ঝড় ও শিলাবৃষ্টি, কৃষকের স্বপ্ন ভেঙে চুরমার
টাঙ্গাইলে
দুই দফা ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ফসল,বাড়িঘর এবং গাছপালার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি
হয়েছে। জেলার মধুপুর, ঘাটাইল এবং ধনবাড়ী উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে বোরো ধান
বিনষ্ট, টিনের চালা ফুটো এবং গাছপালা উপড়ে পড়েছে। মধুপুরের মহিষমারা
ইউনিয়নের শালিকা, জয়নাতলী, মহিষমারা, নেদুরবাজার, কুড়ালিয়া ইউনিয়নের
কদিমহাতীল, দড়িহাতীল. ধামাবাধুরী, টিকরী, মলকা গ্রামে বেশি ক্ষতি হয়েছে।
বুধবার বিকালে উপজেলা চেয়ারম্যান সরোয়ার আলম খান আবু,মহিষমারা ইউ.পি
চেয়ারম্যান কাজী আব্দুল মোতালেব,কুড়ালিয়া ইউ.পি চেয়ারম্যান আহম্মদ আলী
ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শণ করেছেন।
মধুপুরের অন্যতম লেবু চাষি মধ্যম আয়ের আব্দুল কদ্দুস মিয়ার ৮ বিঘার তিনটি লেবু বাগান একেবারে বিনষ্ট হয়েছে। এতে তিনি সর্বস্বান্ত হয়ে দেউলিয়া হওয়ার যোগাড়। একাধিক ব্যাংক লোন, সার, ঔষধের দোকান বাকি, অগ্রিম মহাজনের দেয়া অর্থ পরিশোধের কোন পথ না থাকায় চোখে অন্ধকার দেখছেন আলোকদিয়া ইউনিয়নের উত্তর লাউফুলা গ্রামের মৃত বাহাজ উদ্দিনের ছেলে আব্দুল কদ্দুস। সরেজমিনে গত বুধবার গিয়ে দেখা যায়, আব্দুল কদ্দুসের তিনটি বাগানের লেবুর ফলনের ৮০ শতাংশ নষ্ট হয়ে গেছে। এ থেকে লাভের মুখ তো দূরের কথা আসল উঠে আসাই কঠিন। তবুও অবশিষ্টাংশের যত্ন করছেন তিনি।
চাষি আব্দুল কদ্দুস জানান, বিগত ১৯ বছর ধরে তিনি লেবু চাষ করে সন্তানদের লেখাপড়াসহ সংসারের যাবতীয়য় ব্যয় চালান। এক মেয়ে বিয়ে দিয়েছেন। গত বছর তিনি ৬ মাসে চার লাখ টাকার লেবু বিক্রি করেন। লাভ ভালোই ছিল। এবার দুই লাখ টাকা ব্যয় করে ৮ বিঘা জমিতে লেবুর চাষ করেছিলেন। ফলন অনেকটা ভালোই হয়েছিল। কিন্তু গত ৩১ মার্চ প্রথম দফায় ঝড় ও শিলা বৃষ্টিতে লেবুর ফুল ও কচি ছোট লেবুর ব্যাপক ক্ষতি হয়। এর পর বাকি ফলনের যত্ন নেয়া শুরু করার একদিন না যেতেই আবার মঙ্গলবার বিকেলের ব্যাপক শিলাবৃষ্টিতে লেবুর অবশিষ্ট ফলন পুরোটাই নষ্ট হয়ে যায়।
এ ঘটনায় কদ্দুস দিগবিদিগ হারিয়ে ফেলেছেন। দুশ্চিন্তায় খাওয়া দাওয়া ছেড়ে দিয়েছেন। তার চিন্তা- এখন কিভাবে সংসার চলবে। একাধিক ব্যাংক থেকে লোন, মহাজনের কাছ থেকে অগ্রিম লেবুর জন্য নেয়া টাকা, লিজ নেয়া জমির টাকা কিভাবে শোধ করবেন। এবার তিনি ৮ বিঘা জমিতে দেশি কাগুজি লেবু ও এলাচি লেবু চাষ করেছেলিন। এ পর্য়ন্ত তার দুই লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। উৎপাদনে আসা পর্যন্ত আরও ৪০/৫০ হাজার টাকা ব্যয় হতো। কদ্দুসের ধারণা ছিল- ৫ লাখ টাকার লেবু বিক্রি হতো। ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ লাভ আসতো।
