ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবি, ৫০০ অভিবাসীর প্রাণহানির আশঙ্কা
ইউরোপে
যাওয়ার পথে ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবিতে পাঁচ শতাধিক অভিবাসীর প্রাণহানি হয়েছে
বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আজ সোমবার ইতালির প্রেসিডেন্ট সার্জিও মাত্তারেলা
নৌকাডুবির বিষয়টি নিশ্চিত করেন। খবর বিবিসি ও ওয়াশিংটন পোস্টের।বিবিসির
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ডুবে যাওয়া নৌকা থেকে ৪১ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।
গ্রিসের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর কালামাতা থেকে তাঁদের উদ্ধার করা হয়। তাঁরা
জানিয়েছেন, নৌকাটিতে বেশির ভাগ যাত্রীই ছিলেন পূর্ব আফ্রিকার বিভিন্ন
দেশের। তাঁরা ভূমধ্যসাগর হয়ে ইতালির দিকে যাচ্ছিলেন। এই যাত্রীরা বলছেন,
তাঁদের সঙ্গে থাকার অন্তত ৫০০ যাত্রী ডুবে মারা গেছেন। তবে মৃত যাত্রীর
সংখ্যা আনুষ্ঠানিক কোনো সূত্র থেকে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ওয়াশিংটন পোস্ট
জানায়, ইতালির পররাষ্ট্রমন্ত্রীও নৌকাডুবির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে,
তিনি বিস্তারিত কিছু জানাননি। নৌকাটিতে সোমলিয়ারও কয়েকজন যাত্রী ছিলেন
বলে জানিয়েছেন মিসরে থাকা সোমালিয়ার একজন নারী। তিনি বলেন, তাঁর তিনজন
স্বজন গত বৃহস্পতিবার ওই নৌকায় ইউরোপের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেন। তাঁরাও
মারা গেছেন। নৌকাডুবির সোমলিয়ার প্রেসিডেন্ট হাসান শেখ মোহাম্মদ শোক
প্রকাশ করেছেন। এর আগে আজ সকালে লিবিয়ার উপকূলে নৌকা ডুবির আরেকটি ঘটনায়
ছয়জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গত বছরের এপ্রিলে এই ভূমধ্যসাগরেই নৌযান
ডুবিতে প্রায় ৮০০ অভিবাসীর প্রাণহানি ঘটে। জাতিসংঘের তথ্যমতে, চলতি বছর এ
পর্যন্ত এক লাখ ৮০ হাজার অভিবাসী ঝুঁকিপূর্ণভাবে সাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে
ঢোকার চেষ্টা করেছে। এর মধ্যে অন্তত ৮০০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
ভূমধ্যসাগর দিয়ে কয়েক দশক ধরেই এভাবে অভিবাসীরা বিপজ্জনকভাবে ইউরোপ যাওয়ার চেষ্টা করছে। ইরাক, সিরিয়া ও লিবিয়া সংকটের জের ধরে সাম্প্রতিক সময়ে এভাবে সাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপের দেশগুলোতে যাওয়ার ঘটনা বেড়েছে। বিশেষ করে বছরের এই সময়ে সাগর কিছুটা শান্ত থাকায় বিভিন্ন আকারের ঝুঁকিপূর্ণ নৌযানে করে শত শত মাইল দূরের ইউরোপে পৌঁছানোর চেষ্টা করছে অভিবাসীরা।
ভূমধ্যসাগর দিয়ে কয়েক দশক ধরেই এভাবে অভিবাসীরা বিপজ্জনকভাবে ইউরোপ যাওয়ার চেষ্টা করছে। ইরাক, সিরিয়া ও লিবিয়া সংকটের জের ধরে সাম্প্রতিক সময়ে এভাবে সাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপের দেশগুলোতে যাওয়ার ঘটনা বেড়েছে। বিশেষ করে বছরের এই সময়ে সাগর কিছুটা শান্ত থাকায় বিভিন্ন আকারের ঝুঁকিপূর্ণ নৌযানে করে শত শত মাইল দূরের ইউরোপে পৌঁছানোর চেষ্টা করছে অভিবাসীরা।
No comments