আশায় বুক বাঁধছে লড়াকু বাংলাদেশ by ইশতিয়াক পারভেজ
বড়
স্বপ্ন নিয়ে ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে পথচলা শুরু করেছে বাংলাদেশ। লক্ষ্য
সেমিফাইনাল, এরপর ট্রফি ছিনিয়ে নেয়ার লড়াই। কিন্তু ধীরে ধীরে ক্ষীণ হয়ে
আসছে সেই আশা, সেই স্বপ্ন। নিজেদের ছয় ম্যাচের ৩টিতে হেরে গেছে। জয় এসেছে
দুটিতে আর একটি ভেসে গেছে বৃষ্টিতে। তাই ৫ পয়েন্ট নিয়ে এখনো বাংলাদেশের আছে
পয়েন্ট তালিকার পাঁচেই। এখন প্রশ্ন শেষ তিন ম্যাচে কি সম্ভব সেই লক্ষ্য
পূরণ করা! ৭ম ম্যাচে টাইগাররা মুখোমুখি হবে আফগানিস্তানের। সাউদাম্পটনের
রোজবল স্টেডিয়ামে জিতলে এগিয়ে যাবে আরো এক ধাপ।
এরপর শেষ দুই ম্যাচ প্রতিবেশী ভারত ও পাকিস্তান।
হারাতে হবে শক্তিশালী এই দুই দলকেও। তা সম্ভব হলে নামের পাশে যোগ হবে ১১ পয়েন্ট। কিন্তু এখন পর্যন্ত যে হিসেব, তাতে শেষ তিন ম্যাচ জিতলেও সেমিফাইনাল যে নিশ্চিত হবে তাও নয়। কারণ ছয় ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে অস্ট্রেলিয়া। এক ম্যাচ কম খেলে ৯ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে নিউজিল্যান্ড। একই সমান ম্যাচ খেলে ৮ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে ইংল্যান্ড ও মাত্র ৪ ম্যাচ খেলে ৭ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে ভারত। বলার অপেক্ষা রাখে না শেষ পর্যন্ত এই চার দলের হারজিতের দিকেও তাকিয়ে থাকতে হবে। তিন ম্যাচের একটিতে হারলেও স্বপ্নের রং আরো ফিকে হয়ে আসবে।
অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হার নিয়ে এখনো আক্ষেপ করে ফেরেন। দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়েও সেই ম্যাচে জয় হাতছাড়া করে অনেকটাই পিছিয়ে গেছে বাংলাদেশ। অধিনায়কের কথায় সেই হার মানে- ‘বড় ক্ষতি’। এরপর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেসে যায়। এখানে এক পয়েন্ট নিয়ে ভাগ্যকে দোষ দেয়া ছাড়া কি-ই বা করার আছে অধিনায়কের! তবে টনটন থেকে ফের উড়ে চলার জ্বালানি নিয়ে নটিংহ্যামে এসেছিল বাংলাদেশ। ৩২২ রানের লক্ষ্য তাড়া করে হারিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। সেই আত্মবিশ্বাসে সুযোগ এসেছিল অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার।
কিন্তু হলো না, অজিদের বিপক্ষে আবারো মাটিতে নেমে এলো বাংলাদেশ। নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসে রেকর্ড রান করেই জিততে ব্যর্থ হয়েছে মাশরাফি বিন মুর্তজার দল। ৩৮২ রান তাড়া করতে নেমে ২ উইকেট হাতে রেখেই ৩৩৩ রানে থামতে হয়েছে টাইগারদের। না, ব্যাটিং ব্যর্থতা বলার কোনো কারণ নেই। তাহলে দায়টা কার! বলার অপেক্ষা রাখে না সাদামাটা বোলিং সেই সঙ্গে বাজে ফিল্ডিং। কারণ অজিরা শেষ ১০ ওভারে নিজেদের স্কোর বোর্ডে যোগ করেছে ১৩১ রান। শুধু কি তাই ম্যাচের পঞ্চম ওভারেই আউট করা যেত ডেভিড ওয়ার্নারকে। মাশরাফির বলেই ১০ রানে পয়েন্টে সাব্বির রহমানের কাছে ক্যাচ দিয়ে বেঁচে যান তিনি। সাব্বিরের সামনে সুযোগ এসেছিল ৭০ রানে ওয়ার্নারকে রান আউট করারও। সেই শেষ আউট হয়েছেন ৪৫তম ওভারে। নামের পাশে তখন ১৪৭ বলে ১৬৬ রান!
