নালা না থাকায় সড়কে খানাখন্দ
বৃষ্টির
পানি সরানোর ব্যবস্থা না থাকায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের ফকিরাপুল থেকে
মেড্ডা পর্যন্ত দুই কিলোমিটার সড়কে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। এতে ওই অংশ
দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে প্রতিদিন কমপক্ষে ৫০ হাজার মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।
একই কারণে ওই অংশে দুই বছরে দুবার সংস্কার করা হলেও তা কোনো কাজে আসেনি।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, এই সড়ক দিয়ে জেলার ছয় উপজেলার মানুষ জেলা শহরে যায়। এ ছাড়া জেলা সদর হাসপাতাল, ডাকঘর, সদর থানা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজ, ফায়ার সার্ভিস, সরকারি মাতৃসদন কেন্দ্রে যেতে এই সড়কটি ব্যবহার করতে হয়।
সওজ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালের আগস্টে কাউতলী থেকে মেড্ডা পর্যন্ত চার কিলোমিটার সড়কের দুটি অংশের সংস্কারকাজের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়। প্রথম অংশের মধ্যে ছিল কাউতলী মোড় থেকে তোফায়েল আজম রোডের (টিএ রোড) ফকিরাপুল (গোড়াপট্টির মোড়) পর্যন্ত। দ্বিতীয় অংশে ছিল ফকিরাপুল থেকে মেড্ডা এলাকা। ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ দিকে ৩২ লাখ টাকায় সড়কের দুটি অংশের কাজ করে মেসার্স সেতু এন্টারপ্রাইজ ও মেসার্স মোস্তাফা কামাল এন্টারপ্রাইজ নামের দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ২০১৪ সালের ডিসেম্বর মাসের শেষ দিকে ফকিরাপুল থেকে মেড্ডা পর্যন্ত ওই সড়কে পুনরায় সংস্কারকাজ করা হয়। ২৫ লাখ টাকায় ওই সড়কে সংস্কারকাজ করে মুজাহার এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। আবারও তিন-চার মাসের মধ্যেই ওই সড়কের কুমারশীল মোড়, পাইকপাড়া মালেক খায়ের প্লাজা, মিজান টাওয়ার, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সামনের অংশ ও পূর্ব পাইকপাড়া এলাকায় বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়। বৃষ্টি হলেই পানি জমে এসব গর্ত ডোবায় পরিণত হয়।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মুজাহার এন্টারপ্রাইজের মালিক কাজী জাহিদুল ইসলাম বলেন, শুধু রাস্তার উপরিভাগের পিচ ঢালাইয়ের জন্য তাঁরা কাজ পেয়েছেন। রাস্তার দুই পাশে পানিনিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় এই বেহাল দশা হয়েছে। কুমারশীল মোড় ও পাইকপাড়ার ওই অংশের আশপাশেই অবস্থিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজ, রামকানাই হাই একাডেমি ও আইডিয়াল রেসিডেন্সিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ। শিক্ষার্থীদের খানাখন্দ ও গর্তের ওপর দিয়ে প্রতিষ্ঠানে যেতে হয়।
কলেজশিক্ষক আজিজুল হক বলেন, খানাখন্দ ও গর্তের জন্য ইজিবাইক বা রিকশায় করে এই সড়ক দিয়ে যেতে অনেক ঝাঁকুনি সহ্য করতে হয়।
সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা যায়, কুমারশীল মোড়, মালেক খায়ের প্লাজা, মিজান টাওয়ার, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সামনের অংশে, পূর্ব পাইকপাড়া এলাকায় সড়কজুড়ে বড় বড় গর্ত। এসব গর্তে বৃষ্টির পানি জমে আছে।
পাইকপাড়া ও পূর্ব পাইকপাড়ার কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, মালেক খায়ের প্লাজা ও মিজান টাওয়ারের সামনের ওই অংশের কোনো পাশেই বৃষ্টির পানিনিষ্কাশনের ব্যবস্থা নেই। এ জন্য কয়েক দিনের বৃষ্টিতে সড়কের অবস্থা আরও খারাপ হয়েছে। এ ছাড়া মিজান টাওয়ারে অবস্থিত মাদারল্যাব শিশু ও জেনারেল হাসপাতাল এবং পাশের ভবনে অবস্থিত বসুন্ধরা জেনারেল হাসপাতালের ময়লা পানি সড়কের ওপর এসে জমে থাকে।
সওজের ব্রাহ্মণবাড়িয়া কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী শ্যামল কুমার ভট্টাচার্য বলেন, এই সড়কের প্রধান সমস্যা পানি জমে থাকা। পানিনিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থাই সড়কের পাশে নেই। পৌর কর্তৃপক্ষকে অনেকবার পানিনিষ্কাশনের ব্যবস্থা করার কথা বলা হয়েছে। পানিনিষ্কাশনের ব্যবস্থা না নিলে সড়ক টিকবে না। ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী গোলাম মোহাম্মদ দাবি করেন, সড়কটি সওজের। তাদের কোটি কোটি টাকার ফান্ড রয়েছে। সড়ক মেরামতের আগে তাদেরই পানিনিষ্কাশনের জন্য নালা নির্মাণ করা উচিত।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, এই সড়ক দিয়ে জেলার ছয় উপজেলার মানুষ জেলা শহরে যায়। এ ছাড়া জেলা সদর হাসপাতাল, ডাকঘর, সদর থানা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজ, ফায়ার সার্ভিস, সরকারি মাতৃসদন কেন্দ্রে যেতে এই সড়কটি ব্যবহার করতে হয়।
