বাংলাদেশই সবচেয়ে অভিজ্ঞ এ বিশ্বকাপে by তারেক মাহমুদ
এর
আগে তিনটি বিশ্বকাপ খেলা চার ক্রিকেটার আছেন শুধু বাংলাদেশ দলেই। এবারই
প্রথম বিশ্বকাপ খেলবেন বাংলাদেশের সাত ক্রিকেটার। তবে আগে বিশ্বকাপ না-খেলা
খেলোয়াড় এর চেয়ে কম নেই কোনো দলেই।
চিন্তাটা দুইভাবে করা যায়। অনেকটা অর্ধেক গ্লাস ভরা না অর্ধেক গ্লাস খালির মতো। এর আগে তিনটি বিশ্বকাপ খেলেছেন বাংলাদেশের চার ক্রিকেটার। নিশ্চয়ই দলটা অভিজ্ঞতায় অনেক ভারী হবে। কিন্তু এই দলেই যে আবার সাত ক্রিকেটার আছেন, যাঁরা আগে কখনো বিশ্বকাপ খেলেননি! এখন সাতের ওজন বেশি না চারের ওজন? দলটা অভিজ্ঞ হলো নাকি অনভিজ্ঞ?
২০১৯ ইংল্যান্ড বিশ্বকাপের দশ দলের মধ্যে কাল পর্যন্ত ঘোষিত আট দলের খেলোয়াড় তালিকা দেখলে এটা মনে হওয়া খুবই স্বাভাবিক যে এবার বাংলাদেশই সবচেয়ে অভিজ্ঞ দল নিয়ে বিশ্বকাপ খেলতে যাচ্ছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং আফগানিস্তান কাল পর্যন্ত দল ঘোষণা করেনি। আফগানিস্তান এবার খেলবে দ্বিতীয় বিশ্বকাপ। বাংলাদেশের চেয়ে তাদের অভিজ্ঞ হওয়ার কোনো কারণ নেই। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে ক্রিস গেইল থাকলে ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যানের সেটি হবে পঞ্চম বিশ্বকাপ। চোটের কারণে ২০১১ সালে ঘরের মাঠের বিশ্বকাপটা মিস না করলে গেইলের মতো এবার পঞ্চম বিশ্বকাপ খেলতেন বাংলাদেশের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজাও।
মাশরাফি প্রথম বিশ্বকাপ খেলেছেন ২০০৩ সালে। তামিম ইকবাল, সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম ২০০৭ সাল থেকেই বাংলাদেশের বিশ্বকাপ-সঙ্গী। মাহমুদউল্লাহ ও রুবেল হোসেনের এটি হবে তৃতীয় বিশ্বকাপ। ২০১৫ বিশ্বকাপের দলেও থাকায় সাব্বির রহমান এবং সৌম্য সরকারের এবারেরটিসহ বিশ্বকাপ খেলা হবে দুটি। দলের সাত ক্রিকেটার লিটন দাস, মোহাম্মদ মিঠুন, মেহেদী হাসান মিরাজ, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, মোসাদ্দেক হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান ও আবু জায়েদ বিশ্বকাপ খেলবেন এই প্রথম।
বিশ্বকাপের অভিজ্ঞতা অন্যদের চেয়ে তাতেও খুব একটা কমছে না বাংলাদেশের। কারণ সবচেয়ে বেশি তিন বিশ্বকাপ খেলা ক্রিকেটার যেমন বাংলাদেশ দলেই আছে, তেমনি আগে কখনো বিশ্বকাপ খেলেনি, এমন ক্রিকেটারও সাতজনের কম নেই কোনো দলে।
বাংলাদেশের চারজন বাদ দিলে কাল পর্যন্ত ঘোষিত সব দল মিলিয়েই এবার তিন বিশ্বকাপ খেলা ক্রিকেটার আছেন মাত্র তিনজন। ভারতের মহেন্দ্র সিং ধোনি, নিউজিল্যান্ডের রস টেলর ও শ্রীলঙ্কার লাসিথ মালিঙ্গা। অস্ট্রেলিয়া দলের খেলোয়াড়দের এর আগে সর্বোচ্চ দুটি বিশ্বকাপে খেলার অভিজ্ঞতা আছে, তা-ও শুধু স্টিভেন স্মিথের। তাঁদের ১৫ জনের দলের ৯ জনেরই বিশ্বকাপে খেলার অভিজ্ঞতা এবার প্রথম হবে। একটি বিশ্বকাপ খেলার অভিজ্ঞতা আছে পাঁচজনের।
