কি কারণে ইরানে হামলা চালালেন না ডনাল্ড ট্রাম্প!
চারদিকে
রণসজ্জা সাজিয়ে প্রস্তুত। ট্রিগারে আঙ্গুলের চাপ পড়তে বাকি। এমন সময় পিছু
হটলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। ইরানে হামলা চালানোর ঠিক
১০ মিনিট আগে এমন সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি। কিন্তু কেন? এর উত্তর তিনি নিজেই
দিয়েছেন। বলেছেন, এমন হামলা সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে না। এ বিষয়ে তিনি টুইটে
বলেছেন, আমি জানতে চাইলাম (হামলা চালালে) কত মানুষ মারা যাবে। আমাকে একজন
জেনারেল বললেন, স্যার ১৫০ হতে পারে।
তাই হামলা চালানোর ঠিক ১০ মিনিট আগে আমি যুদ্ধ থামিয়ে দিলাম। কারণ, একটি মনুষ্যবিহিন ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করার জবাবে এ হামলা সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। ট্রাম্প আরো বলেন, ইরানে হামলা চালানোতে তার তাড়াহুড়ো নেই। এ খবর দিয়েছে অনলাইন আল জাজিরা, বিবিসি।
ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বেশ কতদিন ধরে যে যুদ্ধ পরিস্থিতি বিরাজ করছে তারই চূড়ান্ত আকার ধারণ করতে যাচ্ছিল শুক্রবার। এর আগের দিন ইরান ‘তার আকাশসীমা’ অতিক্রমের অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রের একটি ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করে। এরপর থেকেই উত্তেজনার পারদ সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছে যায়। এ ছাড়া সম্প্রতি হরমুজ প্রণালীতে তেলবাহী কয়েকটি ট্যাংকারে হামলার জন্য ইরানকে দায়ী করেছে যুক্তরাষ্ট্র, সৌদি আরব সহ আরো কয়েকটি দেশ। কিন্তু জার্মানি এ বিষয়ে আরো প্রমাণ চায়। এরই মধ্যে ওই ড্রোন ভূপাতিত করা হয়। ইরান বলছে, তারা যুদ্ধ চায় না। তবে আকাশ, স্থল ও জলপথে তাদের আত্মরক্ষার অধিকার আছে। দেশটির অভিজাত রেভ্যুলুশনারি গার্ড কোর শুক্রবার বলেছে, বৃহস্পতিবার মনুষ্যবিহীন একটি ড্রোন ভূপাতিত করার পর দ্বিতীয় আরেকটি মার্কিন এয়ারক্রাফট উড়ে গেছে ওই এলাকা দিয়ে, যেখানে নেভি আরকিউ-৪ গ্লোবাল হক গুলি করে ভূপাতিত করেছে তারা। তবে এতে প্রায় ৩৫ জন আরোহী ছিলেন বলে ইরানি বাহিনী তাতে গুলি করে নি। তবে দ্বিতীয় এই এয়ারক্রাফটের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র কোনো মন্তব্য করে নি।
ট্রাম্পের টুইট থেকে স্পষ্ট তিনি হতাহতের কথা চিন্তা করেই ইরানে হামলা চালান নি। কিন্তু, এই মুহূর্তে তার পূর্ণাঙ্গ একজন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী নেই। ফলে এ সিদ্ধান্ত তাকে একাই নিতে হচ্ছে। তাই যুদ্ধের সিদ্ধান্ত দিয়েও তাকে পিছু ফিরতে হচ্ছে।
কি পরিকল্পনা নিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র
