টাকা না দিতে পারলে টিকিট বিক্রি বন্ধ রাখবেন: হাইকোর্ট
দুর্ঘটনায়
পা হারানো রাসেল সরকারকে ৫০ লাখ টাকা দেয়নি গ্রিনলাইন পরিবহন কর্তৃপক্ষ।
আদালতের তলবে হাজির হয়ে গ্রিনলাইন পরিবহনের জেনারেল ম্যানেজার আবদুস
সাত্তার জানিয়েছেন, পরিবহনটির স্বত্বাধিকারী চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে
আছেন। তিনি দেশে ফিরবেন ৯ এপ্রিল। এই দিক বিবেচনায় নিয়ে বিচারপতি এফ আর এম
নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট
বেঞ্চ আজ বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে আদেশের তারিখ পিছিয়ে ১০ এপ্রিল ধার্য করেছেন।
আবদুস সাত্তারের উদ্দেশে আদালত বলেন, ১০ এপ্রিল অগ্রগতি বাস্তবায়নের প্রতিবেদন দেবেন। যদি টাকা না দিতে পারেন, তাহলে ১১ তারিখের জন্য কোনো টিকিট বিক্রি করবেন না। জনগণকে ভোগান্তির মুখে ফেলবেন না।
পা হারানো রাসেল সরকারকে ৫০ লাখ টাকা দিতে হাইকোর্ট যে আদেশ দিয়েছিলেন, তা বাস্তবায়নের বিষয়ে আজ গ্রিনলাইন কর্তৃপক্ষের আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। তবে গ্রিনলাইন কর্তৃপক্ষ কোনো প্রতিবেদন দাখিল করেনি। সকালে বিষয়টি উঠলে গ্রিনলাইন পরিবহনের আইনজীবী মো. ওজি উল্লাহ বলেন, পরিবহনের মালিক চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে আছেন। আদালত তখন জানতে চান, ‘পরিচালক কয়জন?’ জবাবে আইনজীবী বলেন, ‘একজনই মালিক, মো. আলাউদ্দিন।’ আদালত বলেন, ‘কোথায় আছেন, কবে গেছেন?’ তখন আইনজীবী বলেন, তিনি জেনে জানাবেন।
আদালত এ সময় আইনজীবীর উদ্দেশে বলেন, ‘উনি (গ্রিনলাইনের মালিক) দেশের বাইরে থাকলেও ওনার ব্যবসা তো বন্ধ হয়নি। তাঁর ম্যানেজারকে ডাকবেন। না হলে অ্যারেস্ট করার ব্যবস্থা করব। ইতিবাচক পদক্ষেপ না থাকলে গ্রিনলাইনের গাড়ি জব্দ করা হবে। গাড়ি নিলামে বিক্রির পর অর্থ পরিশোধ করবেন।’ জবাবে আইনজীবী বলেন, তিনি জেনে জানাবেন। আদালত তখন বলেন, ‘সবকিছুর একটা সীমা থাকা উচিত। যত বড় ব্যবসায়ীই হোন, কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নন।’ এরপর আদালত গ্রিনলাইন পরিবহনের ম্যানেজারকে আজ বেলা দুইটায় আসতে বলার জন্য বলেন।
আদালতের আদেশ অনুসারে বেলা দুইটার দিকে আদালতে হাজির হন গ্রিনলাইনের জেনারেল ম্যানেজার আবদুস সাত্তার। পরে আদালত তাঁর বক্তব্য শুনে ওই দিন ধার্য করেন।
বেপরোয়া বাসের চাপায় পা হারানো রাসেলকে দুই সপ্তাহের মধ্যে ৫০ লাখ টাকা দিতে গত ১২ মার্চ গ্রিনলাইন পরিবহন কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি রাসেলের অন্য পায়ে অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হলে এবং তাঁর কাটা পড়া পায়ে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির কৃত্রিম পা লাগানোর খরচও গ্রিনলাইন পরিবহন কর্তৃপক্ষকে বহন করতে বলা হয়।
