প্রেমাদাসার প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হওয়ার প্রচেষ্টা বানচাল করতে তৎপর বিক্রমাসিঙ্ঘে
সাজিৎ প্রেমাদাসা |
শ্রীলংকার
প্রধানমন্ত্রী রানিল বিক্রামাসিঙ্গে হালে একজন অজনপ্রিয় রাজনীতিবিদ। এর
বহুবিধ কারণও রয়েছে। তবে এই মুহূর্তে তিনি অজনপ্রিয় হওয়ার কারণ হলো
ক্ষমতাসীন ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টি (ইউএনপি) থেকে তার আগামী ডিসেম্বরে
অনুষ্ঠিতব্য প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার খায়েশ, যদিও কোন
রাখঢাক না করেই তিনি স্বীকার করেন যে এতে হেরে যাবেন। তার দলের মধ্যেই তাকে
প্রার্থী করার প্রবল বিরোধিতা রয়েছে।
বিক্রমাসিঙ্ঘের একগুঁয়েমি দলে আতংক তৈরি করেছে। তার নেতৃত্বে ইউএনপি ২০১৮ সালের স্থানীয় সরকার নির্বাচনে হেরে যায়। এতে জয়ী হয় সাবেক প্রেসিডেন্ট মাহিন্দা রাজাপাকসার নবগঠিত দল শ্রীলংকা পদুজানানা পেরামুনা (এসএলপিপি)।
দলের বেশিরভাগ লোক ইউএনপি’র উপনেতা সাজিৎ প্রেমাদাসাকে প্রার্থী করতে চান। আর বিক্রমাসিঙ্ঘে চান তাদের ওই প্রচেষ্টা বাধাগ্রস্ত করতে। দেশের বিভিন্নস্থানে ক্যাম্প খুলে ইতোমধ্যে প্রচারণা শুরু করে দিয়েছেন প্রেমাদাসা।
পশ্চিমাপন্থী ও নব্য উদার ইউএনপি’র মধ্যে হাতে গোনা কয়েকজন নেতার একজন প্রেমাদাসা জনগণের নেতা হিসেবে পরিচিত। ইংরেজিভাষী ও পশ্চিমা উন্নয়ন মডেলের সমর্থক নেতারা দলকে জনগণের কাছে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রেমাদাসাকেই একমাত্র আশা হিসেবে দেখছেন।
সাবেক প্রেসিডেন্ট রানাসিঙ্ঘে প্রেমাদাসার পুত্র সাজিৎ প্রেমাদাসা। রানাসিঙ্ঘে সমাজের একেবারে তলা থেকে উঠে আসা নেতা হিসেবে পরিচিত। যদিও সংখ্যাগুরু সিনহলা জনগণের মধ্যে তুমুল জনপ্রিয় সাবেক প্রেসিডেন্ট মাহিন্দা রাজাপাকসার ভাই গোটাভায়া রাজাপাকসাকে প্রেমাদাসা মোকাবেলা করতে পারবেন কিনা তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। গোটাভায়া প্রতিরক্ষা সচিব থাকাকালে দেশ এলটিটিই’র বিরুদ্ধে যুদ্ধে জয়ী হয়েছিলো।
গোটাভায়া এসএলপিপি’র প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হতে পারেন বলে গুঞ্জন রয়েছে। তবে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক গোটাভায়া যদি প্রেসিডেন্ট পদে প্রার্থী হওয়ার আগেই বিদেশী নাগরিকত্ব ত্যাগ করতে না পারেন তাহলে এসএলপিপি’র জনপ্রিয়তা কমতে পারে। সংবিধানের ১৯তম সংশোধনী অনুযায়ী কোন দ্বৈত নাগরিক নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না। এমন কি তারা কোন সরকারি চাকরিও করতে পারবেন না।
