‘সংবিধানের ধারার ব্যাখ্যা প্রয়োজন’
নির্বাচনকালীন
সরকার নিয়ে বিদ্যমান সংবিধানে যে ধারা রয়েছে তার ব্যাখ্যা প্রয়োজন বলে মনে
করছেন আইন ও নির্বাচন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, বিষয়টি সরকারই পরিষ্কার
করতে পারে। এ নিয়ে প্রয়োজনে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আলোচনা হতে পারে।
সংবিধানের বিদ্যমান ধারার আলোকে সরকার ব্যাখ্যার মাধ্যমে বিষয়টি দেশবাসীর
কাছে পরিষ্কার করতে পারে। অথবা সংবিধান সংশোধন করে এ ধারার ব্যাখ্যা সংযোজন
করতে পারে। তারা বলছেন সরকার চাইলে এটি কঠিন বিষয় নয়।
সংবিধানের অন্যতম প্রণেতা ও সাবেক আইনমন্ত্রী ড. কামাল হোসেন বলেন, সরকার পক্ষের লোকজন নিজেরাই বলছেন, যে সরকার আছে সেই সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে। যিনি প্রধানমন্ত্রী আছেন তিনিই নির্বাচনকালীন সরকার প্রধান হবেন। এই বিষয়টির ব্যাখ্যা করতে হবে। যে সরকার আছে সেই সরকার নির্বাচনকালীন সরকার না-কী ভিন্ন কিছু হবে এর ব্যাখ্যা দিতে হবে। আমার পরামর্শ হচ্ছে নিরপেক্ষ সরকার অপরিহার্য। সরকার এবং নির্বাচন কমিশন উভয়কে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করতে হবে এবং নিরপেক্ষতা নিশ্চিতকরণের জন্য যে ধরনের বিধান প্রয়োজন সেটা দরকার। কেননা নির্বাচন একটি প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠান। কোনো প্রতিযোগিতার মধ্যে যারা দায়িত্বে থাকবে তাদের নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করা অপরিহার্য। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, বর্তমানে যে বিধান আছে সেটা নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করতে পারবে কী না? প্রয়োজনে সংবিধান সংশোধন করতে হবে। সংবিধান সংশোধন পাঁচ মিনিটের বিষয়। এজন্য অবশ্যই রাজনৈতিক সমঝোতার প্রয়োজন।
সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ অবশ্য মনে করেন, নির্বাচনকালীন সময়ের জন্য কোনো সরকার গঠন ও কোনো ব্যবস্থা বর্তমান সংবিধানে নেই। ভোটের আগে নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের কথা বলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছেন। কেননা, সংবিধানে নিরপেক্ষ সরকার বলে যেমন কিছু নেই, তেমনি নির্বাচনকালীন সরকার বলেও কিছু নেই। জাতিকে বিভ্রান্ত করতে এটা বলা হচ্ছে। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে ডেমোক্রেটিক মুভমেন্ট আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। ব্যারিস্টার মওদুদ বলেন, সবার প্রত্যাশা ছিল কীভাবে একটা সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করা যায়, সে ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী কিছু বলবেন। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমরা প্রত্যাশা করি, সব কিছুর ঊর্ধ্বে উঠে জনগণের যে ইচ্ছা তার প্রতিফলন ঘটাবেন। কিন্তু সে ব্যাপারে তিনি কিছুই বলেননি। প্রধানমন্ত্রী আসলে তার বক্তব্যের কথাই বলেছেন। অর্থাৎ এই দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে। সেটাই তিনি বলার চেষ্টা করেছেন।
