‘আমাদের কাজে মানুষ হাসতো’ -দুই সফল তরুণের কথা by পিয়াস সরকার
বয়স
৩০ পেরোয়নি। অনন্য চিন্তা আর বিস্ময়কর প্রতিভা অন্যদের থেকে আলাদা করেছে
তাদের। ঠাঁই পেয়েছেন বিখ্যাত ম্যাগাজিন ফোর্বসের তালিকায়। চলার পথটা অবশ্য
সহজ ছিল না। দুই তরুণ শুনিয়েছেন তাদের জীবনের গল্প, সফলতার কাহিনী। শুরু
অনেকটা শূন্য হাতে। অ্যাপে দেয়া হবে মোটরবাইক সেবা এমন চিন্তা থেকে মাত্র
৩টি মোটর বাইক নিয়ে পথ চলা শুরু। তখন ধারণাটিকেই অনেকে হেসে উড়িয়ে দেন।
তারা প্রশ্ন করতেন মোবাইলে ইন্টারনেট চালায় কয়জন? এতো বাইক পাওয়া যাবে কোথায়? এতো প্রশ্নের মাঝে দৃঢ়তা নিয়ে এগিয়ে যান তরুণ উদ্যোক্তা হুসেইন ইলিয়াস। তার গড়া ‘পাঠাও’ এখন ১০ কোটি ডলারের আর্থিক মূল্যের প্রতিষ্ঠান। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশের ৫টি শহরসহ নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে সেবা দিয়ে আসছে। বর্তমানে তারা ৫০ লাখ গ্রাহককে সেবা দিয়ে যাচ্ছে। চার ধাপে ১ কোটি ২৮ লাখ ডলার পেয়েছে বিনিয়োগ।
মানবজমিন এর সঙ্গে আলাপচারিতায় হুসেইন ইলিয়াস বলেন, পাঠাও যাত্রা শুরু করে ২০১৫ সালে। মাত্র ৩টি বাইক নিয়ে। তিনি বলেন, পাঠাও এমন একটি প্লাটফর্ম যেখানে কয়েক হাজার লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে। আর সেবা নিচ্ছে কয়েক লাখ লোক। এই পাঠাও’র জন্য আমাদের করতে হয়েছে টাইম জোন, পেমেন্ট সিস্টেম, টাইম জোন ও ম্যাপ।
তিনি বলেন, আমরা প্রতিদিন জীবনযাত্রায় যেসব সমস্যার মুখোমুখি হয়ে থাকি সেসব সমস্যা দূর করতেই পাঠাও’র মতো একটা সেবা চালু করার প্রয়োজনবোধ করি। ঢাকায় বড় হয়েছি, দেখে আসছি যানজট শুরু থেকেই এক বড় সমস্যা। যেকোনো স্থানে যেতে লেগে যায় অনেক সময়। সবসময় চিন্তা করতাম এই সমস্যার সমাধান কিভাবে বের করা যায়। বর্তমানে মোটর বাইকও প্রাইভেট কারের মাধ্যমে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন তারা। পাশাপাশি গড়েছেন ই-কমার্স ডেলিভারি প্লাটফর্ম ও খাবার সরবরাহ সেবা।
হুসেইন ইলিয়াসের জন্ম ১৯৮৯ সালে। এই অর্জনের পাশে সবসময় তার ছায়া সঙ্গি হয়ে আছে পরিবার। বাবা ব্যবসায়ী সেলিম রেজা ও মা রেজিনা সেলিম। তিনি বলেন, বাবা-মা এবং পরিবারের সবাই অনেক আনন্দিত এবং গর্বিত। বাবা-মাকেও অনেকেই ফোন দিয়ে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন। খুব খুশি সবাই।
