আল জাজিরা গুড়িয়ে দিতে যুক্তরাষ্ট্রকে আহ্বান জানান আমিরাতি যুবরাজ
সংযুক্ত
আরব আমিরাতের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল-নাহিয়ান মার্কিন
সামরিক বাহিনীকে কাতার-ভিত্তিক আল জাজিরা চ্যানেলের অফিসে বোমা মারার
আহ্বান জানিয়েছিলেন। আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের আক্রমণ চলার সময় ও ইরাক
যুদ্ধ শুরুর প্রাক্বালে মার্কিন কূটনীতিকদের কাছে এ আহ্বান জানান তিনি।
উইকিলিকসের ফাঁস করা একটি মার্কিন কূটনীতিক তারবার্তায় এমন ইঙ্গিত মিলেছে। এ
খবর দিয়েছে আল আরাবি।
উইকিলিকসের ফাঁস করা তারবার্তায় দেখা যায়, জায়েদ মার্কিন প্রশাসনকে ইরাক যুদ্ধ নিয়ে আরব জনমত সামলাতে আল জাজিরা নেটওয়ার্কে ‘তাণ্ডব চালানো’র গুরুত্ব বোঝাচ্ছিলেন। তারবার্তায় একটি কথোপকথন উদ্ধৃত করা হয়। এতে দেখা যায়, সাবেক কাতারি আমির হামাদ বিন খলিফা আল-থানি একবার তৎকালীন আমিরাতি প্রেসিডেন্ট (প্রিন্স জায়েদের পিতা)-এর কাছে অভিযোগ করেছিলেন যে, মার্কিন জেনারেল ফ্রাঙ্কসকে জায়েদ আল জাজিরায় বোমা মারতে বলেছিলেন।
প্রিন্স জায়েদ মার্কিন কূটনীতিকদের সঙ্গে আলাপচারিতায় ওই কথা হেসে হেসে মনে করেন। জায়েদ বলেন, তার পিতা তখন কাতারের আমিরকে কটাক্ষের সুরে পাল্টা প্রশ্ন করেন, ‘আপনি কি তাকে (জায়েদ) দোষ দিতে পারেন?’
একই তারবার্তায় বলা হয়, জায়েদ যুক্তরাষ্ট্রকে ইরাক হামলার সময় সাংবাদিকদের নিষিদ্ধ করারও আহ্বান জানান। এতে বলা হয়, ‘তিনি যোদ্ধাদের সঙ্গে সাংবাদিক পাঠানোর বিরুদ্ধে সুপারিশ করেন, অন্তত শুরুর দিকে। কারণ, বেসামরিক মানুষ হতাহত হওয়ার দৃশ্য টেলিভিশনে দেখানো হলে তা বেশ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যেতে পারে।’
উল্লেখ্য, আফগানিস্তান ও ইরাকে আল জাজিরা অফিসে সত্যি সত্যি মার্কিন বাহিনী হামলা চালিয়েছিল। তবে উভয় হামলায় উদ্দেশ্যমূলক ছিল না বলে দাবি করে যুক্তরাষ্ট্র।
২০০১ সালে চালানো একটি মিশাইল হামলায় আল জাজিরার কাবুল কার্যালয় সম্পূর্ণ ধসে যায়। অপরদিকে ২০০৩ সালে আল জাজিরার বাগদাদ অফিসে চালানো হামলায় এক সাংবাদিক নিহত ও অন্য কয়েকজন আহত হয়।
