প্রেম, কোর্টে বিয়ে; অতঃপর বাসরঘরেই লাশ
প্রথমে
বন্ধুত্ব তারপর প্রেম। বেশকিছু দিন ধরে চলা প্রেম সম্পর্কের পর কোনো আয়োজন
ছাড়াই কোর্টে বিয়ে। বাসরঘরেও ছিল না কোনো সাজসজ্জা। সাজাও হয়নি নববধূর
সাজ। তবুও বাসর রাত। কিন্ত যে বন্ধন বাঁধা হয়েছিল সারাজীবনের জন্য, সেই
বাধন এক রাতেই ছিন্ন হয়ে যায় চিরকালের জন্য। রাত পোহালেই পাওয়া যায় ওই
নববধূর লাশ।
এমনই ঘটনা ঘটেছে শুক্রবার রাতে নাটোররে সিংড়া উপজেলার ঢাকঢোর গ্রামে। যেখানে সকালে বাসরঘর থেকে মরিয়ম খাতুন নামে এক নববধূর মৃতদহে উদ্ধার করে পুলিশ। একইসঙ্গে নববধূর স্বামী জাহাঙ্গীর আলমকেও আটক করা হয়।
সিংড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবু তাহের বাংলামেইলকে জানান, উপজলোর ঢাকঢোর গ্রামের হুমায়ুন কবিরের মেয়ে নাটোর নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা সরকারি কলেজে রাষ্ট্রবজ্ঞিান বিভাগের মার্স্টাসের ছাত্রী মরিয়ম খাতুন সঙ্গে তার সহপাঠী পাশ্বর্বতী গোয়ালবাতান গ্রামের মোবারক আলীর ছেলে জাহাঙ্গীর আলমের প্রেমের সর্ম্পক গড়ে উঠে। এ সম্পর্কের জেরেই বৃহস্পতিবার নাটোর কোর্টে জাহাঙ্গীর ও মরিয়মের বিয়ে হয়। এরপর তারা মরিয়মের বাড়িতেই অবস্থান করে।
শুক্রবার সকালে মরিয়ম বাসরঘর থেকে বের না হওয়ায় ডাকাডাকির একপর্যায়ে বাড়ির লোকজন বাসরঘর থেকে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে। পরে এলাকাবাসী পুলিশে খবর দিলে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় নববধূ মরিয়মের বাবা হুমায়ুন কবির বাদী হয়ে সিংড়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
এলাকাবাসী জানায়, প্রেম সর্ম্পক থাকায় মাঝে মধ্যেই মাস্টার্সের ছাত্রী মরিয়মের বাড়িতে যাতায়াত করতো সহপাঠী জাহাঙ্গীর। এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার সকালে জাহাঙ্গীর মরিয়মের সঙ্গে দেখা করতে এলে মরিয়মের পরিবারের লোকজন জাহাঙ্গীরকে আটক করে জোর করে দু’জনকে নাটোর জজকোর্টে নিয়ে এফিডেভিটের মাধ্যমে বিয়ে দেয়। পরে মরিয়মের বাড়িতেই তাদের বাসরঘরের ব্যবস্থা করা হয়।
এদিকে জোর করে বিয়ে দেয়ায় জাহাঙ্গীর রাগ করেন। এতে বাসররাতেই তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। পরে সকালে বাসরঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচালো মরিয়মের ঝুলন্ত লাশ পাওয়া যায়।
মরিয়মের বাবা হুমায়ুন কবির জানান, জাহাঙ্গীর তার মেয়েকে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়ার জন্য লাশ ঝুলিয়ে রেখেছন।
তবে অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর এ ব্যাপারে বলেন, ‘জোর করে বিয়ে পড়ানো নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে তিনি ঘুমিয়ে পড়েন। রাতের কোনো এক সময় অভিমানে মরিয়ম গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে থাকতে পারে।’
এ ব্যাপারে সিংড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিন মন্ডল জানান, খবর পেয়ে পুলিশ মরিয়মের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। এ ঘটনায় নববধূর স্বামী জাহাঙ্গীর হোসেনকে আটক করা হয়েছে। ময়না তদন্ত প্রতিবেদন পেলে হত্যা না আত্মহত্যা সে বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে।
এমনই ঘটনা ঘটেছে শুক্রবার রাতে নাটোররে সিংড়া উপজেলার ঢাকঢোর গ্রামে। যেখানে সকালে বাসরঘর থেকে মরিয়ম খাতুন নামে এক নববধূর মৃতদহে উদ্ধার করে পুলিশ। একইসঙ্গে নববধূর স্বামী জাহাঙ্গীর আলমকেও আটক করা হয়।
সিংড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবু তাহের বাংলামেইলকে জানান, উপজলোর ঢাকঢোর গ্রামের হুমায়ুন কবিরের মেয়ে নাটোর নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা সরকারি কলেজে রাষ্ট্রবজ্ঞিান বিভাগের মার্স্টাসের ছাত্রী মরিয়ম খাতুন সঙ্গে তার সহপাঠী পাশ্বর্বতী গোয়ালবাতান গ্রামের মোবারক আলীর ছেলে জাহাঙ্গীর আলমের প্রেমের সর্ম্পক গড়ে উঠে। এ সম্পর্কের জেরেই বৃহস্পতিবার নাটোর কোর্টে জাহাঙ্গীর ও মরিয়মের বিয়ে হয়। এরপর তারা মরিয়মের বাড়িতেই অবস্থান করে।
শুক্রবার সকালে মরিয়ম বাসরঘর থেকে বের না হওয়ায় ডাকাডাকির একপর্যায়ে বাড়ির লোকজন বাসরঘর থেকে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে। পরে এলাকাবাসী পুলিশে খবর দিলে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় নববধূ মরিয়মের বাবা হুমায়ুন কবির বাদী হয়ে সিংড়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
এলাকাবাসী জানায়, প্রেম সর্ম্পক থাকায় মাঝে মধ্যেই মাস্টার্সের ছাত্রী মরিয়মের বাড়িতে যাতায়াত করতো সহপাঠী জাহাঙ্গীর। এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার সকালে জাহাঙ্গীর মরিয়মের সঙ্গে দেখা করতে এলে মরিয়মের পরিবারের লোকজন জাহাঙ্গীরকে আটক করে জোর করে দু’জনকে নাটোর জজকোর্টে নিয়ে এফিডেভিটের মাধ্যমে বিয়ে দেয়। পরে মরিয়মের বাড়িতেই তাদের বাসরঘরের ব্যবস্থা করা হয়।
এদিকে জোর করে বিয়ে দেয়ায় জাহাঙ্গীর রাগ করেন। এতে বাসররাতেই তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। পরে সকালে বাসরঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচালো মরিয়মের ঝুলন্ত লাশ পাওয়া যায়।
মরিয়মের বাবা হুমায়ুন কবির জানান, জাহাঙ্গীর তার মেয়েকে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়ার জন্য লাশ ঝুলিয়ে রেখেছন।
তবে অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর এ ব্যাপারে বলেন, ‘জোর করে বিয়ে পড়ানো নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে তিনি ঘুমিয়ে পড়েন। রাতের কোনো এক সময় অভিমানে মরিয়ম গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে থাকতে পারে।’
এ ব্যাপারে সিংড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিন মন্ডল জানান, খবর পেয়ে পুলিশ মরিয়মের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। এ ঘটনায় নববধূর স্বামী জাহাঙ্গীর হোসেনকে আটক করা হয়েছে। ময়না তদন্ত প্রতিবেদন পেলে হত্যা না আত্মহত্যা সে বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে।
No comments