ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ডিজির দুর্নীতি: আলেমসমাজ বিব্রত ও ক্ষুব্ধ
বাংলাদেশের
গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক
(ডিজি) সামীম মোহাম্মদ আফজালের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এবং সেটাকে
কেন্দ্র করে তাকে অপসারণ বা তার পদত্যাগের বিষয় নিয়ে দেশের আলেমসমাজ বিব্রত
এবং ক্ষুব্ধ।
ক্ষমতার অপব্যবহার ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগে গত ১০ জুন সোমবার ডিজিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় ধর্ম মন্ত্রণালয়। তার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিলের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে কেন অবহিত করা হবে না তা সাত কার্যদিবসের মধ্যে ধর্ম মন্ত্রণালয়কে লিখিতভাবে জানাতে বলা হয়। তবে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য মিছবাহুর রহমান চৌধুরী জানান, ডিজিকে শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে পদত্যাগের পরামর্শ দিলে তিনি তাতে রাজী হন নি।
এ নিয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের টেলিফোন রিসিভ না করে তার ব্যক্তিগত কর্মকর্তার মাধ্যমে জানিয়েছেন, তিনি সরকারের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্ত। সরকারপ্রধান তার চুক্তি বাতিল করে যদি অন্য কাউকে নিয়োগ করেন সেটা সরকারের বিষয়।
এ প্রসঙ্গে জাতীয় তফসির পরিষদ, বাংলাদেশ-এর চেয়ারম্যান মাওলানা আহমেদ আবদুল কাইউম রেডিও তেহারানকে জানান, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মতো গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে এরকম দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার খবরে দেশের আলেমসমাজ ক্ষুব্ধ।
অনুরূপ মন্তব্য করে বাংলাদেশ ওলামা মাশায়েখ ঐক্যজোটের কেন্দ্রীয় সভাপতি মুফতি আবদুল হালিম সিরাজী বলেন, রাজনৈতিক বিবেচনায় কাউকে নিয়োগ দেয়া হলেও বিজ্ঞ আলেম সমাজের সাথে আলোচনার ভিত্তিতে যোগ্য ও সৎ ব্যক্তিকে এরকম গুরুত্বপূর্ণ পদে বসানো উচিত।
একইরকম মন্তব্য করেছেন, বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব মাওলানা ইউনুস আহমাদ।
উল্লেখ্য, ঢাকার একটি দৈনিকে ‘বায়তুল মোকাররমের পিলার গায়েব’ শিরোনামে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ হলে প্রচণ্ড চাপে পড়েন ডিজি সামীম। এ বিষয়ে অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে ডিজি উল্টো তদন্তকারী কর্মকর্তাকে অবৈধভাবে বরখাস্ত করেন। এ ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটিতে ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দেয়।
এরই মাঝে, গত শনিবার সরকারি ছুটির দিনে আগারগাঁওস্থ ইসলামিক ফাউন্ডেশন ভবনে প্রবেশ করেন বিতর্কিত ডিজি সামীম মোহাম্মদ আফজাল। এ সময় তিনি তার দপ্তর থেকে গুরুত্বপূর্ণ ফাইল ও নথিপত্র সরিয়ে ফেলছেন- এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে সংস্থার শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী দ্রুত সেখানে উপস্থিত হন এবং ডিজির অফিস ঘেরাও করে রাখেন। পরে ইফার বোর্ড অব গভর্নরসের সদস্য আলহাজ মিছবাহুর রহমান, ইফার সচিব কাজী নুরু ইসলাম ও আইন উপদেষ্টা এ আর মাসউদ সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। তারা ডিজির সাথে কথা বলেন এবং তার পদত্যাগের বিষয়েও আলাপ করেন। একপর্যায়ে তাদের সহায়তায় ডিজি সামীম মোহাম্মদ আফজাল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাহারায় অফিস ত্যাগ করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, অন্যত্র সরিয়ে ফেলার জন্য আনুমানিক ৪০টি ফাইল ডিজির গাড়িতে ওঠানো হয়েছিল। কিন্তু কর্মচারী কর্মকর্তাদের বাধার মুখে সেগুলো গাড়ি থেকে নামিয়ে আবার অফিসের লকারে রাখা হয়েছে।
