যত দিন সমস্যা, তত দিন সহায়তা: রেহান আসাদ
রেহান আসাদ |
প্রশ্ন: আপনি তো শুরু থেকেই রোহিঙ্গা সমস্যাটিকে খুব কাছ থেকে দেখেছেন, বেশ কয়েকবার বাংলাদেশে এসেছেন। এখন শিবিরগুলোর অবস্থা কেমন দেখছেন?
উত্তর: আমি অনেক শরণার্থী শিবিরে গিয়েছি। তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। শুরুতে যখন এসেছিলাম, তখন তাদের মধ্যে ভয়-আতঙ্ক দেখেছি। আগের সেই পরিস্থিতি নেই। তারা এখন সবাই আশ্রয় ও খাবার পাচ্ছে। তবে আমি মনে করি না, এটাই শেষ। আগে প্রতি রাতে ১০-১৫ হাজার করে আসত। এখন হয়তো তার চেয়ে কম আসছে। কিন্তু তাদের আসা বন্ধ হয়নি। শুরুতে তারা যখন বাংলাদেশে এসেছিল তখন খুব নৈরাজ্যপূর্ণ অবস্থা ছিল। এখন পরিস্থিতির অনেক উন্নতি হয়েছে। আমরা বলেছিলাম, কেউ যাতে না খেয়ে মারা না যায়। তা আমরা নিশ্চিত করেছি। গত ছয় মাসে আমরা জরুরি পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে গিয়েছি। এখন আমরা তাদের জন্য আর কী করা যায় তা নিয়ে পরিকল্পনা করছি।
প্রশ্ন: জরুরি পরিস্থিতি তো শেষ। এখন কী পরিকল্পনা? উন্নয়ন সহযোগীরা বিষয়টিকে কীভাবে দেখছে?
উত্তর: আন্তর্জাতিক সংস্থা ও রাষ্ট্রগুলো বর্তমানে বিশ্বের দুটি সমস্যাকে সবচেয়ে গুরুত্ব দিচ্ছে। একটি ইয়েমেন ও আরেকটি রোহিঙ্গা। হোয়াইট হাউসে প্রতি মাসে একটি ব্রিফিং হয়, সেখানে প্রতিবার রোহিঙ্গা ও ইয়েমেন নিয়ে কথা হয়। রোহিঙ্গা এখন পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে বেশি তহবিল পাওয়া জনগোষ্ঠী। প্রথম দফায় আমরা ৯০ শতাংশ তহবিল খাবারের পেছনে ব্যয় করেছি। এখন আমরা তাদের পুষ্টি, শিক্ষাসহ অন্য বিষয়গুলো নিয়ে ভাবছি। পরবর্তী ছয় মাসের পর কী হবে তা নিয়ে আমাদের টিম কাজ করছে।
প্রশ্ন: রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশ সীমিত সামর্থ্য নিয়ে আশ্রয় দিয়েছে। কিন্তু এখন তো রোহিঙ্গা শিবিরগুলো নিয়ে নানা জটিলতা দেখা দিচ্ছে। সেখানকার পুষ্টি পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক। বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে। শিশুদের অবস্থা ভালো না। বিষয়টিকে কীভাবে দেখছেন?
উত্তর: বাংলাদেশে যেসব রোহিঙ্গা আসছে, তাদের ৭০ শতাংশ শিশু। এ রকম পরিস্থিতি বিশ্বের আর কোথাও নেই। আমাদের জন্য কাজটি খুব চ্যালেঞ্জিং। আপনারা দেখেন সিরিয়ার শরণার্থীরা লেবানন, তুরস্ক ও জর্ডানে আশ্রয় নিয়েছে। কঙ্গোর শরণার্থীরা উগান্ডাসহ আফ্রিকার বেশ কয়েকটি দেশে আছে। কিন্তু রোহিঙ্গাদের প্রায় সবাই বাংলাদেশে আশ্রয় নিচ্ছে। এবং একটি মাত্র স্থানে তারা শিবির করে আছে। ব্যবস্থাপনার দিক থেকে এটি কিছুটা সুবিধা দিলেও একটি এলাকার ওপরে অনেক চাপ পড়ছে।
প্রশ্ন: মনে হচ্ছে, এই সংকট অনেক দিন ধরে থাকবে। আপনারা কী ভাবছেন?
উত্তর: সিরিয়া ও দক্ষিণ সুদানের শরণার্থীরা তিন বছর ধরে অন্য দেশে অবস্থান করেছে, এখন তারা ফিরে যাচ্ছে। দক্ষিণ সুদানে তিন বছর লেগেছে। আমরা সবাই চাই যত দ্রুত সম্ভব রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান হোক। তবে আমাদের লক্ষ্য যত দিন এই সমস্যা থাকবে, তত দিন ধরে তাদের সহায়তা দেওয়া।
প্রশ্ন: ডব্লিউএফপির প্রধান কাজ কি শুধু রোহিঙ্গাদের সহায়তা দেওয়া? বাংলাদেশের মানুষের জন্য কি আপনাদের কোনো কর্মকাণ্ড চলছে?
