রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে বেতন চান পৌর কর্মচারীরা
রাষ্ট্রীয়
কোষাগার থেকে বেতন-ভাতা, পেনশন ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা দেয়ার দাবিতে
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মহাসমাবেশ করেছে পৌরসভা সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন।
বুধবার দুপুর ১২টায় এ মহাসমাবেশ শুরু হয়। এতে দেশের ৩২৭টি পৌরসভার বিভিন্ন
পর্যায়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অংশ নেন। মহাসমাবেশ থেকে ২৪ ফেব্রুয়ারির
মধ্যে দাবি পূরণ না হলে ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আমরণ
অনশনের ঘোষণা দেয়া হয়। সংগঠনের সভাপতি মো. আবদুল আলীম মোল্যার সভাপতিত্বে
এবং সাধারণ সম্পাদক মো. শহিদুল ইসলামের পরিচালনায় মহাসমাবেশে প্রধান অতিথি
ছিলেন আওয়ামী লীগের শ্রম ও জনশক্তিবিষয়ক সম্পাদক মো. হাবিবুর রহমান সিরাজ।
বিশেষ অতিথি ছিলেন শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. সিরাজুল ইসলাম, পৌরসভা
কাউন্সিলর অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সাইফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আসাদ হোসেন।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ দেয় সরকার,
শাস্তি দেয় সরকার, বদলি করে সরকার। তা হলে ৫৮ মাস ধরে যে তারা বেতন পায় না এ
বিষয়টি দেখার দায়িত্ব কার? তারা বলেন, বেতন-ভাতা সহায়তা বাবদ ৩২৭টি
পৌরসভাকে যা বরাদ্দ দেয়া হয় তা শতকরা হিসেবে চাহিদার ০.৪৫ ভাগ। অথচ এ খাতে
টাকা বৃদ্ধি করে ইউনিয়ন পরিষদের কর্মচারীদের ৭৫ শতাংশ টাকা রাষ্ট্রীয়
কোষাগার থেকে দেয়া হচ্ছে।
আমরা আশা করছি ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে পৌর
কর্মচারীদের বেতন-ভাতা রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে দেয়া হবে। সভাপতি মো. আবদুল
আলীম মোল্যা বলেন, দাবি আদায়ে ১৫ ও ১৬ জানুয়ারি দেশের ৩২৭টি পৌরসভায় একযোগে
দু’দিনের পূর্ণদিবস কর্মবিরতি, ২৯ জানুয়ারি কাফনের কাপড় পরে দেশের ৬৪
জেলার পৌর কর্মীরা নিজ নিজ জেলায় গিয়ে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত
জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে। এর মধ্যে
দাবি মানা না হলে ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ঢাকা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে দেশের
৩২৭টি পৌরসভার পৌর কর্মীরা লাগাতার আমরণ অনশনে যাবে। দাবি পূরণের ঘোষণা না
আসা পর্যন্ত চলবে এ অনশন। সভাপতি আরও বলেন, বিভিন্ন সরকারের আমলে রাজনৈতিক
কারণে অসচ্ছল জনপদকে পৌরসভা ঘোষণা করার কারণে পৌরসভার নিজস্ব পর্যাপ্ত আয়
না থাকায় দেশের ৭৬ ভাগ পৌরসভায় ২ থেকে ৫৮ মাস পর্যন্ত বেতন বকেয়া রয়েছে।
তাছাড়া শতভাগ পৌরসভায় অবসরকালীন ভাতা শতভাগ বকেয়া রয়েছে। কোনো কোনো পৌরসভা
প্রয়োজনীয় অর্থের অভাবে জাতীয় বেতন স্কেল-২০১৫ এখনও বাস্তবায়ন করতে পারেনি।
এমন অবস্থায় প্রায় সাড়ে ১২ হাজার স্থায়ী ও প্রায় ২০ হাজার অস্থায়ী
কর্মকর্তা-কর্মচারী মানবেতর জীবনযাপন করছে। সমাবেশ শেষে সভাপতির নেতৃত্বে
পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে স্মারকলিপি দিতে
যান।
No comments