দলের এমন পারফরমেন্সে অধিনায়কের আক্ষেপ ছাড়া কি-ই বা করার আছে! তবে সুযোগ নিতে পারলে যে দারুণ হতো সেটিও বলেছেন অকপটে। তিনি বলেন, ‘কিছু সুযোগ আমরা সৃষ্টি করতে পেরেছিলাম। এই ধরনের ম্যাচে ওসব সুযোগ নিতেই হবে। বরং হাফচান্সগুলোও ফুল করে নিতে হয়। ওই সুযোগ নিতে পারলে হয়তো অন্যরকম কিছু হতে পারতো। ডেভিড ওয়ার্নার পরে দেড়শর বেশি রান করেছে আরো।’ অন্যদিকে, ব্যাটিংয়ে দারুণ হলেও ভুল তো থেকেই যাচ্ছে। তামিম ইকবালের ভুল ডাকে দারুণ খেলতে থাকা সৌম্য সরকার যেভাবে আউট হয়েছেন সেটিও দলের হারের জন্য একটি কারণ হতে পারে। শুধু তাই নয়, তামিম ৬০ রান করে সেট হয়ে যেভাবে বাজে শটে আউট হয়েছেন তাও দায়ী হতে পারে এই হারের জন্য। সুযোগ পেয়েছিলেন সাব্বির রহমান, কিন্তু একাই লড়াই করতে থাকা মুশফিককে সঙ্গ দিতে ব্যর্থ হয়েছেন। তবে তামিম তার ব্যর্থতা যেমন স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘হয়তো বা হিসেবের মতো যাচ্ছে না। যখন শুরু করেছিলাম একটু ডাউন ছিলাম। শেষ দুই ইনিংসে লাকটা যদি একটু ওপরে নিচে ভালো হতো তাহলে ইনিংসগুলো বড় হতে পারতো। আজকেও দেখেন নরম্যালি এ শটটা আমি খুব ভালো খেলি। কিন্তু আজ আমার দিন ছিল না। আমার কাছে মনে হয় আমি ভালো অবস্থায় আছি, শুধু একটা ইনিংসের প্রয়োজন যেটা আমি বড় করতে পারি। সমস্যা হচ্ছে আমাদের হাতে সেই সময়টা নেই।’
তবে এখন আর আক্ষেপ করে কি লাভ! শেষ তিন ম্যাচে জিতেই নিজেদের ভাগ্য কিছুটা হলেও সঙ্গ দিতে পারে। তার জন্য নিজেদের সেরা খেলাটাই খেলতে হবে জান প্রাণ দিয়ে। সেটি কতটা সম্ভব এখন সময়ই বলে দেবে!
এরপর শেষ দুই ম্যাচ প্রতিবেশী ভারত ও পাকিস্তান।
হারাতে হবে শক্তিশালী এই দুই দলকেও। তা সম্ভব হলে নামের পাশে যোগ হবে ১১ পয়েন্ট। কিন্তু এখন পর্যন্ত যে হিসেব, তাতে শেষ তিন ম্যাচ জিতলেও সেমিফাইনাল যে নিশ্চিত হবে তাও নয়। কারণ ছয় ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে অস্ট্রেলিয়া। এক ম্যাচ কম খেলে ৯ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে নিউজিল্যান্ড। একই সমান ম্যাচ খেলে ৮ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে ইংল্যান্ড ও মাত্র ৪ ম্যাচ খেলে ৭ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে ভারত। বলার অপেক্ষা রাখে না শেষ পর্যন্ত এই চার দলের হারজিতের দিকেও তাকিয়ে থাকতে হবে। তিন ম্যাচের একটিতে হারলেও স্বপ্নের রং আরো ফিকে হয়ে আসবে।
অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হার নিয়ে এখনো আক্ষেপ করে ফেরেন। দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়েও সেই ম্যাচে জয় হাতছাড়া করে অনেকটাই পিছিয়ে গেছে বাংলাদেশ। অধিনায়কের কথায় সেই হার মানে- ‘বড় ক্ষতি’। এরপর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেসে যায়। এখানে এক পয়েন্ট নিয়ে ভাগ্যকে দোষ দেয়া ছাড়া কি-ই বা করার আছে অধিনায়কের! তবে টনটন থেকে ফের উড়ে চলার জ্বালানি নিয়ে নটিংহ্যামে এসেছিল বাংলাদেশ। ৩২২ রানের লক্ষ্য তাড়া করে হারিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। সেই আত্মবিশ্বাসে সুযোগ এসেছিল অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার।
