বহুতল ভবনগুলোর নকশার সঙ্গে বাস্তবের মিল খুঁজে পাচ্ছে না রাজউক
বাস্তবের
সঙ্গে ঢাকার বহুতল ভবনগুলোর নকশার মিল খুঁজে পাচ্ছে না রাজধানী উন্নয়ন
কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। বহুতল ভবন নিয়ে এরই মধ্যে রাজউকে আট জোনের রিপোর্ট তৈরি
হচ্ছে। পরিদর্শক দলগুলো তাদের সরজমিন প্রতিবেদনে দেখা যায়, নকশা অনুমোদনের
সঙ্গে বাস্তবের মিল খুব কম। রাজউক সূত্রে জানা গেছে, প্রথম পর্যায়ে ১০তম
তলার উপরে যেসব বহুতল ভবন রয়েছে ওই ভবনগুলোর নকশা চাওয়া হচ্ছে। ওই তালিকা
তৈরির পর ১০ম তলা পর্যন্ত ভবনগুলোর তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। এরপর অ্যাকশন
প্ল্যান তৈরি করা হবে।
সবগুলো ভবন এক সঙ্গে সার্ভে করা সম্ভব না হওয়ায় এমন পরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রাজউকের আটটি অঞ্চলে ২৪টি দল বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করছে।
পরিদর্শনের সময় দেখা হচ্ছে ভবনটি নকশা অনুযায়ী নির্মিত হয়েছে কিনা, অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থা ঠিক আছে কিনা। পরিদর্শনের সময় বেশির ভাগ ভবনে রাজউক অনুমোদিত নকশার গরমিল এবং অগ্নিনির্বাপণের ব্যবস্থায় দুর্বলতা পাচ্ছে পরিদর্শনকারী দল। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ি, নিজেদের আওতাধীন এলাকায় ১০তম তলার উপরের ভবনগুলোর প্রতিবেদন দিতে হবে রাজউককে। এজন্য দলগুলো সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কাজ করে যাচ্ছে।
রাজউক অঞ্চল-৪ এর পরিচালক মো. মামুন মিয়া মানবজমিনকে বলেন, পরিদর্শন করতে গিয়ে দেখা যাচ্ছে, বেশিরভাগ ভবনই নকশাবহির্ভূতভাবে নির্মাণ করা হয়েছে। নতুন ভবনগুলো নির্মাণে নকশার ব্যত্যয় তেমন করা হয়নি, তবে পুরনো ভবনগুলোর অধিকাংশই নকশাবহির্ভূতভাবে নির্মাণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, নতুন ভবনে মোটামুটি ফায়ার সেফটির ব্যবস্থা রয়েছে। পুরনোগুলোর অবস্থা ভালো নয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রাজউকের পরিদর্শনে দেখা হচ্ছে, ভবনে ফায়ার সেফটির ব্যবস্থা রয়েছে কি-না, ভবনের চারপাশে খোলা জায়গা রাখা হয়েছে কি-না, ৭ তলার অনুমোদন নিয়ে ৮ তলা নির্মাণ হয়েছে কি-না, নকশার ব্যত্যয় হয়েছে কিনা, আবাসিকের অনুমোদন নিয়ে বাণিজ্যিক, ইমারজেন্সি সিঁড়িগুলো বিভিন্ন কারণে আটকে রাখা হয়েছে কি-না এসব বিষয়সহ নানা কিছু। রাজউকের এক কর্মকর্তা জানান, রাজউকের দলগুলো ভবনে গিয়ে প্রথমেই