আইসিস বধু শামীমার দুঃখ প্রকাশ
আইসিস
বধু শামীমা বেগম তার সর্বশেষ সন্তানের মৃত্যুর পর দেয়া প্রথম সাক্ষাৎকারে
বৃটেনের ইভিনিং স্ট্যান্ডার্ডকে ২রা এপ্রিল বলেছেন, সিরিয়ার উদ্দেশ্যে তার
লন্ডন ছেড়ে যাওয়া এবং খিলাফতের মধ্যে একটি সন্ত্রাসী আস্তানায় সন্তান
ধারণের ঘটনায় তিনি অনুশোচনা করছেন। শামীমা আরো বলেছেন, অনলাইন জিহাদিরা
তাকে যা বলেছে, তাই তিনি বিশ্বাস করেছিলেন। ইসলামের প্রকৃত শিক্ষা সম্পর্কে
তিনি খুব কমই জানতেন।
গতকাল পত্রিকাটি বলেছে, তিনি এই অনুশোচনার কথা প্রকাশ করলেন এমন এক সময়ে যখন তিনি বৃটেনে ফেরার জন্য দ্বিতীয়বারের মতো সুযোগ চাইছেন। শামীমা বৃটেনে ফিরতে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি বলেছেন, তিনি অনলাইনের ‘বধূ এবং জঙ্গিদের’ দ্বারা ব্রেইন ওয়াশড হয়েছিলেন। তার ব্রেইন ওয়াশ করা হয়েছিল। বৃটেনে তার ফিরে আসা নিয়ে এক তুমুল জাতীয় বিতর্ক চলছে।
১৯ বছর বয়স্ক এই বৃটিশ নারীর বৃটিশ নাগরিকত্ব সম্প্রতি বাতিল করা হয়েছে। তিনি পালানোর সময় এক স্কুল বালিকা ছিলেন।
তার বয়স ছিল মাত্র ১৫ বছর। তখন তিনি ইসলামিক স্টেটে যোগ দিতে বৃটেন ছেড়ে পালিয়ে যান।
সম্প্রতি তৃতীয় সন্তানের মৃত্যুর আগে তিনি আরো দুটি সন্তানকে হারান। তিনি ইভিনিং স্ট্যান্ডার্ডকে বলেছেন, লন্ডন ত্যাগ করার পর থেকে যা ঘটেছে, তার সব কিছুর জন্যই তিনি গভীর অনুশোচনা বোধ করছেন । তার ভাষায়, আমি আমার জীবন দ্বিতীয়বার শুরু করার সুযোগ চাই।
শামীমা বলেছেন, আমি সিরিয়া আসার আগে আমাকে তারা যা বলেছিল, আমি তাই বিশ্বাস করেছিলাম । অথচ আমি আমার ধর্ম সম্পর্কে প্রকৃত সত্য কী তার খুব সামান্যই জানতাম ।
সিরিয়ায় সন্তানধারণ সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে, শামীমা গভীর অনুশোচনা ব্যক্ত করে বলেন, আমি খিলাফতের মধ্যে সন্তান ধারণ করার জন্য আজ অনুশোচনা করছি । আমি ভেবেছিলাম, এই খিলাফতই হবে আমার সবকিছু । আমার অস্তিত্ব হবে এটা। আর সেখানে আমি আমার পরিবারকে নিরাপদে গড়ে তুলতে পারব । কিন্তু পরে বুঝলাম এই খিলাফত সন্তান লালন পালনের জায়গা নয়।
পত্রিকাটি লিখেছে, অন্য জঙ্গীদের কাছ থেকে নিরাপদে থাকার জন্য এই কিশোরীকে সিরিয়ার বাঘোজ ক্যাম্প থেকে পালিয়ে নিকটবর্তী আর একটি উদ্বাস্তু ক্যাম্পে আসতে হয়েছে। কারণ তিনি সেখানে ঝুঁকিতে ছিলেন। এখন তিনি যেখানে আছেন সেটা আল রোজ, একটা অপেক্ষাকৃত ছোট ক্যাম্প । সেখানে প্রায় ৬০০ মানুষ বসবাস করেন। কর্মকর্তারা বলেছেন, শামীমা এখন তার উগ্রপন্থি মনের অবস্থা থেকে ধীরে ধীরে সরে এসেছেন।
এর আগের সাক্ষাৎকারগুলোতে তিনি যেসব বক্তব্য দিয়েছিলেন তার জন্য তিনি বৃটেনেও সমালোচিত হয়েছিলেন। ২০১৭ সালে ম্যানচেস্টারে সন্ত্রাসী হামলার পরে তিনি তাতে সমর্থন দিয়েছিলেন। আর বলেছিলেন ‘বহু মানুষের উচিত হবে আমার জন্য সহানুভূতি ব্যক্ত করা।’