ভবিষ্যৎ স্বপ্ন সম্পর্কে বলেন, পাঠাও’র সঙ্গে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ। এজন্যই আমরা নিরলস কাজ করে যাচ্ছি। ভবিষ্যতে ইচ্ছা পাঠাও এর সেবা শুধু শহরেই নয়, দেশের সবখানেই পৌঁছে যাবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ শেষ না করা ছেলেটি
বিশ্ববিদ্যালয় জীবন শেষ করতে পারেননি মোরশেদ মিশু। তাই হাতে মিলেনি সনদ। কিন্তু নিজের দক্ষতা ও নিজ উদ্যমে জুটিয়েছেন অনেক সম্মাননা। সর্বশেষ বিশ্বখ্যাত ম্যাগাজিন ফোর্বস এর বিশ্ব তরুণদের তালিকায় নাম উঠেছে তার। ‘গ্লোবাল হ্যাপিনেজ চ্যালেঞ্জ’ দিয়ে করেছেন নাম। তার আঁকা ছবিগুলো ছড়িয়ে যায় সারা বিশ্বে। এনে দেয় তারকা খ্যাতি। নাড়া দিয়েছেন বিশ্বের সংবেদনশীল মানুষদের মন। তার নাম মোরশেদ আব্দুল্লাহ আল। পরিচিত মোরশেদ মিশু নামে। তিনি স্বপ্ন দেখেন সংঘাত মুক্ত বিশ্বের। তিনি স্বপ্ন দেখেন শান্তিময় বাসস্থানের। তিনি বলেন, অবচেতন মনেই আমি দৃশ্যগুলোকে অনুধাবন করেছি। যুদ্ধের আদলে শান্তিপূর্ণ বিশ্ব কেমন হতো। তিনি আরো বলেন, ফেসবুকে বারবার ভেসে উঠে যুদ্ধ বিগ্রহের চিত্র। সেই চিত্র নাড়া দেয়। যুদ্ধ বিগ্রহ চলছে বিশ্বজুড়ে। যে ছবিগুলো দেখে খুব খারাপ লাগতো। একদিন রাতে আমি ঘুমাতে পারছিলাম না। ছবিগুলো বারবার ভাবিয়ে তুলছিলো। এরপর অবচেতন মনেই একে ফেলি প্রথম ছবিটি। প্রথম ছবির পর থেমে থাকেননি তিনি। কাজ করে গেছেন। দিয়ে গেছেন শান্তির বার্তা। তার এই কাজগুলোকে স্বীকৃতি দিয়েছে ফোবর্স।
এনে দিয়েছে ‘থার্টি আন্ডার থার্টি’ তালিকায় ‘মিডিয়া, মার্কেটিং অ্যান্ড অ্যাডভার্টাইজিং’ ক্যাটাগরিতে স্থান। শিল্প পাগল মোরশেদ মিশুর জন্ম ঢাকাতেই ১৯৯১ সালে। রাজনৈতিক কারণে তার বাবা এম এ রাজ্জাককে জেলে যেতে হয়েছে। সেই সময় মায়ের অদম্য মানসিকতায় মুগ্ধ তিনি। সংসার সামলিয়েছেন শক্ত হাতে। মায়ের নাম নিলুফার আক্তার। তিন ভাই এক বোনের সংসারে মিশু সবার ছোট। সবার আদরের। ইচ্ছা ছিলো সশস্ত্র বাহিনীতে যোগ দেয়ার। দু’বার পরীক্ষা দিয়েও সুযোগ মেলেনি। ভীষণ হতাশায় কাটছিলো তার দিন। তিনি এলেন ভিন্ন এক মঞ্চে। হাতে তুলে নেন রং তুলি। কিস্তিতে কিনলেন ক্যামেরা। টাকা পরিশোধ হবার আগেই চুরি হয়ে যায় সে ক্যামেরা। এছাড়াও তিনি সিনেমাটোগ্রাফি, গল্প-কবিতাও লিখে থাকেন। একদিন তার আঁকা একটি কার্টুন নিয়ে হাজির হলেন ‘উন্মাদ’ ম্যাগাজিনের অফিসে। ম্যাগাজিনটির সম্পাদক আহসান হাবীব কার্টুনটি দেখেন। আর বলেন, ছেপে দিব। সেই ছেপে দেবোর কথা বলে চলে যায় তিনটি মাস। তিনমাস পর যখন ছাপা হলো আনন্দে আত্মহারা ছিলেন তিনি। এরপর আহসান হাবিব বললেন, সামনে প্রদর্শনী। তোমার আঁকা কার্টুন দিও।
