‘সামনে এগিয়ে যেতে চাই’
গত
এসএ গেমসে ভারোত্তোলনে সোনাজয়ী মাবিয়া আক্তারের চোখ এখন দক্ষিণ এশিয়ার
সীমানা ছাড়িয়ে এশীয় পর্যায়ে। অলিম্পিকের ওয়াইল্ড কার্ড পাওয়ার জন্য
খেলবেন এশিয়ান ভারোত্তোলন চ্যাম্পিয়নশিপে। আনসারের ভারোত্তোলক সেই
প্রস্তুতি আর তাঁর বদলে যাওয়া জীবন নিয়ে কথা বললেন
* অলিম্পিকের বাছাইপর্ব খেলতে উজবেকিস্তান যাচ্ছেন, প্রস্তুতি কেমন আপনার?
মাবিয়া আক্তার: ২০ এপ্রিল উজবেকিস্তান যাব এশিয়ান ভারোত্তোলন চ্যাম্পিয়নশিপে খেলতে। ২২ এপ্রিল প্রতিযোগিতা শুরু। এটি সামনের রিও অলিম্পিকের বাছাইপর্বও। এ জন্য মার্চ মাস থেকেই কঠোর অনুশীলন করছি।
* অলিম্পিকের ওয়াইল্ড কার্ড কি পেতে পারেন এখানে?
মাবিয়া: ওয়াইল্ড কার্ড পাওয়াটাই আমার একমাত্র লক্ষ্য। তবে সেখানে সেট মার্ক (বেঁধে দেওয়া লক্ষ্যমাত্রা) টপকালেই ওয়াইল্ড কার্ড মিলতে পারে।
* বিষয়টি একটু স্পষ্ট করে বলবেন?
মাবিয়া: আমি যে ওজন শ্রেণিতে খেলি (৬৩ কেজি) ওই ক্যাটাগরির জন্য নির্দিষ্ট স্কোর করে যদি সেরা ১৬ জনের মধ্যে কেউ থাকতে পারে, তাহলেই সে অলিম্পিকের ওয়াইল্ড কার্ড পাওয়ার যোগ্য হবে। এটা গত যুব অলিম্পিকের নিয়ম ছিল। এবারও এমনটাই হবে বলে শুনেছি।
* অলিম্পিকে খেলা তো আপনার স্বপ্ন...
মাবিয়া: অবশ্যই। ভারতে সোনা জয়ের পর আমি দারুণ আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেছি। পারফরম্যান্স ভালো হলে হয়তো কার্ড পেয়েও যেতে পারি। একজন অ্যাথলেটের সারা জীবনের স্বপ্ন থাকে অলিম্পিকে খেলার। এত দিন ছোটখাটো গেমসগুলোয় খেলার স্বপ্ন দেখতাম। সব সময় লক্ষ্য থাকত যে ওই গেমসে যেন ভালো পারফরম্যান্স করতে পারি। কিন্তু এবার অলিম্পিকে যাওয়ার জন্য বাড়তি পরিশ্রম করছি। যেহেতু অলিম্পিক সামনে এবং আমি কোয়ালিফাই করতেই যাব, তাই পুরো নজরই এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ ঘিরে। সেখানে ভালো খেলার ব্যাপারে আমি আশাবাদী।
* এবার বলুন, সোনা জয়ের পর আপনার চারপাশের জগৎ কতটা বদলেছে?
মাবিয়া: মনে হচ্ছে এখনো স্বপ্নের মধ্যে, ঘোরের মধ্যে আছি। সবকিছু দারুণ উপভোগ করছি। আগে সেলিব্রিটিদের এমনটা করতে দেখেছি। কিন্তু নিজেই সেলিব্রিটি হয়ে যাব তা কোনো দিন ভাবতে পারিনি। মনে হচ্ছে আজব একটা কাণ্ড ঘটিয়ে ফেলেছি (হাসি)!