নিউ ইয়র্ক টাইমস তার প্রাথমিক রিপোর্টে জানায়, বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টায় যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ও কূটনৈতিক কর্মকর্তারা নিশ্চিত ছিলেন যে, ইরানের রাডার ও মিসাইল ব্যাটারিজ সহ তিনটি স্থাপনায় হামলা চালানো হচ্ছে। ফলে আকাশে যুদ্ধবিমান উড়িয়ে দেয়া হয়। সমুদ্রে যুদ্ধজাহাজ তার পজিশন নিয়ে নির্দেশের অপেক্ষায় থাকে। চারদিকে তখন আতঙ্কে স্তব্ধতা। তবে শুক্রবার এ রিপোর্ট প্রত্যাখ্যান করেন ট্রাম্প। তিনি এনবিসিকে বলেন, কোনো যুদ্ধবিমান উড়ানো হয় নি। শুক্রবার ভোরে সামান্য আগে হামলা চালানোর পরিকল্পনা হয়েছিল, যাতে বেসামরিক জনগণের ক্ষতি কম হয়। পরে শুক্রবারেই ট্রাম্প আরেকটি টুইট করেন। বলেন, হামলার জন্য তিনটি স্থান নির্ধারণ করা হয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে বার্তা সংস্থা এপি বলেছে, পেন্টাগন থেকে হামলার সুপারিশ করা হয়েছিল। তা সিনিয়র প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের জানিয়ে দেয়া হয়েছিল। কিন্তু নিউ ইয়র্ক টাইমসের মতে, পেন্টাগনের শীর্ষ কর্মকর্তারা এমন সামরিক হামলার বিষয়ে সতর্ক করেছিলেন। তারা বলেছিলেন, ইরানে এভাবে হামলা চালানো হলে তাতে ওই অঞ্চলে অবস্থানরত মার্কিন বাহিনীর জন্য প্রচ- ঝুঁকি সৃষ্টি করবে। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ও কংগ্রেশনাল নেতাদের নিয়ে বৃহস্পতিবার বেশির ভাগ সময় ইরান ইস্যুতে আলোচনা করেন ট্রাম্প। ওই আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন হামলার পক্ষে ছিলেন কঠোর অবস্থানে। কিন্তু কংগ্রেশনাল নেতারা সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান জানিয়েছিলেন।
অন্যদিকে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, ইরানের দু’জন কর্মকর্তা বলেছেন, ওমানের মাধ্যমে ট্রাম্প প্রশাসনের একটি বার্তা পেয়েছিল তেহরান। তাতে বলা হয়েছিল, ইরানে যুক্তরাষ্ট্রের হামলা অত্যাসন্ন। তবে এমন খবর পাওয়ার কথা পরে প্রত্যাখ্যান করেন ইরানের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের একজন মুখপাত্র। তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, তাদেরকে কোনো বার্তাই দেয়া হয় নি।
তাই হামলা চালানোর ঠিক ১০ মিনিট আগে আমি যুদ্ধ থামিয়ে দিলাম। কারণ, একটি মনুষ্যবিহিন ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করার জবাবে এ হামলা সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। ট্রাম্প আরো বলেন, ইরানে হামলা চালানোতে তার তাড়াহুড়ো নেই। এ খবর দিয়েছে অনলাইন আল জাজিরা, বিবিসি।
ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বেশ কতদিন ধরে যে যুদ্ধ পরিস্থিতি বিরাজ করছে তারই চূড়ান্ত আকার ধারণ করতে যাচ্ছিল শুক্রবার। এর আগের দিন ইরান ‘তার আকাশসীমা’ অতিক্রমের অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রের একটি ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করে। এরপর থেকেই উত্তেজনার পারদ সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছে যায়। এ ছাড়া সম্প্রতি হরমুজ প্রণালীতে তেলবাহী কয়েকটি ট্যাংকারে হামলার জন্য ইরানকে দায়ী করেছে যুক্তরাষ্ট্র, সৌদি আরব সহ আরো কয়েকটি দেশ। কিন্তু জার্মানি এ বিষয়ে আরো প্রমাণ চায়। এরই মধ্যে ওই ড্রোন ভূপাতিত করা হয়। ইরান বলছে, তারা যুদ্ধ চায় না। তবে আকাশ, স্থল ও জলপথে তাদের আত্মরক্ষার অধিকার আছে। দেশটির অভিজাত রেভ্যুলুশনারি গার্ড কোর শুক্রবার বলেছে, বৃহস্পতিবার মনুষ্যবিহীন একটি ড্রোন ভূপাতিত করার পর দ্বিতীয় আরেকটি মার্কিন এয়ারক্রাফট উড়ে গেছে ওই এলাকা দিয়ে, যেখানে নেভি আরকিউ-৪ গ্লোবাল হক গুলি করে ভূপাতিত করেছে তারা। তবে এতে প্রায় ৩৫ জন আরোহী ছিলেন বলে ইরানি বাহিনী তাতে গুলি করে নি। তবে দ্বিতীয় এই এয়ারক্রাফটের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র কোনো মন্তব্য করে নি।
