ভোটারদের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের শুভ কামনা
তিন
সিটির ভোটারদের প্রতি ‘শুভ কামনা’ জানিয়েছে জাতিসংঘ, মার্কিন
যুক্তরাষ্ট্র, নেদারল্যান্ডসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। প্রায় অভিন্ন বার্তায়
বরিশাল, রাজশাহী ও সিলেটে শান্তিপূর্ণ এবং উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটারদের
গণতান্ত্রিক অধিকারের প্রয়োগ দেখতে চেয়েছেন বাংলাদেশে থাকা বন্ধু রাষ্ট্রের
প্রতিনিধিরা। তারা এ-ও বলছেন, একটি দেশের গ্রহণযোগ্য গণতন্ত্রের জন্য
অবাধ, সুষ্ঠু এবং সবার অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হচ্ছে মৌলিক শর্ত। একাদশ
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আর মাত্র ক’মাস বাকি। ওই সময়ে দলীয় প্রতীকে অনুষ্ঠেয়
স্থানীয় সরকারের গুরুত্বপূর্ণ সিটি নির্বাচনগুলো বিদেশিরা নিবিড়ভাবে
পর্যবেক্ষণে রেখেছেন। আজ যে তিন সিটিতে নির্বাচন হচ্ছে তাতে গোটা কূটনৈতিক
সম্প্রদায়ের চোখ এখন পুরোপুরি নিবদ্ধ। কিন্তু তারা অতীতের অভিজ্ঞতা এবং
নানা কারণে ভিন্ন কায়দায় অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছেন। আজ
সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা অবধি বরিশাল, রাজশাহী ও সিলেট- এই তিন সিটিতে
ভোটগ্রহণ চলবে। পশ্চিমা দুনিয়ার প্রতিনিধিরা প্রি-ইলেকশন বা নির্বাচন-পূর্ব
পরিস্থিতি সরজমিন দেখেছেন। বৃটেনসহ বিভিন্ন দেশের একাধিক টিম বরিশাল ও
সিলেট সফর করেছে। ভোটের দিনে তিন সিটিতে থাকছেন বিভিন্ন রাষ্ট্র ও সংস্থার
১৮ জন পর্যবেক্ষক।
এরই মধ্যে তারা নির্বাচন কমিশনের ইস্যু করা পর্যবেক্ষক কার্ড নিয়ে শহরগুলোতে পৌঁছে গেছেন। যারা মাঠে যাননি সেই সব দেশ ও সংস্থার প্রতিনিধিরা প্রযুক্তি, মিডিয়া এবং নিজস্ব প্রতিনিধির মাধ্যমে নিয়মিতভাবে ভোটের মাঠের পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছেন। গত মাসে অনুষ্ঠিত গাজীপুর সিটি নির্বাচন এবং তারও আগে খুলনার নির্বাচন পরিস্থিতি সরজমিনে দেখা এবং এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিলেন ঢাকায় থাকা কূটনীতিকরা। বিশেষ করে মার্কিন দূতাবাসের টিমের নখদর্পণে ছিল গাজীপুর সিটি নির্বাচন পরিস্থিতি। ওই নির্বাচনের পর রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট ব্যালটে প্রকাশ্যে সিল মারা, অনিয়ম ও বলপ্রয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। জাতীয় নির্বাচনে গ্রহণযোগ্য করতে গাজীপুর ও খুলনার নির্বাচনের অনিয়ম তদন্ত করা এবং আসন্ন তিন সিটির নির্বাচনকে বিতর্কমুক্ত করার তাগিদও দিয়েছিলেন তিনি। যদিও সরকারের নীতিনির্ধারকরা মার্কিন দূত কিংবা ভিন দেশি কূটনীতিকদের বক্তব্যকে পছন্দ করেননি। ফলে এবার ভিন্ন কায়দায় বিদেশি মিশনগুলো বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে। গতকাল এক টুইট বার্তায় ঢাকায় নিযুক্ত জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী মিয়া সেপ্পো বলেন, আগামীকাল (আজ) সকাল ৮টায় বরিশাল, রাজশাহী ও সিলেট সিটি করপোরেশনের ভোটগ্রহণ শুরু হবে। বাংলাদেশের ওই তিন সিটির ভোটারদের জন্য আমাদের শুভ কামনা রইলো- তারা যেন শান্তিপূর্ণ পরিবেশে তাদের পছন্দের নেতা নির্বাচনে গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ অর্থাৎ ভোট দিতে পারেন।
