গোহত্যা! অপরাধী বানর
ভয়ে অস্থির ভারতের ঝাড়খণ্ডের ১৩টি গ্রামের বাসিন্দা। একদল বানর যখন তখন রাজগঞ্জ পঞ্চায়েতের এ গ্রামে ও গ্রামে ঢুকে তাণ্ডব চালাচ্ছে। গত সপ্তাহে তাদের কামড়ে প্রাণ হারিয়েছে রাজগঞ্জ বাজার এলাকার বাসিন্দা রাজু আগরওয়ালের পোষা গরু। বিজেপি রাজত্বে মানুষ গোহত্যা করলে তুলকালাম হয়ে যেত। কিন্তু যেহেতু অপরাধী বানরের দল, তাই তাদের কীভাবে শাস্তি দেয়া সম্ভব, তা গ্রামবাসীরা ভেবে পাচ্ছেন না। তা ছাড়া বানরও যে সে নয়, রামচন্দ্রের আজ্ঞাকারী ভক্ত হনুমানের বংশে তার জন্ম। তাই কিচ্ছু করতে না পেরে হাত কামড়াচ্ছেন স্থানীয় মানুষ। এদিকে গোমাতা, অন্যদিকে দেবতা - কার বিরাগভাজন হওয়া অপেক্ষাকৃত নিরাপদ বুঝে উঠতে পারছেন না। বছরদুয়েক ধরে ৩০-৩৫টি বানর ধানবাদের বাঘমারা ব্লকে চূড়ান্ত অশান্তি করছে। যখন তখন মানুষকে ধরে কামড়ে দিচ্ছে তারা, কামড়াচ্ছে গরু, ছাগল, কুকুর, বেড়ালদের। খাবার- কেড়ে নিচ্ছে, শুকোতে দেয়া জামাকাপড় নিয়ে চম্পট দিচ্ছে,
বাড়িতে ঢুকে জিনিসপত্র ভাঙচুর করছে, দাপাদাপি করে ক্ষতি করছে টালির চালের। যেই শোনা যাচ্ছে, কোনো গ্রামে তাদের পদার্পণ ঘটেছে, বাসিন্দারা বাড়িতে ঢুকে দরজা জানালা বন্ধ করে দিচ্ছেন, আটকে ফেলছেন ছেলেমেয়েদের। এই প্রচণ্ড গরমেও দরজা জানালা খুলতে না পেরে ভেতরে বসে বসে ঘেমে অস্থির হচ্ছে তারা। এমনকী গ্রামে বানর ঢুকেছে জানতে পারলে ছেলেমেয়েদের স্কুলে যাওয়াও বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। তবে বিপদ সবথেকে বেশি যখন কেউ বাজার থেকে ফিরছেন। বানরদলের চোখে পড়লে আর রক্ষে নেই। তক্ষুনি হাত থেকে তরিতরকারি ভরা ব্যাগ ছিনতাই করছে তারা। ভালয় ভালয় মুখ বুজে মেনে নিলে ভালো। না হলে জুটছে দাঁত খিচুনি, চড় থাপ্পড়। সাধারণ মানুষ এ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর গ্রিভ্যান্স সেলেও অভিযোগ করেছেন। কিন্তু অত্যাচার বন্ধ হওয়ার নাম নেই।
No comments