কঠিন পরীক্ষার মুখে ইউরোপ: হয় ট্রাম্প না হয় ইরানকে বেছে নিতে হবে
মার্কিন
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পরমাণু সমঝোতা অকার্যকর করার জন্য যেভাবে
ভয়ভীতি প্রদর্শন করছেন তাতে ইউরোপ বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছে। ইউরোপের পক্ষ
থেকে হয় ট্রাম্পের স্বেচ্ছাচারিতা মেনে নিয়ে আমেরিকাকে বেছে নিত হবে অথবা
ইরানের সঙ্গে আর্থ-রাজনৈতিক সম্পর্ক বজায় রাখতে হবে।
ইউরোপ পরমাণু সমঝোতা টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত তারা এই দুইয়ের কোন্টিকে বেছে নেবে সেটাই এখন প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাওয়াদ জারিফ তেহরানে বিদেশে কর্মরত ইরানি রাষ্ট্রদূত, কূটনীতিক এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের প্রথম যৌথ সম্মেলনে দেয়া ভাষণে বলেছেন, "অন্যদেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা আমেরিকার বদভ্যাসে পরিণত হয়েছে।" তিনি বলেন, "ইউরোপকে হয় মার্কিন সরকার অথবা ব্যক্তি ডোনাল্ড ট্রাম্পের স্বার্থ রক্ষা করতে হবে অথবা তাদের নিজেদের স্বার্থ রক্ষা করতে হবে।"
পর্যবেক্ষকরা এ ব্যাপারে দুটি বিষয়ের কথা উল্লেখ করেছেন। প্রথমত, ছয় জাতিগোষ্ঠীর সঙ্গে স্বাক্ষরিত পরমাণু সমঝোতায় ইরানের স্বার্থ নিশ্চিত করা হয়েছে। সুতরাং এ ক্ষেত্রে দরকষাকষির কোনো সুযোগ নেই। দ্বিতীয় বিষয়টি হচ্ছে, পরমাণু সমঝোতায় প্রতিপক্ষ অর্থাৎ ইউরোপ, চীন ও রাশিয়ারও স্বার্থ রয়েছে। এ অবস্থায় আমেরিকার স্বেচ্ছাচারিতার কাছে নতি স্বীকার করলে সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
পরমাণু সমঝোতা টিকিয়ে রাখা ইউরোপের অর্থনীতির জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। তাই এ ক্ষেত্রে ইউরোপকে আরো বেশি কৌশলী ও বিচক্ষণ হতে হবে। রাজনৈতিক আস্থা ও বিশ্বাসযোগ্যতা ধরে রাখতে হলে ইউরোপকে অবশ্যই আমেরিকার অযৌক্তিক নীতির অনুসরণ থেকে দূরে থাকতে হবে। ইরানের আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশ্লেষক নাসরুল্লাহ তাজিক বলেছেন, আমেরিকার প্রতিশ্রুতি লঙ্ঘনের ঘটনা বিশ্বে ইউরোপের মর্যাদা ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কের কাঠামোকে দুর্বল করে দেবে। এ অবস্থায় ইউরোপের উচিত আন্তর্জাতিক প্রতিশ্রুতি রক্ষায় তাদের আন্তরিকতার প্রমাণ দেয়া এবং ইরান ও ইউরোপের স্বার্থকে এককরে দেখা।
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তার ওপর ইউরোপের নিরাপত্তা নির্ভর করছে। তাই এ অঞ্চল ক্ষতিগ্রস্ত হলে ইউরোপও নিরাপদ থাকবে না। মূল বিষয়টি হচ্ছে নিরাপত্তা রক্ষা, রাজনৈতিক আস্থা অর্জন এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে ইউরোপের যে অগ্রণী ও ইতিবাচক ভূমিকা রয়েছে আমেরিকার প্রতিশ্রুতি লঙ্ঘনের ঘটনা তাকে ম্লান করে দিচ্ছে। অর্থাৎ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প পরমাণু সমঝোতাকে অকার্যকর করে দেয়ার যে পদক্ষেপ নিয়েছেন তাতে সরাসরি ইউরোপের স্বার্থও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এ অবস্থায় ইউরোপ যদি পরমাণু সমঝোতা টিকিয়ে রাখতে চায় তাহলে তাদেরকে ইরানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ আর্থ-রাজনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলার কোনো বিকল্প নেই।
