ফোর জি: নিলাম প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে বাধা ‘নেই’
ফোরজি লাইসেন্স এবং তরঙ্গ নিলামের আবেদন চেয়ে বিটিআরসির বিজ্ঞপ্তি আটকে দেওয়া হাই কোর্টের আদেশ স্থগিতই রেখেছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
ওই বিজ্ঞপ্তি নিয়ে হাই কোর্ট যে রুল দিয়েছিল তা ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে নিষ্পত্তি করতে বলেছে অস্থায়ী প্রধান বিচারপতি আবদুল ওয়াহহাব মিঞার নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারকের আপিল বেঞ্চ।
বিটিআরসির ওই বিজ্ঞপ্তির কার্যকারিতা হাই কোর্ট বৃহস্পতিবার স্থগিত করার পর বিটিআরসির আবেদনে চেম্বার আদালত তা আটকে দিয়েছিল।
এর ধারাবাহিকতায় বিষয়টি রোববার আপিল বিভাগে এলে সর্বোচ্চ আদালত হাই কোর্টের আদেশের ওপর স্থগিতাদেশ বহাল রেখে রুল নিষ্পত্তির নির্দেশ দেয়।
এর ফলে বিটিআরসির বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে ফোরজি লাইসেন্স এবং তরঙ্গ নিলামের প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে আপাতত কোনো আইনি বাধা থাকল না বলে জানান এ মামলার আইনজীবীরা।
বিটিআরসির পক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমের সঙ্গে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী খন্দকার রেজা-ই-রাকিব। আর রিটকারী বাংলালায়ন কমিউনিকেশন্স লিমিটেডের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ ও রমজান আলী শিকদার।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের চূড়ান্ত অনুমোদন পাওয়ার পর টেলিযোগাযোগের ফোরজি সেবার লাইসেন্স ও তরঙ্গ নিলামের নীতিমালা গত ২৯ নভেম্বর হাতে পায় টেলিযোগাযোগ বিভাগ। এরপর ৪ ডিসেম্বর ফোরজি লাইসেন্সের আবেদন চেয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
তরঙ্গ নিলামের জন্য সেখানে ১৩ ফেব্রুয়ারি দিন রেখে ১৪ জানুয়ারির মধ্যে আগ্রহীদের আবেদন জমা দিতে বলা হয়।
অনুমোদিত নীতিমালায় বলা হয়, ফোরজি লাইসেন্সের জন্য নিলাম হবে না। আবেদন করে নির্দিষ্ট অর্থ জমা দিয়ে লাইসেন্স নেওয়া যাবে। আর ফোর জি তরঙ্গ বরাদ্দ পেতে অংশ নিতে হবে নিলামে।
বিটিআরসির ওই বিজ্ঞপ্তি ২০০৮ সালের ব্রডব্যান্ড গাইডলাইন্সের সঙ্গে সাংঘর্ষিক- এমন যুক্তি দিয়ে বাংলালায়ন কমিউনিকেশন্স লিমিটেড বৃহস্পতিবার হাই কোর্টে রিট আবেদন করে।
এ বিষয়ে শুনানি নিয়ে বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি জাফর আহমদের হাই কোর্ট বেঞ্চ গত বৃহস্পতিবার বিটিআরসির ওই বিজ্ঞপ্তি স্থগিত করে দেয়।
সেই সঙ্গে বিটিআরসির ওই বিজ্ঞপ্তি কেন ২০০৮ সালের ওয়্যারলেস ব্রডব্যান্ড নীতিমালার ৪.০২, ৪.০৬(৩) দফা এবং ২০১৭ সালের ফোরজি নীতিমালার সঙ্গে সাংঘর্ষিক ও অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করে হাই কোর্ট।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব ও যুগ্ম সচিব, বিটিআরসি, বিটিআরসির লিগ্যাল অ্যান্ড লাইসেন্সিং ডিভিশনের মহা পরিচালক, পরিচালক ও বিটিআরসির স্পেক্ট্রাম ডিভিশনের পারিচালককে চার সপ্তাহের মধ্যে এর জবাব দিতে বলা হয়।
ওয়্যারলেস ব্রডব্যান্ড নীতিমালার ৪.০২ নীতিতে বলা হয়েছে, বেসরকারি তিন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এবং সরকারি এক প্রতিষ্ঠানকে ফোরজি লাইসেন্স দেওয়া যাবে।
আবার ৪.৬ (৩) নীতিতে বলা হয়েছে, কোনো মোবাইল অপারেটর এ লাইসেন্স পাওয়ার যোগ্য হবে না।
রিটকারীপক্ষের আইনজীবী রমজান আলী শিকদার সেদিন সাংবাদিকদের বলেন, “বিটিআরসি ব্রডব্যান্ড নীতিমালার ওই দুই নীতি উপেক্ষা করে ২০১৭ সালে আরেকটি নীতিমালা প্রণয়ন করে এবং তার ভিত্তিতে ফোরজি লাইসেন্সের জন্য দরপত্র আহ্বান করে বিজ্ঞপ্তি দেয়। বিটিআরসির এই পদক্ষেপ চ্যালেঞ্জ করে এই রিট করা হয়।”
হাই কোর্টের ওই আদেশের বিরুদ্ধে সেদিনই চেম্বার আদালতে যায় বিটিআরসি। তাদের আবেদন শুনে বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের চেম্বার আদালত হাই কোর্টের আদেশ স্থগিত করে বিষয়টি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন। এর ধারাবাহিকতায় বিষয়টি রোববার আপিল বিভাগে আসে।