স্বাগতিক ইংল্যান্ডের হয়েও এর আগে দুটি বিশ্বকাপ খেলেছেন মাত্র একজন, অধিনায়ক এউইন মরগান। ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ অভিষেক হবে আটজনের। বাকি ছয়জনের জন্য এটি দ্বিতীয় বিশ্বকাপ। এর মধ্যে লিয়াম প্লাঙ্কেট আবার বিশ্বকাপ দলে ফিরেছেন ২০০৭-এর পর।
ভারতীয় দলে ধোনির পর অভিজ্ঞতম ‘বিশ্বকাপার’ বিরাট কোহলি। এ নিয়ে তৃতীয় বিশ্বকাপ খেলবেন ভারত অধিনায়ক। বাকিদের মধ্যে সাতজন এই প্রথম গায়ে মাখবেন রোমাঞ্চটা। ছয়জনের জন্য এটি দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপ দলে নাম লেখানো। এর মধ্যে দিনেশ কার্তিক ২০০৭ বিশ্বকাপের দলে থাকলেও কোনো ম্যাচ খেলেননি।
অভিজ্ঞতা আর তারুণ্যের ভারসাম্যে নিউজিল্যান্ডকে বাংলাদেশের কাছাকাছি ধরা যায়। তাঁদের ৯ জনের জন্য এটি যেমন প্রথম বিশ্বকাপ, তেমনি বিশ্বকাপ খেলার অভিজ্ঞতাও আছে ছয়জনের। তিন বিশ্বকাপ খেলার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন টেলরের সঙ্গে আছেন দুটি করে বিশ্বকাপ খেলা কেন উইলিয়ামসন, টিম সাউদি ও মার্টিন গাপটিল। ম্যাট হেনরি আর ট্রেন্ট বোল্ট খেলেছেন ২০১৫ বিশ্বকাপে।
১৯৭৫ সালে বিশ্বকাপে অভিষেক পাকিস্তানের। এরপর এবারই সম্ভবত সবচেয়ে অনভিজ্ঞ দল খেলাবে তারা। ১৯৭৫ সালের বিশ্বকাপ দলের সবার জন্যই ছিল বিশ্বমঞ্চে প্রথম খেলার অভিজ্ঞতা। আর এবার বিশ্বকাপে প্রথম খেলবেন ১৫ জনের ১১ জনই। বাকিদের মধ্যে সর্বোচ্চ দুটি বিশ্বকাপ খেলেছেন মোহাম্মদ হাফিজ। অবশ্য দলে থাকলেও হাফিজের বিশ্বকাপ খেলা নির্ভর করছে তাঁর হাতের চোট পুরোপুরি সেরে ওঠার ওপর। দলে থাকা শোয়েব মালিক, সরফরাজ আহমেদ ও হারিস সোহেলের এটি হবে দ্বিতীয় বিশ্বকাপ।
প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন দল ঘোষণার দিনই জানিয়েছেন অভিজ্ঞতাকে প্রাধান্য দেওয়ার কথা। সাবেক প্রধান নির্বাচক ফারুক আহমেদও কাল আস্থা রাখলেন অভিজ্ঞদের ওপরই, ‘আমরা ২০১৭ চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমিফাইনালে খেলেছি। এবারও একই কন্ডিশনে খেলা হচ্ছে। সেটা যদি খেলোয়াড়েরা মনে রাখে এবং সিনিয়ররা ভালো খেলে, তাহলে এবার আমাদের ভালো কিছু করার সম্ভাবনা আছে।’
বিশ্বকাপের সবচেয়ে অভিজ্ঞ দলের কাছে এটুকু প্রত্যাশা তো করা যায়ই।
চিন্তাটা দুইভাবে করা যায়। অনেকটা অর্ধেক গ্লাস ভরা না অর্ধেক গ্লাস খালির মতো। এর আগে তিনটি বিশ্বকাপ খেলেছেন বাংলাদেশের চার ক্রিকেটার। নিশ্চয়ই দলটা অভিজ্ঞতায় অনেক ভারী হবে। কিন্তু এই দলেই যে আবার সাত ক্রিকেটার আছেন, যাঁরা আগে কখনো বিশ্বকাপ খেলেননি! এখন সাতের ওজন বেশি না চারের ওজন? দলটা অভিজ্ঞ হলো নাকি অনভিজ্ঞ?
