চ্যালেঞ্জের মুখে বৃটেনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা by সোলায়মান তুষার
একের
পর এক সন্ত্রাসী হামলার কারণে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে বৃটেনের নিরাপত্তা
ব্যবস্থা। বিরোধী দলগুলো সরকারের কঠোর সমালোচনা করছেন। তারা বলছেন, ব্যয়
কমাতে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য নতুন করে নিয়োগের বদলে তাদের চাকরিচ্যুত করা
হয়েছে। এতে জননিরাপত্তা এখন প্রশ্নের মুখে। গত ৭৬ দিনে তিনটি সন্ত্রাসী
হামলার ঘটনা ঘটেছে।
নিরাপত্তা বাহিনী বলছে, শনিবারের হামলার সঙ্গে ২২শে মার্চের হামলার হুবহু মিল রয়েছে। তবে হামলাকারীরা সংখ্যায় ভিন্ন ছিল। গত ২২শে মার্চ সন্ত্রাসী খালেদ মাসুদ ওয়েস্টমিনস্টার ব্রিজের ওপর প্রথমে পথচারীদের ওপর গাড়ি চালিয়ে দেয় এবং পরে গাড়ি থেকে নেমে পথচারী ও পুলিশের ওপর ছুরি দিয়ে হামলা করে। শনিবার লন্ডন ব্রিজে ঠিক একইভাবে হামলা করা হয়। ওয়েস্টমিনস্টারের হামলাকারী পথচারীদের ওপর গাড়ি উঠিয়ে দেয়ার পর গাড়ি থেকে নেমে ছুরি নিয়ে ওয়েস্টমিনস্টারে পার্লামেন্ট ভবনে ঢোকার চেষ্টা চালায় এবং তার ছুরিকাঘাতে নিহত হন একজন পুলিশ সদস্য। লন্ডন ব্রিজেও ঠিক একইভাবে পথচারীদের ওপর গাড়ি উঠিয়ে দেয়া হয় এবং গাড়ি থেকে নেমে তিনজন সন্ত্রাসী ছুরি দিয়ে পথচারী এবং পানশালার অতিথিদের ওপর হামলা চালায়। তাদের হামলায় নিহত হন সাতজন।
মাত্র দুই সপ্তাহ আগে গত ২২শে মে, ম্যানচেস্টারে এক সংগীতানুষ্ঠানে পরিচালিত হামলায় নিহত হয়েছিলেন ২২ জন। ওই হামলা ছিল আত্মঘাতী। পুলিশি তদন্তে হামলাকারীর পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছিল যে, ম্যানচেস্টারের হামলাকারী ছিল একজন। গত ৭৬ দিনের ব্যবধানে তিনটি সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হয় ৩৪ জন এবং আহত হয় অসংখ্য। বিশ্লেষকরা বলেছেন, ১৯৭৪ সালে সন্ত্রাসী হামলার পর ইংল্যান্ডে রক্তাক্ত সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে সামপ্রতিককালে। ১৯৭৪ সালের শীতকালে সন্ত্রাসী গ্রুপ আইআরএ ভয়াবহ বোমা হামলা চালায়। তাতে অসংখ্য মানুষ নিহত ও আহত হয়। একের পর এক সন্ত্রাসী হামলার পরই কেবল পুলিশ বলেছে সন্ত্রাসী সম্পর্কে তাদের কাছে আগেই তথ্য ছিল। এখন প্রশ্ন উঠেছে পুলিশ আগে কেন ব্যবস্থা নেয়নি। ম্যানচেস্টারের হামলাকারী সালমান আবেদী নিরাপত্তাবাহিনীর আওতায় ছিল বলে দাবি করে পুলিশ। লন্ডন ব্রিজে হামলার পরও পুলিশ বলছে, তারা সন্ত্রাসীদের সম্পর্কে আগেই জানতো। এখন প্রশ্ন হচ্ছে তারা কেন ব্যবস্থা নেয়নি। মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার ক্রেসিডা ডিক সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, হামলায় অংশ নেয়া সন্ত্রাসীদের নাম দ্রুতই প্রকাশ করা হবে। পুলিশ এ নিয়ে কাজ করছে। এদিকে সন্ত্রাসী কার্যক্রমে জড়িত সন্দেহে কমপক্ষে ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ওদিকে, নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য কমানোতে সরকারের কঠোর সমালোচনা করেছে বিরোধী দল লেবার, লিব ডেম এবং ইউকেইপি। লেবার দলের প্রধান জেরেমি করবিন বলেছেন, নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য ছাঁটাই করে জননিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। তিনি বলেন, আমাদের প্রধান প্রাধান্য হলো জননিরাপত্তা। তিনি নিশ্চিত করে বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রী হলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে। হামলার পর একদিনের বিরতি দিয়ে সোমবার নির্বাচনী প্রচারণা করতে গিয়ে লেবার প্রধান সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। এদিকে এক দিনের বিরতির পর রাজনৈতিক দলগুলো সোমবার থেকে তাদের ক্যাম্পেইন শুরু করেছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক হলেও পুলিশ অনেক বেশি সতর্ক। শনিবার এবং রোববার এমনিতেই লন্ডনের বেশকিছু পাতাল রেল বন্ধ থাকে। সোমবার থেকে সব যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু হয়েছে। জনজীবন স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে।