ওই বিজ্ঞপ্তি নিয়ে হাই কোর্ট যে রুল দিয়েছিল তা ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে নিষ্পত্তি করতে বলেছে অস্থায়ী প্রধান বিচারপতি আবদুল ওয়াহহাব মিঞার নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারকের আপিল বেঞ্চ।
বিটিআরসির ওই বিজ্ঞপ্তির কার্যকারিতা হাই কোর্ট বৃহস্পতিবার স্থগিত করার পর বিটিআরসির আবেদনে চেম্বার আদালত তা আটকে দিয়েছিল।
এর ধারাবাহিকতায় বিষয়টি রোববার আপিল বিভাগে এলে সর্বোচ্চ আদালত হাই কোর্টের আদেশের ওপর স্থগিতাদেশ বহাল রেখে রুল নিষ্পত্তির নির্দেশ দেয়।
এর ফলে বিটিআরসির বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে ফোরজি লাইসেন্স এবং তরঙ্গ নিলামের প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে আপাতত কোনো আইনি বাধা থাকল না বলে জানান এ মামলার আইনজীবীরা।
বিটিআরসির পক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমের সঙ্গে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী খন্দকার রেজা-ই-রাকিব। আর রিটকারী বাংলালায়ন কমিউনিকেশন্স লিমিটেডের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ ও রমজান আলী শিকদার।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের চূড়ান্ত অনুমোদন পাওয়ার পর টেলিযোগাযোগের ফোরজি সেবার লাইসেন্স ও তরঙ্গ নিলামের নীতিমালা গত ২৯ নভেম্বর হাতে পায় টেলিযোগাযোগ বিভাগ। এরপর ৪ ডিসেম্বর ফোরজি লাইসেন্সের আবেদন চেয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
তরঙ্গ নিলামের জন্য সেখানে ১৩ ফেব্রুয়ারি দিন রেখে ১৪ জানুয়ারির মধ্যে আগ্রহীদের আবেদন জমা দিতে বলা হয়।
অনুমোদিত নীতিমালায় বলা হয়, ফোরজি লাইসেন্সের জন্য নিলাম হবে না। আবেদন করে নির্দিষ্ট অর্থ জমা দিয়ে লাইসেন্স নেওয়া যাবে। আর ফোর জি তরঙ্গ বরাদ্দ পেতে অংশ নিতে হবে নিলামে।
বিটিআরসির ওই বিজ্ঞপ্তি ২০০৮ সালের ব্রডব্যান্ড গাইডলাইন্সের সঙ্গে সাংঘর্ষিক- এমন যুক্তি দিয়ে বাংলালায়ন কমিউনিকেশন্স লিমিটেড বৃহস্পতিবার হাই কোর্টে রিট আবেদন করে।
এ বিষয়ে শুনানি নিয়ে বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি জাফর আহমদের হাই কোর্ট বেঞ্চ গত বৃহস্পতিবার বিটিআরসির ওই বিজ্ঞপ্তি স্থগিত করে দেয়।
সেই সঙ্গে বিটিআরসির ওই বিজ্ঞপ্তি কেন ২০০৮ সালের ওয়্যারলেস ব্রডব্যান্ড নীতিমালার ৪.০২, ৪.০৬(৩) দফা এবং ২০১৭ সালের ফোরজি নীতিমালার সঙ্গে সাংঘর্ষিক ও অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করে হাই কোর্ট।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব ও যুগ্ম সচিব, বিটিআরসি, বিটিআরসির লিগ্যাল অ্যান্ড লাইসেন্সিং ডিভিশনের মহা পরিচালক, পরিচালক ও বিটিআরসির স্পেক্ট্রাম ডিভিশনের পারিচালককে চার সপ্তাহের মধ্যে এর জবাব দিতে বলা হয়।
ওয়্যারলেস ব্রডব্যান্ড নীতিমালার ৪.০২ নীতিতে বলা হয়েছে, বেসরকারি তিন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এবং সরকারি এক প্রতিষ্ঠানকে ফোরজি লাইসেন্স দেওয়া যাবে।
আবার ৪.৬ (৩) নীতিতে বলা হয়েছে, কোনো মোবাইল অপারেটর এ লাইসেন্স পাওয়ার যোগ্য হবে না।
রিটকারীপক্ষের আইনজীবী রমজান আলী শিকদার সেদিন সাংবাদিকদের বলেন, “বিটিআরসি ব্রডব্যান্ড নীতিমালার ওই দুই নীতি উপেক্ষা করে ২০১৭ সালে আরেকটি নীতিমালা প্রণয়ন করে এবং তার ভিত্তিতে ফোরজি লাইসেন্সের জন্য দরপত্র আহ্বান করে বিজ্ঞপ্তি দেয়। বিটিআরসির এই পদক্ষেপ চ্যালেঞ্জ করে এই রিট করা হয়।”
হাই কোর্টের ওই আদেশের বিরুদ্ধে সেদিনই চেম্বার আদালতে যায় বিটিআরসি। তাদের আবেদন শুনে বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের চেম্বার আদালত হাই কোর্টের আদেশ স্থগিত করে বিষয়টি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন। এর ধারাবাহিকতায় বিষয়টি রোববার আপিল বিভাগে আসে।
No comments