কর্তৃপক্ষের কাছে নকশা চেয়ে নেন। তারপর নকশার সঙ্গে বাস্তবের মিল খুঁজে বের করা হয়। এ জন্য তারা ভবনের ছাদে উঠে নকশা অনুযায়ী মাপ ঠিক আছে কি-না দেখেন। পরে তারা প্রত্যেক তলা পরিদর্শন করেন। ভবনগুলোতে পরামর্শ মতো অগ্নিনির্বাপণ সামগ্রী রাখা হয়েছে কি-না তাও যাচাই করেন তারা। ছোটখাটো ক্রুটি থাকলে তা ভবন মালিককে নিজ উদ্যোগে সমাধানের নির্দেশ দেন। আর বড় সমস্যাগুলো লিখে নিয়ে আসেন। তবে এখনই চিহ্নিত সমস্যাগুলো রাজউক প্রকাশ করতে চাইছে না।
রাজউক অঞ্চল-৫-এর পরিচালক শাহ আলম চৌধুরী বলেন, উঁচু ভবনগুলোর তথ্য সংগ্রহ করছি আমরা। তথ্য সংগ্রহের পর কোন ভবনে কি ব্যত্যয় ঘটেছে, তা জানানো হতে পারে। এদিকে রাজউকের জোন-১ এর পরিচালক মো. আবদুল মতিন ও অথরাইজড অফিসার সরদার মুহাম্মদ মাহবুবুর রহমানের নেতৃত্বে আশুলিয়া ও ধামসোনা, জোন-২ এর অথরাইজড অফিসার মো. আশরাফুল ইসলামের নেতৃত্বে উত্তরা, টঙ্গী ও গাজীপুর এলাকা, জোন-৩ এর পরিচালক, মু. খায়রুজ্জামান ও অথরাইজড অফিসার মো. মোবারক হোসেনের নেতৃত্বে সাভার ও মিরপুর, জোন-৪ এর পরিচালক মোহাম্মদ মামুন মিয়া ও অথরাইজড অফিসার সেগুফতা শারমীনের নেতৃত্বে গুলশান, বনানী, মহাখালী ও পূর্বাচল, জোন-৫ এর পরিচালক মো. শাহ আলম চৌধুরী ও অথরাইজড অফিসার মো. নুরুজ্জামান জাহিরের নেতৃত্বে ধানমন্ডি ও লালবাগ, জোন-৭ এর পরিচালক আনন্দ কুমার বিশ্বাস ও অথরাইজড অফিসার নূর আলমের নেতৃত্বে কেরানীগঞ্জ, জুরাইন, সূত্রাপুর ও ওয়ারী এবং জোন-৮ এর অথরাইজড অফিসার মো. মাকিদ এহসানের নেতৃত্বে ডেমরা, নারায়ণগঞ্জ ও সোনারগাঁও এলাকায় অভিযান পরিচালিত হচ্ছে।
সবগুলো ভবন এক সঙ্গে সার্ভে করা সম্ভব না হওয়ায় এমন পরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রাজউকের আটটি অঞ্চলে ২৪টি দল বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করছে।
পরিদর্শনের সময় দেখা হচ্ছে ভবনটি নকশা অনুযায়ী নির্মিত হয়েছে কিনা, অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থা ঠিক আছে কিনা। পরিদর্শনের সময় বেশির ভাগ ভবনে রাজউক অনুমোদিত নকশার গরমিল এবং অগ্নিনির্বাপণের ব্যবস্থায় দুর্বলতা পাচ্ছে পরিদর্শনকারী দল। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ি, নিজেদের আওতাধীন এলাকায় ১০তম তলার উপরের ভবনগুলোর প্রতিবেদন দিতে হবে রাজউককে। এজন্য দলগুলো সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কাজ করে যাচ্ছে।