কেউ কেউ মনে করেন প্রেমাদাসা বেশ ভালোভাবে গোটাভায়াকে মোকাবেলা করতে পারবেন। কারণ তিনি সংখ্যালঘুদের সমর্থন পাবেন। মুসলিম দলগুলো এখন তাকে সমর্থন করছে। ভারতীয় বংশোদ্ভুত দুটি তামিল দলের একটি রয়েছে তার সঙ্গে। কিন্তু গোটাভায়া খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সমর্থন পাবেন। কারণ তারা মনে করেন ইউএনপি সরকার মুসলিম চরমপন্থীদের হামলা প্রতিরোধে ব্যর্থ হয়েছে। ২১ এপ্রিল হামলার আগে এ ব্যাপারে সতর্ক বার্তাগুলো বিক্রামাসিঙ্ঘের নেতৃত্বাধিন সরকার আমলে নেয়নি। আর হামলার পর এখন ক্ষতিগ্রস্ত খ্রিস্টানদের পুনর্বাসন করার কথা সরকার ভুলে গেছে। বোমা হামলার পেছনে আসল অপরাধীদের মুখোশ উন্মোচন করার ব্যাপারেও তাদের সত্যিকারের কোন তৎপরতা নেই। শুধু পরস্পরকে দোষারুপ ও ঝগড়া করে সময় পার করা হচ্ছে।
এদিকে ডেমক্রেটিক ন্যাশনাল ফ্রন্ট (ডিএনএফ) নামে ইউএনপি-পন্থী দলগুলোর জোটকে শেষ চেষ্টা হিসেবে আঁকড়ে ধরার চেষ্টা করছেন বিক্রমাসিঙ্ঘে। তিনি এমনভাবে ডিএনএফ’কে চাঙ্গা করার চেষ্টা করছেন যেন ইউএনপি এর অধস্তন কোন দল। উদ্দেশ্য হলো ডিএনএফ যেন তাকে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী করে। এতে প্রেমাদাসাকে প্রার্থী করার ইউএনপি’র প্রচেষ্টা নস্যাৎ করা যাবে।
কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর এই অপচেষ্টাকে ইউএনপি’র সদস্যরা ভালোভাবে নিচ্ছেন না। তারা বলছেন যে, বড় দল থেকেই ডিএনএফের প্রার্থী হতে হবে। এতে ইউএনপি’র প্রার্থী হিসেবে প্রেমাদাসা প্রার্থী হওয়ার সুযোগ পাবেন।
ফলে ডিএনএফের সংবিধান তৈরির প্রচেষ্টা শুধু জোটের সদর দফতর শ্রীকোঠাতেই আটকে যায়নি, প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন টেম্পল ট্রি তথা ইউনপি’র সদর দফতরেও বাধাগ্রস্ত হয়েছে। শেষ পর্যন্ত সংবিধান প্রশ্নে কোন সমঝোতা হয়নি।
ডিএনএফের দলগুলো হলো: ইউএনপি, শ্রীলংকা মুসলিম কংগ্রেস (এসএলএমসি), অল সিলন মাক্কাল কংগ্রেস (এসিএমসি), তামিল পিপলস এলায়েন্স (টিপিএ), ঝাটিকা হেলা উরুমায়া (জেএইচইউ) এবং ইউনাইটেড লেফট ফ্রন্ট (ইউএলএফ)। শ্রীলংকা ফ্রিডম পার্টির (এসএলএফপি) কিছু ইচ্ছুক সদস্যকেও এই জোটে ভেড়ানোর ইচ্ছা রয়েছে।
এসএলএফপির নেতা প্রেসিডেন্ট মৈত্রিপালা সিরিসেনা এখনো প্রার্থী হওয়ার আশা ছড়েননি। তিনি এসএলএফপি ও এসএলপিপি’র যৌথ প্রার্থী হতে আগ্রহী। দুটি দলের মধ্যে আলোচনা এখনো চলছে।
এদিকে, গৃহায়ণ মন্ত্রী হিসেবেই তৎপরতা জোরদার করেছেন সাজিৎ। এটা নিশ্চিত ফল বয়ে আনবে। গত শনিবার তিনি বাত্তিকালোয়া জেলায় গান্ধী নগর মডেল গ্রাম উদ্বোধন করেন। তার মন্ত্রণালয়েল মডেল গ্রাম কর্মসূচির আওতায় ভারতীয় সহায়তা এই গ্রাম তৈরি করা হয়।
এছাড়া নিজেদেরকে ‘সাজিৎ ফর এ নিউ শ্রীলংকা’ হিসেবে পরিচয়দানকারী একদল পেশাজীবী প্রেমাদাসার নেতৃত্বে ইউএনপি-কে চাঙ্গা করার আহ্বান জানিয়ে আসছেন।