কিন্তু তিনি তার সর্বশেষ সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ওই সময়ও আমি ‘ব্রেইন ওয়াশড’ অবস্থায় ছিলাম। আমার মন মানসিকতা ছিলো জিহাদী চিন্তা-চেতনায় আচ্ছন্ন । আমি সে কারণেই ওইসব কথা বলেছিলাম । তখনো পর্যন্ত আমি সেসব কিছুই বিশ্বাস করতাম। কারণ তারা আমাকে সেটাই শিক্ষা দিয়েছিল।এই সাক্ষাৎকারে শামীমা ব্যাখ্যা করেছেন যে, লন্ডনে তাদের বাড়ি থেকে পালানোর আগে তিনি কিভাবে গভীর হতাশায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছিলেন। এই হতাশাই তাকে ভ্রান্ত জীবনের পথে ঠেলে নিয়ে গিয়েছিল। তিনি স্বীকার করেন যে, পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে তার সম্পর্কে টানাপড়েন চলছিল।
তবে তিনি আশাবাদী, বৃটেনে ফিরে নতুন করে জীবন যাপনের যে সুযোগ তিনি আশা করছেন সেটা তিনি পাবেন এবং নিজেকে শুধরে নিতে পারবেন।
২০১৫ সালে বৃটেন থেকে সিরিয়ায় পালিয়ে যাওয়া তিন তরুণীর অন্যতম শামীমা। যখন বৃটেনে ফিরতে চেয়েছেন তার পরপরই বৃটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ তার নাগরিকত্ব খর্ব করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন। মনে করা হয় যে, তিনি বাংলাদেশী নাগরিকত্ব লাভ করতে পারেন। কিন্তু বাংলাদেশ বলেছে, তাকে ঢুকতে দেয়া হবে না।
শামিমা বলেছেন, তিনি এই ভবিতব্য মেনে নিয়েছেন যে, তাকে আরো কিছুদিন সিরিয় উদ্বাস্তু ক্যাম্পে কাটাতে হবে। তবে তার দ্বিতীয়বারের মতো লন্ডনে ফেরার চেষ্টায় হাল ছাড়বেন না।
শামীমার আইনজীবী অবশ্য বলেছেন, তার দ্বৈত নাগরিকত্ব ছিল না। বৃটিশ সরকার এই মর্মে সমালোচনার মুখোমুখি হয়েছে যে, শামীমার সন্তান যেভাবে মারা গিয়েছে সেটা বৃটেনের জন্য মর্যাদা বয়ে আনে নি। একজন বৃটিশ নাগরিকের সন্তান জন্মসূত্রে বৃটিশ। তাই তার সুরক্ষার দায়িত্ব আরো ভালোভাবে বৃটেনের পালন করা উচিত ছিল।
কিন্তু বৃটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেরেমি হান্ট এর জবাবে বলেছেন, ওই শিশুকে নিরাপদে ফিরিয়ে আনার জন্য কর্মকর্তাদের পাঠানো এবং তাকে উদ্ধার করে আনার অভিযানটা তাদের কাছে ঝুঁকিপূর্ণ মনে হয়েছিল।
গতকাল পত্রিকাটি বলেছে, তিনি এই অনুশোচনার কথা প্রকাশ করলেন এমন এক সময়ে যখন তিনি বৃটেনে ফেরার জন্য দ্বিতীয়বারের মতো সুযোগ চাইছেন। শামীমা বৃটেনে ফিরতে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি বলেছেন, তিনি অনলাইনের ‘বধূ এবং জঙ্গিদের’ দ্বারা ব্রেইন ওয়াশড হয়েছিলেন। তার ব্রেইন ওয়াশ করা হয়েছিল। বৃটেনে তার ফিরে আসা নিয়ে এক তুমুল জাতীয় বিতর্ক চলছে।
১৯ বছর বয়স্ক এই বৃটিশ নারীর বৃটিশ নাগরিকত্ব সম্প্রতি বাতিল করা হয়েছে। তিনি পালানোর সময় এক স্কুল বালিকা ছিলেন।
তার বয়স ছিল মাত্র ১৫ বছর। তখন তিনি ইসলামিক স্টেটে যোগ দিতে বৃটেন ছেড়ে পালিয়ে যান।
সম্প্রতি তৃতীয় সন্তানের মৃত্যুর আগে তিনি আরো দুটি সন্তানকে হারান। তিনি ইভিনিং স্ট্যান্ডার্ডকে বলেছেন, লন্ডন ত্যাগ করার পর থেকে যা ঘটেছে, তার সব কিছুর জন্যই তিনি গভীর অনুশোচনা বোধ করছেন । তার ভাষায়, আমি আমার জীবন দ্বিতীয়বার শুরু করার সুযোগ চাই।
শামীমা বলেছেন, আমি সিরিয়া আসার আগে আমাকে তারা যা বলেছিল, আমি তাই বিশ্বাস করেছিলাম । অথচ আমি আমার ধর্ম সম্পর্কে প্রকৃত সত্য কী তার খুব সামান্যই জানতাম ।
