কৃষি ও বিদ্যুতে কমছে ভর্তুকি
ভর্তুকি কমছে কৃষি ও বিদ্যুৎ খাতে। চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে কৃষি খাতে তিন হাজার কোটি টাকা এবং বিদ্যুতে কমছে ৫০০ কোটি টাকা। অন্যান্য খাতেও প্রায় ৩০০ কোটি টাকা কাটছাঁট করা হয়েছে। তবে সম্প্রতি হাওরে ক্ষতিগ্রস্তদের বিনামূল্যে ৩০ কেজি চাল দেয়া এবং খোলা বাজারে ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রির কারণে খাদ্যে বেড়েছে ভর্তুকির পরিমাণ। এ খাতে নতুন করে দেয়া হচ্ছে ৯০১ কোটি টাকা। সরকারের নীতিনির্ধারণের উচ্চ পর্যায়ে নেয়া হয়েছে এসব সিদ্ধান্ত। সংশ্লিষ্ট সূত্রে পাওয়া গেছে এসব তথ্য। সূত্র মতে, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম নিন্মমুখী হওয়ায় এ বছর জ্বালানি তেলে কোনো ভর্তুকি দেয়া হয়নি। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন বৃহস্পতিবার যুগান্তরকে বলেন, জ্বালানি তেলের দাম আন্তর্জাতিক বাজারে কম আছে। এতে এ খাতে ভর্তুকি কমছে। ফলে সার্বিকভাবে ভর্তুকি কমবে। তিনি বলেন, ভর্তুকি হিসাব নতুনভাবে করা হচ্ছে। এখনও চূড়ান্ত করা হয়নি। তবে ভর্তুকি কমবে। সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ও অর্থনীতিবিদ ড. মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, সংশোধিত বাজেটে কৃষিতে ভর্তুকি কমানোর যৌক্তিকতা নেই। বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর কারণে কিছুটা মূল্য সমন্বয় হয়েছে। এতে ভর্তুকি কমবে।তবে খাদ্য খাতে ভর্তুকি বেড়েছে সম্প্রতি ১০ টাকা কেজি চাল দেয়ার কারণে। তিনি বলেন, ভর্তুকি যাদের উদ্দেশ্যে দেয়া হচ্ছে তারা পাচ্ছে কিনা তা দেখার বিষয়। কারণ অনেক সময় ভর্তুকির সুবিধা প্রকৃত সুবিধাভোগীরা পায় না। এ অর্থনীতিবিদ মনে করেন বাজেটে দেয়া ভর্তুকি বাস্তবতার সঙ্গে মিল নেই। এটি একটি অস্বচ্ছ প্রক্রিয়া। সূত্র মতে, ২০১৬-১৭ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে মোট ভর্তুকি কমানো হয়েছে দুই হাজার ৯২৯ কোটি টাকা। ভর্তুকি, প্রণোদনা ও ঋণ খাতে মোট বরাদ্দ ছিল ২৬ হাজার ৭২৯ কোটি টাকা। তা কমিয়ে আনা হয়েছে ২৩ হাজার ৮০০ কোটি টাকায়। প্রতি বছর বাজেটে দেয়া বিশাল অঙ্কের ভর্তুকি আটটি খাতে ব্যয় করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে খাদ্য ও অন্যান্য খাত। প্রণোদনা দেয়া হয় কৃষি, পণ্য রফতানি ও পাটজাত দ্রবাদির ক্ষেত্রে। ভর্তুকির আরেকটি অংশ নগদ ঋণ হিসেবে যায় বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি), বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) ও অন্যান্য খাতে। সবচেয়ে বেশি ভর্তুকি দেয়া হয় কৃষি খাতে। এরপর বিদ্যুৎ খাত। বেসরকারি খাত থেকে বেশি দাম দিয়ে বিদ্যুৎ কিনে সরকারি সিদ্ধান্তে কম মূল্যে বিক্রি করার কারণে পিডিবিকে এই ভর্তুকি দেয়া হয়। ২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেটে কৃষি খাতে ৯ হাজার কোটি টাকার ভর্তুকি দেয়া হয়। কিন্তু সংশোধিত বাজেটে কমিয়ে ছয় হাজার কোটি টাকা করা হয়। ওই হিসেবে কৃষিতে কমানো হচ্ছে তিন হাজার কোটি টাকা। এদিকে দাতাসংস্থাগুলো ভর্তুকি কমিয়ে আনতে সব সময় সরকারকে পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ভর্তুকি কমিয়ে আনতে বিশ্বব্যাংকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। তাদের মতে, ভর্তুকির টাকা ধনীরাও পাচ্ছে। তাই সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ করে ভর্তুকি দেয়া উচিত। যাতে সুবিধাবঞ্চিতরা এর উপকার পায়। কৃষি খাতে ভর্তুকি কমানোর ব্যাপারে বিগত কয়েক বছর ধরে দাতা সংস্থাগুলো চাপ দিলেও সরকার তা কমায়নি।
