গোলানে ইসরাইলি দখলদারিত্ব: আমেরিকাকে যে বার্তা দিল ইউরোপ
ইহুদিবাদী
ইসরাইল ১৯৬৭ সালের জুন মাসের যুদ্ধে সিরিয়ার গোলান মালভূমি এবং বায়তুল
মুকাদ্দাস’সহ জর্দান নদীর পশ্চিম তীর দখল করে নেয়। এর কয়েক দশক পর ইসরাইল
এখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সহযোগিতায় সেই দখলদারিত্বের
বিস্তৃতি ঘটাতে চায়।
ইসরাইলি খাহেশ পূরণের জন্য ট্রাম্প গত ২৫ মার্চ গোলান মালভূমির ওপর ইসরাইলের কথিত সার্বভৌমত্বকে স্বীকৃতি দিয়েছেন। তার ওই স্বীকৃতির কয়েকদিন পর ইসরাইলের সাম্প্রতিক পার্লামেন্ট নির্বাচনের আগে ইহুদিবাদী প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ঘোষণা করেন তিনি নির্বাচিত হলে পশ্চিম তীরের অবৈধ ইহুদি বসতিগুলোকে ইসরাইলি সীমান্তের অন্তর্ভূক্ত করে নেবেন।
তার ওই ঘোষণার পর এখন যে কানাঘুষা শোনা যাচ্ছে সেটি হলো, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প পশ্চিম তীরের এই বসতিগুলোর ওপরও ইসরাইলি মালিকানাকে স্বীকৃতি দিতে যাচ্ছেন।
কিন্তু আন্তর্জাতিক সমাজ এমনকি আমেরিকার মিত্র ইউরোপীয় দেশগুলি পর্যন্ত ট্রাম্পের এ পদক্ষেপ মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান কর্মকর্তা ফেডেরিকা মোগেরিনি ইউরোপীয় পার্লামেন্টের অধিবেশনে দেয়া ভাষণে বলেছেন, অধিকৃত গোলান মালভূমির ওপর ইসরাইলের মালিকানা স্বীকৃতি দেয়ার মার্কিন পদক্ষেপ ইউরোপ কখনোই মেনে নেবে না।
ইউরোপের এই শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, ১৯৬৭ সালে অনুমোদিত জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের ২৪২ নম্বর প্রস্তাব এবং ১৯৮১ সালে অনুমোদিত ৪৯৭ নম্বর প্রস্তাবে গোলান মালভূমিকে সিরিয়ার অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। ইউরোপ এই আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলবে বলে সুস্পষ্টভাবে জানান মোগেরিনি। একইসঙ্গে জর্দান নদীর পশ্চিম তীরে যেকোনো ধরনের নির্মাণ কাজকে আন্তর্জাতিক আইনে অবৈধ উল্লেখ করে মোগেরিনি তা না করার জন্য ইহুদিবাদী ইসরাইলের প্রতি আহ্বান জানান।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, ইহুদিবাদী ইসরাইলের সমর্থনে যেকোনো অন্যায় ও বেআইনি পদক্ষেপ গ্রহণকে ন্যায় ও আইনসম্মত বলে মনে করে বিশ্বের স্বঘোষিত মোড়ল আমেরিকা। কিন্তু গোলান মালভূমির ওপর ইসরাইলি দখলদারিত্বকে স্বীকৃতি দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে ইউরোপ ওয়াশিংটনকে সুস্পষ্টভাবে এই বার্তা দিয়েছে যে, গোটা বিশ্ব এখন আমেরিকার একমেরুকেন্দ্রীক বিশ্বব্যবস্থার বিপক্ষে দাঁড়িয়েছে। সেইসঙ্গে মোগেরিনির ঘোষণা একথাও প্রমাণ করেছে যে, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ইস্যুতে ইউরোপ ও আমেরিকার সম্পর্কে বড় ধরনের ফাটল দেখা দিয়েছে।
ইসরাইলি খাহেশ পূরণের জন্য ট্রাম্প গত ২৫ মার্চ গোলান মালভূমির ওপর ইসরাইলের কথিত সার্বভৌমত্বকে স্বীকৃতি দিয়েছেন। তার ওই স্বীকৃতির কয়েকদিন পর ইসরাইলের সাম্প্রতিক পার্লামেন্ট নির্বাচনের আগে ইহুদিবাদী প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ঘোষণা করেন তিনি নির্বাচিত হলে পশ্চিম তীরের অবৈধ ইহুদি বসতিগুলোকে ইসরাইলি সীমান্তের অন্তর্ভূক্ত করে নেবেন।
তার ওই ঘোষণার পর এখন যে কানাঘুষা শোনা যাচ্ছে সেটি হলো, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প পশ্চিম তীরের এই বসতিগুলোর ওপরও ইসরাইলি মালিকানাকে স্বীকৃতি দিতে যাচ্ছেন।
কিন্তু আন্তর্জাতিক সমাজ এমনকি আমেরিকার মিত্র ইউরোপীয় দেশগুলি পর্যন্ত ট্রাম্পের এ পদক্ষেপ মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান কর্মকর্তা ফেডেরিকা মোগেরিনি ইউরোপীয় পার্লামেন্টের অধিবেশনে দেয়া ভাষণে বলেছেন, অধিকৃত গোলান মালভূমির ওপর ইসরাইলের মালিকানা স্বীকৃতি দেয়ার মার্কিন পদক্ষেপ ইউরোপ কখনোই মেনে নেবে না।
ইউরোপের এই শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, ১৯৬৭ সালে অনুমোদিত জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের ২৪২ নম্বর প্রস্তাব এবং ১৯৮১ সালে অনুমোদিত ৪৯৭ নম্বর প্রস্তাবে গোলান মালভূমিকে সিরিয়ার অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। ইউরোপ এই আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলবে বলে সুস্পষ্টভাবে জানান মোগেরিনি। একইসঙ্গে জর্দান নদীর পশ্চিম তীরে যেকোনো ধরনের নির্মাণ কাজকে আন্তর্জাতিক আইনে অবৈধ উল্লেখ করে মোগেরিনি তা না করার জন্য ইহুদিবাদী ইসরাইলের প্রতি আহ্বান জানান।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, ইহুদিবাদী ইসরাইলের সমর্থনে যেকোনো অন্যায় ও বেআইনি পদক্ষেপ গ্রহণকে ন্যায় ও আইনসম্মত বলে মনে করে বিশ্বের স্বঘোষিত মোড়ল আমেরিকা। কিন্তু গোলান মালভূমির ওপর ইসরাইলি দখলদারিত্বকে স্বীকৃতি দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে ইউরোপ ওয়াশিংটনকে সুস্পষ্টভাবে এই বার্তা দিয়েছে যে, গোটা বিশ্ব এখন আমেরিকার একমেরুকেন্দ্রীক বিশ্বব্যবস্থার বিপক্ষে দাঁড়িয়েছে। সেইসঙ্গে মোগেরিনির ঘোষণা একথাও প্রমাণ করেছে যে, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ইস্যুতে ইউরোপ ও আমেরিকার সম্পর্কে বড় ধরনের ফাটল দেখা দিয়েছে।
No comments