ইরানে মার্কিন হামলার সিদ্ধান্ত : যা ঘটেছিল নেপথ্যে
প্রথমে সায় দিয়েছিলেন। পরে নিজেই পিছিয়ে গেলেন। কেন, সেটাও স্পষ্ট করে দিলেন নিজেই।
ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে ১৩ কোটি ডলারের মার্কিন ড্রোন নামানোর পাল্টা জবাব দিতে ইরানের উপরে সামরিক হামলা চালানোর পরিকল্পনা করেছিল মার্কিন প্রশাসন। বৃহস্পতিবার শেষ রাতে হামলার সব প্রস্তুতিও হয়ে গিয়েছিল। হামলার জেরে ইরানের সেনাবাহিনী বা সাধারণ মানুষের ক্ষতি এড়াতে বেছে নেওয়া হয়েছিল এই সময়টা। লক্ষ্য ছিল ক্ষেপণাস্ত্রের ব্যাটারি এবং কিছু রাডার। সব বিমান এবং জাহাজ যখন কোমর বেঁধে তৈরি, ঠিক তার আগে হামলার পরিকল্পনা থেকে পিছিয়ে আসা হয়। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শুক্রবার নিজেই টুইট করে জানান সে কথা। হামলা চালানোর মাত্র দশ মিনিট আগে সিদ্ধান্ত বদল করে পিছিয়ে আসেন তিনি। কারণ এক জেনারেল তাকে জানান, হামলায় অন্তত ১৫০ মানুষ প্রাণ হারাতে পারেন। তা শোনার পরেই সিদ্ধান্ত পাল্টান প্রেসিডেন্ট।
টুইটে তিনি লিখেছেন, ‘‘কোনো তাড়া নেই। নিষেধাজ্ঞার কামড় থাকছেই, কাল রাত থেকে আরো নিষেধ চাপানো হচ্ছে। আমেরিকার বিরুদ্ধে ইরান কোনো দিন পরমাণু অস্ত্র প্রয়োগ করতে পারবে না, গোটা বিশ্বের বিরুদ্ধে তো নয়ই।’’
প্রথমে মার্কিন প্রশাসনিক সূত্র উদ্ধৃত করে একটি দৈনিক এই তথ্য জানিয়েছিল। প্রাথমিকভাবে শুক্রবার ভোরের আলো ফোটার আগে হামলা সেরে ফেলা হবে বলে ঠিক হয়েছিল। হোয়াইট হাউস সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার ইরানের মার্কিন ড্রোন নামানোর খবর প্রকাশ্যে আসতেই চাপ আসতে থাকতে প্রেসিডেন্টের উপরে। রিপাবলিকানরা চাইছিলেন, এর যথাযোগ্য জবাব দিক আমেরিকা। ডেমোক্র্যাটদের তরফে আসে সতর্কবার্তা। ইরান নীতি নিয়ে যারা কট্টর, তারা চাপ বাড়িয়েছেন মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা কর্মীদের উপরে। ডেমোক্র্যাটরা বলেছেন, আমেরিকা যুদ্ধে নামলে পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাবে। মার্কিন দৈনিকটির দাবি, এই নিয়ে একের পর এক বৈঠক হয়েছে বৃহস্পতিবার। হোয়াইট হাউসে দীর্ঘ বিতর্ক চলেছে কংগ্রেসের নেতা এবং জাতীয় নিরাপত্তা দফতরের শীর্ষ অফিসারদের মধ্যে।
দৈনিকটির দাবি ছিল, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নিজেই সিদ্ধান্ত বদল করেছেন, নাকি তার প্রশাসন কৌশলগত কারণে পিছিয়ে গিয়েছে, তা স্পষ্ট নয়। তারা বলেছিল, ফের এমন হামলা অতি শীঘ্র হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে কি না, বোঝা যাচ্ছে না তা-ও। জল্পনায় ইতি টানতে এর পরেই মাঠে নামেন প্রেসিডেন্ট। ওই দৈনিকটিকে এক হাত নিয়ে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে ফের মিথ্যে খবর ছড়ানো হচ্ছে। এই সূত্রেই হামলা থেকে পিছিয়ে আসার কারণ ব্যাখ্যা করেন তিনি।
এই টানাপড়েনের মধ্যে আজ ইরানের ইসলামিক রেভোলিউশনারি গার্ড কোর (আইআরজিসি) ধ্বংস হয়ে যাওয়া ড্রোনের টুকরোর ছবি প্রকাশ করে জানিয়েছে, ওই অংশগুলো সেই মার্কিন ড্রোনটিরই। আইআরজিসি-র কমান্ডার আমির আলি হাজিজ়াদে জানিয়েছেন, মার্কিন ড্রোনটির ওই অংশ ইরানের পানিসীমা কুহ্ মুবারক এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। ড্রোনটিকে নামানোর দশ মিনিট আগে চূড়ান্ত হুঁশিয়ারিও দেয়া হয়েছিল বলে দাবি আমিরের।
শুক্রবার জাতিসঙ্ঘে ইরানের দূত মজিদ তখ্ত রাভাঞ্চি মহাসচিব আন্তোনিয়ো গুতেরেসকে চিঠিতে লিখেছেন, ‘‘পারস্য উপসাগরের দক্ষিণে মার্কিন সেনা ঘাঁটি থেকে ওই ড্রোন উড়েছিল।..নজরদারির জন্যই এসেছিল সেটি।’’
ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে ১৩ কোটি ডলারের মার্কিন ড্রোন নামানোর পাল্টা জবাব দিতে ইরানের উপরে সামরিক হামলা চালানোর পরিকল্পনা করেছিল মার্কিন প্রশাসন। বৃহস্পতিবার শেষ রাতে হামলার সব প্রস্তুতিও হয়ে গিয়েছিল। হামলার জেরে ইরানের সেনাবাহিনী বা সাধারণ মানুষের ক্ষতি এড়াতে বেছে নেওয়া হয়েছিল এই সময়টা। লক্ষ্য ছিল ক্ষেপণাস্ত্রের ব্যাটারি এবং কিছু রাডার। সব বিমান এবং জাহাজ যখন কোমর বেঁধে তৈরি, ঠিক তার আগে হামলার পরিকল্পনা থেকে পিছিয়ে আসা হয়। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শুক্রবার নিজেই টুইট করে জানান সে কথা। হামলা চালানোর মাত্র দশ মিনিট আগে সিদ্ধান্ত বদল করে পিছিয়ে আসেন তিনি। কারণ এক জেনারেল তাকে জানান, হামলায় অন্তত ১৫০ মানুষ প্রাণ হারাতে পারেন। তা শোনার পরেই সিদ্ধান্ত পাল্টান প্রেসিডেন্ট।
টুইটে তিনি লিখেছেন, ‘‘কোনো তাড়া নেই। নিষেধাজ্ঞার কামড় থাকছেই, কাল রাত থেকে আরো নিষেধ চাপানো হচ্ছে। আমেরিকার বিরুদ্ধে ইরান কোনো দিন পরমাণু অস্ত্র প্রয়োগ করতে পারবে না, গোটা বিশ্বের বিরুদ্ধে তো নয়ই।’’
প্রথমে মার্কিন প্রশাসনিক সূত্র উদ্ধৃত করে একটি দৈনিক এই তথ্য জানিয়েছিল। প্রাথমিকভাবে শুক্রবার ভোরের আলো ফোটার আগে হামলা সেরে ফেলা হবে বলে ঠিক হয়েছিল। হোয়াইট হাউস সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার ইরানের মার্কিন ড্রোন নামানোর খবর প্রকাশ্যে আসতেই চাপ আসতে থাকতে প্রেসিডেন্টের উপরে। রিপাবলিকানরা চাইছিলেন, এর যথাযোগ্য জবাব দিক আমেরিকা। ডেমোক্র্যাটদের তরফে আসে সতর্কবার্তা। ইরান নীতি নিয়ে যারা কট্টর, তারা চাপ বাড়িয়েছেন মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা কর্মীদের উপরে। ডেমোক্র্যাটরা বলেছেন, আমেরিকা যুদ্ধে নামলে পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাবে। মার্কিন দৈনিকটির দাবি, এই নিয়ে একের পর এক বৈঠক হয়েছে বৃহস্পতিবার। হোয়াইট হাউসে দীর্ঘ বিতর্ক চলেছে কংগ্রেসের নেতা এবং জাতীয় নিরাপত্তা দফতরের শীর্ষ অফিসারদের মধ্যে।
দৈনিকটির দাবি ছিল, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নিজেই সিদ্ধান্ত বদল করেছেন, নাকি তার প্রশাসন কৌশলগত কারণে পিছিয়ে গিয়েছে, তা স্পষ্ট নয়। তারা বলেছিল, ফের এমন হামলা অতি শীঘ্র হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে কি না, বোঝা যাচ্ছে না তা-ও। জল্পনায় ইতি টানতে এর পরেই মাঠে নামেন প্রেসিডেন্ট। ওই দৈনিকটিকে এক হাত নিয়ে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে ফের মিথ্যে খবর ছড়ানো হচ্ছে। এই সূত্রেই হামলা থেকে পিছিয়ে আসার কারণ ব্যাখ্যা করেন তিনি।
এই টানাপড়েনের মধ্যে আজ ইরানের ইসলামিক রেভোলিউশনারি গার্ড কোর (আইআরজিসি) ধ্বংস হয়ে যাওয়া ড্রোনের টুকরোর ছবি প্রকাশ করে জানিয়েছে, ওই অংশগুলো সেই মার্কিন ড্রোনটিরই। আইআরজিসি-র কমান্ডার আমির আলি হাজিজ়াদে জানিয়েছেন, মার্কিন ড্রোনটির ওই অংশ ইরানের পানিসীমা কুহ্ মুবারক এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। ড্রোনটিকে নামানোর দশ মিনিট আগে চূড়ান্ত হুঁশিয়ারিও দেয়া হয়েছিল বলে দাবি আমিরের।
শুক্রবার জাতিসঙ্ঘে ইরানের দূত মজিদ তখ্ত রাভাঞ্চি মহাসচিব আন্তোনিয়ো গুতেরেসকে চিঠিতে লিখেছেন, ‘‘পারস্য উপসাগরের দক্ষিণে মার্কিন সেনা ঘাঁটি থেকে ওই ড্রোন উড়েছিল।..নজরদারির জন্যই এসেছিল সেটি।’’
No comments