নিরাপত্তা বাহিনী বলছে, শনিবারের হামলার সঙ্গে ২২শে মার্চের হামলার হুবহু মিল রয়েছে। তবে হামলাকারীরা সংখ্যায় ভিন্ন ছিল। গত ২২শে মার্চ সন্ত্রাসী খালেদ মাসুদ ওয়েস্টমিনস্টার ব্রিজের ওপর প্রথমে পথচারীদের ওপর গাড়ি চালিয়ে দেয় এবং পরে গাড়ি থেকে নেমে পথচারী ও পুলিশের ওপর ছুরি দিয়ে হামলা করে। শনিবার লন্ডন ব্রিজে ঠিক একইভাবে হামলা করা হয়। ওয়েস্টমিনস্টারের হামলাকারী পথচারীদের ওপর গাড়ি উঠিয়ে দেয়ার পর গাড়ি থেকে নেমে ছুরি নিয়ে ওয়েস্টমিনস্টারে পার্লামেন্ট ভবনে ঢোকার চেষ্টা চালায় এবং তার ছুরিকাঘাতে নিহত হন একজন পুলিশ সদস্য। লন্ডন ব্রিজেও ঠিক একইভাবে পথচারীদের ওপর গাড়ি উঠিয়ে দেয়া হয় এবং গাড়ি থেকে নেমে তিনজন সন্ত্রাসী ছুরি দিয়ে পথচারী এবং পানশালার অতিথিদের ওপর হামলা চালায়। তাদের হামলায় নিহত হন সাতজন।
মাত্র দুই সপ্তাহ আগে গত ২২শে মে, ম্যানচেস্টারে এক সংগীতানুষ্ঠানে পরিচালিত হামলায় নিহত হয়েছিলেন ২২ জন। ওই হামলা ছিল আত্মঘাতী। পুলিশি তদন্তে হামলাকারীর পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছিল যে, ম্যানচেস্টারের হামলাকারী ছিল একজন। গত ৭৬ দিনের ব্যবধানে তিনটি সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হয় ৩৪ জন এবং আহত হয় অসংখ্য। বিশ্লেষকরা বলেছেন, ১৯৭৪ সালে সন্ত্রাসী হামলার পর ইংল্যান্ডে রক্তাক্ত সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে সামপ্রতিককালে। ১৯৭৪ সালের শীতকালে সন্ত্রাসী গ্রুপ আইআরএ ভয়াবহ বোমা হামলা চালায়। তাতে অসংখ্য মানুষ নিহত ও আহত হয়। একের পর এক সন্ত্রাসী হামলার পরই কেবল পুলিশ বলেছে সন্ত্রাসী সম্পর্কে তাদের কাছে আগেই তথ্য ছিল। এখন প্রশ্ন উঠেছে পুলিশ আগে কেন ব্যবস্থা নেয়নি। ম্যানচেস্টারের হামলাকারী সালমান আবেদী নিরাপত্তাবাহিনীর আওতায় ছিল বলে দাবি করে পুলিশ। লন্ডন ব্রিজে হামলার পরও পুলিশ বলছে, তারা সন্ত্রাসীদের সম্পর্কে আগেই জানতো। এখন প্রশ্ন হচ্ছে তারা কেন ব্যবস্থা নেয়নি। মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার ক্রেসিডা ডিক সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, হামলায় অংশ নেয়া সন্ত্রাসীদের নাম দ্রুতই প্রকাশ করা হবে। পুলিশ এ নিয়ে কাজ করছে। এদিকে সন্ত্রাসী কার্যক্রমে জড়িত সন্দেহে কমপক্ষে ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ওদিকে, নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য কমানোতে সরকারের কঠোর সমালোচনা করেছে বিরোধী দল লেবার, লিব ডেম এবং ইউকেইপি। লেবার দলের প্রধান জেরেমি করবিন বলেছেন, নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য ছাঁটাই করে জননিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। তিনি বলেন, আমাদের প্রধান প্রাধান্য হলো জননিরাপত্তা। তিনি নিশ্চিত করে বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রী হলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে। হামলার পর একদিনের বিরতি দিয়ে সোমবার নির্বাচনী প্রচারণা করতে গিয়ে লেবার প্রধান সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। এদিকে এক দিনের বিরতির পর রাজনৈতিক দলগুলো সোমবার থেকে তাদের ক্যাম্পেইন শুরু করেছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক হলেও পুলিশ অনেক বেশি সতর্ক। শনিবার এবং রোববার এমনিতেই লন্ডনের বেশকিছু পাতাল রেল বন্ধ থাকে। সোমবার থেকে সব যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু হয়েছে। জনজীবন স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে।
No comments