রাসেল একটি প্রতিষ্ঠানের ভাড়া গাড়ি চালাতেন। গত বছরের ২৮ এপ্রিল কেরানীগঞ্জ থেকে ঢাকায় ফেরার পথে যাত্রাবাড়ীর হানিফ উড়ালসড়কে গ্রিনলাইন পরিবহনের বাসের চাপায় পা হারান তিনি। এ ঘটনায় রাসেলের বড় ভাই আরিফ সরকার বাসচালক কবির মিয়ার বিরুদ্ধে যাত্রাবাড়ী থানায় গত বছরের ২৮ এপ্রিল মামলা করেন।
আবদুস সাত্তারের উদ্দেশে আদালত বলেন, ১০ এপ্রিল অগ্রগতি বাস্তবায়নের প্রতিবেদন দেবেন। যদি টাকা না দিতে পারেন, তাহলে ১১ তারিখের জন্য কোনো টিকিট বিক্রি করবেন না। জনগণকে ভোগান্তির মুখে ফেলবেন না।
পা হারানো রাসেল সরকারকে ৫০ লাখ টাকা দিতে হাইকোর্ট যে আদেশ দিয়েছিলেন, তা বাস্তবায়নের বিষয়ে আজ গ্রিনলাইন কর্তৃপক্ষের আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। তবে গ্রিনলাইন কর্তৃপক্ষ কোনো প্রতিবেদন দাখিল করেনি। সকালে বিষয়টি উঠলে গ্রিনলাইন পরিবহনের আইনজীবী মো. ওজি উল্লাহ বলেন, পরিবহনের মালিক চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে আছেন। আদালত তখন জানতে চান, ‘পরিচালক কয়জন?’ জবাবে আইনজীবী বলেন, ‘একজনই মালিক, মো. আলাউদ্দিন।’ আদালত বলেন, ‘কোথায় আছেন, কবে গেছেন?’ তখন আইনজীবী বলেন, তিনি জেনে জানাবেন।
আদালত এ সময় আইনজীবীর উদ্দেশে বলেন, ‘উনি (গ্রিনলাইনের মালিক) দেশের বাইরে থাকলেও ওনার ব্যবসা তো বন্ধ হয়নি। তাঁর ম্যানেজারকে ডাকবেন। না হলে অ্যারেস্ট করার ব্যবস্থা করব। ইতিবাচক পদক্ষেপ না থাকলে গ্রিনলাইনের গাড়ি জব্দ করা হবে। গাড়ি নিলামে বিক্রির পর অর্থ পরিশোধ করবেন।’ জবাবে আইনজীবী বলেন, তিনি জেনে জানাবেন। আদালত তখন বলেন, ‘সবকিছুর একটা সীমা থাকা উচিত। যত বড় ব্যবসায়ীই হোন, কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নন।’ এরপর আদালত গ্রিনলাইন পরিবহনের ম্যানেজারকে আজ বেলা দুইটায় আসতে বলার জন্য বলেন।
আদালতের আদেশ অনুসারে বেলা দুইটার দিকে আদালতে হাজির হন গ্রিনলাইনের জেনারেল ম্যানেজার আবদুস সাত্তার। পরে আদালত তাঁর বক্তব্য শুনে ওই দিন ধার্য করেন।
বেপরোয়া বাসের চাপায় পা হারানো রাসেলকে দুই সপ্তাহের মধ্যে ৫০ লাখ টাকা দিতে গত ১২ মার্চ গ্রিনলাইন পরিবহন কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি রাসেলের অন্য পায়ে অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হলে এবং তাঁর কাটা পড়া পায়ে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির কৃত্রিম পা লাগানোর খরচও গ্রিনলাইন পরিবহন কর্তৃপক্ষকে বহন করতে বলা হয়।
রাসেল একটি প্রতিষ্ঠানের ভাড়া গাড়ি চালাতেন। গত বছরের ২৮ এপ্রিল কেরানীগঞ্জ থেকে ঢাকায় ফেরার পথে যাত্রাবাড়ীর হানিফ উড়ালসড়কে গ্রিনলাইন পরিবহনের বাসের চাপায় পা হারান তিনি। এ ঘটনায় রাসেলের বড় ভাই আরিফ সরকার বাসচালক কবির মিয়ার বিরুদ্ধে যাত্রাবাড়ী থানায় গত বছরের ২৮ এপ্রিল মামলা করেন।
No comments