সৌদি আরবে প্রত্যাখ্যাত ইসরাইলি খেলোয়াড়রা
সৌদি
আরবে একটি আন্তর্জাতিক দাবা টুর্নামেন্ট শুরু হয়েছে। তবে তাতে ইসরাইলি
খেলোয়াড়দের ভিসা দেয়া হয়নি। দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক না থাকায় সাত
ইসরাইলি দাবাড়ুকে ভিসা দেয়া যায়নি বলে সৌদি আরবের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
ইসরাইলের দাবা ফেডারেশন বলছে, ঘটনার জন্য আর্থিক ক্ষতিপূরণ দাবি করবে
তারা। দেশের কট্টর রক্ষণশীল ইমেজ পাল্টে বিশ্বের কাছে নিজেদের তুলে ধরার
অংশ হিসেবেই সৌদি আরব প্রথমবারের মতো এ ধরনের বড় প্রতিযোগিতার আয়োজন করছে।
প্রতিযোগিতার উন্মুক্ত বিভাগে জয়ী দাবাড়ু পাবেন সাড়ে সাত লাখ ডলার; নারীদের
বিভাগে বিজয়ী প্রতিযোগীকে আড়াই লাখ ডলার দেয়া হবে। কূটনৈতিকভাবে টানাপড়েন
থাকা কাতার ও ইরানের খেলোয়াড়দের শেষ মুহূর্তে ভিসা দিয়েছে সৌদি আরব।
ইসরাইলি দাবা কর্তৃপক্ষ বলেছে, কূটনৈতিক সম্পর্ক না থাকা সত্ত্বেও
খেলোয়াড়রা ঠিকই টুর্নামেন্টে অংশ নিতে পারবে বলে তাদের বিশ্বাস ছিল।
ওয়ার্ল্ড চেস ফেডারেশনকে বিভ্রান্ত করে সৌদি আরব আয়োজক হতে পেরেছে বলেও
অভিযোগ করেছে তারা। সৌদি আরবে জনসমে আসা নারীদের আপাদমস্তক, ঢিলেঢালা পোশাক
‘আবায়া’ পরতে হলেও কিং সালমান ওয়ার্ল্ড র্যাপিড অ্যান্ড ব্লিটজ
টুর্নামেন্টে অংশ নেয়া নারীদের হিজাব কিংবা ‘আবায়া’ পরা বাধ্যতামূলক নয়
বলেও আয়োজকেরা নিশ্চিত করেছিলেন। এরপরও দু’টি বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের মুকুটধারী
ইউক্রেনের আন্না মুজিচুক টুর্নামেন্টে অংশ না নেবেন না বলে জানিয়েছেন।
প্রতিযোগিতায় অংশ না নিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের খেতাব হারাতেও আপত্তি নেই
তার। ‘রেকর্ড পুরস্কার সত্ত্বেও আমি রিয়াদে খেলতে যাব না,’ এক ফেসবুক
পোস্টে বলেন ২৭ বছর বয়সী এ দাবাড়ু। চলতি বছর এক ঘোষণায় সৌদি কর্তৃপ আগামী
বছরের মাঝামাঝি থেকে নারীদের গাড়ি চালনায় নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে; দেয়া
হয়েছে নারীদের স্টেডিয়ামে বসে খেলা দেখারও অধিকার। রিয়াদে অনুষ্ঠিত এবারের
আয়োজন নিয়ে আরো অনেক খেলোয়াড়ই আপত্তি জানিয়েছেন। আমেরিকার তিন নম্বর
র্যাঙ্কিংধারী দাবাড়ু হিকারু নাকামারু সৌদি আরবের আয়োজক হওয়ার ঘটনাকে
‘ভয়ঙ্কর’ হিসেবে অ্যাখ্যায়িত করেছেন।
No comments