* সোনা জয়ের পর টেলিভিশনে আপনার কান্নার ভিডিও সেদিন ভার্চ্যুয়াল জগতে ঝড় তুলেছিল। এ নিয়ে নিশ্চয়ই এখনো আপনাকে কথা বলতে হয়?
মাবিয়া: অবশ্যই। রাস্তায় হাঁটতে গেলে, শপিংয়ে গেলে লোকজন ছবি তোলে, সেলফি তোলে আমার সঙ্গে। বন্ধুরা মিলে চাইনিজে খেতে গেলে সবাই এগিয়ে আসে, এসব নিয়ে কথা বলতে চায়। কদিন আগে এই নিয়ে মজার একটা ঘটনাও ঘটেছিল।
* সেটা কেমন?
মাবিয়া: আমরা কয়েকজন সফিপুর আনসার একাডেমিতে যাচ্ছিলাম। যাওয়ার পথে একটা রেস্তোরাঁয় খেতে বসেছি। রেস্তোরাঁর ম্যানেজার আমাকে দেখেই চিনতে পারেন। কাছে এসে বললেন, আপনাকে টিভিতে দেখেছি। এরপর বলেন, আমি খুব ভাগ্যবান যে আপনি আমার রেস্তোরাঁয় খেতে এসেছেন। তখন খুব ভালো লাগছিল। ভদ্রলোক আমার খাবারের বিলটাও রাখেননি। বললেন, আপা আপনাকে টিভিতে কাঁদতে দেখেছিলাম। আপনার কান্না দেখে আমিও কেঁদেছিলাম। বললেন, আপনি সেদিন একা কাঁদেননি। পুরো বাংলাদেশকেই কাঁদিয়েছিলেন।
* প্রধানমন্ত্রীর ফ্ল্যাট দেওয়ার প্রতিশ্রুতি, ফেডারেশন ও বিওএ থেকে আর্থিক সহযোগিতা পেয়ে কেমন লাগছে?
মাবিয়া: সবাই চায় এসব মৌলিক চাহিদা পূরণ হোক। কিন্তু এত অল্প সময়ে পূরণ হবে তা ভাবিনি। হয়তো আর পেছনে তাকাতে হবে না। এখন শুধু সামনে এগিয়ে যেতে চাই। আমার দায়িত্ব আরও বেড়ে গেছে।
* অলিম্পিকের বাছাইপর্ব খেলতে উজবেকিস্তান যাচ্ছেন, প্রস্তুতি কেমন আপনার?
মাবিয়া আক্তার: ২০ এপ্রিল উজবেকিস্তান যাব এশিয়ান ভারোত্তোলন চ্যাম্পিয়নশিপে খেলতে। ২২ এপ্রিল প্রতিযোগিতা শুরু। এটি সামনের রিও অলিম্পিকের বাছাইপর্বও। এ জন্য মার্চ মাস থেকেই কঠোর অনুশীলন করছি।
* অলিম্পিকের ওয়াইল্ড কার্ড কি পেতে পারেন এখানে?
মাবিয়া: ওয়াইল্ড কার্ড পাওয়াটাই আমার একমাত্র লক্ষ্য। তবে সেখানে সেট মার্ক (বেঁধে দেওয়া লক্ষ্যমাত্রা) টপকালেই ওয়াইল্ড কার্ড মিলতে পারে।
* বিষয়টি একটু স্পষ্ট করে বলবেন?
মাবিয়া: আমি যে ওজন শ্রেণিতে খেলি (৬৩ কেজি) ওই ক্যাটাগরির জন্য নির্দিষ্ট স্কোর করে যদি সেরা ১৬ জনের মধ্যে কেউ থাকতে পারে, তাহলেই সে অলিম্পিকের ওয়াইল্ড কার্ড পাওয়ার যোগ্য হবে। এটা গত যুব অলিম্পিকের নিয়ম ছিল। এবারও এমনটাই হবে বলে শুনেছি।
* অলিম্পিকে খেলা তো আপনার স্বপ্ন...