এ থেকে লোন পরিশোধের পাশাপাশি ৫ সদস্যের সংসারের খরচ যোগাড় হতো। টাঙ্গাইলের কুমুদিনি কলেজ পড়ুয়া ও মধুপুর শহীদ স্মৃতি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়ের খরচ যোগান হতো। কিন্তু এসব যেন বন্ধ হয়ে গেল দুই দফা শিলাবৃষ্টিতে। এখন তিনি কি করবেন ভেবে পাচ্ছেন না।
অপরদিকে ঘাটাইলের সন্ধানপুর ইউনিয়নের বগা, কামারচালা বোয়ালীহাটবাড়ি,সংগ্রামপুর, খুপিবাড়ি,চাপড়ী প্রভৃতি এলাকায় মঙ্গলবার বিকেল ও রাতে বয়ে যাওয়া শিলাবৃষ্টি ও ঝড়ে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
বুধবার সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে ঝড় ও শিলাবৃষ্টির লন্ডভন্ড চিত্র। বগা গ্রামের কলা চাষী মনিরুজ্জামান মিন্টু বলেন, আমি ব্র্যাক এনজিও থেকে লোন করে ৭ বিঘা জমিতে ২০০০ হাজার সবরি কলার চাষ করি। এতে প্রতি গাছে কলার থোড় ধরেছিল। ফলন ভালো হয়েছিল। কিন্তু ঝড় ও শিলা বৃষ্টিতে আমার সকল স্বপ্ন নষ্ট হয়ে গেলো।
একই ভাবে সংগ্রামপুর গ্রামের কলাচাষী আ. মালেক খানেরও ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে একইভাবে ৫ বিঘা জমির কমপক্ষে ১৮০০টি কলা গাছ ভেঙ্গে গেছে। এ ছাড়াও কামার চালা গ্রামের কৃষক নয়ান খান জানান, তার গাছ পালা ভেঙ্গে গেছে। ফসলী জমির ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সংগ্রামপুর ইউপি চেয়ারম্যান আ: রহিম মিয়া বলেন,গত দুই দফা নজিরবিহীন ঝড় আর শিলাবৃষ্টিতে বিস্তৃর্ন এলাকার ঘর-বাড়ি, গাছ পালা ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তবে তাৎখনিক ক্ষতির পরিমান জানাতে পারেননি তিনি।
মধুপুরের অন্যতম লেবু চাষি মধ্যম আয়ের আব্দুল কদ্দুস মিয়ার ৮ বিঘার তিনটি লেবু বাগান একেবারে বিনষ্ট হয়েছে। এতে তিনি সর্বস্বান্ত হয়ে দেউলিয়া হওয়ার যোগাড়। একাধিক ব্যাংক লোন, সার, ঔষধের দোকান বাকি, অগ্রিম মহাজনের দেয়া অর্থ পরিশোধের কোন পথ না থাকায় চোখে অন্ধকার দেখছেন আলোকদিয়া ইউনিয়নের উত্তর লাউফুলা গ্রামের মৃত বাহাজ উদ্দিনের ছেলে আব্দুল কদ্দুস। সরেজমিনে গত বুধবার গিয়ে দেখা যায়, আব্দুল কদ্দুসের তিনটি বাগানের লেবুর ফলনের ৮০ শতাংশ নষ্ট হয়ে গেছে। এ থেকে লাভের মুখ তো দূরের কথা আসল উঠে আসাই কঠিন। তবুও অবশিষ্টাংশের যত্ন করছেন তিনি।