উইকিলিকসের এই ফাঁস করা তারবার্তা এমন সময় সামনে এল যখন কাতারের বিরুদ্ধে সৌদি আরব ও আমিরাত নেতৃত্বে কয়েকটি দেশ অবরোধ আরোপ করেছে। এই অবরোধের নেপথ্যে আমিরাতের প্রিন্স মোহাম্মদ বিন জায়েদের বড় ভূমিকা ছিল বলে ধারণা করা হয়। কাতারি কর্তৃপক্ষকে ১৩ দফা দাবি সম্বলিত একটি তালিকা দিয়েছে সৌদি আরব ও আমিরাত। এসব দাবি পূরণ না হলে সম্পর্ক স্বাভাবিক হবে না বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। এ দাবির একটি হলো আল জাজিরা টিভি স্টেশনটি বন্ধ করে দেওয়া।
উইকিলিকসের ফাঁস করা তারবার্তায় দেখা যায়, জায়েদ মার্কিন প্রশাসনকে ইরাক যুদ্ধ নিয়ে আরব জনমত সামলাতে আল জাজিরা নেটওয়ার্কে ‘তাণ্ডব চালানো’র গুরুত্ব বোঝাচ্ছিলেন। তারবার্তায় একটি কথোপকথন উদ্ধৃত করা হয়। এতে দেখা যায়, সাবেক কাতারি আমির হামাদ বিন খলিফা আল-থানি একবার তৎকালীন আমিরাতি প্রেসিডেন্ট (প্রিন্স জায়েদের পিতা)-এর কাছে অভিযোগ করেছিলেন যে, মার্কিন জেনারেল ফ্রাঙ্কসকে জায়েদ আল জাজিরায় বোমা মারতে বলেছিলেন।
প্রিন্স জায়েদ মার্কিন কূটনীতিকদের সঙ্গে আলাপচারিতায় ওই কথা হেসে হেসে মনে করেন। জায়েদ বলেন, তার পিতা তখন কাতারের আমিরকে কটাক্ষের সুরে পাল্টা প্রশ্ন করেন, ‘আপনি কি তাকে (জায়েদ) দোষ দিতে পারেন?’
একই তারবার্তায় বলা হয়, জায়েদ যুক্তরাষ্ট্রকে ইরাক হামলার সময় সাংবাদিকদের নিষিদ্ধ করারও আহ্বান জানান। এতে বলা হয়, ‘তিনি যোদ্ধাদের সঙ্গে সাংবাদিক পাঠানোর বিরুদ্ধে সুপারিশ করেন, অন্তত শুরুর দিকে। কারণ, বেসামরিক মানুষ হতাহত হওয়ার দৃশ্য টেলিভিশনে দেখানো হলে তা বেশ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যেতে পারে।’
উল্লেখ্য, আফগানিস্তান ও ইরাকে আল জাজিরা অফিসে সত্যি সত্যি মার্কিন বাহিনী হামলা চালিয়েছিল। তবে উভয় হামলায় উদ্দেশ্যমূলক ছিল না বলে দাবি করে যুক্তরাষ্ট্র।
২০০১ সালে চালানো একটি মিশাইল হামলায় আল জাজিরার কাবুল কার্যালয় সম্পূর্ণ ধসে যায়। অপরদিকে ২০০৩ সালে আল জাজিরার বাগদাদ অফিসে চালানো হামলায় এক সাংবাদিক নিহত ও অন্য কয়েকজন আহত হয়।
উইকিলিকসের এই ফাঁস করা তারবার্তা এমন সময় সামনে এল যখন কাতারের বিরুদ্ধে সৌদি আরব ও আমিরাত নেতৃত্বে কয়েকটি দেশ অবরোধ আরোপ করেছে। এই অবরোধের নেপথ্যে আমিরাতের প্রিন্স মোহাম্মদ বিন জায়েদের বড় ভূমিকা ছিল বলে ধারণা করা হয়। কাতারি কর্তৃপক্ষকে ১৩ দফা দাবি সম্বলিত একটি তালিকা দিয়েছে সৌদি আরব ও আমিরাত। এসব দাবি পূরণ না হলে সম্পর্ক স্বাভাবিক হবে না বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। এ দাবির একটি হলো আল জাজিরা টিভি স্টেশনটি বন্ধ করে দেওয়া।
No comments