ভারতের যৌনপল্লিতে বাড়ছে বাংলাদেশি নারী-শিশু
দুই
প্রতিবেশী দেশের পাচারকারী চক্র বাংলাদেশের ভাগ্য বিড়ম্বিত নারী ও শিশুদের
সরলতা ও অসচেতনতাকে পুঁজি করে তাদের বিক্রি করে দিচ্ছে যৌনপল্লিতে। ফলে
ভারতের যৌনপল্লিগুলোতে শিশু, কিশোরী ও নারীর সংখ্যা উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে।
দেশের দক্ষিণাঞ্চলের যশোর, সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট ও কুষ্টিয়ার লোকজন
এই প্রতারণার শিকার হচ্ছে।
ভারতে মানব পাচার বন্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানকে লেখা এক চিঠিতে এমন অভিমত দিয়েছেন দিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী।
আজ বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ঈদের ছুটির আগে দিল্লি থেকে চিঠিটি ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। মে মাসে মুম্বাইতে সরেজমিনে বেশ কয়েকটি আশ্রয়কেন্দ্রে জনা পঞ্চাশেক বাংলাদেশি নারী ও শিশুর সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি সম্পর্কে ঢাকার কাছে পর্যবেক্ষণ পাঠানো হয়েছে।
দিল্লি ও মুম্বাইয়ের কূটনীতিক সূত্রে সম্প্রতি যোগাযোগ করে জানা গেছে, ভারতের পতিতালয়গুলোতে বাংলাদেশের শিশু, কিশোরী ও নারীর সংখ্যা যথেষ্ট বাড়ছে। বেশ কয়েক মাস ধরে এমন তথ্য পাওয়ার পর গত মে মাসে দিল্লি ও মুম্বাইতে কর্মরত বাংলাদেশের কূটনীতিকেরা মুম্বাইয়ের বেশ কয়েকটি আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নেওয়া শিশু, কিশোরী ও নারীর সঙ্গে কথা বলেন। এদের সঙ্গে কথা বলে ভারতে পৌঁছানোর রহস্য জানতে পারেন কূটনীতিকেরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কূটনীতিক এই প্রতিবেদককে বলেন, একটি আশ্রয়কেন্দ্রের ৪০ জন বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলে দেখা গেছে, এদের ২৯ জনই এসেছে বাংলাদেশ থেকে। পরিস্থিতি যে কতটা খারাপ এ থেকে একটা ধারণা পাওয়া যেতে পারে।
সরেজমিনে পরিদর্শনের পর পাওয়া পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে ঢাকায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে চিঠি পাঠান হাইকমিশনার। চিঠিতে বলা হয়েছে, দরিদ্র মা-বাবা অভাবের কারণে সন্তানকে অপরিচিত লোকের হাতে তুলে দিচ্ছেন। আবার কেউ বিয়ে বা বিদেশে চাকরির ফাঁদে পা দিয়ে মানব পাচারকারীদের খপ্পরে পড়ছেন। আবার উন্নত জীবনের আশায় নিম্নবিত্ত নারীরা পাচারকারীদের শিকারে পরিণত হচ্ছেন। চূড়ান্তভাবে তাঁদের ঠাঁই হচ্ছে ভারতের যৌনপল্লিগুলোতে। একই সামাজিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে থাকার পরও ভারতের যৌনপল্লিগুলোতে পশ্চিমবঙ্গ ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোর নারী ও শিশুর সংখ্যা যথেষ্ট কম। ভারতের গণমাধ্যমে মানব পাচার নিয়ে সচেতনতামূলক অনুষ্ঠানের প্রচার এবং মানব পাচার রোধের আইনের কঠোর প্রয়োগ বড় ভূমিকা রাখছে বলে মত দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশে মানব পাচার রোধের আইন প্রয়োগের শিথিলতা ও সচেতনতার অভাবে ভারতে মানব পাচারের পথ করে দিচ্ছে। তাই আইনের কঠোর প্রয়োগ ও সীমান্তে পাহারা জোরদারের সুপারিশ করা হয়েছে। এ ছাড়া মানব পাচার রোধে জনসচেতনতার জন্য গণমাধ্যমে নিয়মিত প্রামাণ্যচিত্র, নাটক ও বিজ্ঞাপন প্রচারের কথাও চিঠিতে বলা হয়েছে।
এদিকে মুম্বাইয়ের আশ্রয়কেন্দ্র ঘুরে আসা একাধিক কূটনীতিক প্রথম আলোকে জানান, মুম্বাই ছাড়াও গোয়া, পুনে এই শহরগুলোর যৌনপল্লিগুলোতে উদ্বেগজনক হারে বাংলাদেশিদের সংখ্যা বাড়ছে।