চাষি আব্দুল কদ্দুস জানান, বিগত ১৯ বছর ধরে তিনি লেবু চাষ করে সন্তানদের লেখাপড়াসহ সংসারের যাবতীয়য় ব্যয় চালান। এক মেয়ে বিয়ে দিয়েছেন। গত বছর তিনি ৬ মাসে চার লাখ টাকার লেবু বিক্রি করেন। লাভ ভালোই ছিল। এবার দুই লাখ টাকা ব্যয় করে ৮ বিঘা জমিতে লেবুর চাষ করেছিলেন। ফলন অনেকটা ভালোই হয়েছিল। কিন্তু গত ৩১ মার্চ প্রথম দফায় ঝড় ও শিলা বৃষ্টিতে লেবুর ফুল ও কচি ছোট লেবুর ব্যাপক ক্ষতি হয়। এর পর বাকি ফলনের যত্ন নেয়া শুরু করার একদিন না যেতেই আবার মঙ্গলবার বিকেলের ব্যাপক শিলাবৃষ্টিতে লেবুর অবশিষ্ট ফলন পুরোটাই নষ্ট হয়ে যায়।
এ ঘটনায় কদ্দুস দিগবিদিগ হারিয়ে ফেলেছেন। দুশ্চিন্তায় খাওয়া দাওয়া ছেড়ে দিয়েছেন। তার চিন্তা- এখন কিভাবে সংসার চলবে। একাধিক ব্যাংক থেকে লোন, মহাজনের কাছ থেকে অগ্রিম লেবুর জন্য নেয়া টাকা, লিজ নেয়া জমির টাকা কিভাবে শোধ করবেন। এবার তিনি ৮ বিঘা জমিতে দেশি কাগুজি লেবু ও এলাচি লেবু চাষ করেছেলিন। এ পর্য়ন্ত তার দুই লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। উৎপাদনে আসা পর্যন্ত আরও ৪০/৫০ হাজার টাকা ব্যয় হতো। কদ্দুসের ধারণা ছিল- ৫ লাখ টাকার লেবু বিক্রি হতো। ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ লাভ আসতো।
এ থেকে লোন পরিশোধের পাশাপাশি ৫ সদস্যের সংসারের খরচ যোগাড় হতো। টাঙ্গাইলের কুমুদিনি কলেজ পড়ুয়া ও মধুপুর শহীদ স্মৃতি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়ের খরচ যোগান হতো। কিন্তু এসব যেন বন্ধ হয়ে গেল দুই দফা শিলাবৃষ্টিতে। এখন তিনি কি করবেন ভেবে পাচ্ছেন না।
অপরদিকে ঘাটাইলের সন্ধানপুর ইউনিয়নের বগা, কামারচালা বোয়ালীহাটবাড়ি,সংগ্রামপুর, খুপিবাড়ি,চাপড়ী প্রভৃতি এলাকায় মঙ্গলবার বিকেল ও রাতে বয়ে যাওয়া শিলাবৃষ্টি ও ঝড়ে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
বুধবার সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে ঝড় ও শিলাবৃষ্টির লন্ডভন্ড চিত্র। বগা গ্রামের কলা চাষী মনিরুজ্জামান মিন্টু বলেন, আমি ব্র্যাক এনজিও থেকে লোন করে ৭ বিঘা জমিতে ২০০০ হাজার সবরি কলার চাষ করি। এতে প্রতি গাছে কলার থোড় ধরেছিল। ফলন ভালো হয়েছিল। কিন্তু ঝড় ও শিলা বৃষ্টিতে আমার সকল স্বপ্ন নষ্ট হয়ে গেলো।
একই ভাবে সংগ্রামপুর গ্রামের কলাচাষী আ. মালেক খানেরও ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে একইভাবে ৫ বিঘা জমির কমপক্ষে ১৮০০টি কলা গাছ ভেঙ্গে গেছে। এ ছাড়াও কামার চালা গ্রামের কৃষক নয়ান খান জানান, তার গাছ পালা ভেঙ্গে গেছে। ফসলী জমির ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সংগ্রামপুর ইউপি চেয়ারম্যান আ: রহিম মিয়া বলেন,গত দুই দফা নজিরবিহীন ঝড় আর শিলাবৃষ্টিতে বিস্তৃর্ন এলাকার ঘর-বাড়ি, গাছ পালা ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তবে তাৎখনিক ক্ষতির পরিমান জানাতে পারেননি তিনি।
No comments