সওজ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালের আগস্টে কাউতলী থেকে মেড্ডা পর্যন্ত চার কিলোমিটার সড়কের দুটি অংশের সংস্কারকাজের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়। প্রথম অংশের মধ্যে ছিল কাউতলী মোড় থেকে তোফায়েল আজম রোডের (টিএ রোড) ফকিরাপুল (গোড়াপট্টির মোড়) পর্যন্ত। দ্বিতীয় অংশে ছিল ফকিরাপুল থেকে মেড্ডা এলাকা। ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ দিকে ৩২ লাখ টাকায় সড়কের দুটি অংশের কাজ করে মেসার্স সেতু এন্টারপ্রাইজ ও মেসার্স মোস্তাফা কামাল এন্টারপ্রাইজ নামের দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ২০১৪ সালের ডিসেম্বর মাসের শেষ দিকে ফকিরাপুল থেকে মেড্ডা পর্যন্ত ওই সড়কে পুনরায় সংস্কারকাজ করা হয়। ২৫ লাখ টাকায় ওই সড়কে সংস্কারকাজ করে মুজাহার এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। আবারও তিন-চার মাসের মধ্যেই ওই সড়কের কুমারশীল মোড়, পাইকপাড়া মালেক খায়ের প্লাজা, মিজান টাওয়ার, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সামনের অংশ ও পূর্ব পাইকপাড়া এলাকায় বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়। বৃষ্টি হলেই পানি জমে এসব গর্ত ডোবায় পরিণত হয়।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মুজাহার এন্টারপ্রাইজের মালিক কাজী জাহিদুল ইসলাম বলেন, শুধু রাস্তার উপরিভাগের পিচ ঢালাইয়ের জন্য তাঁরা কাজ পেয়েছেন। রাস্তার দুই পাশে পানিনিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় এই বেহাল দশা হয়েছে। কুমারশীল মোড় ও পাইকপাড়ার ওই অংশের আশপাশেই অবস্থিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজ, রামকানাই হাই একাডেমি ও আইডিয়াল রেসিডেন্সিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ। শিক্ষার্থীদের খানাখন্দ ও গর্তের ওপর দিয়ে প্রতিষ্ঠানে যেতে হয়।
কলেজশিক্ষক আজিজুল হক বলেন, খানাখন্দ ও গর্তের জন্য ইজিবাইক বা রিকশায় করে এই সড়ক দিয়ে যেতে অনেক ঝাঁকুনি সহ্য করতে হয়।
সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা যায়, কুমারশীল মোড়, মালেক খায়ের প্লাজা, মিজান টাওয়ার, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সামনের অংশে, পূর্ব পাইকপাড়া এলাকায় সড়কজুড়ে বড় বড় গর্ত। এসব গর্তে বৃষ্টির পানি জমে আছে।
পাইকপাড়া ও পূর্ব পাইকপাড়ার কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, মালেক খায়ের প্লাজা ও মিজান টাওয়ারের সামনের ওই অংশের কোনো পাশেই বৃষ্টির পানিনিষ্কাশনের ব্যবস্থা নেই। এ জন্য কয়েক দিনের বৃষ্টিতে সড়কের অবস্থা আরও খারাপ হয়েছে। এ ছাড়া মিজান টাওয়ারে অবস্থিত মাদারল্যাব শিশু ও জেনারেল হাসপাতাল এবং পাশের ভবনে অবস্থিত বসুন্ধরা জেনারেল হাসপাতালের ময়লা পানি সড়কের ওপর এসে জমে থাকে।
সওজের ব্রাহ্মণবাড়িয়া কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী শ্যামল কুমার ভট্টাচার্য বলেন, এই সড়কের প্রধান সমস্যা পানি জমে থাকা। পানিনিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থাই সড়কের পাশে নেই। পৌর কর্তৃপক্ষকে অনেকবার পানিনিষ্কাশনের ব্যবস্থা করার কথা বলা হয়েছে। পানিনিষ্কাশনের ব্যবস্থা না নিলে সড়ক টিকবে না। ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী গোলাম মোহাম্মদ দাবি করেন, সড়কটি সওজের। তাদের কোটি কোটি টাকার ফান্ড রয়েছে। সড়ক মেরামতের আগে তাদেরই পানিনিষ্কাশনের জন্য নালা নির্মাণ করা উচিত।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের পাইকপাড়া এলাকার মালেক খায়ের প্লাজার সামনে সড়কে সৃষ্টি হওয়া বড় বড় গর্তে বৃষ্টির পানি জমে আছে। গতকাল তোলা ছবি l প্রথম আলো |
No comments