উত্তর: আমরা বাংলাদেশকে খাদ্যনিরাপত্তা দিতে সহায়তা করছি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে খাবার দেওয়া থেকে শুরু করে অনেক ধরনের কর্মসূচিতে আমরা কাজ করছি। পুষ্টিনিরাপত্তার জন্য সরকারের সঙ্গে কাজ করছি। যেকোনো জরুরি পরিস্থিতিতে আমরা এখন যেভাবে এগিয়ে এসেছি, সেভাবে সব সময় এগিয়ে যাব। নিয়মিত কর্মসূচি বন্ধ করব না।
উত্তর: আমি অনেক শরণার্থী শিবিরে গিয়েছি। তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। শুরুতে যখন এসেছিলাম, তখন তাদের মধ্যে ভয়-আতঙ্ক দেখেছি। আগের সেই পরিস্থিতি নেই। তারা এখন সবাই আশ্রয় ও খাবার পাচ্ছে। তবে আমি মনে করি না, এটাই শেষ। আগে প্রতি রাতে ১০-১৫ হাজার করে আসত। এখন হয়তো তার চেয়ে কম আসছে। কিন্তু তাদের আসা বন্ধ হয়নি। শুরুতে তারা যখন বাংলাদেশে এসেছিল তখন খুব নৈরাজ্যপূর্ণ অবস্থা ছিল। এখন পরিস্থিতির অনেক উন্নতি হয়েছে। আমরা বলেছিলাম, কেউ যাতে না খেয়ে মারা না যায়। তা আমরা নিশ্চিত করেছি। গত ছয় মাসে আমরা জরুরি পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে গিয়েছি। এখন আমরা তাদের জন্য আর কী করা যায় তা নিয়ে পরিকল্পনা করছি।
প্রশ্ন: জরুরি পরিস্থিতি তো শেষ। এখন কী পরিকল্পনা? উন্নয়ন সহযোগীরা বিষয়টিকে কীভাবে দেখছে?
উত্তর: আন্তর্জাতিক সংস্থা ও রাষ্ট্রগুলো বর্তমানে বিশ্বের দুটি সমস্যাকে সবচেয়ে গুরুত্ব দিচ্ছে। একটি ইয়েমেন ও আরেকটি রোহিঙ্গা। হোয়াইট হাউসে প্রতি মাসে একটি ব্রিফিং হয়, সেখানে প্রতিবার রোহিঙ্গা ও ইয়েমেন নিয়ে কথা হয়। রোহিঙ্গা এখন পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে বেশি তহবিল পাওয়া জনগোষ্ঠী। প্রথম দফায় আমরা ৯০ শতাংশ তহবিল খাবারের পেছনে ব্যয় করেছি। এখন আমরা তাদের পুষ্টি, শিক্ষাসহ অন্য বিষয়গুলো নিয়ে ভাবছি। পরবর্তী ছয় মাসের পর কী হবে তা নিয়ে আমাদের টিম কাজ করছে।
প্রশ্ন: রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশ সীমিত সামর্থ্য নিয়ে আশ্রয় দিয়েছে। কিন্তু এখন তো রোহিঙ্গা শিবিরগুলো নিয়ে নানা জটিলতা দেখা দিচ্ছে। সেখানকার পুষ্টি পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক। বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে। শিশুদের অবস্থা ভালো না। বিষয়টিকে কীভাবে দেখছেন?
উত্তর: বাংলাদেশে যেসব রোহিঙ্গা আসছে, তাদের ৭০ শতাংশ শিশু। এ রকম পরিস্থিতি বিশ্বের আর কোথাও নেই। আমাদের জন্য কাজটি খুব চ্যালেঞ্জিং। আপনারা দেখেন সিরিয়ার শরণার্থীরা লেবানন, তুরস্ক ও জর্ডানে আশ্রয় নিয়েছে। কঙ্গোর শরণার্থীরা উগান্ডাসহ আফ্রিকার বেশ কয়েকটি দেশে আছে। কিন্তু রোহিঙ্গাদের প্রায় সবাই বাংলাদেশে আশ্রয় নিচ্ছে। এবং একটি মাত্র স্থানে তারা শিবির করে আছে। ব্যবস্থাপনার দিক থেকে এটি কিছুটা সুবিধা দিলেও একটি এলাকার ওপরে অনেক চাপ পড়ছে।
প্রশ্ন: মনে হচ্ছে, এই সংকট অনেক দিন ধরে থাকবে। আপনারা কী ভাবছেন?
উত্তর: সিরিয়া ও দক্ষিণ সুদানের শরণার্থীরা তিন বছর ধরে অন্য দেশে অবস্থান করেছে, এখন তারা ফিরে যাচ্ছে। দক্ষিণ সুদানে তিন বছর লেগেছে। আমরা সবাই চাই যত দ্রুত সম্ভব রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান হোক। তবে আমাদের লক্ষ্য যত দিন এই সমস্যা থাকবে, তত দিন ধরে তাদের সহায়তা দেওয়া।
প্রশ্ন: ডব্লিউএফপির প্রধান কাজ কি শুধু রোহিঙ্গাদের সহায়তা দেওয়া? বাংলাদেশের মানুষের জন্য কি আপনাদের কোনো কর্মকাণ্ড চলছে?
উত্তর: আমরা বাংলাদেশকে খাদ্যনিরাপত্তা দিতে সহায়তা করছি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে খাবার দেওয়া থেকে শুরু করে অনেক ধরনের কর্মসূচিতে আমরা কাজ করছি। পুষ্টিনিরাপত্তার জন্য সরকারের সঙ্গে কাজ করছি। যেকোনো জরুরি পরিস্থিতিতে আমরা এখন যেভাবে এগিয়ে এসেছি, সেভাবে সব সময় এগিয়ে যাব। নিয়মিত কর্মসূচি বন্ধ করব না।
No comments