তখন থেকেই মিশুর আগ্রহ জন্মাতে থাকে। এক ছবি বারবার আঁকতেন মিশু। এমনকি একই ছবি ৫বার করে একে জমা দিতেন অফিসে। তখন ২০১২ সাল। সেই থেকেই যুক্ত ম্যাগাজিনটির সঙ্গে। বর্তমানে তিনি সহ সম্পাদক। ফোর্বসের আগে ‘গ্লোবাল হ্যাপিনেস চ্যালেঞ্জ’ এর জন্য পুরস্কার পেয়েছিলেন উন্মাদের ৪০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানেও। পেয়েছিলেন প্রথম পুরষ্কার। ফোর্বসের সম্মাননা পাবার আগে সিএনএন, আল জাজিরাসহ প্রায় শতাধিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে তাকে নিয়ে লেখা ও সাক্ষাৎকার প্রকাশ হয়। তিনি কার্টুন আঁকার পাশাপাশি বিভিন্ন রেঁস্তোরা, অফিস, প্রতিষ্ঠান সাজানোর কাজও করে থাকেন। তবে সময়মতো পারিশ্রমিক না পাবার কারণে ছেড়ে দিতে চেয়েছিলেন আকাঁর কাজ। দিয়েছিলেন ঘোষণাও। তার ঘোষণাটি ছিলো মার্চের পর থেকে আর আঁকবেন না তিনি।
মিরপুর ইউনিভার্সাল কিন্ডারগার্টেনে শিক্ষাজীবন শুরু।
এরপর ভর্তি হন শহীদ পুলিশ স্মৃতি কলেজে। ২০০৮ সালে মাধ্যমিক পাশ করে, ২০১০ সালে ঢাকা বিএন কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন। এরপর কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশে ভর্তি হন। তৃতীয় বছরেই পাঠ চুুকিয়ে ডুব দেন নিজের জগতে। শিশু এখন পর্যন্ত ৯টি জাতীয় ও ২টি আন্তর্জাতিক কার্টুন প্রতিযোগীতায় অংশ নেন। তার আঁকা কার্টুন লন্ডন ও বার্নিলেও প্রদর্শিত হয়েছে। এছাড়াও তিনি অসংখ্য বইয়ের প্রচ্ছদের কাজ করেছেন।
তারা প্রশ্ন করতেন মোবাইলে ইন্টারনেট চালায় কয়জন? এতো বাইক পাওয়া যাবে কোথায়? এতো প্রশ্নের মাঝে দৃঢ়তা নিয়ে এগিয়ে যান তরুণ উদ্যোক্তা হুসেইন ইলিয়াস। তার গড়া ‘পাঠাও’ এখন ১০ কোটি ডলারের আর্থিক মূল্যের প্রতিষ্ঠান। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশের ৫টি শহরসহ নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে সেবা দিয়ে আসছে। বর্তমানে তারা ৫০ লাখ গ্রাহককে সেবা দিয়ে যাচ্ছে। চার ধাপে ১ কোটি ২৮ লাখ ডলার পেয়েছে বিনিয়োগ।
মানবজমিন এর সঙ্গে আলাপচারিতায় হুসেইন ইলিয়াস বলেন, পাঠাও যাত্রা শুরু করে ২০১৫ সালে। মাত্র ৩টি বাইক নিয়ে। তিনি বলেন, পাঠাও এমন একটি প্লাটফর্ম যেখানে কয়েক হাজার লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে। আর সেবা নিচ্ছে কয়েক লাখ লোক। এই পাঠাও’র জন্য আমাদের করতে হয়েছে টাইম জোন, পেমেন্ট সিস্টেম, টাইম জোন ও ম্যাপ।
