বিপুল উৎসাহে ভোট by তরুণ চক্রবর্তী
রাতভর
বৃষ্টির পরও গতকাল সোমবার সকালে ছিল আকাশের মুখ ভার। তাতে অবশ্য বয়েই
গেছে আয়েশা বা অর্চিতাদের। প্রথমবার ভোট বলে কথা! তাই ছাতা মাথায় দিয়েই সাত
সকালে হাজির বুথে। লম্বা লাইনে তাঁরা শামিল হয়েছেন যন্ত্রের বোতাম টিপে
নাগরিক অধিকার প্রয়োগে। উত্তর-পূর্ব ভারতের আসামে বিধানসভা নির্বাচনের
প্রথম পর্যায়ের ভোটগ্রহণ হয়েছে গতকাল। সকাল থেকেই কেন্দ্রে কেন্দ্রে
ভোটারদের বিপুল উৎসাহ চোখে পড়ে। নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবাই ভোটকে ঘিরে
তুমুল ব্যস্ত। বাংলাভাষী বরাক উপত্যকার শিলচর রেলস্টেশনের সামনেই সাতসকালে
দেখা হলো বাবুল হোড়ের সঙ্গে। তিনি ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের
সদস্য। আগের রাতে কলকাতায় ইংল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজ মারকাটারি ফাইনাল দেখে
ভোরেই শিলচর বিমানবন্দরে নেমে সোজা চলে এসেছেন ভোটকেন্দ্রে। প্রথম আলোকে
বাবুল বলেন, ‘কখন কোথায় ব্যস্ত হয়ে পড়ি, তাই আগেভাগে ভোটটা দিয়ে দিলাম।’
সকাল সকালই ভোট দিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ, প্রদেশ কংগ্রেস
সভাপতি অঞ্জন দত্তও। ভোট দিয়ে সাংবাদিকদের সামনে তাঁদের দাবি, ১০০ শতাংশ
নিশ্চিত, তাঁরাই জিতবেন। বিজেপি শিবির থেকে শোনা গেছে পাল্টা দাবি।
মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল
সাংবাদিকদের বলেন, পরিবর্তন হচ্ছেই! এর মধ্যেই ভোটকর্মীরা ব্যস্ত ছিলেন
ভোটগ্রহণে। প্রিসাইডিং অফিসার আবদুল মজিদ লস্কর প্রথম আলোকে বলেন, ‘এবার
আগের থেকে বন্দোবস্ত ভালো করা হয়েছে।’ একই মত ভোটকর্মী দীপক রঞ্জন রায়ের।
ভোটার ইফতিকার আহমেদ অবশ্য অনুযোগ করলেন, আবহাওয়া নিয়ে। তবে খারাপ
আবহাওয়ার মধ্যেও ভোটারদের মধ্যে উৎসাহের কমতি নেই বলেই জানালেন অসীম কুমার
চৌধুরী। তাঁর দাবি, শান্তিপূর্ণভাবেই চলছে ভোটগ্রহণ। এই শান্তিপূর্ণ
পরিবেশের মধ্যেই অবশ্য বিভিন্ন স্থান থেকে কিছু কিছু জালিয়াতি, বুথ দখল ও
সন্ত্রাস সৃষ্টির অভিযোগ আসতে শুরু করে সকাল থেকে। তবে গুরুতর কোনো
অভিযোগ ছিল না বলেই নির্বাচন কমিশন সাংবাদিকদের কাছে জানায়।
No comments