মাবিয়া: অবশ্যই। ভারতে সোনা জয়ের পর আমি দারুণ আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেছি। পারফরম্যান্স ভালো হলে হয়তো কার্ড পেয়েও যেতে পারি। একজন অ্যাথলেটের সারা জীবনের স্বপ্ন থাকে অলিম্পিকে খেলার। এত দিন ছোটখাটো গেমসগুলোয় খেলার স্বপ্ন দেখতাম। সব সময় লক্ষ্য থাকত যে ওই গেমসে যেন ভালো পারফরম্যান্স করতে পারি। কিন্তু এবার অলিম্পিকে যাওয়ার জন্য বাড়তি পরিশ্রম করছি। যেহেতু অলিম্পিক সামনে এবং আমি কোয়ালিফাই করতেই যাব, তাই পুরো নজরই এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ ঘিরে। সেখানে ভালো খেলার ব্যাপারে আমি আশাবাদী।
* এবার বলুন, সোনা জয়ের পর আপনার চারপাশের জগৎ কতটা বদলেছে?
মাবিয়া: মনে হচ্ছে এখনো স্বপ্নের মধ্যে, ঘোরের মধ্যে আছি। সবকিছু দারুণ উপভোগ করছি। আগে সেলিব্রিটিদের এমনটা করতে দেখেছি। কিন্তু নিজেই সেলিব্রিটি হয়ে যাব তা কোনো দিন ভাবতে পারিনি। মনে হচ্ছে আজব একটা কাণ্ড ঘটিয়ে ফেলেছি (হাসি)!
* সোনা জয়ের পর টেলিভিশনে আপনার কান্নার ভিডিও সেদিন ভার্চ্যুয়াল জগতে ঝড় তুলেছিল। এ নিয়ে নিশ্চয়ই এখনো আপনাকে কথা বলতে হয়?
মাবিয়া: অবশ্যই। রাস্তায় হাঁটতে গেলে, শপিংয়ে গেলে লোকজন ছবি তোলে, সেলফি তোলে আমার সঙ্গে। বন্ধুরা মিলে চাইনিজে খেতে গেলে সবাই এগিয়ে আসে, এসব নিয়ে কথা বলতে চায়। কদিন আগে এই নিয়ে মজার একটা ঘটনাও ঘটেছিল।
* সেটা কেমন?
মাবিয়া: আমরা কয়েকজন সফিপুর আনসার একাডেমিতে যাচ্ছিলাম। যাওয়ার পথে একটা রেস্তোরাঁয় খেতে বসেছি। রেস্তোরাঁর ম্যানেজার আমাকে দেখেই চিনতে পারেন। কাছে এসে বললেন, আপনাকে টিভিতে দেখেছি। এরপর বলেন, আমি খুব ভাগ্যবান যে আপনি আমার রেস্তোরাঁয় খেতে এসেছেন। তখন খুব ভালো লাগছিল। ভদ্রলোক আমার খাবারের বিলটাও রাখেননি। বললেন, আপা আপনাকে টিভিতে কাঁদতে দেখেছিলাম। আপনার কান্না দেখে আমিও কেঁদেছিলাম। বললেন, আপনি সেদিন একা কাঁদেননি। পুরো বাংলাদেশকেই কাঁদিয়েছিলেন।
* প্রধানমন্ত্রীর ফ্ল্যাট দেওয়ার প্রতিশ্রুতি, ফেডারেশন ও বিওএ থেকে আর্থিক সহযোগিতা পেয়ে কেমন লাগছে?
মাবিয়া: সবাই চায় এসব মৌলিক চাহিদা পূরণ হোক। কিন্তু এত অল্প সময়ে পূরণ হবে তা ভাবিনি। হয়তো আর পেছনে তাকাতে হবে না। এখন শুধু সামনে এগিয়ে যেতে চাই। আমার দায়িত্ব আরও বেড়ে গেছে।
No comments