ইউরোপ পরমাণু সমঝোতা টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত তারা এই দুইয়ের কোন্টিকে বেছে নেবে সেটাই এখন প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাওয়াদ জারিফ তেহরানে বিদেশে কর্মরত ইরানি রাষ্ট্রদূত, কূটনীতিক এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের প্রথম যৌথ সম্মেলনে দেয়া ভাষণে বলেছেন, "অন্যদেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা আমেরিকার বদভ্যাসে পরিণত হয়েছে।" তিনি বলেন, "ইউরোপকে হয় মার্কিন সরকার অথবা ব্যক্তি ডোনাল্ড ট্রাম্পের স্বার্থ রক্ষা করতে হবে অথবা তাদের নিজেদের স্বার্থ রক্ষা করতে হবে।"
পর্যবেক্ষকরা এ ব্যাপারে দুটি বিষয়ের কথা উল্লেখ করেছেন। প্রথমত, ছয় জাতিগোষ্ঠীর সঙ্গে স্বাক্ষরিত পরমাণু সমঝোতায় ইরানের স্বার্থ নিশ্চিত করা হয়েছে। সুতরাং এ ক্ষেত্রে দরকষাকষির কোনো সুযোগ নেই। দ্বিতীয় বিষয়টি হচ্ছে, পরমাণু সমঝোতায় প্রতিপক্ষ অর্থাৎ ইউরোপ, চীন ও রাশিয়ারও স্বার্থ রয়েছে। এ অবস্থায় আমেরিকার স্বেচ্ছাচারিতার কাছে নতি স্বীকার করলে সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
পরমাণু সমঝোতা টিকিয়ে রাখা ইউরোপের অর্থনীতির জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। তাই এ ক্ষেত্রে ইউরোপকে আরো বেশি কৌশলী ও বিচক্ষণ হতে হবে। রাজনৈতিক আস্থা ও বিশ্বাসযোগ্যতা ধরে রাখতে হলে ইউরোপকে অবশ্যই আমেরিকার অযৌক্তিক নীতির অনুসরণ থেকে দূরে থাকতে হবে। ইরানের আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশ্লেষক নাসরুল্লাহ তাজিক বলেছেন, আমেরিকার প্রতিশ্রুতি লঙ্ঘনের ঘটনা বিশ্বে ইউরোপের মর্যাদা ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কের কাঠামোকে দুর্বল করে দেবে। এ অবস্থায় ইউরোপের উচিত আন্তর্জাতিক প্রতিশ্রুতি রক্ষায় তাদের আন্তরিকতার প্রমাণ দেয়া এবং ইরান ও ইউরোপের স্বার্থকে এককরে দেখা।
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তার ওপর ইউরোপের নিরাপত্তা নির্ভর করছে। তাই এ অঞ্চল ক্ষতিগ্রস্ত হলে ইউরোপও নিরাপদ থাকবে না। মূল বিষয়টি হচ্ছে নিরাপত্তা রক্ষা, রাজনৈতিক আস্থা অর্জন এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে ইউরোপের যে অগ্রণী ও ইতিবাচক ভূমিকা রয়েছে আমেরিকার প্রতিশ্রুতি লঙ্ঘনের ঘটনা তাকে ম্লান করে দিচ্ছে। অর্থাৎ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প পরমাণু সমঝোতাকে অকার্যকর করে দেয়ার যে পদক্ষেপ নিয়েছেন তাতে সরাসরি ইউরোপের স্বার্থও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এ অবস্থায় ইউরোপ যদি পরমাণু সমঝোতা টিকিয়ে রাখতে চায় তাহলে তাদেরকে ইরানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ আর্থ-রাজনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলার কোনো বিকল্প নেই।
No comments