১ লাখ ৭৩ হাজার কোটি টাকার এডিপি অনুমোদন

আগামী ২০১৮-১৯ অর্থবছরের জন্য ১ লাখ ৭৩ হাজার কোটি টাকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এর বাইরেও স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার নিজস্ব অর্থায়নে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৭ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ১ লাখ ১৩ হাজার কোটি টাকা এবং বৈদেশিক সহায়তা থেকে ৬০ হাজার কোটি টাকা। এ ছাড়া ৭ লাখ ৮৬৯ কোটি ১৭ লাখ টাকা স্বায়ত্তশাসিত সংস্থাগুলো নিজেরা অর্থায়ন করবে। গতকাল জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) বৈঠকে এটি অনুমোদন দেয়া হয়। এনইসি বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সভা শেষে বিস্তারিত তথ্য সাংবাদিকদের জানান পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। ব্রিফিংয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, এডিপি বাস্তবায়নে পরিকল্পিতভাবে এগুচ্ছি।
আমাদের লক্ষ্য ২০৪১ সালে উন্নত দেশে যাওয়া। তাই প্রবৃদ্ধি বাড়িয়ে উন্নয়নের দিকে যাওয়াই মূল লক্ষ্য। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী চারটি বিষয়ের ওপর গুরুত্ব দিতে বলেছিলেন, এগুলো হচ্ছে সবার স্কুলে উপস্থিতি, ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে যাওয়া, ডিজিটাল বাংলাদেশ এবং ২০২১ সালের মধ্যে সবার জন্য বিদ্যুৎ সুবিধা নিশ্চিত করা। এগুলো পূরণের পথে রয়েছি আমরা’। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সংসদ নির্বাচনের কারণে কোনো উন্নয়ন কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হবে না। তবে, আগামী অর্থবছরে সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বা আরএডিপি আর হবে না। আগামী অর্থবছরের অগ্রাধিকার প্রকল্পে বরাদ্দের প্রসঙ্গে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, পদ্মা সেতু এবং পদ্মা সেতুতে রেল সংযোগ প্রকল্পের গুরুত্ব বিবেচনা করে নতুন বাজেটে সর্বোচ্চ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে পরিবহন খাতে। এ ছাড়া অগ্রাধিকার বিবেচনায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বরাদ্দ বিদ্যুৎ এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ভৌত পরিকল্পনা-পানি সরবরাহ ও গৃহায়ন খাতে। আগামী অর্থবছরের জন্য ১৭টি খাতের মধ্যে সর্বোচ্চ বরাদ্দ পাওয়া ১০টি খাতের মধ্যে পরিবহন খাতে ৪৫ হাজার ৪৪৯ কোটি ৮৭ লাখ টাকা, যা মোট এডিপির ২৬.২৭ শতাংশ। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ খাতে ২২ হাজার ৯৩০ কোটি ২০ লাখ টাকা, যা মোট এডিপির ১৩.২৫ শতাংশ। তৃতীয় সর্বোচ্চ ভৌত-পরিকল্পনা-পানি সরবরাহ ও গৃহায়ন খাতে ১৭ হাজার ৮৮৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকা, যা ১০.৩৪ শতাংশ। এ ছাড়া রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণসহ তথ্য প্রযুক্তির প্রসারে বিজ্ঞান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে ১৪ হাজার ২১০ কোটি ৭৩ লাখ টাকা, যা ৮.২১ শতাংশ।

No comments

Powered by Blogger.