অমিতাভ, ঐশ্বরিয়া ও আদানিসহ পাঁচশ নাম!
সম্পদ
গোপন করতে বিদেশি কর রেয়াত অঞ্চল ব্যবহারকারী ভারতীয়দের তালিকায় শীর্ষ
চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব অমিতাভ বচ্চন ও তাঁর পুত্রবধূ ঐশ্বরিয়া রাই, করপোরেট
ব্যবসায়ী কে পি সিং ও তাঁর পরিবারের নয়জন সদস্য, আদানি গ্রুপের
প্রতিষ্ঠাতা গৌতম আদানির বড় ভাই বিনোদ আদানি প্রমুখের নাম রয়েছে। তাঁদের
কথিত গোপন লেনদেনের বিষয় বিশ্বের ১০০টির বেশি সংবাদ প্রতিষ্ঠানের যৌথ
অনুসন্ধানে ধরা পড়েছে। মধ্য আমেরিকার কর রেয়াত সুবিধার দেশ পানামাভিত্তিক
আইনি প্রতিষ্ঠান মোসাক ফনসেকার ১ কোটি ১৫ লাখ গোপন নথিপত্র ফাঁস হওয়ার
পর সেগুলোর তদন্ত করেছে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস এবং অন্য সংবাদ
প্রতিষ্ঠানগুলো। গত বছর ‘সুইস লিকস’ এইচএসবিসি জেনেভায় গোপন ব্যাংক
হিসাবধারী ব্যক্তিদের যে বৈশ্বিক তালিকা প্রকাশ করে, তাতেও অন্তত ১ হাজার
১০০ জন ভারতীয়র নাম ছিল। এবার পানামা পেপারস ফাঁসের ঘটনায় জানা গেল, ভারতের
অন্তত ৫০০ জন ব্যক্তির বিদেশে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান, ফাউন্ডেশন এবং
ট্রাস্টের সঙ্গে প্রশ্নবিদ্ধ আর্থিক লেনদেন রয়েছে। তালিকায় ভারতের দুজন
রাজনীতিকের নামও রয়েছে। তাঁরা হলেন পশ্চিমবঙ্গের শিশির বাজোরিয়া এবং
লোকসত্ব পার্টির দিল্লি শাখার সাবেক প্রধান অনুরাগ কেজরিওয়াল। মুম্বাইয়ের
প্রয়াত মাফিয়া ইকবাল মিরচির পাশাপাশি পাঁচকুলা, দেরাদুন, ভাদোদরা, মন্দসর
প্রভৃতি এলাকার অজ্ঞাত বেশ কয়েকজনের গোপন লেনদেনের ব্যাপারেও তথ্য রয়েছে
ওই তালিকায়। ‘বিগ বি’ নামে সুপরিচিত বলিউড তারকা অমিতাভ বচ্চনকে অন্তত
চারটি শিপিং কোম্পানির পরিচালক পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল, যেগুলো বিদেশি
কর রেয়াত অঞ্চলে নথিভুক্ত এবং ২৩ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত। এসব প্রতিষ্ঠানের
প্রকাশ্য সম্পদের পরিমাণ পাঁচ হাজার থেকে ৫০ হাজার মার্কিন ডলার পর্যন্ত।
অমিতাভ অবশ্য বহু আগেই ওই প্রতিষ্ঠানগুলোর পদ ছেড়ে দিয়েছেন। তবে তিনি ফাঁস
হওয়া নথিপত্র সম্পর্কে মুখ খোলেননি। তাঁর পুত্রবধূ ও সাবেক মিস ওয়ার্ল্ড
ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চনও একটি বিদেশি প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ও অংশীদার ছিলেন।
তবে তাঁর মিডিয়া উপদেষ্টা বলেছেন, এসব নথি ‘সম্পূর্ণ অসত্য ও মিথ্যা’।
প্রথম আলোর নয়াদিল্লি প্রতিনিধি জানিয়েছেন, পানামা পেপারসের তদন্ত করবে
ভারত সরকার। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজেই এ তদন্তের নির্দেশ
দিয়েছেন। কেন্দ্রীয় সরকারের অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি গতকাল সোমবার বলেছেন, এ
ধরনের খবর যে ফাঁস হচ্ছে, তা সুলক্ষণ। বিদেশে বেআইনিভাবে যাঁরা অর্থ
রাখেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জেটলি আরও জানিয়েছেন, এই
অভিযোগের তদন্তে অনেকগুলো সংস্থাকে যুক্ত করা হবে
No comments