এই আন্দোলনের প্রতিনিধি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ড. মাহিম মেন্ডিস বলেন ইউএনপি-কে জনগণ ও দলের সদস্য উভয়ের কথা শুনতে হবে। তারা প্রেমাদাসাকে নেতা হিসেবে চায়। প্রেমাদাসাকে সমর্থনকারী এই আন্দোলনের নেতারা বলছেন যে, ১৯৯৩ সালে প্রেসিডেন্ট প্রেমাদাসার হত্যাকাণ্ডের পর থেকে ইউএনপি’র নেতৃত্বে কোন পরিবর্তন আসেনি।
বিক্রমাসিঙ্ঘের একগুঁয়েমি দলে আতংক তৈরি করেছে। তার নেতৃত্বে ইউএনপি ২০১৮ সালের স্থানীয় সরকার নির্বাচনে হেরে যায়। এতে জয়ী হয় সাবেক প্রেসিডেন্ট মাহিন্দা রাজাপাকসার নবগঠিত দল শ্রীলংকা পদুজানানা পেরামুনা (এসএলপিপি)।
দলের বেশিরভাগ লোক ইউএনপি’র উপনেতা সাজিৎ প্রেমাদাসাকে প্রার্থী করতে চান। আর বিক্রমাসিঙ্ঘে চান তাদের ওই প্রচেষ্টা বাধাগ্রস্ত করতে। দেশের বিভিন্নস্থানে ক্যাম্প খুলে ইতোমধ্যে প্রচারণা শুরু করে দিয়েছেন প্রেমাদাসা।
পশ্চিমাপন্থী ও নব্য উদার ইউএনপি’র মধ্যে হাতে গোনা কয়েকজন নেতার একজন প্রেমাদাসা জনগণের নেতা হিসেবে পরিচিত। ইংরেজিভাষী ও পশ্চিমা উন্নয়ন মডেলের সমর্থক নেতারা দলকে জনগণের কাছে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রেমাদাসাকেই একমাত্র আশা হিসেবে দেখছেন।
সাবেক প্রেসিডেন্ট রানাসিঙ্ঘে প্রেমাদাসার পুত্র সাজিৎ প্রেমাদাসা। রানাসিঙ্ঘে সমাজের একেবারে তলা থেকে উঠে আসা নেতা হিসেবে পরিচিত। যদিও সংখ্যাগুরু সিনহলা জনগণের মধ্যে তুমুল জনপ্রিয় সাবেক প্রেসিডেন্ট মাহিন্দা রাজাপাকসার ভাই গোটাভায়া রাজাপাকসাকে প্রেমাদাসা মোকাবেলা করতে পারবেন কিনা তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। গোটাভায়া প্রতিরক্ষা সচিব থাকাকালে দেশ এলটিটিই’র বিরুদ্ধে যুদ্ধে জয়ী হয়েছিলো।
গোটাভায়া এসএলপিপি’র প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হতে পারেন বলে গুঞ্জন রয়েছে। তবে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক গোটাভায়া যদি প্রেসিডেন্ট পদে প্রার্থী হওয়ার আগেই বিদেশী নাগরিকত্ব ত্যাগ করতে না পারেন তাহলে এসএলপিপি’র জনপ্রিয়তা কমতে পারে। সংবিধানের ১৯তম সংশোধনী অনুযায়ী কোন দ্বৈত নাগরিক নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না। এমন কি তারা কোন সরকারি চাকরিও করতে পারবেন না।
কেউ কেউ মনে করেন প্রেমাদাসা বেশ ভালোভাবে গোটাভায়াকে মোকাবেলা করতে পারবেন। কারণ তিনি সংখ্যালঘুদের সমর্থন পাবেন। মুসলিম দলগুলো এখন তাকে সমর্থন করছে। ভারতীয় বংশোদ্ভুত দুটি তামিল দলের একটি রয়েছে তার সঙ্গে। কিন্তু গোটাভায়া খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সমর্থন পাবেন। কারণ তারা মনে করেন ইউএনপি সরকার মুসলিম চরমপন্থীদের হামলা প্রতিরোধে ব্যর্থ হয়েছে। ২১ এপ্রিল হামলার আগে এ ব্যাপারে সতর্ক বার্তাগুলো বিক্রামাসিঙ্ঘের নেতৃত্বাধিন সরকার আমলে নেয়নি। আর হামলার পর এখন ক্ষতিগ্রস্ত খ্রিস্টানদের পুনর্বাসন করার কথা সরকার ভুলে গেছে। বোমা হামলার পেছনে আসল অপরাধীদের মুখোশ উন্মোচন করার ব্যাপারেও তাদের সত্যিকারের কোন তৎপরতা নেই। শুধু পরস্পরকে দোষারুপ ও ঝগড়া করে সময় পার করা হচ্ছে।