জানতে চাইলে মুম্বাইতে বাংলাদেশের উপহাইকমিশনার সামিনা নাজ গতকাল বিকেলে প্রথম আলোকে বলেন, ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ২০১৬ সালে ডিসেম্বর পর্যন্ত মুম্বাই, গোয়া, পুনে, কেরালা, দামান ও তামিলনাড়ু থেকে উদ্ধারের পর অন্তত ৩৭০ জন নারী ও শিশুকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
ভারতে মানব পাচার বন্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানকে লেখা এক চিঠিতে এমন অভিমত দিয়েছেন দিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী।
আজ বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ঈদের ছুটির আগে দিল্লি থেকে চিঠিটি ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। মে মাসে মুম্বাইতে সরেজমিনে বেশ কয়েকটি আশ্রয়কেন্দ্রে জনা পঞ্চাশেক বাংলাদেশি নারী ও শিশুর সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি সম্পর্কে ঢাকার কাছে পর্যবেক্ষণ পাঠানো হয়েছে।
দিল্লি ও মুম্বাইয়ের কূটনীতিক সূত্রে সম্প্রতি যোগাযোগ করে জানা গেছে, ভারতের পতিতালয়গুলোতে বাংলাদেশের শিশু, কিশোরী ও নারীর সংখ্যা যথেষ্ট বাড়ছে। বেশ কয়েক মাস ধরে এমন তথ্য পাওয়ার পর গত মে মাসে দিল্লি ও মুম্বাইতে কর্মরত বাংলাদেশের কূটনীতিকেরা মুম্বাইয়ের বেশ কয়েকটি আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নেওয়া শিশু, কিশোরী ও নারীর সঙ্গে কথা বলেন। এদের সঙ্গে কথা বলে ভারতে পৌঁছানোর রহস্য জানতে পারেন কূটনীতিকেরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কূটনীতিক এই প্রতিবেদককে বলেন, একটি আশ্রয়কেন্দ্রের ৪০ জন বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলে দেখা গেছে, এদের ২৯ জনই এসেছে বাংলাদেশ থেকে। পরিস্থিতি যে কতটা খারাপ এ থেকে একটা ধারণা পাওয়া যেতে পারে।
সরেজমিনে পরিদর্শনের পর পাওয়া পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে ঢাকায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে চিঠি পাঠান হাইকমিশনার। চিঠিতে বলা হয়েছে, দরিদ্র মা-বাবা অভাবের কারণে সন্তানকে অপরিচিত লোকের হাতে তুলে দিচ্ছেন। আবার কেউ বিয়ে বা বিদেশে চাকরির ফাঁদে পা দিয়ে মানব পাচারকারীদের খপ্পরে পড়ছেন। আবার উন্নত জীবনের আশায় নিম্নবিত্ত নারীরা পাচারকারীদের শিকারে পরিণত হচ্ছেন। চূড়ান্তভাবে তাঁদের ঠাঁই হচ্ছে ভারতের যৌনপল্লিগুলোতে। একই সামাজিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে থাকার পরও ভারতের যৌনপল্লিগুলোতে পশ্চিমবঙ্গ ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোর নারী ও শিশুর সংখ্যা যথেষ্ট কম। ভারতের গণমাধ্যমে মানব পাচার নিয়ে সচেতনতামূলক অনুষ্ঠানের প্রচার এবং মানব পাচার রোধের আইনের কঠোর প্রয়োগ বড় ভূমিকা রাখছে বলে মত দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশে মানব পাচার রোধের আইন প্রয়োগের শিথিলতা ও সচেতনতার অভাবে ভারতে মানব পাচারের পথ করে দিচ্ছে। তাই আইনের কঠোর প্রয়োগ ও সীমান্তে পাহারা জোরদারের সুপারিশ করা হয়েছে। এ ছাড়া মানব পাচার রোধে জনসচেতনতার জন্য গণমাধ্যমে নিয়মিত প্রামাণ্যচিত্র, নাটক ও বিজ্ঞাপন প্রচারের কথাও চিঠিতে বলা হয়েছে।
এদিকে মুম্বাইয়ের আশ্রয়কেন্দ্র ঘুরে আসা একাধিক কূটনীতিক প্রথম আলোকে জানান, মুম্বাই ছাড়াও গোয়া, পুনে এই শহরগুলোর যৌনপল্লিগুলোতে উদ্বেগজনক হারে বাংলাদেশিদের সংখ্যা বাড়ছে।
জানতে চাইলে মুম্বাইতে বাংলাদেশের উপহাইকমিশনার সামিনা নাজ গতকাল বিকেলে প্রথম আলোকে বলেন, ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ২০১৬ সালে ডিসেম্বর পর্যন্ত মুম্বাই, গোয়া, পুনে, কেরালা, দামান ও তামিলনাড়ু থেকে উদ্ধারের পর অন্তত ৩৭০ জন নারী ও শিশুকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
No comments