মাদকের রমরমা বাণিজ্য- দেশে মাদক ব্যবসায়ী ১,৬০,০০০ by আল-আমিন
সারা
দেশে মাদক ব্যবসায়ীর সংখ্যা ১ লাখ ৬০ হাজার। এর মধ্যে ২৭ হাজার ৩০০ জন
নারী মাদক ব্যবসায়ী। যা মোট মাদক ব্যবসায়ীর ১৭.৬ শতাংশ। এসব নারীর বয়স ১৫
থেকে ৬০ বছর। এছাড়াও নারীরা মাদক বহনে ৪০ শতাংশ শিশু ব্যবহার করে। প্রতিদিন
৬ কোটি টাকার ব্যবসা করে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সূত্র এসব তথ্য
জানিয়েছে। সূত্র মতে, কক্সবাজার জেলায় মাদক ব্যবসায়ীর সংখ্যা বেশি। সেখানে
কমপক্ষে সাড়ে ৬ হাজার পুরুষ ও নারী মাদক ব্যবসায় জড়িত। মাদক নিয়ন্ত্রণে এবং
আন্দোলনে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ১৯৯০
সালের ধারাগুলোর ত্রুটি- বিচ্যুতি দূর করতে হবে। পাশাপাশি এই ব্যবসাকে
দমনের জন্য ব্যবসায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
সামাজিকভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। এ বিষয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ
অধিদপ্তরের পরিচালক (অপারেশন ও গোয়েন্দা) সৈয়দ তৌফিক উদ্দিন আহমেদ
মানবজমিনকে জানান, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একটি প্রাথমিক গবেষণায়
দেখা গেছে, দেশে মাদক ব্যবসায়ীর সংখ্যা ১ লাখ ৬০ হাজার। এদের দমন করতে
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে। তিনি আরো জানান,
মাদকের চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে। এ কারণে মাদক ব্যবসায়ীর সংখ্যা বাড়ছে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের গোয়েন্দা বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, অধিকাংশ মাদক বিদেশ থেকে পাচার হয়ে দেশে প্রবেশ করে। মিয়ানমার ও ভারতের সীমান্ত এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে মাদক প্রবেশ করে। মাদক ব্যবসায়ীদের চোরাচালানের বড় রুট হচ্ছে কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্ত। প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতের সঙ্গে রয়েছে বাংলাদেশের বড় সীমান্ত এলাকা।
দেশে মাদকের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। এতে মাদক ব্যবসায়ীর সংখ্যাও বাড়ছে। এছাড়াও মাদক চোরাচালানিদের নেটওয়ার্ক শক্তিশালী হওয়ার কারণে তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে একস্থান থেকে আরেকস্থানে মাদক পৌঁছে দিচ্ছে।
সূত্র জানায়, দেশে মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িতরা মাদক সরবরাহে নারী ও পুরুষদের ব্যবহার করে। যারা মাদক বহন করে তাদের ব্যবসায়ীরা মোটা অঙ্কের টাকা দেয়। পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, মাদক ব্যবসায়ীদের প্রায় ৪৫ শতাংশ বেকারত্ব সমস্যায় ভুগছিলো। তারা নির্দিষ্ট কোনো কর্মক্ষেত্র না পাওয়ার কারণে এই অবৈধ পেশায় জড়িয়ে পড়েছে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, সীমান্ত এলাকায় মাদক ব্যবসায়ীর সংখ্যা বেশি। তারা ওই এলাকার বাসিন্দা হওয়ার কারণে সহজেই সীমান্তের ওপারের লোকদের সঙ্গে লিয়াজোঁ করে বাংলাদেশে মাদক নিয়ে আসে। তারা সীমান্ত প্রহরীদের হাত করে এ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। এছাড়াও ঢাকা এবং বিভাগীয় শহর এলাকা থেকে জেলা ও থানা এলাকায় মাদক ব্যবসায়ীর সংখ্যা বেশি। মোট ব্যবসায়ীর প্রায় ৭০ শতাংশ জেলা ও থানায় মাদক ব্যবসা করে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালে দেশে মাদক ব্যবসায়ীর সংখ্যা ছিল ৯৫ হাজার ৪০০ জন। ২০১৬ সালে এই সংখ্যা দাঁড়ায় ১ লাখ ৩০ হাজার ১০ জনে। ২০১৭ সালে এই সংখ্যা বেড়ে ১ লাখ ৬০ হাজারে দাঁড়িয়েছে। পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, গত ১ বছরে দেশে মাদক ব্যবসায়ীর সংখ্যা বেড়েছে ২৯ হাজার ৯ শ’ ৯০ জন।
এ বিষয়ে মাদকদ্রব্য ও নেশা নিরোধ সংস্থার (মানস) সভাপতি অধ্যাপক ডা. অরূপ রতন চৌধুরী বলেন, দেশে মাদক ব্যবসায়ীর সংখ্যা অনেক। সঠিক পরিসংখ্যান করলে ভয়াবহ তথ্য বের হয়ে আসবে। এটা নির্ণয় জরুরি। সরকারের কাছে একটি পরিসংখ্যান থাকা দরকার।
তিনি বলেন, মাদক লাভজনক ব্যবসা। এ কারণে ব্যবসায়ীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। মাদক ব্যবসায়ীদের দমনের জন্য যেমন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কাজ করতে হবে পাশাপাশি জনসচেতনতা বাড়াতে হবে। সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়া হবে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের জনবল বাড়াতে হবে। এছাড়াও ১৯৯০ সালের যে অধ্যাদেশ আছে এটির সংশোধন করতে হবে। যাতে মাদক ব্যবসায়ীরা কোনোভাবেই দ্রুত জামিন না পেয়ে যায়।
