এবারও হাজারো কণ্ঠে বর্ষবরণ
চ্যানেল আই ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা |
বিগত
পাঁচ বছরের ধারাবাহিকতায় এবারও অনুষ্ঠিত হবে চ্যানেল আই ও সুরের ধারার
আয়োজনে সানসিল্ক নিবেদিত ‘হাজারো কণ্ঠে বর্ষবরণ ১৪২৩’ উৎসব। এ অনুষ্ঠানটি
হবে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের খোলা প্রাঙ্গণে পয়লা বৈশাখ
ভোর ৫টা ৫০ মিনিট থেকে। এতে থাকবে এক হাজার শিল্পীর কণ্ঠে বর্ষবরণের গান।
সার্বিক তত্ত্বাবধানে থাকবেন বিশিষ্ট রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী
বন্যা। অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করবে চ্যানেল আই। আজ দুপুরে চ্যানেল
আই কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে
অনুষ্ঠানের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন চ্যানেল আইয়ের পরিচালক ও
বার্তাপ্রধান শাইখ সিরাজ, সুরের ধারার অধ্যক্ষ ও চেয়ারম্যান রেজওয়ানা
চৌধুরী বন্যা এবং পৃষ্ঠপোষক ইউনিলিভারের ব্র্যান্ড বিল্ডিং ডিরেক্টর জাভেদ
আকতার। সংবাদ সম্মেলনে শাইখ সিরাজ বলেন, এবারও বর্ণাঢ্যভাবে বর্ষবরণ
অনুষ্ঠানটি আয়োজন করবে চ্যানেল আই। তুলে ধরবে দেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য।
পাশাপাশি একটি টেলিভিশন চ্যানেলের দায়বদ্ধতা থেকে দেশের সাংস্কৃতিক
ঐতিহ্যকে যত দূর সম্ভব সর্বসাধারণের মধ্যে তুলে ধরার সবটুকুই করবে চ্যানেল
আই। রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা বলেন, ‘এবারের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে শিল্পীরা
গাইবেন মানুষের জন্য মানবতার গান। ১৩ এপ্রিল সন্ধ্যা ছয়টায়
চৈত্রসংক্রান্তির অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শুরু হবে বর্ষবিদায় ১৪২২ ও
বর্ষবরণ ১৪২৩। চৈত্রসংক্রান্তির অনুষ্ঠান সাজানো হয়েছে নাটকের গান দিয়ে।
এসব আয়োজনে সুরের ধারার শিল্পীরা ছাড়াও অতিথি শিল্পী হিসেবে অংশ নেবেন
দেশের গুণী ও বরেণ্য শিল্পীরা।’ তিনি জানালেন, সুরের ধারার
চৈত্র-সংক্রান্তি আয়োজনের এবারের ভাবনা ‘নাটকের গান’। থাকছে রবীন্দ্রনাথ
ঠাকুরের নৃত্যনাট্য ‘মায়ার খেলা’, পরশুরামের ‘ভূষণ্ডীর মাঠ’ আর মৈমনসিংহ
গীতিকা অবলম্বনে পদাবলি যাত্রা ‘সোনাই মাধব’। সুরের ধারার শিশুশিক্ষার্থীরা
করবে গীতিনাট্য ‘হিংসুটে দৈত্য’ আর সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা রবীন্দ্রনাটকের
নবরস। সুরের ধারার শিক্ষকসহ চার শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে
চৈত্রসংক্রান্তির আয়োজনে। সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, বর্ষবরণ
অনুষ্ঠানে নাচ, গান, আবৃত্তি, নৃত্যনাট্য, শিশু–কিশোরদের পরিবেশনা ছাড়াও
আয়োজন করা হয়েছে দিনব্যাপী নববর্ষের মেলা। যেখানে থাকবে দেশের ক্ষুদ্র,
কুটির ও লোকজ শিল্পপণ্যের সমাহার।
No comments