‘হ্যাকাররা বাংলাদেশ বা ফিলিপাইনের নয়’ by লিরা ফার্নান্দেজ
বাংলাদেশ
ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরির ঘটনায় জড়িত হ্যাকাররা
বাংলাদেশ বা ফিলিপাইনের নাগরিক নয়। ফিলিপাইনে নিযুক্ত বাংলাদেশের
রাষ্ট্রদূত জন গোমেজ এমনটাই দাবি করেছেন। এক সাক্ষাৎকারে এই প্রতিবেদককে জন
গোমেজ বলেন, ‘এ ব্যাপারে প্রাপ্ত তথ্য আমি প্রকাশ করতে পারছি না। তবে
জেনেছি, বাংলাদেশ বা ফিলিপাইনের কেউ এই হ্যাকিংয়ে জড়িত নয়।’ জন গোমেজ বলেন,
‘অন্য দেশের কেউ এ কাজ করেছে। তবে কে এই কাজ করেছে, তা আমি প্রকাশ করতে
পারছি না। সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে যা খুবই নিশ্চিত, তা হলো
জড়িত হ্যাকাররা বাংলাদেশ বা ফিলিপাইনের কেউ নয়।’ জন গোমেজ জানান, অর্থ
চুরির এই ঘটনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের কেউ সহযোগিতা করেছেন কি না, তা খুঁজে বের
করতে তদন্ত চলছে। অর্থ চুরির ঘটনা নিয়ে আগামীকাল মঙ্গলবার ফিলিপাইনের ব্লু
রিবন সিনেট কমিটির শুনানি ফের শুরু হচ্ছে।আসলে কী ঘটেছিল, সিনেটররা তা
খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন বলে বিশ্বাস রাষ্ট্রদূত জন গোমেজের। গত ৪
ফেব্রুয়ারি রাতে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কে
রক্ষিত বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের ১০ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি করা হয়। এর
মধ্যে দুই কোটি ডলার যায় শ্রীলঙ্কায়। ওই অর্থ ফেরত পেয়েছে বাংলাদেশ। চুরি
হওয়া বাকি ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার গেছে ফিলিপাইনে। দেশটির রিজাল কমার্শিয়াল
ব্যাংকিং করপোরেশনের (আরসিবিসি) মাকাতি শহরের জুপিটার স্ট্রিট শাখার
মাধ্যমে এই অর্থ স্থানান্তর হয়। সিনেট কমিটির শুনানিতে আরসিবিসির
প্রেসিডেন্ট লরেঞ্জো তান বলেছেন, তাঁর ব্যাংক অর্থ পাচারের অভিযোগে দোষী
প্রমাণিত হলে চুরি যাওয়া ৮ কোটি ১০ লাখ ডলারের একটি নির্দিষ্ট অংশ জরিমানা
হিসেবে ফেরত দেবে।
No comments