পিএসজি, না সিটির রাত?

ম্যানচেস্টার সিটি ও ইতিহাসের মাঝে ব্যবধান মাত্রই ৯০ মিনিটের।
প্যারিস সেন্ট–জার্মেইয়ের বিপক্ষে আজ ‘অ্যাওয়ে’ গোলের সুবিধা
নিয়ে মাঠে নামবেন আগুয়েরো-ডি ব্রুইনারা
আজকের দিনটির জন্যই এত দিন অপেক্ষায় ছিল ম্যানচেস্টার সিটি? এত দিন ধরে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা ঢালা, বড় বড় ফুটবলার কেনা, নামীদামি কোচ আনা—এসব তো ইউরোপের সবচেয়ে কুলীন টুর্নামেন্টের শ্রেষ্ঠত্বের জন্য। পিএসজির সঙ্গে আজ জিতলে  তো বটেই, ১-১ বা গোলশূন্য ড্র করলেও প্রথমবারের মতো সেমিফাইনালে উঠে যাবে সিটি। তখন শিরোপাই তো হাতছানি দিতে পারে তাদের। আর শিরোপা জিতলে নিশ্চিত করেই ঠাঁই পেয়ে যাবে ইউরোপের কুলীন কুলে। সেই হাতছানি আছে পিএসজির সামনেও। এত দিন ধরে চেষ্টা করেও বারবার কোয়ার্টার ফাইনালের গেরোতে আটকে যাচ্ছিল পিএসজি। প্রথমবারের মতো সেমিফাইনালে যেতে হলে আজ জয় না পেলেও ম্যাচটি ২-২-এর চেয়ে বড় স্কোরলাইন রেখে ড্র করতে হবে। কাজটা কঠিন, তবে পিএসজির জন্য সেটা নিশ্চয়ই অসম্ভব নয়। সিটির মিডফিল্ডার সামির নাসরি সতীর্থদের সেটাই মনে করিয়ে দিয়েছেন। আগের ম্যাচের স্মৃতিটাকে ঝেড়ে ফেলতে বলেছেন মাথা থেকে, ‘এটা হবে খুব কঠিন একটা ম্যাচ। তবে আমি পিএসজিকে জানি। ওই ম্যাচটা ওদের জন্য বাজে একটা দিন ছিল। ওরা টেকনিক্যালি খুব বাজে একটা দিন কাটিয়েছে, এটা আসলে ওদের সঙ্গে ঠিক যায় না।’ এ ধরনের সুবিধা যে অনেক সময় উল্টো বিপদ হয়ে আসতে পারে সেটাও মনে করিয়ে দিচ্ছেন নাসরি, ‘এ ধরনের পরিস্থিতিতে কী করতে হবে সেটা অনেক সময় বোঝা যায় না। আপনি আক্রমণ করবেন না রক্ষণ করবেন, সেটি নিয়েও আপনার দ্বিধা থাকে।’ দ্বিতীয় রাউন্ডে ডায়নামো কিয়েভের সঙ্গেও নিজেদের মাঠে একটু বিবর্ণ ছিল সিটি। নাসরি সেটা নিয়েও একটু উদ্বিগ্ন, ‘কিয়েভের সঙ্গে আমরা যেভাবে খেলেছি সেভাবে খেললে চলবে না। তবে আমাদের সবাই ক্ষুধার্ত, ভালো কিছু করার জন্য সবাই অপেক্ষা করছে।’ সিটি কোচ ম্যানুয়েল পেলেগ্রিনিও জানেন ম্যাচটা কত বড়। শোনা যাচ্ছিল, চোট থেকে সেরে না ওঠা অধিনায়ক ভিনসেন্ট কোম্পানিকে নামিয়ে দেওয়ার ফাটকাও খেলতে পারেন। কিন্তু তা হচ্ছে না। তবে চোট কাটিয়ে আজ ফেরার কথা ডেভিড সিলভার। পিএসজি কোচ লরা ব্লাঁ আজকের ম্যাচটা বাঁচা-মরার লড়াই হিসেবেও নিচ্ছেন। এরই মধ্যে ফ্রেঞ্চ লিগ জিতে গেছে তারা, এই সপ্তাহে নিয়মিত একাদশের প্রায় সবাইকে বসিয়ে রাখার ‘বিলাসিতাও’ করতে পারছেন ব্লাঁ। পিএসজির সর্বশেষ ইংল্যান্ড সফরের স্মৃতিটাও প্রেরণা জোগাতে পারে। চেলসিকে তাদের মাঠেই ২-১ গোলে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছিল। আজও ব্লাঁ সে রকম কিছুই চাইবেন। এএফপি, রয়টার্স।

ইংল্যান্ডের পঞ্চম ক্লাব হিসেবে চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালে ওঠার হাতছানি ম্যানচেস্টার সিটির সামনে। এর আগে চেলসি (৭ বার), ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড (৭), লিভারপুল (৩) ও আর্সেনাল (২) সেমিফাইনাল খেলেছে।

এই মৌসুমে চারটি অ্যাওয়ে ম্যাচের তিনটিতেই জিতেছে পিএসজি। প্যারিসের ক্লাবটি শুধু গ্রুপ পর্বে হেরেছে রিয়াল মাদ্রিদের কাছে।
২–২
ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় পিএসজি যে তিনবার নকআউট পর্বে ঘরের মাঠে ২-২ গোলে ড্র করেছে, সেই তিনবারই ওই রাউন্ডে বিদায় নিয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.