ক্ষমতার অপব্যবহার ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগে গত ১০ জুন সোমবার ডিজিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় ধর্ম মন্ত্রণালয়। তার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিলের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে কেন অবহিত করা হবে না তা সাত কার্যদিবসের মধ্যে ধর্ম মন্ত্রণালয়কে লিখিতভাবে জানাতে বলা হয়। তবে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য মিছবাহুর রহমান চৌধুরী জানান, ডিজিকে শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে পদত্যাগের পরামর্শ দিলে তিনি তাতে রাজী হন নি।
এ নিয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের টেলিফোন রিসিভ না করে তার ব্যক্তিগত কর্মকর্তার মাধ্যমে জানিয়েছেন, তিনি সরকারের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্ত। সরকারপ্রধান তার চুক্তি বাতিল করে যদি অন্য কাউকে নিয়োগ করেন সেটা সরকারের বিষয়।
এ প্রসঙ্গে জাতীয় তফসির পরিষদ, বাংলাদেশ-এর চেয়ারম্যান মাওলানা আহমেদ আবদুল কাইউম রেডিও তেহারানকে জানান, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মতো গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে এরকম দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার খবরে দেশের আলেমসমাজ ক্ষুব্ধ।
অনুরূপ মন্তব্য করে বাংলাদেশ ওলামা মাশায়েখ ঐক্যজোটের কেন্দ্রীয় সভাপতি মুফতি আবদুল হালিম সিরাজী বলেন, রাজনৈতিক বিবেচনায় কাউকে নিয়োগ দেয়া হলেও বিজ্ঞ আলেম সমাজের সাথে আলোচনার ভিত্তিতে যোগ্য ও সৎ ব্যক্তিকে এরকম গুরুত্বপূর্ণ পদে বসানো উচিত।
একইরকম মন্তব্য করেছেন, বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব মাওলানা ইউনুস আহমাদ।
উল্লেখ্য, ঢাকার একটি দৈনিকে ‘বায়তুল মোকাররমের পিলার গায়েব’ শিরোনামে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ হলে প্রচণ্ড চাপে পড়েন ডিজি সামীম। এ বিষয়ে অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে ডিজি উল্টো তদন্তকারী কর্মকর্তাকে অবৈধভাবে বরখাস্ত করেন। এ ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটিতে ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দেয়।
এরই মাঝে, গত শনিবার সরকারি ছুটির দিনে আগারগাঁওস্থ ইসলামিক ফাউন্ডেশন ভবনে প্রবেশ করেন বিতর্কিত ডিজি সামীম মোহাম্মদ আফজাল। এ সময় তিনি তার দপ্তর থেকে গুরুত্বপূর্ণ ফাইল ও নথিপত্র সরিয়ে ফেলছেন- এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে সংস্থার শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী দ্রুত সেখানে উপস্থিত হন এবং ডিজির অফিস ঘেরাও করে রাখেন। পরে ইফার বোর্ড অব গভর্নরসের সদস্য আলহাজ মিছবাহুর রহমান, ইফার সচিব কাজী নুরু ইসলাম ও আইন উপদেষ্টা এ আর মাসউদ সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। তারা ডিজির সাথে কথা বলেন এবং তার পদত্যাগের বিষয়েও আলাপ করেন। একপর্যায়ে তাদের সহায়তায় ডিজি সামীম মোহাম্মদ আফজাল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাহারায় অফিস ত্যাগ করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, অন্যত্র সরিয়ে ফেলার জন্য আনুমানিক ৪০টি ফাইল ডিজির গাড়িতে ওঠানো হয়েছিল। কিন্তু কর্মচারী কর্মকর্তাদের বাধার মুখে সেগুলো গাড়ি থেকে নামিয়ে আবার অফিসের লকারে রাখা হয়েছে।
No comments