তিনি বলেন, আমরা প্রতিদিন জীবনযাত্রায় যেসব সমস্যার মুখোমুখি হয়ে থাকি সেসব সমস্যা দূর করতেই পাঠাও’র মতো একটা সেবা চালু করার প্রয়োজনবোধ করি। ঢাকায় বড় হয়েছি, দেখে আসছি যানজট শুরু থেকেই এক বড় সমস্যা। যেকোনো স্থানে যেতে লেগে যায় অনেক সময়। সবসময় চিন্তা করতাম এই সমস্যার সমাধান কিভাবে বের করা যায়। বর্তমানে মোটর বাইকও প্রাইভেট কারের মাধ্যমে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন তারা। পাশাপাশি গড়েছেন ই-কমার্স ডেলিভারি প্লাটফর্ম ও খাবার সরবরাহ সেবা।
হুসেইন ইলিয়াসের জন্ম ১৯৮৯ সালে। এই অর্জনের পাশে সবসময় তার ছায়া সঙ্গি হয়ে আছে পরিবার। বাবা ব্যবসায়ী সেলিম রেজা ও মা রেজিনা সেলিম। তিনি বলেন, বাবা-মা এবং পরিবারের সবাই অনেক আনন্দিত এবং গর্বিত। বাবা-মাকেও অনেকেই ফোন দিয়ে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন। খুব খুশি সবাই।
ভবিষ্যৎ স্বপ্ন সম্পর্কে বলেন, পাঠাও’র সঙ্গে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ। এজন্যই আমরা নিরলস কাজ করে যাচ্ছি। ভবিষ্যতে ইচ্ছা পাঠাও এর সেবা শুধু শহরেই নয়, দেশের সবখানেই পৌঁছে যাবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ শেষ না করা ছেলেটি
বিশ্ববিদ্যালয় জীবন শেষ করতে পারেননি মোরশেদ মিশু। তাই হাতে মিলেনি সনদ। কিন্তু নিজের দক্ষতা ও নিজ উদ্যমে জুটিয়েছেন অনেক সম্মাননা। সর্বশেষ বিশ্বখ্যাত ম্যাগাজিন ফোর্বস এর বিশ্ব তরুণদের তালিকায় নাম উঠেছে তার। ‘গ্লোবাল হ্যাপিনেজ চ্যালেঞ্জ’ দিয়ে করেছেন নাম। তার আঁকা ছবিগুলো ছড়িয়ে যায় সারা বিশ্বে। এনে দেয় তারকা খ্যাতি। নাড়া দিয়েছেন বিশ্বের সংবেদনশীল মানুষদের মন। তার নাম মোরশেদ আব্দুল্লাহ আল। পরিচিত মোরশেদ মিশু নামে। তিনি স্বপ্ন দেখেন সংঘাত মুক্ত বিশ্বের। তিনি স্বপ্ন দেখেন শান্তিময় বাসস্থানের। তিনি বলেন, অবচেতন মনেই আমি দৃশ্যগুলোকে অনুধাবন করেছি। যুদ্ধের আদলে শান্তিপূর্ণ বিশ্ব কেমন হতো। তিনি আরো বলেন, ফেসবুকে বারবার ভেসে উঠে যুদ্ধ বিগ্রহের চিত্র। সেই চিত্র নাড়া দেয়। যুদ্ধ বিগ্রহ চলছে বিশ্বজুড়ে। যে ছবিগুলো দেখে খুব খারাপ লাগতো। একদিন রাতে আমি ঘুমাতে পারছিলাম না। ছবিগুলো বারবার ভাবিয়ে তুলছিলো। এরপর অবচেতন মনেই একে ফেলি প্রথম ছবিটি। প্রথম ছবির পর থেমে থাকেননি তিনি। কাজ করে গেছেন। দিয়ে গেছেন শান্তির বার্তা। তার এই কাজগুলোকে স্বীকৃতি দিয়েছে ফোবর্স।