সাবেক নির্বাচন কমিশনার ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক ব্রিগেডিয়ার (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, নির্বাচনকালীন সরকার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী যে বক্তব্য দিয়েছেন তা স্পষ্ট নয়। তিনি সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনের কথা বলেছেন। বিষটি সংবিধানেও স্পষ্ট নয়। বিশেষ করে নির্বাচনকালীন সরকারের মন্ত্রিসভা কেমন হবে, কারা থাকবেন, মন্ত্রিসভার কাজ কী হবে এটি স্পষ্ট নয়। প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে নির্বাচনকালীন সরকারের কথা বলেছেন, হয়তো উনার কাছে এর ব্যাখ্যা আছে। অথবা এ বিষয়ে জনগণের মতামত বা প্রতিক্রিয়া জানার জন্যও হয়তো সরকারের পক্ষ থেকে এটি বলা হচ্ছে। জনগণের আলোচনার মধ্য থেকে হয়তো সরকার কোনো আইডিয়া নিতে পারে। তবে আমাদের পরামর্শ হলো, আমরা একটি অবাধ, সুষ্ঠু এবং সবার কাছে গ্রহণযোগ্য সুন্দর নির্বাচন চাই। একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন যাতে করা যায় তা আলোচনা করে বের করতে হবে। গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে এ আলোচনা হতে পারে।
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম এ বিষয়ে বলেন, নির্বাচনকালীন সরকার যে আলাদা সেটি মেনে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী যদি উদ্যোগ নেন তাহলে ভালো। সংবিধানের ধারায় নির্বাচনকালীন সরকারের কথা বলা আছে। তবে তা কেমন হবে, ক্ষমতা কেমন হবে তা স্পষ্ট নয়। এটি স্পষ্ট করার জন্য সংবিধানে ছোট আকারে একটি সংশোধনী আনতে হবে। নির্বাচনকালে নির্বাচনকালীন সরকার যা ইচ্ছা করতে পারবে না। তারা শুধু রুটিন ওয়ার্ক করবে। নির্বাচন কমিশন নির্বাহী বিভাগকে যে নির্দেশ দেবে তা কার্যকর করবে। এক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা নিরঙ্কুশ থাকতে হবে। সংবিধান সংশোধন করে এটি স্পষ্ট করতে হবে। একই সঙ্গে বলা প্রয়োজন নির্বাচনকালীন সরকার কেমন হবে। তিনি বলেন, আমরা মনে করি দেশের নির্বাচন ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন প্রয়োজন। আমরা সেই পরিবর্তনের জন্য আন্দোলন করছি। এইযে ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচন হচ্ছে। এখানে প্রার্থীদের এক লাখ টাকা জামানত দিতে হচ্ছে। এই নির্বাচনে নির্বাচন করার যোগ্য হলেও শুধুমাত্র জামানত দেয়ার সামর্থ্যের কারণে প্রার্থী হতে পারবে না। এখানে কোনো সাধারণ মানুষের অংশ নেয়ার সুযোগ নেই। যার টাকা নেই সে নির্বাচন করতে পারে না। এই টাকার খেলা থেকে নির্বাচন ব্যবস্থাকে মুক্ত করতে হবে।
সংবিধানের অন্যতম প্রণেতা ও সাবেক আইনমন্ত্রী ড. কামাল হোসেন বলেন, সরকার পক্ষের লোকজন নিজেরাই বলছেন, যে সরকার আছে সেই সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে। যিনি প্রধানমন্ত্রী আছেন তিনিই নির্বাচনকালীন সরকার প্রধান হবেন। এই বিষয়টির ব্যাখ্যা করতে হবে। যে সরকার আছে সেই সরকার নির্বাচনকালীন সরকার না-কী ভিন্ন কিছু হবে এর ব্যাখ্যা দিতে হবে। আমার পরামর্শ হচ্ছে নিরপেক্ষ সরকার অপরিহার্য। সরকার এবং নির্বাচন কমিশন উভয়কে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করতে হবে এবং নিরপেক্ষতা নিশ্চিতকরণের জন্য যে ধরনের বিধান প্রয়োজন সেটা দরকার। কেননা নির্বাচন একটি প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠান। কোনো প্রতিযোগিতার মধ্যে যারা দায়িত্বে থাকবে তাদের নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করা অপরিহার্য। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, বর্তমানে যে বিধান আছে সেটা নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করতে পারবে কী না? প্রয়োজনে সংবিধান সংশোধন করতে হবে। সংবিধান সংশোধন পাঁচ মিনিটের বিষয়। এজন্য অবশ্যই রাজনৈতিক সমঝোতার প্রয়োজন।
সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ অবশ্য মনে করেন, নির্বাচনকালীন সময়ের জন্য কোনো সরকার গঠন ও কোনো ব্যবস্থা বর্তমান সংবিধানে নেই। ভোটের আগে নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের কথা বলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছেন। কেননা, সংবিধানে নিরপেক্ষ সরকার বলে যেমন কিছু নেই, তেমনি নির্বাচনকালীন সরকার বলেও কিছু নেই। জাতিকে বিভ্রান্ত করতে এটা বলা হচ্ছে। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে ডেমোক্রেটিক মুভমেন্ট আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। ব্যারিস্টার মওদুদ বলেন, সবার প্রত্যাশা ছিল কীভাবে একটা সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করা যায়, সে ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী কিছু বলবেন। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমরা প্রত্যাশা করি, সব কিছুর ঊর্ধ্বে উঠে জনগণের যে ইচ্ছা তার প্রতিফলন ঘটাবেন। কিন্তু সে ব্যাপারে তিনি কিছুই বলেননি। প্রধানমন্ত্রী আসলে তার বক্তব্যের কথাই বলেছেন। অর্থাৎ এই দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে। সেটাই তিনি বলার চেষ্টা করেছেন।
সাবেক নির্বাচন কমিশনার ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক ব্রিগেডিয়ার (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, নির্বাচনকালীন সরকার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী যে বক্তব্য দিয়েছেন তা স্পষ্ট নয়। তিনি সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনের কথা বলেছেন। বিষটি সংবিধানেও স্পষ্ট নয়। বিশেষ করে নির্বাচনকালীন সরকারের মন্ত্রিসভা কেমন হবে, কারা থাকবেন, মন্ত্রিসভার কাজ কী হবে এটি স্পষ্ট নয়। প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে নির্বাচনকালীন সরকারের কথা বলেছেন, হয়তো উনার কাছে এর ব্যাখ্যা আছে। অথবা এ বিষয়ে জনগণের মতামত বা প্রতিক্রিয়া জানার জন্যও হয়তো সরকারের পক্ষ থেকে এটি বলা হচ্ছে। জনগণের আলোচনার মধ্য থেকে হয়তো সরকার কোনো আইডিয়া নিতে পারে। তবে আমাদের পরামর্শ হলো, আমরা একটি অবাধ, সুষ্ঠু এবং সবার কাছে গ্রহণযোগ্য সুন্দর নির্বাচন চাই। একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন যাতে করা যায় তা আলোচনা করে বের করতে হবে। গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে এ আলোচনা হতে পারে।
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম এ বিষয়ে বলেন, নির্বাচনকালীন সরকার যে আলাদা সেটি মেনে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী যদি উদ্যোগ নেন তাহলে ভালো। সংবিধানের ধারায় নির্বাচনকালীন সরকারের কথা বলা আছে। তবে তা কেমন হবে, ক্ষমতা কেমন হবে তা স্পষ্ট নয়। এটি স্পষ্ট করার জন্য সংবিধানে ছোট আকারে একটি সংশোধনী আনতে হবে। নির্বাচনকালে নির্বাচনকালীন সরকার যা ইচ্ছা করতে পারবে না। তারা শুধু রুটিন ওয়ার্ক করবে। নির্বাচন কমিশন নির্বাহী বিভাগকে যে নির্দেশ দেবে তা কার্যকর করবে। এক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা নিরঙ্কুশ থাকতে হবে। সংবিধান সংশোধন করে এটি স্পষ্ট করতে হবে। একই সঙ্গে বলা প্রয়োজন নির্বাচনকালীন সরকার কেমন হবে। তিনি বলেন, আমরা মনে করি দেশের নির্বাচন ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন প্রয়োজন। আমরা সেই পরিবর্তনের জন্য আন্দোলন করছি। এইযে ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচন হচ্ছে। এখানে প্রার্থীদের এক লাখ টাকা জামানত দিতে হচ্ছে। এই নির্বাচনে নির্বাচন করার যোগ্য হলেও শুধুমাত্র জামানত দেয়ার সামর্থ্যের কারণে প্রার্থী হতে পারবে না। এখানে কোনো সাধারণ মানুষের অংশ নেয়ার সুযোগ নেই। যার টাকা নেই সে নির্বাচন করতে পারে না। এই টাকার খেলা থেকে নির্বাচন ব্যবস্থাকে মুক্ত করতে হবে।
No comments