২০১৯ ইংল্যান্ড বিশ্বকাপের দশ দলের মধ্যে কাল পর্যন্ত ঘোষিত আট দলের খেলোয়াড় তালিকা দেখলে এটা মনে হওয়া খুবই স্বাভাবিক যে এবার বাংলাদেশই সবচেয়ে অভিজ্ঞ দল নিয়ে বিশ্বকাপ খেলতে যাচ্ছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং আফগানিস্তান কাল পর্যন্ত দল ঘোষণা করেনি। আফগানিস্তান এবার খেলবে দ্বিতীয় বিশ্বকাপ। বাংলাদেশের চেয়ে তাদের অভিজ্ঞ হওয়ার কোনো কারণ নেই। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে ক্রিস গেইল থাকলে ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যানের সেটি হবে পঞ্চম বিশ্বকাপ। চোটের কারণে ২০১১ সালে ঘরের মাঠের বিশ্বকাপটা মিস না করলে গেইলের মতো এবার পঞ্চম বিশ্বকাপ খেলতেন বাংলাদেশের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজাও।
মাশরাফি প্রথম বিশ্বকাপ খেলেছেন ২০০৩ সালে। তামিম ইকবাল, সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম ২০০৭ সাল থেকেই বাংলাদেশের বিশ্বকাপ-সঙ্গী। মাহমুদউল্লাহ ও রুবেল হোসেনের এটি হবে তৃতীয় বিশ্বকাপ। ২০১৫ বিশ্বকাপের দলেও থাকায় সাব্বির রহমান এবং সৌম্য সরকারের এবারেরটিসহ বিশ্বকাপ খেলা হবে দুটি। দলের সাত ক্রিকেটার লিটন দাস, মোহাম্মদ মিঠুন, মেহেদী হাসান মিরাজ, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, মোসাদ্দেক হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান ও আবু জায়েদ বিশ্বকাপ খেলবেন এই প্রথম।
বিশ্বকাপের অভিজ্ঞতা অন্যদের চেয়ে তাতেও খুব একটা কমছে না বাংলাদেশের। কারণ সবচেয়ে বেশি তিন বিশ্বকাপ খেলা ক্রিকেটার যেমন বাংলাদেশ দলেই আছে, তেমনি আগে কখনো বিশ্বকাপ খেলেনি, এমন ক্রিকেটারও সাতজনের কম নেই কোনো দলে।
বাংলাদেশের চারজন বাদ দিলে কাল পর্যন্ত ঘোষিত সব দল মিলিয়েই এবার তিন বিশ্বকাপ খেলা ক্রিকেটার আছেন মাত্র তিনজন। ভারতের মহেন্দ্র সিং ধোনি, নিউজিল্যান্ডের রস টেলর ও শ্রীলঙ্কার লাসিথ মালিঙ্গা। অস্ট্রেলিয়া দলের খেলোয়াড়দের এর আগে সর্বোচ্চ দুটি বিশ্বকাপে খেলার অভিজ্ঞতা আছে, তা-ও শুধু স্টিভেন স্মিথের। তাঁদের ১৫ জনের দলের ৯ জনেরই বিশ্বকাপে খেলার অভিজ্ঞতা এবার প্রথম হবে। একটি বিশ্বকাপ খেলার অভিজ্ঞতা আছে পাঁচজনের।