রাজউক অঞ্চল-৪ এর পরিচালক মো. মামুন মিয়া মানবজমিনকে বলেন, পরিদর্শন করতে গিয়ে দেখা যাচ্ছে, বেশিরভাগ ভবনই নকশাবহির্ভূতভাবে নির্মাণ করা হয়েছে। নতুন ভবনগুলো নির্মাণে নকশার ব্যত্যয় তেমন করা হয়নি, তবে পুরনো ভবনগুলোর অধিকাংশই নকশাবহির্ভূতভাবে নির্মাণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, নতুন ভবনে মোটামুটি ফায়ার সেফটির ব্যবস্থা রয়েছে। পুরনোগুলোর অবস্থা ভালো নয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রাজউকের পরিদর্শনে দেখা হচ্ছে, ভবনে ফায়ার সেফটির ব্যবস্থা রয়েছে কি-না, ভবনের চারপাশে খোলা জায়গা রাখা হয়েছে কি-না, ৭ তলার অনুমোদন নিয়ে ৮ তলা নির্মাণ হয়েছে কি-না, নকশার ব্যত্যয় হয়েছে কিনা, আবাসিকের অনুমোদন নিয়ে বাণিজ্যিক, ইমারজেন্সি সিঁড়িগুলো বিভিন্ন কারণে আটকে রাখা হয়েছে কি-না এসব বিষয়সহ নানা কিছু। রাজউকের এক কর্মকর্তা জানান, রাজউকের দলগুলো ভবনে গিয়ে প্রথমেই কর্তৃপক্ষের কাছে নকশা চেয়ে নেন। তারপর নকশার সঙ্গে বাস্তবের মিল খুঁজে বের করা হয়। এ জন্য তারা ভবনের ছাদে উঠে নকশা অনুযায়ী মাপ ঠিক আছে কি-না দেখেন। পরে তারা প্রত্যেক তলা পরিদর্শন করেন। ভবনগুলোতে পরামর্শ মতো অগ্নিনির্বাপণ সামগ্রী রাখা হয়েছে কি-না তাও যাচাই করেন তারা। ছোটখাটো ক্রুটি থাকলে তা ভবন মালিককে নিজ উদ্যোগে সমাধানের নির্দেশ দেন। আর বড় সমস্যাগুলো লিখে নিয়ে আসেন। তবে এখনই চিহ্নিত সমস্যাগুলো রাজউক প্রকাশ করতে চাইছে না।
রাজউক অঞ্চল-৫-এর পরিচালক শাহ আলম চৌধুরী বলেন, উঁচু ভবনগুলোর তথ্য সংগ্রহ করছি আমরা। তথ্য সংগ্রহের পর কোন ভবনে কি ব্যত্যয় ঘটেছে, তা জানানো হতে পারে। এদিকে রাজউকের জোন-১ এর পরিচালক মো. আবদুল মতিন ও অথরাইজড অফিসার সরদার মুহাম্মদ মাহবুবুর রহমানের নেতৃত্বে আশুলিয়া ও ধামসোনা, জোন-২ এর অথরাইজড অফিসার মো. আশরাফুল ইসলামের নেতৃত্বে উত্তরা, টঙ্গী ও গাজীপুর এলাকা, জোন-৩ এর পরিচালক, মু. খায়রুজ্জামান ও অথরাইজড অফিসার মো. মোবারক হোসেনের নেতৃত্বে সাভার ও মিরপুর, জোন-৪ এর পরিচালক মোহাম্মদ মামুন মিয়া ও অথরাইজড অফিসার সেগুফতা শারমীনের নেতৃত্বে গুলশান, বনানী, মহাখালী ও পূর্বাচল, জোন-৫ এর পরিচালক মো. শাহ আলম চৌধুরী ও অথরাইজড অফিসার মো. নুরুজ্জামান জাহিরের নেতৃত্বে ধানমন্ডি ও লালবাগ, জোন-৭ এর পরিচালক আনন্দ কুমার বিশ্বাস ও অথরাইজড অফিসার নূর আলমের নেতৃত্বে কেরানীগঞ্জ, জুরাইন, সূত্রাপুর ও ওয়ারী এবং জোন-৮ এর অথরাইজড অফিসার মো. মাকিদ এহসানের নেতৃত্বে ডেমরা, নারায়ণগঞ্জ ও সোনারগাঁও এলাকায় অভিযান পরিচালিত হচ্ছে।
No comments