সিরিয়ায় সন্তানধারণ সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে, শামীমা গভীর অনুশোচনা ব্যক্ত করে বলেন, আমি খিলাফতের মধ্যে সন্তান ধারণ করার জন্য আজ অনুশোচনা করছি । আমি ভেবেছিলাম, এই খিলাফতই হবে আমার সবকিছু । আমার অস্তিত্ব হবে এটা। আর সেখানে আমি আমার পরিবারকে নিরাপদে গড়ে তুলতে পারব । কিন্তু পরে বুঝলাম এই খিলাফত সন্তান লালন পালনের জায়গা নয়।
পত্রিকাটি লিখেছে, অন্য জঙ্গীদের কাছ থেকে নিরাপদে থাকার জন্য এই কিশোরীকে সিরিয়ার বাঘোজ ক্যাম্প থেকে পালিয়ে নিকটবর্তী আর একটি উদ্বাস্তু ক্যাম্পে আসতে হয়েছে। কারণ তিনি সেখানে ঝুঁকিতে ছিলেন। এখন তিনি যেখানে আছেন সেটা আল রোজ, একটা অপেক্ষাকৃত ছোট ক্যাম্প । সেখানে প্রায় ৬০০ মানুষ বসবাস করেন। কর্মকর্তারা বলেছেন, শামীমা এখন তার উগ্রপন্থি মনের অবস্থা থেকে ধীরে ধীরে সরে এসেছেন।
এর আগের সাক্ষাৎকারগুলোতে তিনি যেসব বক্তব্য দিয়েছিলেন তার জন্য তিনি বৃটেনেও সমালোচিত হয়েছিলেন। ২০১৭ সালে ম্যানচেস্টারে সন্ত্রাসী হামলার পরে তিনি তাতে সমর্থন দিয়েছিলেন। আর বলেছিলেন ‘বহু মানুষের উচিত হবে আমার জন্য সহানুভূতি ব্যক্ত করা।’
কিন্তু তিনি তার সর্বশেষ সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ওই সময়ও আমি ‘ব্রেইন ওয়াশড’ অবস্থায় ছিলাম। আমার মন মানসিকতা ছিলো জিহাদী চিন্তা-চেতনায় আচ্ছন্ন । আমি সে কারণেই ওইসব কথা বলেছিলাম । তখনো পর্যন্ত আমি সেসব কিছুই বিশ্বাস করতাম। কারণ তারা আমাকে সেটাই শিক্ষা দিয়েছিল।এই সাক্ষাৎকারে শামীমা ব্যাখ্যা করেছেন যে, লন্ডনে তাদের বাড়ি থেকে পালানোর আগে তিনি কিভাবে গভীর হতাশায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছিলেন। এই হতাশাই তাকে ভ্রান্ত জীবনের পথে ঠেলে নিয়ে গিয়েছিল। তিনি স্বীকার করেন যে, পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে তার সম্পর্কে টানাপড়েন চলছিল।
তবে তিনি আশাবাদী, বৃটেনে ফিরে নতুন করে জীবন যাপনের যে সুযোগ তিনি আশা করছেন সেটা তিনি পাবেন এবং নিজেকে শুধরে নিতে পারবেন।
২০১৫ সালে বৃটেন থেকে সিরিয়ায় পালিয়ে যাওয়া তিন তরুণীর অন্যতম শামীমা। যখন বৃটেনে ফিরতে চেয়েছেন তার পরপরই বৃটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ তার নাগরিকত্ব খর্ব করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন। মনে করা হয় যে, তিনি বাংলাদেশী নাগরিকত্ব লাভ করতে পারেন। কিন্তু বাংলাদেশ বলেছে, তাকে ঢুকতে দেয়া হবে না।
শামিমা বলেছেন, তিনি এই ভবিতব্য মেনে নিয়েছেন যে, তাকে আরো কিছুদিন সিরিয় উদ্বাস্তু ক্যাম্পে কাটাতে হবে। তবে তার দ্বিতীয়বারের মতো লন্ডনে ফেরার চেষ্টায় হাল ছাড়বেন না।
শামীমার আইনজীবী অবশ্য বলেছেন, তার দ্বৈত নাগরিকত্ব ছিল না। বৃটিশ সরকার এই মর্মে সমালোচনার মুখোমুখি হয়েছে যে, শামীমার সন্তান যেভাবে মারা গিয়েছে সেটা বৃটেনের জন্য মর্যাদা বয়ে আনে নি। একজন বৃটিশ নাগরিকের সন্তান জন্মসূত্রে বৃটিশ। তাই তার সুরক্ষার দায়িত্ব আরো ভালোভাবে বৃটেনের পালন করা উচিত ছিল।
কিন্তু বৃটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেরেমি হান্ট এর জবাবে বলেছেন, ওই শিশুকে নিরাপদে ফিরিয়ে আনার জন্য কর্মকর্তাদের পাঠানো এবং তাকে উদ্ধার করে আনার অভিযানটা তাদের কাছে ঝুঁকিপূর্ণ মনে হয়েছিল।
No comments