ইরানের সঙ্গে আলোচনায় বসছে সৌদি আরব
প্রথমবারের
মতো বাগদাদে সৌদি আরবের সঙ্গে আলোচনায় বসছে ইরান। ইরাকের মধ্যস্থতায়
অনুষ্ঠিতব্য এক সম্মেলনে সেখানে একত্রিত হবেন দুই দেশের প্রতিনিধিরা।
শত্রুভাবাপন্ন এই দেশ ছাড়াও এ সম্মেলনে অংশ নেবে তুরস্ক, কুয়েত, জর্ডান ও
সিরিয়া। মধ্যপ্রাচ্যের বিদ্যমান অস্থিরতা নিরসনে শনিবার বাগদাদে একদিনের এ
সম্মেলনের উদ্যোগ নিয়েছে ইরাক। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে টিআরটি
ওয়ার্ল্ড।
শনিবার অনুষ্ঠিতব্য একদিনের এ সম্মেলনের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ইরাকি পার্লামেন্ট মুখপাত্র। এতে অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর পার্লামেন্ট প্রধানরা এ আয়োজনে নিজ নিজ দেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন। সিরিয়ার পার্লামেন্ট প্রধান হাম্মুদেহ সাব্বাগ ইতিমধ্যেই নিজ দেশের প্রতিনিধি দল নিয়ে ইরাকে পৌঁছেছেন।
এ সম্মেলনের নেপথ্যে মূল উদ্যোক্তা ইরাকের স্পিকার ৩৮ বছরের মোহাম্মদ আল-হালবুসি। তিনি চাইছেন এ অঞ্চলের দেশগুলো পাশাপাশি বসে আলোচনার মাধ্যমে যেন উত্তেজনার মাত্রা কমিয়ে আনতে সক্ষম হয়।
এ সম্মেলনের আয়োজক দেশ ইরাক ইরানের মিত্র হিসেবে পরিচিত। তবে গত কয়েক বছর ধরে সৌদি আরবের সঙ্গেও সম্পর্কোন্নয়নে মনোযোগী হয় বাগদাদ। সর্বশেষ দুইদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে গত বুধবার সৌদি আরব পৌঁছান ইরাকের প্রধানমন্ত্রী আদিল আবদুল মাহদি। সফরে সৌদি রাজা সালমান বিন আবদুল আজিজ এবং দেশটির ডি ফ্যাক্টো নেতা যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি। এসব সাক্ষাতে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কসহ নানা বিষয়ে আলোচনা হয়।
রাজা, যুবরাজ ছাড়াও রাজপরিবারের সদস্যসহ সৌদি আরবের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গেও সাক্ষাতে মিলিত হন ইরাকি প্রধানমন্ত্রী। ছয় মাস আগে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার পর এটিই তার প্রথম সৌদি সফর। ইরাকি প্রধানমন্ত্রীর দফতরের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তার সরকার সৌদি আরবের সঙ্গে সর্বক্ষেত্রে সম্পর্ক জোরদার করতে চায়। এই সফর সেই প্রত্যাশারই প্রতিফলন।
সাক্ষাৎকালে ইরাকের সাম্প্রতিক অগ্রগতি ও স্থিতিশীলতার প্রশংসা করেন সৌদি রাজা সালমান বিন আবদুল আজিজ। এর আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ইরাকের প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার দেশ সৌদি আরবের সঙ্গে সম্পর্কে বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে প্রস্তুত রয়েছে।
১৯৯০ সালে ইরাকের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেন কুয়েত দখলের পর সৌদি-ইরাক সম্পর্ক স্থবির হয়ে পড়ে। ২০০৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র ইরাক দখলের পর সম্পর্ক পুনরায় প্রতিষ্ঠিত হলেও এ সময় বাগদাদ ইরানের দিকে ঝুঁকে পড়ে। ফলে সৌদি আরবের সঙ্গে শীতল সম্পর্ক তৈরি হয় দেশটির। তবে ২০১৪ সালে হায়দার আল আবাদি ইরাকের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর সৌদি-ইরাক সম্পর্ককে একটি নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে উদ্যোগী হন। ২০১৯ সালের এপ্রিলের গোড়ার দিকে ফের বাগদাদ কনস্যুলেট চালু করতে সম্মত হয় রিয়াদ। সূত্র: টিআরটি ওয়ার্ল্ড, মিডলইস্ট মনিটর।
