পু বলেন, আমাদের অবস্থা কিন্তু এমনিতেই খারাপ। কারণ বিভিন্ন দিক থেকে আয় আগেই কমেছে। এখন হিন্দি গানের আগ্রাসনটা যদি আবার শুরু হয় তাহলেতো আমরা মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবো না। কারণ দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। এখন যদি কয়েকদিনের মধ্যে উকিল নোটিশের উত্তর আমরা না পাই তবে সংবাদ সম্মেলন করবো। এরপর আমরা আইনি লড়াইয়ে যাবো। এ নিয়ে চলতি প্রজন্মের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ইমরান বলেন, কোনোভাবেই বাংলা গানের বাজারকে নষ্ট করা যাবে না। এ নিয়ে এমআইবি যে উদ্যোগ গ্রহণ করছে আমরা তার সঙ্গে আছি।
No comments