স্বাগতিক ইংল্যান্ডের হয়েও এর আগে দুটি বিশ্বকাপ খেলেছেন মাত্র একজন, অধিনায়ক এউইন মরগান। ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ অভিষেক হবে আটজনের। বাকি ছয়জনের জন্য এটি দ্বিতীয় বিশ্বকাপ। এর মধ্যে লিয়াম প্লাঙ্কেট আবার বিশ্বকাপ দলে ফিরেছেন ২০০৭-এর পর।
ভারতীয় দলে ধোনির পর অভিজ্ঞতম ‘বিশ্বকাপার’ বিরাট কোহলি। এ নিয়ে তৃতীয় বিশ্বকাপ খেলবেন ভারত অধিনায়ক। বাকিদের মধ্যে সাতজন এই প্রথম গায়ে মাখবেন রোমাঞ্চটা। ছয়জনের জন্য এটি দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপ দলে নাম লেখানো। এর মধ্যে দিনেশ কার্তিক ২০০৭ বিশ্বকাপের দলে থাকলেও কোনো ম্যাচ খেলেননি।
অভিজ্ঞতা আর তারুণ্যের ভারসাম্যে নিউজিল্যান্ডকে বাংলাদেশের কাছাকাছি ধরা যায়। তাঁদের ৯ জনের জন্য এটি যেমন প্রথম বিশ্বকাপ, তেমনি বিশ্বকাপ খেলার অভিজ্ঞতাও আছে ছয়জনের। তিন বিশ্বকাপ খেলার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন টেলরের সঙ্গে আছেন দুটি করে বিশ্বকাপ খেলা কেন উইলিয়ামসন, টিম সাউদি ও মার্টিন গাপটিল। ম্যাট হেনরি আর ট্রেন্ট বোল্ট খেলেছেন ২০১৫ বিশ্বকাপে।
১৯৭৫ সালে বিশ্বকাপে অভিষেক পাকিস্তানের। এরপর এবারই সম্ভবত সবচেয়ে অনভিজ্ঞ দল খেলাবে তারা। ১৯৭৫ সালের বিশ্বকাপ দলের সবার জন্যই ছিল বিশ্বমঞ্চে প্রথম খেলার অভিজ্ঞতা। আর এবার বিশ্বকাপে প্রথম খেলবেন ১৫ জনের ১১ জনই। বাকিদের মধ্যে সর্বোচ্চ দুটি বিশ্বকাপ খেলেছেন মোহাম্মদ হাফিজ। অবশ্য দলে থাকলেও হাফিজের বিশ্বকাপ খেলা নির্ভর করছে তাঁর হাতের চোট পুরোপুরি সেরে ওঠার ওপর। দলে থাকা শোয়েব মালিক, সরফরাজ আহমেদ ও হারিস সোহেলের এটি হবে দ্বিতীয় বিশ্বকাপ।
প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন দল ঘোষণার দিনই জানিয়েছেন অভিজ্ঞতাকে প্রাধান্য দেওয়ার কথা। সাবেক প্রধান নির্বাচক ফারুক আহমেদও কাল আস্থা রাখলেন অভিজ্ঞদের ওপরই, ‘আমরা ২০১৭ চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমিফাইনালে খেলেছি। এবারও একই কন্ডিশনে খেলা হচ্ছে। সেটা যদি খেলোয়াড়েরা মনে রাখে এবং সিনিয়ররা ভালো খেলে, তাহলে এবার আমাদের ভালো কিছু করার সম্ভাবনা আছে।’
বিশ্বকাপের সবচেয়ে অভিজ্ঞ দলের কাছে এটুকু প্রত্যাশা তো করা যায়ই।
No comments