মার্কিন দূতাবাসের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে সন্তান কোলে নিয়ে ভোটার ভোট দিচ্ছেন এমন একটি ছবি প্রকাশ করে লেখা হয়- আমাদের শুভ কামনা থাকছে বাংলাদেশের বরিশাল, রাজশাহী ও সিলেট সিটির সেই সব ভোটারের জন্য। যারা শান্তিপূর্ণভাবে এবং উৎসবমুখর দিনে, সবাইকে নিয়ে তাতে (শান্তিপূর্ণ উৎসবে) অংশ নিতে চান। তারা যেন তাদের সিটি করপোরেশনের নেতৃত্ব বা নেতা নির্বাচনে অত্যন্ত স্বাধীনভাবে গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে পারেন- সেটাই যুক্তরাষ্ট্রের চাওয়া। ঢাকাস্থ ডাচ দূতাবাসের তরফেও আর এক ধাপ এগিয়ে বার্তা দেয়া হয়েছে তাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে। বার্তাটি ঠিক এরকম- ‘আগামীকাল (আজ) ভোট হবে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ তিন সিটিতে। বাংলাদেশ উন্নয়নের পথে অনেক দূর এগিয়েছে। অর্থনৈতিক এবং সামাজিক খাতে অর্জন-অগ্রগতি রয়েছে এমন একটি দেশের (বাংলাদেশ) পরবর্তী উন্নয়ন বা এগিয়ে যাওয়ার জন্য সর্ব ক্ষেত্রে সুদৃঢ়, সবার অংশগ্রহণ এবং প্রতিনিধিত্বকারী প্রতিষ্ঠান নিশ্চিত করা এবং সমর্থন দেয়া উচিত। এ ক্ষেত্রে যে কোনো গ্রহণযোগ্য গণতন্ত্রের জন্য অবাধ, সুষ্ঠু এবং সবার অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হচ্ছে মৌলিক শর্ত।’
এরই মধ্যে তারা নির্বাচন কমিশনের ইস্যু করা পর্যবেক্ষক কার্ড নিয়ে শহরগুলোতে পৌঁছে গেছেন। যারা মাঠে যাননি সেই সব দেশ ও সংস্থার প্রতিনিধিরা প্রযুক্তি, মিডিয়া এবং নিজস্ব প্রতিনিধির মাধ্যমে নিয়মিতভাবে ভোটের মাঠের পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছেন। গত মাসে অনুষ্ঠিত গাজীপুর সিটি নির্বাচন এবং তারও আগে খুলনার নির্বাচন পরিস্থিতি সরজমিনে দেখা এবং এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিলেন ঢাকায় থাকা কূটনীতিকরা। বিশেষ করে মার্কিন দূতাবাসের টিমের নখদর্পণে ছিল গাজীপুর সিটি নির্বাচন পরিস্থিতি। ওই নির্বাচনের পর রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট ব্যালটে প্রকাশ্যে সিল মারা, অনিয়ম ও বলপ্রয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। জাতীয় নির্বাচনে গ্রহণযোগ্য করতে গাজীপুর ও খুলনার নির্বাচনের অনিয়ম তদন্ত করা এবং আসন্ন তিন সিটির নির্বাচনকে বিতর্কমুক্ত করার তাগিদও দিয়েছিলেন তিনি। যদিও সরকারের নীতিনির্ধারকরা মার্কিন দূত কিংবা ভিন দেশি কূটনীতিকদের বক্তব্যকে পছন্দ করেননি। ফলে এবার ভিন্ন কায়দায় বিদেশি মিশনগুলো বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে। গতকাল এক টুইট বার্তায় ঢাকায় নিযুক্ত জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী মিয়া সেপ্পো বলেন, আগামীকাল (আজ) সকাল ৮টায় বরিশাল, রাজশাহী ও সিলেট সিটি করপোরেশনের ভোটগ্রহণ শুরু হবে। বাংলাদেশের ওই তিন সিটির ভোটারদের জন্য আমাদের শুভ কামনা রইলো- তারা যেন শান্তিপূর্ণ পরিবেশে তাদের পছন্দের নেতা নির্বাচনে গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ অর্থাৎ ভোট দিতে পারেন।
মার্কিন দূতাবাসের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে সন্তান কোলে নিয়ে ভোটার ভোট দিচ্ছেন এমন একটি ছবি প্রকাশ করে লেখা হয়- আমাদের শুভ কামনা থাকছে বাংলাদেশের বরিশাল, রাজশাহী ও সিলেট সিটির সেই সব ভোটারের জন্য। যারা শান্তিপূর্ণভাবে এবং উৎসবমুখর দিনে, সবাইকে নিয়ে তাতে (শান্তিপূর্ণ উৎসবে) অংশ নিতে চান। তারা যেন তাদের সিটি করপোরেশনের নেতৃত্ব বা নেতা নির্বাচনে অত্যন্ত স্বাধীনভাবে গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে পারেন- সেটাই যুক্তরাষ্ট্রের চাওয়া। ঢাকাস্থ ডাচ দূতাবাসের তরফেও আর এক ধাপ এগিয়ে বার্তা দেয়া হয়েছে তাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে। বার্তাটি ঠিক এরকম- ‘আগামীকাল (আজ) ভোট হবে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ তিন সিটিতে। বাংলাদেশ উন্নয়নের পথে অনেক দূর এগিয়েছে। অর্থনৈতিক এবং সামাজিক খাতে অর্জন-অগ্রগতি রয়েছে এমন একটি দেশের (বাংলাদেশ) পরবর্তী উন্নয়ন বা এগিয়ে যাওয়ার জন্য সর্ব ক্ষেত্রে সুদৃঢ়, সবার অংশগ্রহণ এবং প্রতিনিধিত্বকারী প্রতিষ্ঠান নিশ্চিত করা এবং সমর্থন দেয়া উচিত। এ ক্ষেত্রে যে কোনো গ্রহণযোগ্য গণতন্ত্রের জন্য অবাধ, সুষ্ঠু এবং সবার অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হচ্ছে মৌলিক শর্ত।’
No comments