কিন্তু হলো না, অজিদের বিপক্ষে আবারো মাটিতে নেমে এলো বাংলাদেশ। নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসে রেকর্ড রান করেই জিততে ব্যর্থ হয়েছে মাশরাফি বিন মুর্তজার দল। ৩৮২ রান তাড়া করতে নেমে ২ উইকেট হাতে রেখেই ৩৩৩ রানে থামতে হয়েছে টাইগারদের। না, ব্যাটিং ব্যর্থতা বলার কোনো কারণ নেই। তাহলে দায়টা কার! বলার অপেক্ষা রাখে না সাদামাটা বোলিং সেই সঙ্গে বাজে ফিল্ডিং। কারণ অজিরা শেষ ১০ ওভারে নিজেদের স্কোর বোর্ডে যোগ করেছে ১৩১ রান। শুধু কি তাই ম্যাচের পঞ্চম ওভারেই আউট করা যেত ডেভিড ওয়ার্নারকে। মাশরাফির বলেই ১০ রানে পয়েন্টে সাব্বির রহমানের কাছে ক্যাচ দিয়ে বেঁচে যান তিনি। সাব্বিরের সামনে সুযোগ এসেছিল ৭০ রানে ওয়ার্নারকে রান আউট করারও। সেই শেষ আউট হয়েছেন ৪৫তম ওভারে। নামের পাশে তখন ১৪৭ বলে ১৬৬ রান!
দলের এমন পারফরমেন্সে অধিনায়কের আক্ষেপ ছাড়া কি-ই বা করার আছে! তবে সুযোগ নিতে পারলে যে দারুণ হতো সেটিও বলেছেন অকপটে। তিনি বলেন, ‘কিছু সুযোগ আমরা সৃষ্টি করতে পেরেছিলাম। এই ধরনের ম্যাচে ওসব সুযোগ নিতেই হবে। বরং হাফচান্সগুলোও ফুল করে নিতে হয়। ওই সুযোগ নিতে পারলে হয়তো অন্যরকম কিছু হতে পারতো। ডেভিড ওয়ার্নার পরে দেড়শর বেশি রান করেছে আরো।’ অন্যদিকে, ব্যাটিংয়ে দারুণ হলেও ভুল তো থেকেই যাচ্ছে। তামিম ইকবালের ভুল ডাকে দারুণ খেলতে থাকা সৌম্য সরকার যেভাবে আউট হয়েছেন সেটিও দলের হারের জন্য একটি কারণ হতে পারে। শুধু তাই নয়, তামিম ৬০ রান করে সেট হয়ে যেভাবে বাজে শটে আউট হয়েছেন তাও দায়ী হতে পারে এই হারের জন্য। সুযোগ পেয়েছিলেন সাব্বির রহমান, কিন্তু একাই লড়াই করতে থাকা মুশফিককে সঙ্গ দিতে ব্যর্থ হয়েছেন। তবে তামিম তার ব্যর্থতা যেমন স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘হয়তো বা হিসেবের মতো যাচ্ছে না। যখন শুরু করেছিলাম একটু ডাউন ছিলাম। শেষ দুই ইনিংসে লাকটা যদি একটু ওপরে নিচে ভালো হতো তাহলে ইনিংসগুলো বড় হতে পারতো। আজকেও দেখেন নরম্যালি এ শটটা আমি খুব ভালো খেলি। কিন্তু আজ আমার দিন ছিল না। আমার কাছে মনে হয় আমি ভালো অবস্থায় আছি, শুধু একটা ইনিংসের প্রয়োজন যেটা আমি বড় করতে পারি। সমস্যা হচ্ছে আমাদের হাতে সেই সময়টা নেই।’
তবে এখন আর আক্ষেপ করে কি লাভ! শেষ তিন ম্যাচে জিতেই নিজেদের ভাগ্য কিছুটা হলেও সঙ্গ দিতে পারে। তার জন্য নিজেদের সেরা খেলাটাই খেলতে হবে জান প্রাণ দিয়ে। সেটি কতটা সম্ভব এখন সময়ই বলে দেবে!
No comments