এনে দিয়েছে ‘থার্টি আন্ডার থার্টি’ তালিকায় ‘মিডিয়া, মার্কেটিং অ্যান্ড অ্যাডভার্টাইজিং’ ক্যাটাগরিতে স্থান। শিল্প পাগল মোরশেদ মিশুর জন্ম ঢাকাতেই ১৯৯১ সালে। রাজনৈতিক কারণে তার বাবা এম এ রাজ্জাককে জেলে যেতে হয়েছে। সেই সময় মায়ের অদম্য মানসিকতায় মুগ্ধ তিনি। সংসার সামলিয়েছেন শক্ত হাতে। মায়ের নাম নিলুফার আক্তার। তিন ভাই এক বোনের সংসারে মিশু সবার ছোট। সবার আদরের। ইচ্ছা ছিলো সশস্ত্র বাহিনীতে যোগ দেয়ার। দু’বার পরীক্ষা দিয়েও সুযোগ মেলেনি। ভীষণ হতাশায় কাটছিলো তার দিন। তিনি এলেন ভিন্ন এক মঞ্চে। হাতে তুলে নেন রং তুলি। কিস্তিতে কিনলেন ক্যামেরা। টাকা পরিশোধ হবার আগেই চুরি হয়ে যায় সে ক্যামেরা। এছাড়াও তিনি সিনেমাটোগ্রাফি, গল্প-কবিতাও লিখে থাকেন। একদিন তার আঁকা একটি কার্টুন নিয়ে হাজির হলেন ‘উন্মাদ’ ম্যাগাজিনের অফিসে। ম্যাগাজিনটির সম্পাদক আহসান হাবীব কার্টুনটি দেখেন। আর বলেন, ছেপে দিব। সেই ছেপে দেবোর কথা বলে চলে যায় তিনটি মাস। তিনমাস পর যখন ছাপা হলো আনন্দে আত্মহারা ছিলেন তিনি। এরপর আহসান হাবিব বললেন, সামনে প্রদর্শনী। তোমার আঁকা কার্টুন দিও।
তখন থেকেই মিশুর আগ্রহ জন্মাতে থাকে। এক ছবি বারবার আঁকতেন মিশু। এমনকি একই ছবি ৫বার করে একে জমা দিতেন অফিসে। তখন ২০১২ সাল। সেই থেকেই যুক্ত ম্যাগাজিনটির সঙ্গে। বর্তমানে তিনি সহ সম্পাদক। ফোর্বসের আগে ‘গ্লোবাল হ্যাপিনেস চ্যালেঞ্জ’ এর জন্য পুরস্কার পেয়েছিলেন উন্মাদের ৪০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানেও। পেয়েছিলেন প্রথম পুরষ্কার। ফোর্বসের সম্মাননা পাবার আগে সিএনএন, আল জাজিরাসহ প্রায় শতাধিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে তাকে নিয়ে লেখা ও সাক্ষাৎকার প্রকাশ হয়। তিনি কার্টুন আঁকার পাশাপাশি বিভিন্ন রেঁস্তোরা, অফিস, প্রতিষ্ঠান সাজানোর কাজও করে থাকেন। তবে সময়মতো পারিশ্রমিক না পাবার কারণে ছেড়ে দিতে চেয়েছিলেন আকাঁর কাজ। দিয়েছিলেন ঘোষণাও। তার ঘোষণাটি ছিলো মার্চের পর থেকে আর আঁকবেন না তিনি।
মিরপুর ইউনিভার্সাল কিন্ডারগার্টেনে শিক্ষাজীবন শুরু।
এরপর ভর্তি হন শহীদ পুলিশ স্মৃতি কলেজে। ২০০৮ সালে মাধ্যমিক পাশ করে, ২০১০ সালে ঢাকা বিএন কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন। এরপর কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশে ভর্তি হন। তৃতীয় বছরেই পাঠ চুুকিয়ে ডুব দেন নিজের জগতে। শিশু এখন পর্যন্ত ৯টি জাতীয় ও ২টি আন্তর্জাতিক কার্টুন প্রতিযোগীতায় অংশ নেন। তার আঁকা কার্টুন লন্ডন ও বার্নিলেও প্রদর্শিত হয়েছে। এছাড়াও তিনি অসংখ্য বইয়ের প্রচ্ছদের কাজ করেছেন।
No comments