তবে এ বছর এ খাতেও ভর্তুকি কমানো হচ্ছে। ভর্তুকি বরাদ্দের দিক থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে পিডিবি। এ খাতে চলতি বাজেটে বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল ছয় হাজার কোটি টাকা। শেষ পর্যন্ত ৫০০ কোটি টাকা কমিয়ে সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকা চূড়ান্ত করা হয় সংশোধিত বাজেটে। জানা গেছে, চলতি অর্থবছরে বিদ্যুতের দাম বেড়েছে। ফলে এর মূল্য সমন্বয় হওয়ায় এ খাতে ভর্তুকির পরিমাণ কিছুটা কমছে। যে কারণে বিদ্যুতে ভর্তুকি কমানো হয়। পণ্য রফতানিতে নগদ সহায়তাকে প্রণোদনা হিসেবে ধরা হয়। সংশোধিত বাজেটে প্রণোদনা কমানো হয়নি। চলতি বাজেটে এ খাতে বরাদ্দ ছিল চার হাজার কোটি টাকা। একইভাবে পাটজাত দ্রব্যাদির প্রণোদনাও কমানো হয়নি। অর্থবছরের শুরুতে ৫০০ কোটি টাকার প্রণোদনা দেয়া হয় এ খাতে। খাদ্য ভর্তুকি প্রসঙ্গে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, কম দামে চাল-গম বিতরণ কর্মসূচি ‘ওএমএস’-এর আওতায় চাল ও গমের বিক্রয় মূল্য দু’ধাপে কমানো হয়েছে। পাশাপাশি চালু করা হয়েছে ১০ টাকা কেজিতে চাল বিতরণ কর্মসূচি। এ ছাড়া সম্প্রতি হাওর অঞ্চলে প্রত্যেক ক্ষতিগ্রস্তকে বিনামূল্যে ৩০ কেজি করে চাল দেয়া হচ্ছে। যে কারণে বেড়েছে খাদ্যে ভর্তুকির পরিমাণ। চলতি বাজেটে এ খাতে ভর্তুকি বাবদ বরাদ্দ দেয়া হয় দুই হাজার ৮২০ কোটি টাকা। সংশোধিত বাজেটে বাড়িয়ে তা নির্ধারণ করা হয়েছে তিন হাজার ৭২১ কোটি টাকা। এতে ভর্তুকি বেড়েছে ৯০১ কোটি টাকা। ভর্তুকির একটি অংশ বরাদ্দ রাখা হয় অন্যান্য খাতের জন্য। এ খাতেও বরাদ্দ কমানো হয়েছে। চলতি বাজেটে এ খাতে বরাদ্দ ধরা হয় এক হাজার ৪০৯ কোটি টাকা। সংশোধিত বাজেটে ৩০০ কোটি টাকা কমিয়ে এক হাজার ১০৯ কোটি টাকা চূড়ান্ত করা হয়। ঋণ দেয়ার ক্ষেত্রে অন্যান্য খাতে তিন হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের কোনো কাটছাঁট করা হয়নি।
তবে এ বছর এ খাতেও ভর্তুকি কমানো হচ্ছে। ভর্তুকি বরাদ্দের দিক থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে পিডিবি। এ খাতে চলতি বাজেটে বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল ছয় হাজার কোটি টাকা। শেষ পর্যন্ত ৫০০ কোটি টাকা কমিয়ে সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকা চূড়ান্ত করা হয় সংশোধিত বাজেটে। জানা গেছে, চলতি অর্থবছরে বিদ্যুতের দাম বেড়েছে। ফলে এর মূল্য সমন্বয় হওয়ায় এ খাতে ভর্তুকির পরিমাণ কিছুটা কমছে। যে কারণে বিদ্যুতে ভর্তুকি কমানো হয়। পণ্য রফতানিতে নগদ সহায়তাকে প্রণোদনা হিসেবে ধরা হয়। সংশোধিত বাজেটে প্রণোদনা কমানো হয়নি। চলতি বাজেটে এ খাতে বরাদ্দ ছিল চার হাজার কোটি টাকা। একইভাবে পাটজাত দ্রব্যাদির প্রণোদনাও কমানো হয়নি। অর্থবছরের শুরুতে ৫০০ কোটি টাকার প্রণোদনা দেয়া হয় এ খাতে। খাদ্য ভর্তুকি প্রসঙ্গে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, কম দামে চাল-গম বিতরণ কর্মসূচি ‘ওএমএস’-এর আওতায় চাল ও গমের বিক্রয় মূল্য দু’ধাপে কমানো হয়েছে। পাশাপাশি চালু করা হয়েছে ১০ টাকা কেজিতে চাল বিতরণ কর্মসূচি। এ ছাড়া সম্প্রতি হাওর অঞ্চলে প্রত্যেক ক্ষতিগ্রস্তকে বিনামূল্যে ৩০ কেজি করে চাল দেয়া হচ্ছে। যে কারণে বেড়েছে খাদ্যে ভর্তুকির পরিমাণ। চলতি বাজেটে এ খাতে ভর্তুকি বাবদ বরাদ্দ দেয়া হয় দুই হাজার ৮২০ কোটি টাকা। সংশোধিত বাজেটে বাড়িয়ে তা নির্ধারণ করা হয়েছে তিন হাজার ৭২১ কোটি টাকা। এতে ভর্তুকি বেড়েছে ৯০১ কোটি টাকা। ভর্তুকির একটি অংশ বরাদ্দ রাখা হয় অন্যান্য খাতের জন্য। এ খাতেও বরাদ্দ কমানো হয়েছে। চলতি বাজেটে এ খাতে বরাদ্দ ধরা হয় এক হাজার ৪০৯ কোটি টাকা। সংশোধিত বাজেটে ৩০০ কোটি টাকা কমিয়ে এক হাজার ১০৯ কোটি টাকা চূড়ান্ত করা হয়। ঋণ দেয়ার ক্ষেত্রে অন্যান্য খাতে তিন হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের কোনো কাটছাঁট করা হয়নি।
No comments