হাতের কব্জি কেটে ফেলে ও খুঁচিয়ে চোখ নষ্ট করে
পরকীয়ার অভিযোগ এনে ধারালো অস্ত্র দিয়ে স্ত্রীর এক হাতের কব্জি কেটে ফেলেছে এবং খুঁচিয়ে তার একটি চোখ নষ্ট করে দিয়েছে বর্বর স্বামী। ভারতের কলকাতায় সংঘটিত এ নৃশংসতার খবর পেয়ে নির্যাতিত ময়নার বাবা তাকে সাতক্ষীরার শ্যামনগরের আটুলিয়া ইউনিয়নের ছোট কুপোট গ্রামে ফিরিয়ে এনেছেন। তাকে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। শ্যামনগর থানার ওসি সৈয়দ মান্নান আলি স্বামী শাহিনুরের বিরুদ্ধে এ নৃশংসতার অভিযোগ পেয়ে বলেন, তারা এখনও লিখিত কোনো অভিযোগ দেননি। তিনি নিজে নির্যাতিত গৃহবধূ ময়না বেগমের সঙ্গে কথা বলেছেন। আটুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আবু সালেহ বাবু বলেন, আমি তাদের আইনের আশ্রয় নেয়ার পরামর্শ দিয়েছি। ময়নার মামা মুজিবর রহমান জানান, অভাবের তাড়নায় ময়নাদের পরিবার মাস চারেক আগে ভারতে যায় কাজ করতে।
তারা কলকাতার নিউ টাউন এলাকায় থাকত। ময়নার বরাত দিয়ে তিনি জানান, ওর স্বামী শাহিনুরের সঙ্গে ওই এলাকার অপর এক নারীর পরকীয়া চলছিল। ময়না তাতে বাধা দেয়। এ নিয়ে তাদের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া-বিবাদ লেগে থাকত। মাস খানেক আগের ঘটনা উল্লেখ করে মুজিবর রহমান বলেন, ঝগড়াঝাটির একপর্যায়ে শাহিনুর ময়নার হাত-পা বেঁধে নির্যাতন চালাতে থাকে। তার এ কাজে সহায়তা করে ভাই জহুরুল ও তার মা। একপর্যায়ে সে কাটারি দিয়ে ময়নার বাঁ হাতের কবজি কেটে ফেলে। এতেই সে ক্ষান্ত হয়নি। সুচালো কিছু দিয়ে খুঁচিয়ে একটি চোখও তার নষ্ট করে দেয়। তার দেহের বিভিন্ন স্থানেও আঘাত করে সে। প্রতিবেশীরা তাকে কলকাতার একটি হাসপাতালে ভর্তি করেন। মুজিবর রহমান জানান, শাহিনুর এখনও ভারতে আছে। আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের চেষ্টা করছি।
No comments