এদিকে ডেমক্রেটিক ন্যাশনাল ফ্রন্ট (ডিএনএফ) নামে ইউএনপি-পন্থী দলগুলোর জোটকে শেষ চেষ্টা হিসেবে আঁকড়ে ধরার চেষ্টা করছেন বিক্রমাসিঙ্ঘে। তিনি এমনভাবে ডিএনএফ’কে চাঙ্গা করার চেষ্টা করছেন যেন ইউএনপি এর অধস্তন কোন দল। উদ্দেশ্য হলো ডিএনএফ যেন তাকে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী করে। এতে প্রেমাদাসাকে প্রার্থী করার ইউএনপি’র প্রচেষ্টা নস্যাৎ করা যাবে।
কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর এই অপচেষ্টাকে ইউএনপি’র সদস্যরা ভালোভাবে নিচ্ছেন না। তারা বলছেন যে, বড় দল থেকেই ডিএনএফের প্রার্থী হতে হবে। এতে ইউএনপি’র প্রার্থী হিসেবে প্রেমাদাসা প্রার্থী হওয়ার সুযোগ পাবেন।
ফলে ডিএনএফের সংবিধান তৈরির প্রচেষ্টা শুধু জোটের সদর দফতর শ্রীকোঠাতেই আটকে যায়নি, প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন টেম্পল ট্রি তথা ইউনপি’র সদর দফতরেও বাধাগ্রস্ত হয়েছে। শেষ পর্যন্ত সংবিধান প্রশ্নে কোন সমঝোতা হয়নি।
ডিএনএফের দলগুলো হলো: ইউএনপি, শ্রীলংকা মুসলিম কংগ্রেস (এসএলএমসি), অল সিলন মাক্কাল কংগ্রেস (এসিএমসি), তামিল পিপলস এলায়েন্স (টিপিএ), ঝাটিকা হেলা উরুমায়া (জেএইচইউ) এবং ইউনাইটেড লেফট ফ্রন্ট (ইউএলএফ)। শ্রীলংকা ফ্রিডম পার্টির (এসএলএফপি) কিছু ইচ্ছুক সদস্যকেও এই জোটে ভেড়ানোর ইচ্ছা রয়েছে।
এসএলএফপির নেতা প্রেসিডেন্ট মৈত্রিপালা সিরিসেনা এখনো প্রার্থী হওয়ার আশা ছড়েননি। তিনি এসএলএফপি ও এসএলপিপি’র যৌথ প্রার্থী হতে আগ্রহী। দুটি দলের মধ্যে আলোচনা এখনো চলছে।
এদিকে, গৃহায়ণ মন্ত্রী হিসেবেই তৎপরতা জোরদার করেছেন সাজিৎ। এটা নিশ্চিত ফল বয়ে আনবে। গত শনিবার তিনি বাত্তিকালোয়া জেলায় গান্ধী নগর মডেল গ্রাম উদ্বোধন করেন। তার মন্ত্রণালয়েল মডেল গ্রাম কর্মসূচির আওতায় ভারতীয় সহায়তা এই গ্রাম তৈরি করা হয়।
এছাড়া নিজেদেরকে ‘সাজিৎ ফর এ নিউ শ্রীলংকা’ হিসেবে পরিচয়দানকারী একদল পেশাজীবী প্রেমাদাসার নেতৃত্বে ইউএনপি-কে চাঙ্গা করার আহ্বান জানিয়ে আসছেন।
এই আন্দোলনের প্রতিনিধি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ড. মাহিম মেন্ডিস বলেন ইউএনপি-কে জনগণ ও দলের সদস্য উভয়ের কথা শুনতে হবে। তারা প্রেমাদাসাকে নেতা হিসেবে চায়। প্রেমাদাসাকে সমর্থনকারী এই আন্দোলনের নেতারা বলছেন যে, ১৯৯৩ সালে প্রেসিডেন্ট প্রেমাদাসার হত্যাকাণ্ডের পর থেকে ইউএনপি’র নেতৃত্বে কোন পরিবর্তন আসেনি।
No comments