ট্রাম্পের টুইট থেকে স্পষ্ট তিনি হতাহতের কথা চিন্তা করেই ইরানে হামলা চালান নি। কিন্তু, এই মুহূর্তে তার পূর্ণাঙ্গ একজন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী নেই। ফলে এ সিদ্ধান্ত তাকে একাই নিতে হচ্ছে। তাই যুদ্ধের সিদ্ধান্ত দিয়েও তাকে পিছু ফিরতে হচ্ছে।
কি পরিকল্পনা নিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র
নিউ ইয়র্ক টাইমস তার প্রাথমিক রিপোর্টে জানায়, বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টায় যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ও কূটনৈতিক কর্মকর্তারা নিশ্চিত ছিলেন যে, ইরানের রাডার ও মিসাইল ব্যাটারিজ সহ তিনটি স্থাপনায় হামলা চালানো হচ্ছে। ফলে আকাশে যুদ্ধবিমান উড়িয়ে দেয়া হয়। সমুদ্রে যুদ্ধজাহাজ তার পজিশন নিয়ে নির্দেশের অপেক্ষায় থাকে। চারদিকে তখন আতঙ্কে স্তব্ধতা। তবে শুক্রবার এ রিপোর্ট প্রত্যাখ্যান করেন ট্রাম্প। তিনি এনবিসিকে বলেন, কোনো যুদ্ধবিমান উড়ানো হয় নি। শুক্রবার ভোরে সামান্য আগে হামলা চালানোর পরিকল্পনা হয়েছিল, যাতে বেসামরিক জনগণের ক্ষতি কম হয়। পরে শুক্রবারেই ট্রাম্প আরেকটি টুইট করেন। বলেন, হামলার জন্য তিনটি স্থান নির্ধারণ করা হয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে বার্তা সংস্থা এপি বলেছে, পেন্টাগন থেকে হামলার সুপারিশ করা হয়েছিল। তা সিনিয়র প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের জানিয়ে দেয়া হয়েছিল। কিন্তু নিউ ইয়র্ক টাইমসের মতে, পেন্টাগনের শীর্ষ কর্মকর্তারা এমন সামরিক হামলার বিষয়ে সতর্ক করেছিলেন। তারা বলেছিলেন, ইরানে এভাবে হামলা চালানো হলে তাতে ওই অঞ্চলে অবস্থানরত মার্কিন বাহিনীর জন্য প্রচ- ঝুঁকি সৃষ্টি করবে। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ও কংগ্রেশনাল নেতাদের নিয়ে বৃহস্পতিবার বেশির ভাগ সময় ইরান ইস্যুতে আলোচনা করেন ট্রাম্প। ওই আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন হামলার পক্ষে ছিলেন কঠোর অবস্থানে। কিন্তু কংগ্রেশনাল নেতারা সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান জানিয়েছিলেন।
অন্যদিকে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, ইরানের দু’জন কর্মকর্তা বলেছেন, ওমানের মাধ্যমে ট্রাম্প প্রশাসনের একটি বার্তা পেয়েছিল তেহরান। তাতে বলা হয়েছিল, ইরানে যুক্তরাষ্ট্রের হামলা অত্যাসন্ন। তবে এমন খবর পাওয়ার কথা পরে প্রত্যাখ্যান করেন ইরানের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের একজন মুখপাত্র। তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, তাদেরকে কোনো বার্তাই দেয়া হয় নি।
No comments