এদিকে, ২০১৭ সালের এপ্রিলের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী সারা দেশে মাদকাসক্ত হচ্ছে ৫০ লাখ। এর মধ্যে নারী মাদকসেবী ৫ লাখ ৯০ হাজার। এছাড়াও শিশু ও কিশোর মাদকাসক্ত রয়েছে ৩ লাখ ২৪ হাজার। যা মাদকাসক্তের শতকরা ৪০ ভাগই শিশু ও কিশোর। সারা দেশে ইয়াবাসেবী রয়েছে প্রায় ২ লাখ। যা মোট মাদকসেবীর ২.৫০ শতাংশ। তার মধ্যে প্রায় ৯০ হাজার শিক্ষার্থী মরণ নেশা ইয়াবাতে আসক্ত। তারা অধিকাংশ প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া। আবার ইয়াবাসেবীর মধ্যে রয়েছে ১০ হাজার নারী শিক্ষার্থী।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের গোয়েন্দা বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, অধিকাংশ মাদক বিদেশ থেকে পাচার হয়ে দেশে প্রবেশ করে। মিয়ানমার ও ভারতের সীমান্ত এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে মাদক প্রবেশ করে। মাদক ব্যবসায়ীদের চোরাচালানের বড় রুট হচ্ছে কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্ত। প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতের সঙ্গে রয়েছে বাংলাদেশের বড় সীমান্ত এলাকা।
দেশে মাদকের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। এতে মাদক ব্যবসায়ীর সংখ্যাও বাড়ছে। এছাড়াও মাদক চোরাচালানিদের নেটওয়ার্ক শক্তিশালী হওয়ার কারণে তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে একস্থান থেকে আরেকস্থানে মাদক পৌঁছে দিচ্ছে।
সূত্র জানায়, দেশে মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িতরা মাদক সরবরাহে নারী ও পুরুষদের ব্যবহার করে। যারা মাদক বহন করে তাদের ব্যবসায়ীরা মোটা অঙ্কের টাকা দেয়। পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, মাদক ব্যবসায়ীদের প্রায় ৪৫ শতাংশ বেকারত্ব সমস্যায় ভুগছিলো। তারা নির্দিষ্ট কোনো কর্মক্ষেত্র না পাওয়ার কারণে এই অবৈধ পেশায় জড়িয়ে পড়েছে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, সীমান্ত এলাকায় মাদক ব্যবসায়ীর সংখ্যা বেশি। তারা ওই এলাকার বাসিন্দা হওয়ার কারণে সহজেই সীমান্তের ওপারের লোকদের সঙ্গে লিয়াজোঁ করে বাংলাদেশে মাদক নিয়ে আসে। তারা সীমান্ত প্রহরীদের হাত করে এ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। এছাড়াও ঢাকা এবং বিভাগীয় শহর এলাকা থেকে জেলা ও থানা এলাকায় মাদক ব্যবসায়ীর সংখ্যা বেশি। মোট ব্যবসায়ীর প্রায় ৭০ শতাংশ জেলা ও থানায় মাদক ব্যবসা করে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালে দেশে মাদক ব্যবসায়ীর সংখ্যা ছিল ৯৫ হাজার ৪০০ জন। ২০১৬ সালে এই সংখ্যা দাঁড়ায় ১ লাখ ৩০ হাজার ১০ জনে। ২০১৭ সালে এই সংখ্যা বেড়ে ১ লাখ ৬০ হাজারে দাঁড়িয়েছে। পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, গত ১ বছরে দেশে মাদক ব্যবসায়ীর সংখ্যা বেড়েছে ২৯ হাজার ৯ শ’ ৯০ জন।
এ বিষয়ে মাদকদ্রব্য ও নেশা নিরোধ সংস্থার (মানস) সভাপতি অধ্যাপক ডা. অরূপ রতন চৌধুরী বলেন, দেশে মাদক ব্যবসায়ীর সংখ্যা অনেক। সঠিক পরিসংখ্যান করলে ভয়াবহ তথ্য বের হয়ে আসবে। এটা নির্ণয় জরুরি। সরকারের কাছে একটি পরিসংখ্যান থাকা দরকার।
তিনি বলেন, মাদক লাভজনক ব্যবসা। এ কারণে ব্যবসায়ীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। মাদক ব্যবসায়ীদের দমনের জন্য যেমন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কাজ করতে হবে পাশাপাশি জনসচেতনতা বাড়াতে হবে। সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়া হবে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের জনবল বাড়াতে হবে। এছাড়াও ১৯৯০ সালের যে অধ্যাদেশ আছে এটির সংশোধন করতে হবে। যাতে মাদক ব্যবসায়ীরা কোনোভাবেই দ্রুত জামিন না পেয়ে যায়।
এদিকে, ২০১৭ সালের এপ্রিলের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী সারা দেশে মাদকাসক্ত হচ্ছে ৫০ লাখ। এর মধ্যে নারী মাদকসেবী ৫ লাখ ৯০ হাজার। এছাড়াও শিশু ও কিশোর মাদকাসক্ত রয়েছে ৩ লাখ ২৪ হাজার। যা মাদকাসক্তের শতকরা ৪০ ভাগই শিশু ও কিশোর। সারা দেশে ইয়াবাসেবী রয়েছে প্রায় ২ লাখ। যা মোট মাদকসেবীর ২.৫০ শতাংশ। তার মধ্যে প্রায় ৯০ হাজার শিক্ষার্থী মরণ নেশা ইয়াবাতে আসক্ত। তারা অধিকাংশ প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া। আবার ইয়াবাসেবীর মধ্যে রয়েছে ১০ হাজার নারী শিক্ষার্থী।
No comments