শনিবার অনুষ্ঠিতব্য একদিনের এ সম্মেলনের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ইরাকি পার্লামেন্ট মুখপাত্র। এতে অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর পার্লামেন্ট প্রধানরা এ আয়োজনে নিজ নিজ দেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন। সিরিয়ার পার্লামেন্ট প্রধান হাম্মুদেহ সাব্বাগ ইতিমধ্যেই নিজ দেশের প্রতিনিধি দল নিয়ে ইরাকে পৌঁছেছেন।
এ সম্মেলনের নেপথ্যে মূল উদ্যোক্তা ইরাকের স্পিকার ৩৮ বছরের মোহাম্মদ আল-হালবুসি। তিনি চাইছেন এ অঞ্চলের দেশগুলো পাশাপাশি বসে আলোচনার মাধ্যমে যেন উত্তেজনার মাত্রা কমিয়ে আনতে সক্ষম হয়।
এ সম্মেলনের আয়োজক দেশ ইরাক ইরানের মিত্র হিসেবে পরিচিত। তবে গত কয়েক বছর ধরে সৌদি আরবের সঙ্গেও সম্পর্কোন্নয়নে মনোযোগী হয় বাগদাদ। সর্বশেষ দুইদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে গত বুধবার সৌদি আরব পৌঁছান ইরাকের প্রধানমন্ত্রী আদিল আবদুল মাহদি। সফরে সৌদি রাজা সালমান বিন আবদুল আজিজ এবং দেশটির ডি ফ্যাক্টো নেতা যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি। এসব সাক্ষাতে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কসহ নানা বিষয়ে আলোচনা হয়।
রাজা, যুবরাজ ছাড়াও রাজপরিবারের সদস্যসহ সৌদি আরবের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গেও সাক্ষাতে মিলিত হন ইরাকি প্রধানমন্ত্রী। ছয় মাস আগে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার পর এটিই তার প্রথম সৌদি সফর। ইরাকি প্রধানমন্ত্রীর দফতরের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তার সরকার সৌদি আরবের সঙ্গে সর্বক্ষেত্রে সম্পর্ক জোরদার করতে চায়। এই সফর সেই প্রত্যাশারই প্রতিফলন।
সাক্ষাৎকালে ইরাকের সাম্প্রতিক অগ্রগতি ও স্থিতিশীলতার প্রশংসা করেন সৌদি রাজা সালমান বিন আবদুল আজিজ। এর আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ইরাকের প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার দেশ সৌদি আরবের সঙ্গে সম্পর্কে বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে প্রস্তুত রয়েছে।
১৯৯০ সালে ইরাকের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেন কুয়েত দখলের পর সৌদি-ইরাক সম্পর্ক স্থবির হয়ে পড়ে। ২০০৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র ইরাক দখলের পর সম্পর্ক পুনরায় প্রতিষ্ঠিত হলেও এ সময় বাগদাদ ইরানের দিকে ঝুঁকে পড়ে। ফলে সৌদি আরবের সঙ্গে শীতল সম্পর্ক তৈরি হয় দেশটির। তবে ২০১৪ সালে হায়দার আল আবাদি ইরাকের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর সৌদি-ইরাক সম্পর্ককে একটি নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে উদ্যোগী হন। ২০১৯ সালের এপ্রিলের গোড়ার দিকে ফের বাগদাদ কনস্যুলেট চালু করতে সম্মত হয় রিয়াদ। সূত্র: টিআরটি ওয়ার্ল্ড, মিডলইস্ট মনিটর।
No comments